নাটক রিভিউ- মন দুয়ারে||
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আমি @shopon700 🇧🇩 বাংলাদেশ থেকে। আজকে আমি একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করবো। অবসর সময় পেলে নাটক দেখি। আর নাটক দেখতে ভালো লাগলে। আজকে ভাবলাম একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করি। তো বন্ধুরা এবার চলুন আমার শেয়ার করা নাটক রিভিউ পড়ে নেয়া যাক।
নাম | মন দুয়ারে |
---|---|
পরিচালনা | হাসিব হোসাইন রাফি |
প্রধান সহকারী পরিচালক | শাহেদ হাসান ইমন |
অভিনয়ে | তৌসিফ মাহবুব, তাসনিয়া ফারিন এবং আরো অনেকে |
দৈর্ঘ্য | ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ |
ধরন | ড্রামা |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রেঃ
- তৌসিফ মাহবুব(সিয়ান)
- তাসনিয়া ফারিন(তিথি)
নাটকের শুরুতেই দেখতে পাই একটি মেয়ে স্টেশনে ঘোরাঘুরি করছে আর তার মায়ের সাথে ফোনে কথা বলছে। মেয়েটি তার মাকে বলছে তার ফোনে চার্জ শেষ হয়ে গেছে। আর তার মা বলছে অন্য কারো নাম্বার দিতে। অন্যদিকে একটি ছেলে স্টেশনে আগে থেকেই রয়েছে। মেয়েটি দৌড়ে গিয়ে তার কাছে ফোন চায় এবং সেই ফোন থেকে তার মাকে ফোন করে জানায় এটা তার ফ্রেন্ডের নাম্বার। এরপর মেয়েটি ফোন ফিরিয়ে দেয়। ছেলেটি কোন কিছুই বুঝতে পারছিল না। মেয়েটির নাম তিথি। আর ছেলেটির নাম সিয়ান। এরপর সিয়ান যখন চলে যাচ্ছিল তখন তিথি বলে আপনি কোথাও যেতে পারবেন না। কারণ আপনার নাম্বার আমি আমার মাকে দিয়েছি। আর অজয়নগর পর্যন্ত আপনাকে আমার সাথে যেতে হবে। না হলে আমার মা খুবই চিন্তা করবে।
সিয়ান যখন তিথির কোন কথার উত্তর দিচ্ছিল না তখন তিথি বলে আপনি যদি আমার সাথে না যেতে পারেন তাহলে আপনার ফোন আমাকে দিয়ে দেন। এই কথা শুনে সিয়ান বলে আপনার কি মাথায় সমস্যা নাকি? আমি আপনাকে কেন ফোন দিবো? এরপর কথায় কথায় সিয়ান বলে সেও অজয়নগর যাচ্ছে। এরপর দুজনেই ট্রেনে উঠে পরে। সিয়ানের আর তিথির সিটের দূরত্ব ছিল অনেকটা বেশি। সিয়ানের কাছাকাছি বসার জন্য তিথি একটি লোককে বলে আপনার পাশে বসা লোকটি তার বয়ফ্রেন্ড। আর তারা একসাথে বসতে চায়। তখন লোকটি সিয়ানের পাশের সিট ছেড়ে দেয়। এরপর তিথি সিয়ানের পাশে বসে। তিথি এত কথা বলে যে সিয়ান বিরক্ত হয়ে যায়।
এরপর তিথি জানায় তার কাছে থাকা ফোনটি সে খুঁজে পাচ্ছে না। এরপর সবাই বুঝতে পারে সে তিথির ফোন চুরি হয়েছে। যেহেতু ফোনেই তার টিকেট কাটা ছিল তাই আর টিকেট দেখাতে পারে না। এমন সময় সিয়ান ভুলভাল বুঝিয়ে টিটিকে ম্যানেজ করে। আর টিটি কে বলে তিথি তাকে বিয়ে করতে চায় । এটা শুনে টিটি অনেক খুশি হয়। আর স্টেশনে নামার পর লোকটি তিথিকে বলে তাকে বিয়ে করতে। তিথি তো ভীষণ রেগে যায়। এরপর দুজনেই যে যার গন্তব্যে চলে যায়। এরপর সিয়ানকে দেখানো হয় সে তার হবু শ্বশুর বাড়িতে এসেছে। আর সবাই তাকে বেশ ভালোভাবে আপ্যায়ন করছে। এমন সময় তিথি সেখানে চলে আসে। তিথিকে দেখে সিয়ান যেমন অবাক হয় তেমনি তিথিও অবাক হয়। কারণ সে সিয়ামকে আগেই বলেছিল সে তার বান্ধবীর বিয়ে ভাঙ্গার জন্য যাচ্ছে।
দুজন দুজনকে দেখে অবাক হয়ে যায়। এরপর তিথির বান্ধবী বুঝতে পারে তারা ঝামেলাটা আগেই পাকিয়ে রেখেছে। এবার সিয়ানকে তিথির বান্ধবী অনুরোধ করে যাতে করে সে বিয়েটা না করে। এরপর সিয়াম সবকিছু ম্যানেজ করে এবং তিথি যেই ছেলেটিকে পছন্দ করে তার সাথে বিয়ের ব্যবস্থা করে দেয়। এরপর তিথি আর সিয়ান সেখানেই বিয়ে পর্যন্ত থেকে যায়। তিথি এবং সিয়ানের মধ্যে অনেক ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়ে যায়। আর মাঝে তিথির বান্ধবীর ভাবি সিয়ানকে তিথি সম্পর্কে বাজে কথা বলে। এটা শুনে তিথি খুবই মন খারাপ করে। আর কান্না করে।
দেখে দেখতে বিয়ে শেষ হয়ে যায়। এরপর দুজনের ফেরার পালা। যখন দুজনে ফিরে আসবে তখন সিয়ানের অনেক মন খারাপ থাকে। তখন সিয়ান তিথিকে বলে তার মা অনেক অসুস্থ। বিয়ে হয়নি এই কথা শুনলে সে অনেক কষ্ট পাবে। এবার তিথি সিয়ানের বউ সেজে সিয়ানের বাড়িতে যায়। সেখানে যাওয়ার পর তিথি আর সিয়ান অনেক ভালো সময় কাটায় এবং দুজনের মাঝে একটি সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। ধীরে ধীরে দুজনের বন্ধুত্বটা ভালোই তৈরি হয়। এরপর তিথি যখন বাড়ি ফিরে যায় তখন তার সৎ বাবা তাকে অপমান করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। কারণ সে জানতে পেরেছে তিথি সিয়ানের বাড়িতে ছিল।
তিথি নিজের বাড়িতে অপমানিত হয়ে যখন আবার সিয়ানের বাড়িতে ফিরে আসে তখন জানতে পারে আসলে সিয়ানের মা অসুস্থ ছিল না। আর যেই মহিলা সেখানে ছিল সেটা সিয়ানের মা নয়। এসব শুনে তিথির খুবই মন খারাপ হয়। আর সেখান থেকে বেরিয়ে চলে যায়। বেশ কিছুদিন পর সিয়ানের সাথে যখন তিথির বান্ধবীর কথা হয় তখন সিয়ান জানতে পারে তিথি সিয়ানকে পছন্দ করতো। এরপর তিথির খোঁজ করতে যখন সিয়ান তিথিদের বাড়িতে যায় তখন তিথির মা বলে সে তো সেখানে আসেনি। এরপর আবার সেই জায়গাটিতে যায় যেখানে সিয়ান ও তিথি অনেক ভালো সময় কাটিয়েছিল। সেখানে গিয়ে তিথির সাথে দেখা হয়ে যায়। আর দুজনের রাগ অভিমান শেষ হয়।
হঠাৎ করে একটি মেয়ের সাথে দেখা হয় সিয়ানের। তাদের দুজনের মাঝে বেশ ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। অনেক রাগ অভিমান সবকিছুর মাঝেও তারা দুজন দুজনকে ভালোবেসেছিল। অবশেষে তাদের ভালোবাসা সার্থক হয়েছে। আর সব অভিমান শেষে তাদের সম্পর্ক ঠিক হয়ে গেছে। নাটকটি সবমিলিয়ে অনেক ভালো ছিল।
🥀ধন্যবাদ সকলকে।🌷
আমি মো: স্বপন । আমি একজন বাংলাদেশী। ব্যক্তিজীবনে আমি আইন পেশার সাথে জড়িত। এছাড়াও ফটোগ্রাফি, পেইন্টিং ও ব্লগিং করা হচ্ছে আমার অন্যতম শখ। আমার স্টিমিট আইডি নাম @shopon700। আমি ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে স্টিমিট ব্লগিং শুরু করি। আমি গর্বিত, কারণ আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড ব্লগার।
আপনি অনেক সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করছেন। আপনার শেয়ার করা নাটকটি এখনো দেখা হয়নি। তবে তাওসিফ মাহবুবের নাটক গুলো অনেক সুন্দর হয়। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে নাটকটির রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
তাওসিফ মাহবুবের নাটকগুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তাই সময় পেলে নাটক দেখি ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য এবং উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি খুব সুন্দর একটি রিভিউ পোস্ট শেয়ার করেছেন।রিভিউ পড়ে নাটকটি দেখার আগ্রহ অনেকটা বেড়ে গেল।সময় করে দেখে নিব নাটকটি।নাটকের গল্পটি ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ সুন্দর রিভিউ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন আপু নাটক রিভিউ পড়লে নাটক দেখার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। গল্পটি ভালো ছিল। আপনি সময় পেলে দেখবেন আপু।
বাংলা নাটক গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। এই নাটকটি অনেক দিন আগে দেখেছিলাম। তৌসিফ মাহমুদ এবং ফারিন বেশ সুন্দর অভিনয়ের মাধ্যমে নাটকটি ফুটিয়ে তুলেছেন। নাটকটির লোকেশন আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনার মাধ্যমে নাটক রিভিউ পেয়ে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
https://x.com/shopon799/status/1797579372758728925
তৌসিফ মাহবুব এর অনেক সুন্দর একটি নাটক আজকে আপনি আমাদের মাঝে রিভিউ করে দেখিয়েছেন ভাইয়া। আপনার এই সুন্দর নাটক রিভিউ টা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। এক কথায় অসাধারণ একটি নাটক আমাদের দেখানোর চেষ্টা করেছেন আপনি। খুবই ভালো লাগলো অনেক অনেক খুশি হলাম।
তৌসিফ মাহবুব অনেক ভালো একজন অভিনেতা। আর উনার নাটক দেখতেও আমার ভালো লাগে। এই নাটকটি খুবই ভালো ছিল আপু।
মন দুয়ারে এই নাটকটার রিভিউ আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। তাসনিয়া ফারিনের নাটক গুলো আমার কাছে দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। তৌসিফ মাহবুবও অনেক সুন্দর অভিনয় করে, তার নাটকও অনেক সুন্দর হয়। পুরো নাটকের কাহিনীটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আসলে সবকিছুর মধ্য দিয়ে ভালোবাসলে সেই সম্পর্কটা অনেকদিন টিকে থাকে। রাগ অভিমান তো সবসময় হবে। কিন্তু এসব কিছুর মধ্য দিয়েও ভালোবাসলে সেটা সার্থক হয়।
দুজনেই খুবই ভালো অভিনয় করেছিল। এছাড়া তৌসিফ মাহবুব অনেক ভালো অভিনয় করে। নাটকের কাহিনীটা আমার কাছেও ভালো লেগেছিল আপু।
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দিয়েছেন। যদিও এই নাটক এখনও দেখা হয়নি তবে আপনার রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। তাসনিয়া ফারিন আর তৌসিফের অভিনয় খুব সুন্দর হয়েছে। বর্তমানের নাটক দেখতে খুব ভালো লাগে। যদি একটি নাটক সুন্দর ভাবে রিভিউ দেওয়া হয় তাহলে নাটক দেখার প্রয়োজন হয় না। আপনি সম্পূর্ণ নাটকের রিভিউ খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। সময় পেলে অবশ্যই দেখবো। ধন্যবাদ এত সুন্দর নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
আপু আপনি সময় পেলে নাটক দেখবেন। আশা করছি নাটকটি আপনার কাছে ভালো লাগবে। নাটকের গল্পটি অনেক ভালো ছিল আপু।
তাসনিয়া ফারিনের অভিনয় খুব ন্যাচারাল হয়।আপনি বেশ সুন্দর একটি নাটক শেয়ার করেছেন ।ভালো লাগলো নাটকটি।একদিন সময় করে দেখে নিব নাটকটি।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
তাসনিয়া ফারিন অনেক ভালো অভিনয় করে। আর এই নাটকেও খুবই ভালো অভিনয় করেছে। সময় পেলে একদিন এই নাটক দেখতে পাবেন আপু।