লাইফ স্টাইল পোস্ট -- 🥰 " সবাই মিলে খুব সুন্দর একটি মসজিদ দেখতে যাওয়া "
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।
আমি @shimulakter,"আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি ঢাকা থেকে আপনাদের মাঝে যুক্ত আছি।আমি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় নিয়ে ব্লগ শেয়ার করে থাকি।আমি বিশ্বাস করি আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লাগে।আমি আমার প্রতিদিনের নানা রকম কর্মকান্ড থেকে কিছু কিছু বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকি।আজ ও এসেছি এমন একটি বিষয় আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে।আশাকরি সঙ্গেই থাকবেন।
সবাই মিলে খুব সুন্দর একটি মসজিদ দেখতে যাওয়াঃ
বন্ধুরা,প্রতিনিয়ত আমি চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে যুক্ত থাকার।কারন আপনারা হলেন আমার পরিবার।এই পরিবারে নিজের মনের অনুভূতি গুলো শেয়ার করতে পেরে আমার মধ্যে অনেক ভালো লাগা কাজ করে।আজকে কি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করছি তা ইতিমধ্যে আপনারা ধারনা পেয়ে গেছেন আশাকরি।এ মাসের মাঝামাঝিতে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলাম কিছু কাজে।প্রায় দুই সপ্তাহের মতো ছিলাম সেখানে।যাওয়ার পর পর টানা বৃষ্টি হয়েছিল।খুব বিরক্ত লাগছিল সেই সময়টাতে।পরে খবরে জানতে পারলাম নিম্ন চাপ। এই নিম্ন চাপের কারনে অবিরাম বৃষ্টি হয়েছিল প্রায় সাতদিনের মতো।বাসা থেকে বের হতে পারিনি।সকালে বৃষ্টি থেমে গেলে ও বিকেলে ঠিকই বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। কোথাও যে বের হব তার উপায় ছিল না।
আমরা দুই তিন দিন টার্গেট নিয়েও বাইরে বের হতে পারিনি।একদিন বিকেলে বৃষ্টি হয়নি ভেবে আমরা ঝালকাঠি থেকে কিছুটা দূরে একটি চমৎকার মসজিদ আছে জেনে সেখানে যাওয়ার জন্য মনঃস্থির করলাম।আমার ফুপু শ্বাশুড়ি আমি বাড়িতে গেলেই আসেন।আমি যেকটা দিন সেখানে থাকি তিনিও থাকেন এসে আমার সাথে।ফুপুর হাসবেন্ড অর্থাৎ ফুপা নেই।আমার এই ফুপু শ্বাশুড়ির ছেলে মেয়ে ও হয়নি।তিনি থাকেন তার বোনের কাছে।এবার এসে তিনি আমার সাথে প্রায় দুই সপ্তাহের মতো ছিলেন।তার হার্ডের সমস্যা।অথচ আমাদের এখানে এলে তিনি শরীরের মধ্যে কোন রোগ আছে তা বুঝতেই পারেন না।আমার ঢাকার বাসায় বেড়াতে এলেও তার ভীষণ ভালো লাগে। তাই খুব ইচ্ছে হচ্ছিল ফুপুকে সাথে নিয়ে একটু ঘুরে ফিরে আসি।সেই ভাবনা থেকেই আমার এই মসজিদ পরিদর্শনে যাওয়া।
বাড়িতে যে আপা ঘরের সবকিছু দেখাশুনা করেন তিনি এসে আমাকে বললেন,ভাবি আমি কখনো এই সুন্দর মসজিদটি দেখার সুযোগ পাইনি আমাকে একটু নিবেন।আমি তাকে বললাম এতো ইতঃস্তত করার কিছু নেই গাড়িতে জায়গা আছে চলেন।সেই আপা খুব খুশী হলেন আমার কথা শুনে।আমরা সবাই মিলে বিকেলে রওনা দিয়ে গেলাম। বৃষ্টি হওয়াতে বাইরের প্রকৃতি এতোটাই সুন্দর লাগছিল যে আমি মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম।ইচ্ছে করছিল গাড়ি থেকে নেমে কতোগুলো ফটোগ্রাফি করি।কিন্তু না তা আর হলো না।কারন সবাই খুব টেনশনে ছিল কখন না আবার বৃষ্টি নেমে পরে।তবে তো আর হেঁটে হেঁটে দেখতে পারবে না।গাড়িতেই বসে থাকতে হবে।
এই মসজিদটির চারপাশে বিশাল জায়গা।এক পাশে রাজহাঁস দেখতে পাচ্ছেন।অন্য পাশে গাছ আর গাছ।আর এক পাশে ঘাট বাঁধানো সুন্দর একটি পুকুর।সব মিলিয়ে চমৎকার একটি পরিবেশ।বৃষ্টি তারপরেও মানুষের কমতি ছিল না।আমরা সবাই খুব সুন্দরভাবে ই ঘুরে ঘুরে দেখলাম।রাতে এই মসজিদে চমৎকার লাইট জ্বালিয়ে রাখা হয়।আমরা সন্ধ্যা পর্যন্ত ছিলাম না।তাই সে দৃশ্য দেখার ও সৌভাগ্য হয়নি আমাদের। কারন আমরা সেখান থেকে অন্য একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম।সেই গল্প না হয় অন্যদিন বলবো যে কোথায় গিয়েছিলাম পরে ঘুরতে।এই মসজিদটির নাম বায়তুল জামে মসজিদ।চমৎকার একটি মসজিদ দেখতে গিয়ে আমরা সবাই মিলে বেশ কিছু সুন্দর সময় সেদিন কাটিয়েছিলাম।আমরা প্রত্যকে সেদিন খুব ই আনন্দে কাটিয়েছিলাম।আশাকরি ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারছেন মসজিদটি কতোটা সুন্দর।
আজ আর নয়।আশাকরি আমার অনুভূতি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।সবাই সুস্থ থাকবেন,ভালো থাকবেন।আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে যাব।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | লাইফ স্টাইল |
---|---|
প্রয়োজনীয় ডিভাইস | Samsung A 50 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | ঝালকাঠি |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।আমি এম এস সি(জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি স্বাধীনচেতা একজন মানুষ।ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে,ফটোগ্রাফি করতেও আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সকলে মিলে বাহিরে কোথাও ঘুরতে গেলে বেশ ভালোই লাগে। পরিবারের সবাই মিলে যখন আমরা বাহিরে যাই তখন অন্যরকম একটা আনন্দ অনুভব করি। বাহিরে গিয়ে শুধু একটি মসজিদ দর্শন করার কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছেন আপু।আপনার শেয়ার করা মুহূর্ত গুলোর মাধ্যমে আমারও সুন্দর মসজিদ এর সৌন্দর্য কিছুটা উপভোগ করতে পারলাম। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
কোথায় গিয়ে যদি এমন ঘরের মধ্যে বন্ধি থাকতে হয় তবে বেশ মেজাজ খারাপ হয়। তবে একদিন সবাই মিলে ঘুরতে বেড়িয়েছিলেন জেনে বেশ ভালই লাগলো। বেশ সুন্দর কিন্তু মসজিদটি। সকলে মিলে বেড়াতে যাওয়ার মজাই অন্য রকম। সকলে মিলে মসজিদ দেখতে যাওয়ার আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
সত্যিই আপু সবাই মিলে গেলে আনন্দ ই হয়।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
X-promotion
আমি তো বন্দী থাকতেই পারি না। শুধু মনে হয় ছুটে বেড়াই। যাই হোক আপনারা সবাই মিলে যে মসজিদ দেখতে গিয়েছেন সেটা পড়ে ভালোই লাগলো। তারপর আবার মসজিদও ছিলে বেশ দারুন। সবমিলিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু, পোস্টটি পড়ে মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।