নাটক রিভিউ পোস্ট --💞 " সিদ্ধান্ত " || আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,শুভ সন্ধ্যা সবাইকে।কেমন আছেন আপনারা??
"আমার বাংলা ব্লগ" এর ভারতীয় ও বাংলাদেশী ভাই ও বোনেরা,আমি@shimulakter,আমি বাংলাদেশে ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি একজন নিয়মিত ইউজার।প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু নিয়ে পোস্ট শেয়ার করতে।আজ আমি নাটক রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। প্রায় অনেকদিন পর আজ একটি চমৎকার নাটকের রিভিউ পোস্ট শেয়ার করতে চলেছি।বাংলা নাটক আমার খুব ভালো লাগে।আশাকরি আমার আজকের নাটকের রিভিউ পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমুহঃ
নাটক | সিদ্ধান্ত |
---|---|
পরিচালক | রাফাত মজুমদার রিংকু |
অভিনয়ে | তৌসিফ মাহবুব,তানজিন তিশা এবং আরো অনেকে |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
প্রচার | ৭ ই মে ২০২৪ |
সময় | ৪৫ মিনিট |
কাহিনী সারসংক্ষেপঃ
আমার আজকের নাটকের রিভিউ পোস্ট শুরু করার আগে এই নাটকের প্রধান দুটো চরিত্রের সাথে আসুন আমরা পরিচিত হই।সিদ্ধান্ত নামকরন এই নাটকের প্রধান দুটি চরিত্রে আছেন তৌসিফ ও তানজিন তিশা।এরা মূলত দম্পতি। এরা স্বামী-স্ত্রী এবং তাদের একটি বাচ্চা ও আছে। তার নাম টুম্পা।প্রথম দৃশ্যেই দেখা যাবে সকাল সকাল অফিসে যাওয়ার জন্য, তৌসিফ তৈরি হচ্ছিলেন।তিশা তাদের মেয়েকে রেডি করে দিচ্ছেন স্কুলে যাবে তাই।অন্য দিকে তিশা ও জব করেন।তিনি ও বের হবেন।কিন্তু সমস্যা হয়েছে তাদের কাজে সাহায্য করার বুয়া আসেনি।আর সেই বুয়া প্রায়ই বন্ধ দেন।তাই তিশা তৌফিককে বলছিলেন বুয়া একজন ম্যানেজ করার কথা।আর আজ যেহেতু বুয়া আসেনি তাই তিশার সবকিছু গুছিয়ে বের হতে দেরি হবে।তাই তিশা তৌসিফ কে বলল মেয়েকে স্কুলে দিয়ে অফিসে যেতে।কিন্তু তৌফিক তা পারবে না।কারন তার অফিসে যেতে দেরী হলে খুব সমস্যা হয়ে যাবে। আর এ নিয়েই দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে গেলো।তিশার কথা শুনে মনে হলো তৌফিক তার কিংবা সংসারের প্রতি খেয়াল করেন না।অনেকদিনের অভিমান জমে আছে তিশার মনে।তার ধারনা তৌফিক অফিস করেন,বন্ধুদের সাথে সময় কাটান। তৌসিফের একদম সংসারে মন নেই।এমনটাই বলছিলো তিশা।তাই এভাবে আর সম্ভব নয় বলে তিনি তৌফিক কে বলছিলেন।তৌফিক তখন জানতে চায় তবে কি করতে চাও? তিশা তখন ডিভোর্সের কথা বলেন।আর তাদের এই কথা কাটাকাটিতে মেয়েএকদম চুপ হয়ে যায়।এ অবস্থায় মেয়ে টুম্পা একবার মায়ের দিকে এবং একবার বাবার দিকে তাকিয়ে দেখতে থাকে।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
তিশার কথা শুনে মনে হচ্ছিল তৌফিক পরিবারের প্রতি যথেষ্ট যত্নশীল নন।নয়ত একদিনের জন্য তো আর ডিভোর্সের কথা আসতো না।এরপর দেখা গেলো তারা উকিলের কাছে গেলেন।উকিল যথা সময়ে চেম্বারে এলেন।এরপর দুজনের কথাই তিনি শুনলেন।তাদের একটি মেয়ে আছে সেই মেয়েটিকেও দেখলেন উকিল।এরপর দুজন দুজনকে দোষারোপ করে যাচ্ছেন উকিলের সামনে বসেই।তখন উকিল সাহেব বললেন,আপনাদের অভিযোগ গুলো মুখে বললে হবে না। কাগজ-কলমে ও দেখাতে হবে।তারা বলল দেখাতে পারবে।এরপর উকিল সাহেব তাদের সাতদিন পর কাগজ পত্র সব নিয়ে আসতে বললেন।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
এরপর তারা চেম্বার থেকে বাসার উদ্দেশ্য বের হলেন।কিন্তু বাইরে গিয়ে দুজন দুদিকে চলে গেলে মেয়েটি ওটানটাতেই দাঁড়িয়ে রইলো।আসলে মেয়েটি তখন তার অনিশ্চিত জীবনের কথা ভেবে দাঁড়িয়ে রইলো।ছোট মনের ভাবনা মা-বাবাকে আর এক সাথে দেখতে পাবে না।
মেয়েটি বাসায় গিয়ে মন মরা হয়ে বসে রইলো।তার মনের মধ্যে অনেক কিছুই তখন ঘুরপাক খাচ্ছিল।মা-বাবাকে একসাথে আর পাবে না এটা ই তো তার বড় কষ্ট।
এক সপ্তাহ পর কাগজপত্র নিয়ে দুজনই আবার চেম্বারে গেলো।তখন উকিল সাহেব বললেন,আমাদের দেশের প্রায় ৩০ ভাগ মানুষ ডিভোর্স নিয়ে থাকেন।আর বাকি ৭০ ভাগ মানুষ ডিভোর্স না নিয়েই থাকেন।তবে ডিভোর্স নেয়া দোষের নয়।এটা ইসলামী শরীয়তে এমনকি আইন সিদ্ধ ও।আপনারা ও চাইলে তা করতে পারেন তাতে সমস্যা নেই।তবে তার আগে তিনি তাদের একটি গল্প শুনাতে চাইলেন।আর বললেন,গল্প আপনারা আপনাদের ও গলৃপ মনে করে নিতে পারেন।এরপর উকিল সাহেব গল্প বলতে শুরু করলেন।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
উকিলের বলা গল্পটি মূলতঃ একটি বাচ্চা ছেলেকে নিয়ে।ছেলেটির নাম হচ্ছে আবির।এরপর তিনি এক এক করে আবিরের গল্প তাদের দুজনকে শুনাতে লাগলেন।আবিরের মা চলে গেছেন।আবির তার বাবার কাছেই থাকে।আবির স্কুলে গিয়ে কারো সাথে মেশে না।বাচ্চাদেরকে মারে।এমনকি কথা ও কম বলে।আর পড়াশোনা তো করেই না।তাই শিক্ষিকা তার বাবাকে ডেকে পাঠান।আর আবিরের বিষয়ে তাকে সব বলেন।আবিরের বাবা বাসায় এসে তাকে অনেক বুঝায়।আর বলে তার মাকে ভুলে যেতে।আবিরের কাছে তার মায়ের কিছু ছবি আছে তার বাবা সেই ছবি গুলো নিয়ে পুড়িয়ে দেন।আবির তখন তার ফুপুর কোলে কান্নায় ভেঙে পরে।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
এরপর দেখা যায় একদিন আবির স্কুলের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নীচে পরে যায়।তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।তখন তার মা তাকে দেখতে আসেন।মাকে দেখে আবির বার বার বলছিলো সে আর দুষ্টুমি করবে না। তবুও তার মা তার কাছে থাকুক।আবিরের মা তখন বলছিলো আবিরের কোন দোষ নেই সব দোষ তার ও তাদের।আবিরের মা আরো বলল সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।আবির তখন বলল,তার পা ভেঙে গেছে সে চাইলেও আর খেলতে পারবে না।এখানেই গল্পটির শেষ হলো।
গল্পটি শেষ করে উকিল তাদের দুজনকে বলল,এমনটি আপনাদের সাথে ঘটবে আমি তা বলছি না।এখানে সবাই সবার ক্ষেত্রে ঠিক আছে।তবে এমন সিদ্ধান্তে বেশী সাফার করে বাচ্চাটি।তিনি দুজনকে অনুরোধ করলো তারা যেনো আর একটি দিন ভাবেন।পেপার তাদেরকে দিয়ে দিলো,বলল সাইন করলেই হয়ে যাবে।কাজ এগিয়ে যাবে কিন্তু তারা যেনো একটি দিন ভাবতে সময় নেয়।এটা শোনার পর তারা দুজন গাড়িতে করে বাসার উদ্দেশ্য রওনা হলো।গাড়িতে যাওয়ার পথে তারা বিশেষ বিশেষ কিছু দৃশ্য দুজনেই দেখলো।এরপর আসলে কি হলো তা জানতে হলে এই চমৎকার নাটকটি আপনাদের কে দেখতে হবে।তারা কি ডিভোর্স পেপারে সাইন করেছিলো?? মেয়েটির কি হলো?? ইত্যাদি, ইত্যাদি। আশাকরি নাটকটি আপনাদের কাছে ভালো ই লাগবে।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
আমার মতামত
নাটকটির নাম সিদ্ধান্ত। সত্যি কথা বলতে যেকোনো সিদ্ধান্তই খুব বেশি ভাবনা চিন্তা করে নিতে হয়।এই নাটকটি দেখে আমার যা মনে হয়েছে তাই আমি আমার মতামত হিসেবে তুলে ধরছি।আসলে সংসার জীবনে চলতে গেলে একে অন্যের প্রতি সম্মানবোধ, দায়িত্বশীলতা খুব বেশী দরকার হয়।আমি মনে করি সংসারের কোন কাজ ই ছেলে মেয়ের কাজ বলে পৃথক করা ঠিক নয়।আর তিশা,তৌফিক দুজনই যখন জব করেন তখন দুজনের প্রতি আর একটু সহানুভূতিশীল হলে তাদের হয়তো ডিভোর্স দেয়ার কথা মাথায় আসতো না।এখানে উকিল যে ছেলেটির গল্প শুনিয়েছেন তাদের দুজনকে,গল্পের এই আবির তিনি নিজেই।একটি বিবাহ বিচ্ছেদে কষ্টে থাকে তাদের সেই বাচ্চাটি।এই নাটকটি সকল দম্পতি ও যারা বিয়ে করতে যাচ্ছেন তাদের সকলের দেখা দরকার বলে আমি মনে করি।আমাদের আসলে ভুলে গেলে চলবে না একটি সংসার শুধু একজন স্ত্রীর নয়।এটা স্বামী-স্ত্রী উভয়ের ই।তাই সংসারকে ভালোবেসে বাচ্চার কথা ভেবে উভয়ের ই সহানুভূতিশীল মনোভাব থাকা জরুরী।নাটকটি বাস্তবতাপূর্ন নাটক।এ ধরনের ঘটনা আমরা হরহামেশাই এখন আমাদের বাস্তব জীবনে দেখে থাকি।নাটকটি আমার ভালো লেগেছে।আশাকরি আপনাদের কাছে ও ভালো লাগবে।আমি নাটকের লিংক নীচে দিয়ে দিচ্ছি চাইলে আপনারা ও দেখে নিতে পারেন।
রেটিং
পরিচালনা | ৯ |
---|---|
কাহিনী | ৯ |
অভিনয় | ৯ |
বন্ধুরা সম্পূর্ণ নাটকটি নিজের ভাষায় লিখেছি।আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালোই লাগবে।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।আবার কথা হবে পরবর্তী ব্লগে।আজ এখানেই বিদায়।সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
শ্রেণী | নাটক রিভিউ |
---|---|
ক্যামেরা | SamsungA20 |
পোস্ট তৈরি | @shimulakter |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি (জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে।আর সবাইকে নতুন নতুন রেসিপি করে খাওয়াতে ভীষণ
ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Twitter link
তানজিন তিশার নাটক গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। সিদ্ধান্ত নাটকটি আমি দেখিনি তবে আপনার রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগলো। বিয়ের ব্যাপারে বা যেকোনো ব্যাপারে আমাদের সব সময় সঠিক সিদ্ধান্তটা নেওয়া দরকার। তাড়াতাড়ি সুন্দর সংসারটাকে ভেঙে ফেলল এবং পরবর্তীতে তাদের ভুলটা ঠিকই বুঝতে পারল। এরকম সুন্দর এবং শিক্ষনীয় একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
গল্পটি শুনে তাদের মধ্যে অনুশোচনা হয়।তারা দুজন ডিভোর্স আর নেয়নি।ধন্যবাদ আপনাকে।
সিদ্ধান্ত নাটকের রিভিউ পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। মনে হচ্ছে এই মুহূর্তে নাটকটি দেখে ফেলি। তবে সময়ের বড্ড অভাব তাই দেখতে পারছি না। তবে সময় সুযোগ করে দেখার চেষ্টা করব। বর্তমান সময়ে ডিভোর্স দেয়াটা যেন খুব সহজ একটা ব্যাপার হয়ে গিয়েছে। আর তাইতো তৌসিফ ও তানজিন তিশা দুজনে মেয়েটির কথা চিন্তা না করে ডিভোর্সের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। তবে উকিল খুব ভালো কাজ করেছে আবিরের গল্প শুনিয়ে। কেন জানি মনে হচ্ছে আবিরের গল্প শুনে তারা তাদের ডিভোর্সের চিন্তাভাবনা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলবে। পরবর্তীতে নাটকের শেষ দৃশ্য কি হলো তা দেখার জন্য নাটকটি অবশ্যই দেখতে হবে আমাকে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ দেয়ার জন্য।
ঠিক ধরেছেন, গল্পটি শোনার পর তারা আর ডিভোর্সের দিকে যায়নি।ধন্যবাদ ভাইয়া।
সিদ্ধান্ত নাটকটি কয়েকদিন আগে দেখলাম। নাটকটির মাধ্যমে পরিচালক চমৎকার একটি মেসেজ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। বর্তমান সময়ে অল্প কিছু সমস্যার কারণে অনেকের ডিভোর্স হয়ে যাচ্ছে। তবে আমরা চাইলেই এসব সমস্যা নিজেরাই সমাধান করতে পারি। চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
মতামত তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আপনি বেশ চমৎকার একটি নাটক রিভিউ দিয়েছেন। আমি গতকাল এই নাটক দেখেছি আর ভেবেছিলাম আজ রিভিউ দেবো। কিন্তু তার আগেই আপনার রিভিউ পড়া হয়ে গেলো। এই নাটকের গল্প এতটাই সুন্দর যা দেখে সত্যি চোখে জল চলে আসলো। তানজিন তিশা ও তৌসিফ এর অভিনয় খুব সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে বাচ্চাদের অভিনয় আরও বেশি সুন্দর হয়েছে। খুবই শিক্ষনীয় একটি নাটক। আপনার রিভিউ পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ তুলে ধরার জন্য।
ধন্যবাদ আপু।
খুবই ভালো একটি ম্যাসেজ দিয়েই নাটকটি তৈরি হয়েছে, আপনার রিভিউ পড়ে যা বুঝলাম। আসলে বর্তমানে ডিভোর্স এর পরিমাণ বেশ বেড়ে গিয়েছে। আর এতে সবথেকে বেশি সাফার করে পরিবারের বাচ্চা গুলো।সন্তানের কথা চিন্তা করে শেষ মেশ কী যে সিদ্ধান্ত নিলো, সেটা জানতে ইচ্ছে করছে। আসলে একটা পরিবার স্বামী-স্ত্রী দুইজনেরই, দুজন দুজনকে সহোযোগিতা করলে, সহানুভূতিশীল হলে বা প্রয়োজন এ কিছুটা স্যাক্রিফাইস করতে শিখলে সংসারে শান্তি বজায় থাকে।সবক্ষেত্রেই ডিভোর্স সমাধান নয়।