☔🌨️ " বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আব্বুকে দেখতে যাওয়া "
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগবাসী।
প্রিয় বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় ও বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশাকরি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।
বন্ধুরা,আমি @shimulakter,আমি বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি মনে প্রানে কাজকে ভীষণ ভালোবাসি।কাজের মধ্যে ই সারাক্ষণ ডুবে থাকি।আমি একজন অ্যাক্টিভ ইউজার।আমি আমার এই কমিউনিটিতে নিজেকে সব সময় অ্যাক্টিভ রাখার চেষ্টা করি।তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি।মূলত আজ শেয়ার করবো ভ্রমন পোস্ট।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আব্বুকে দেখতে যাওয়াঃ
বন্ধুরা,আজ মূলত ভ্রমন পোস্ট শেয়ার করবো বলে ভাবলাম।কারন কাল এতো পরিমান ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছিল এই বৃষ্টি কে মাথায় নিয়েই আব্বুকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম।সেই অনুভূতিটাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো বলে পোস্ট লিখতে বসে গেলাম।আমি প্রতিনিয়ত নানা কাজের মধ্যে দিয়ে চলি।আর তারই কিছু ঘটনা আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করি।আশাকরি আমার এই বিষয় গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগে।আপনাদের ভালো লাগার মাঝেই আমার সার্থকতা।
আপনারা অনেকেই জানেন আমার আব্বু ডায়ালাসিস দিতে শুরু করেছে।কারন আব্বুর কিডনীর পয়েন্ট অনেক বেশি হয়েছিল বলে। ডাক্তার ডায়ালাসিস দিতে বলায় ভর্তি করিয়েছিলাম আব্বুকে হাসপাতালে।আব্বু ১১ দিন হাসপাতালে থেকে ৫ টা ডায়ালাসিস দিয়ে বাসায় গিয়েছিল।ডাক্তার বলেছিল সপ্তাহে তিনটি করে ডায়ালাসিস দিতে।আর তাই আব্বু বাসা থেকে এসে এসে ডায়ালাসিস করে চলে যায়।কাল আব্বুর ডায়ালাসিস ছিল তাই আম্মু নিয়ে এসেছিল আব্বুকে হাসপাতালে।ভাইয়া নিয়ে আসতে চাইলেও আব্বু কিন্তু আম্মুকে নিয়েই এসেছে।আর আম্মু হাসপাতালে এসে আব্বুকে সবকিছু ঠিকঠাক মতো দিয়ে আম্মু আমার বাসায় চলে আসে।কারন আমার বাসা থেকে হাসপাতাল খুব কাছেই।কাল আম্মু এসেছিল আমি আম্মুকে আগেই বলেছিলাম কাল দেখতে যাব আব্বুকে।
কাল ঢাকায় প্রচুর বৃষ্টি হয়।পথে- ঘাটে পানি জমে যায়।আমি আব্বুর পছন্দের কিছু খাবার রান্না করে আম্মুর সাথে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য রওনা দেই ১১ টার দিকে।কিন্তু নীচে নেমে কোন রিকশাই পাচ্ছিলাম না।একে তো বৃষ্টি তার উপর বেশীর ভাগ রিকশাই অটো।আর সমস্যা হচ্ছে কোন অটোই ওই হাসপাতালের দিকে যেতে পারবেনা।এতে বেশ ভোগান্তিতে পরতে হয় আমাকে।আমি রিকশা নেয়ার জন্য ছাতা মাথায় গেলেও আমার জুতা,কাপড়ের নীচের অংশ সব ভিজে যায়।যাক শেষে রিকশা পেয়ে আম্মুকে নিয়ে রওনা হলাম।হাসপাতালে।যাওয়ার সময়টাতে আমি ফটোগ্রাফি করতে পারিনি।কারন একে তো ভিজে গেছি তার উপর এক হাতে ছাতা অন্য হাতে খাবার ছিল।আর তাই বাসায় ফেরার পথে আমি ফটোগ্রাফি গুলো তুলে ছিলাম।কতটা বৃষ্টি হয়েছিল কাল তা আশাকরি ফটোগ্রাফি দেখে বুঝে গেছেন।
আমি হাসপাতালে গিয়ে আব্বুর সাথে দেখা করি।আব্বুকে আমি জিজ্ঞেস করবো কেমন লাগছে? তার আগেই আব্বু বলে চলেছে আমি কেন বৃষ্টিতে এলাম।আমি কেন ভিজে ভিজে এলাম।আমি আব্বুকে বললাম কোন সমস্যা নেই।আমি ঠিক আছি।আপনার কি অবস্থা ??কেমন লাগছে?আব্বু বলল আলহামদুলিল্লাহ ভালোই লাগছে।এরপর আমরা হাসপাতালের নীচে আসি।আব্বু -আম্মু বার বার বলছিল আমাকে বাসায় চলে যাওয়ার জন্য।ভেজা শরীরে থাকলে ঠান্ডা লেগে যাবে তাও বলছিল।আমি বললাম তোমরা আগে যাও তারপরে আমি যাব।এরপর আব্বুকে বসিয়ে আম্মুকে রেখে আমি সিএনজি করতে গেলাম।সে সময়টাতে বৃষ্টি থেমে গেছে।আব্বুর জন্য আনা খাবার গুলো দিয়ে দুজনকে ই গাড়িতে তুলে দিয়ে আমি রিকশা নিয়ে নিজ বাসার দিকে রওনা দিলাম।
সীমান্ত স্কয়ারের সামনে এসেই দেখি প্রচুর পানি জমে গেছে।তিনটা বাচ্চা সাঁতার করে গোসল করছে।তাদের দিকে তাকিয়ে ভাবলাম কতোই আনন্দ ওদের মনে।ইচ্ছে করছিল আমিও গিয়ে ওদের মতো পানিতে ভিজি।কিন্তু ময়লা পানি ভেবে আর নামলাম না।তবে ভীষণ উপভোগ করলাম।আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য কিছু ফটোগ্রাফি আমি তুলে নিলাম।আশাকরি দেখে বুঝতে পারছেন সকালে যখন আমরা হাসপাতালে যাই তখন ঠিক কতটা পরিমান বৃষ্টি পরেছিল।সেই বৃষ্টি কে উপেক্ষা করেই বাবাকে দেখতে গেলাম।নিজের চোখে দেখে এলাম,আসলে কতটা রিমুভ হচ্ছে।এই ছিল আমার আজকের আয়োজন।
আজ আর নয়।আশাকরি আমি আমার মনের অনুভূতি গুলো আপনাদের মাঝে খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরতে পেরেছি।সবাই সুস্থ থাকবেন। ভালো থাকবেন।আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
শ্রেনী | ভ্রমন |
---|---|
ক্যামেরা | Samsung A20 |
পোস্ট তৈরি | @shimulakter |
লোকেশন | ধানমন্ডি ,ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।আমি এম এস সি (জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি স্বাধীনচেতা একজন মানুষ।ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে,ফটোগ্রাফি করতেও আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X-promotion
ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে আপু অনেক বৃষ্টি হয়েছিল। আপনার আব্বু অসুস্থ তাই ডায়ালাসিস দিতে এসেছিল হাসপাতালে। আর সেখান থেকেই আপনার বাড়ির কাছে তাই আপনার আম্মু চলে এসেছিল আপনার বাসায়। তবে বৃষ্টি মুহূর্তে আপনার আম্মুকে সাথে নিয়ে আপনার আব্বুর কিছু পছন্দের খাবার নিয়ে তাকে দেখতে যাচ্ছিলেন। বাবা-মার পছন্দের খাবার জিনিসপত্র দিতে পারলে নিজের কাছে ভীষণ ভালো লাগে। যাইহোক আপনার আব্বুকে আপনি নিজের চোখে দেখে আসতে পারলেন এটা জানতে পেরে ভীষণ ভালো লাগলো ধন্যবাদ বাবু সুন্দর এই অনুভূতিটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
পোস্ট পড়ে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। তবে বানান ভুল আছে একটু দেখবেন।
আপু বাবা মায়ের মন এরকমই থাকে। আপনি বৃষ্টির মধ্যে ভিজে আপনার বাবাকে দেখতে গেলেন। অথচ আপনার বাবা আপনার চিন্তা করতেছে কেন বৃষ্টিতে ভিজে গেলেন। আর কিছুদিন বৃষ্টি অতিরিক্ত হয়েছে এই কারণে অনেক জায়গাতে পানি জমে গেছে। তবে আপু পরিবারের কেউ অসুস্থ থাকলে এমনিতে কারো কাছে ভালো লাগে না। আপনার বাবার সুস্থতা কামনা করি। যেন আগের মত সুস্থ হয়ে আবার আপনাদের মাঝে হাসিখুশি জীবন কাটাতে পারে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মতামত প্রকাশ করার জন্য।
আপু আপনার বাবার অসুস্থতার কথা এর আগের একটি পোষ্টের মাধ্যমে জেনেছিলাম। বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ হয়েছে। আপনি আপনার বাবাকে দেখতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো আপু। আপনার বাবার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
জি আপু আমরা সবাই জানি আপনার বাবা হসপিটালে ভর্তি রয়েছে। তাকে দেখতে গিয়ে আপনাকে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে যেতে হয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে আমি অনেকবার পড়েছি, প্রতিনিয়ত পড়ছি। বৃষ্টি হলে আমাদের শহরগুলোতে ছোটখাটো নদী হয়ে যায়। এগুলো দেখতে দেখতে আমরা বাঙালি অভ্যস্ত হয়ে গেছি। তাই এখানে কিছু বলার নাই। শুধু এতটুকুই বলতে চাই আপনার বাবার সুস্থতা কামনা করি। ধন্যবাদ।
মতামত প্রকাশ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আশাকরি আপনার বাবা দ্রুতই সুস্থ্য হয়ে যাবেন। উনার জন্য শুভকামনা। শুক্রবার যে বৃষ্টি হয়েছিল সেটা ছিল রেকর্ড পরিমাণ। ঐদিন আমি ইউনিভার্সিটি তে যাওয়ার সময় দেখি রাস্তায় হাঁটু সমান পানি। কী একটা অসহনীয় অবস্থা বলে বোঝানোর মতো না। তারপরও নিজের বাবা কে দেখতে অনেক কষ্ট করে আপনি গিয়েছিলেন ব্যাপার টা ভালো লাগল।
মন্তব্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।