নাটক রিভিউ পোস্ট --💞 " আমি সেই মেয়ে "
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,শুভ সকাল সবাইকে।কেমন আছেন আপনারা??
"আমার বাংলা ব্লগ" এর ভারতীয় ও বাংলাদেশী ভাই ও বোনেরা,আমি@shimulakter,আমি বাংলাদেশে ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি একজন নিয়মিত ইউজার।প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু নিয়ে পোস্ট শেয়ার করতে।আজ আমি নাটক রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। প্রায় অনেকদিন পর আজ একটি চমৎকার নাটকের রিভিউ পোস্ট শেয়ার করতে চলেছি।বাংলা নাটক আমার খুব ভালো লাগে।আশাকরি আমার আজকের নাটকের রিভিউ পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমুহঃ
নাটকের নাম | আমি সেই মেয়ে |
---|---|
পরিচালক | মাবরুর রশিদ বান্না। |
অভিনয়ে | মুশফিকুর রহমান ফারহান,মেহজাবিন চৌধুরী ও আরো অনেকেই। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
প্রচার | ২৮ এপ্রিল , ২০২৪ |
সময় | ৩৪.২৭ মিনিট |
কাহিনী সারসংক্ষেপঃ
আমি সেই মেয়ে এই নাটকটি মূলত রহস্যময় একটি নাটক।এই নাটকটি একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প।এই পরিবারে বাবা অসুস্থ।তিনি হুইল চেয়ায়ে বসে।আর মা গৃহিণী ছোট এক ভাই।আর নাটকের নাম অনুসারে যে মেয়েটি সে এই পরিবারের একমাত্র ছোট মেয়ে।নাম তার ইলা।এই নাটকের মূল চরিত্র গুলোর সাথে তো আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিলাম।এবার চলুন নাটকটি আমি নিজের ভাষায় আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করি।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
এই নাটকে বাবা পঙ্গু হয়ে হুইল চেয়ারে বসে আছে অনেকদিন।তাই এই পরিবারের হাল ধরতে হয় মেয়ে ইলাকে।সে রাতে কল সেন্টারে জব করেন।আর সকালে এসে রেস্ট নিয়ে টিউশনি করেন।এভাবেই ইলা পরিবারকে সামলে নিচ্ছিলেন।ছোট ভাইটি স্কুলে পড়ে। ইলার বাবা সারাদিন বসে বসে খবর শোনেন আর সাবধান করতে থাকেন মেয়েকে।দিনকাল ভালো না।জায়গায় জায়গায় খুন হচ্ছে।তাই ইলাকে বলেন,রাতের এই চাকরিটি না করার জন্য। ইলার বাবার এই কথার জন্য ইলার মা ইলার বাবার সাথে সারাক্ষন চিৎকার করে কথা বলেন।তিনি বলেন,সারাদিম কোন কাজ না করে খবর দেখে কি হবে।সংসারটা চলবে কি করে।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
এরপর একদিন বাবা নিউজে দেখছেন এক হোটেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক বড় ব্যবসায়ী মারা গিয়েছেন। ইদানিং শহরে খুনের পরিমান খুবই বৃদ্ধি পেয়েছে।তাই বাবা তার মেয়েকে নিয়ে চিন্তিত।অন্য দিকে ফারহান পুলিশ হয়েও প্রকৃত খুনিকে ধরতে পারছেন না।খুব হিমশিম খাচ্ছেন।উপর থেকে খুব হুমকি শুনছেন ফারহান খুনিকে ধরায় ব্যর্থ হয়ে।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
শহরে একের পর এক ব্যনসায়ি খুন হয়ে যাচ্ছে।কিন্তু পুলিশ বাহিনী কিছুই করতে পারছে না।সবাই ভীষন চিন্তিত।একদিন হঠাৎ পাশের বাড়ির দুজন ভাবী ইলার মায়ের কাছে আসেন।তারা চা খেতে খেতে ইলার বিষয়ে কিছু জানতে এসেছেন।ইলার মা তাদেরকে বলল,মেয়ে তার রাতে কল সেন্টারে কাজ করে আর দিনে টিউশনি করে সংসার চালাচ্ছে।তখন সেই ভাবী বলল আর অন্য কোন কাজ কি করে নাকি।ইলার মা বলল কেন বলেন তো? তখন সেই ভাবী জানায় তার হাসবেন্ড একদিন রাতে ভিন্ন পোশাকে ইলাকে হোটেলে দেখেছে।এই কথা শুনে ইলার মা তাদের কে চলে যেতে বলেন।আর কোন দিনও তারা যাতে না আসে সেটা ও বলে দেন।তার মেয়ে যে এমন কিছু করতে পারে এটা তিনি কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেন না।এরমধ্যে ইলা চলে এলে মায়ের রেগে যাওয়ার কারন জন্তে চাইলে তার মা তাকে সবটাই বলেন।তখন ইলা তার মাকে বলেন তুমি কেন জানতে চাওনি তার হাসবেন্ড এতো রাতে হোটেলে কি করছিলো।
এরপরে দেখা যাবে ইলা তিন নাম্বার ব্যবসায়ীকে খুন করতে গিয়ে পুলিশের নজরে পরে।তিনি ধরা না পরলেও গুলিবিদ্ধ হন।বাসায় চলে আসার পর মা-বাবা, ভাই সবাই সবটা জেনে যায়।তখন ইলা মাকে জানায় আজ তিনি সবাইকে সবটা জানাবে।এই বলেই পাশের রুমে গিয়ে ল্যাপটপে ফেসবুক লাইভে গিয়ে বলতে শুরু করে।ইলা জানায় তার পরিবারের কথা।তার পরিবার হাসি -আনন্দে ভরা একটা পরিবার ছিল।তিনি কেন তিনজন ব্যবসায়ীকে খুন করেছেন তাও বলেন।তার বড় বোন ইলা বেশ কিছুদিন আগে খুন হয়েছেন।তিনি জব করতেন।কিন্তু একদিন তার বোন বাসায় ফিরছিল না।কারন তাকে ফিরতে দেয়া হয়নি।তার অফিসের বস ও তার দুইজন বন্ধু মিলে তার বোনকে লাঞ্চিত করে মেরে ফেলে।ইলার মা-বাবা বিচার চাইলেও বিচার পায়নি।অপরাধীরা ক্ষমতার বলে পার হয়ে যায়।আর তাই ইলা প্রতিশোধ নেয় নিজেই।ফেসবুক লাইভে সে এসব কিছু বলে কান্নায় ভেঙে পরেন।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
তিনি শেষে সবাইকে অনুরোধ করেন,মেয়েদেরকে সম্মান করতে।তারা যেনো নিরাপদে কাজ করতে পারেন,নিরাপদে বাসায় ফিরতে পারেন সেই অধিকার তাদের দিতে হবে।এই কথা গুলো বলে তিনি লাইভ শেষ করেন।এরপর আসলে কি হয়েছিল তা জানতে হলে আপবাদেরকে নাটকটি দেখতে হবে।
আমার মতামত
বাস্তবধর্মী নাটক হিসেবে এই নাটকটি সত্যিই দারুন একটি নাটক।নাটকটি যেমন রহস্যে ভরপুর তেমনি নাটকটিতে অনেক কিছু শিখারও আছে আমাদের।এটা শিক্ষনীয় নাটক ও বলা যেতে পারে।এই সমাজে নারীরা আজও নিরাপদ নয়।নারীদের সম্মান দেওয়া হয়না।নারীরা বিভিন্ন কাজে বাইরে গেলে পুরুষের কাছে লালসার স্বীকার হয়।এমন কি কোন কোন ক্ষেত্রে মেয়েদের জীবন ও দিতে হয়।সমাজে যাদের টাকা-পয়সা আছে তারা অন্যায় করেও পার পেয়ে যাচ্ছে।বাস্তবে ও আমরা এমনটা দেখে থাকি।সেই বিষয় টিকে এই নাটকে চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নাটকটি তো আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আশাকরি আপনাদের কাছে ও ভালো লাগবে। আমি নাটকের লিংক নীচে দিয়ে দিচ্ছি চাইলে আপনারা ও দেখে নিতে পারেন।
রেটিং
পরিচালনা | ৯ |
---|---|
কাহিনী | ৯ |
অভিনয় | ৯ |
বন্ধুরা সম্পূর্ণ নাটকটি নিজের ভাষায় লিখেছি।আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালোই লাগবে।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।আবার কথা হবে পরবর্তী ব্লগে।আজ এখানেই বিদায়।সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
শ্রেণী | নাটক রিভিউ |
---|---|
ক্যামেরা | SamsungA20 |
পোস্ট তৈরি | @shimulakter |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি (জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে।আর সবাইকে নতুন নতুন রেসিপি করে খাওয়াতে ভীষণ
ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Twitter link
আমি সেই মেয়ে নামের এই নাটকটি আমি আমাদের কমিউনিটির আরো একজন ইউজারের পোস্টে রিভিউ করেছিলাম। নাটকটা আসলেই মর্মান্তিক। আমাদের পুরুষদের জন্যই নারীরা আজ সেফটি নয়। আমাদের মাঝেই কিছু নৃশংস পুরুষ নামের জানোয়ার রয়েছে যাদের কারণে মেয়েরা নিজের কর্ম দক্ষতায় স্বাবলম্বী হতে ব্যর্থ হচ্ছে। যেমন আপনার নাটকের রিভিউতে ইলা নামের মেয়েটির বড় বোনের মর্মান্তিক একটি ঘটনা হয়েছিল। যার কারণে ইলা নিজে থেকেই সেই হত্যার প্রতিশোধ নিচ্ছিল। যাই হোক সে তার এটা ভুল কাজ করেছে যদিও নিজের পরিবারকে হারানোর বিচার পাইনি সেই বেদনায়। আমাদের উচিত নারীদেরকে সুযোগ দেওয়া তাদেরকে নিজের কর্মদক্ষতায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য সাপোর্ট দেওয়া। সুন্দর নাটকটি সুবিন্যস্ত ভাবে ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কয়েকদিন আগে দেখেছিলাম আমাদের কমিউনিটির আরও একজন এই নাটকটির রিভিউ করেছিল। আজ আপনিও বেশ সুন্দর করে নাটকটির রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আপনার শেয়ার করা আজকের নাটকের রিভি দেখে বেশ ভালো লাগলো। সত্যি কিন্তু এ সমাজে আজও মেয়েরা নিরাপদ নয়। এক মাত্র কর্মজীবি নারীরাই সেটা বুঝতে পারে।ধন্যবাদ সুন্দর করে নাটকটি রিভিউ করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
দুইদিন আগে আমিও এই নাটক রিভিউ শেয়ার করেছিলাম আপু। এই নাটকটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। আসলে অনেক সময় মানুষ বাধ্য হয়ে অনেক কাজ করে। তবে আসল অপরাধীদের শাস্তি দিতে পেরেছে এটা দেখে ভালো লেগেছে।
হে, অপরাধীদের শাস্তি দেয়াতে আমার ও ভীষণ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু।
আমাদের সমাজের মেয়েরা অনেক ক্ষেত্রেই নিরাপদ নয়। কর্মক্ষেত্রে গিয়েও যদি তাদের বিপদে পড়তে হয় তখন খুবই খারাপ লাগে। এই নাটকের কিছু সিন আমি দেখেছিলাম। আর আজকে আপনার শেয়ার করা রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লেগেছে আপু।
ধন্যবাদ আপনাকে।