জেনারেল রাইটিং -- 🌿☘️ " সবুজ প্রকৃতি ই পারে এনে দিতে স্বস্তি "
শুভ সকাল সবাইকে।আমার বাংলা ব্লগে সবাইকে স্বাগতম।
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।
বন্ধুরা,আমি @shimulaktet,আমি বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি মনে প্রানে কাজকে ভালোবাসি।যেকোনো কাজ আমি আমার দক্ষতা দিয়ে করার চেষ্টা করি।যে কাজটি আমার জন্য সহজ নয়,এটা জেনেও সেই কাজের প্রতি আরো বেশী আগ্রহী হয়ে উঠি।সব সময় চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন নতুন সব বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করতে।তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমি একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে চলে এলাম।চলুন,আজকের জেনারেল রাইটিং পোস্টটি কি বিষয় নিয়ে লেখা সেটা তুলে ধরি।
সবুজ প্রকৃতি ই পারে এনে দিতে স্বস্তিঃ
বন্ধুরা,আমার জেনারেল রাইটিং লেখার বিষয়টি তো জানা হলো।এবার এই বিষয়টি নিয়ে আমি আমার কিছু কথা ও ভাবনা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি।সত্যি কথা বলতে বর্তমান সময়ের আলোচিত বিষয় হচ্ছে গরম,তাপদাহ।এই বিষয় নিয়ে অনেকেই অনেক কিছু লিখেছেন।আমরা সবাই জানিও এই গরম বা বায়ুমন্ডলের পরিবর্তন বিষয়ে।আমাদের দেশ ছয়টি ঋতুর দেশ হলেও এখন শুধু গরমকালটাই বেশী অনুভূত হচ্ছে।এই গরম যেনো তেনো গরম নয়।অসহ্যনীয় গরম।বাতাসের মধ্যে নেই জলীয় ভাব।ঘরে ঘরে মানুষ অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।খুব বেশি প্রয়োজন না হলে মানুষ বের হতে পারছে না ঘর থেকে।ঢাকার পথ-ঘাটে লোকজন কম দেখা যাচ্ছে।এই রকম পরিস্থিতির জন্য আমরা কাকে দায়ী করবো বলুন তো?
রমজানের মাঝেই বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ হয়ে যায়।ঈদের আনন্দ কাটিয়ে নিদিষ্ট সময়ে স্কুল খোলার তারিখ ও এসে যায়।কিন্তু গরমের এই পরিস্থিতিতে সরকার বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ ঘোষনা করেন এক সপ্তাহের জন্য।সেই এক সপ্তাহ শেষ হয়ে আজ স্কুল খুলে দেয়া হয়েছে।কিন্তু দুঃখের বিষয় স্কুল খুলে দেয়া হলেও আমি আমার ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যাইনি।কেননা আমার কাছে ওর সুস্থতা আগে।এই যে বাজে একটা পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে এরজন্য কিন্তু আমরা বড়রাই দায়ী।আমরা আমাদের প্রজন্মের কথা ভেবে যদি প্রতিটি পদক্ষেপ ফেলতাম।তবে আজকে আর আমার স্কুল বন্ধ দিয়ে ঘরে বসে থাকতে হতো না।আমরা সবাই বেশ ভালো ভাবে ই জানি প্রকৃতি পারে এনে দিতে স্বস্তি।কিন্তু আমরা সেই স্বস্তিটুকু পেতে কিছুই করছিনা।বরং আমরা আরো বেশী সুখের আশায় সবুজ প্রকৃতির ধ্বংস করে যাচ্ছি।
আগে দেখা যেতো পহেলা বৈশাখের দিন ঝড় হতো।আর সেই দিনের পর থেকে মাঝে মাঝেই বৃষ্টি দেখা দিতো।এখন আর সেই দিন নেই।সবকিছুই উল্টো হয়ে গেছে।প্রকৃতি যেমন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।তেমনি প্রকৃতি তার সজীবতা ও হারিয়ে ফেলছে।আমাদের এই ঢাকার বড় বড় সড়কগুলোর সৌন্দর্য বর্ধনে বেশ কিছু গাছ লাগানো হয়েছে।যা দেখতে যেমন সুন্দর লাগে ঠিক তেমনি পরিবেশের ভারসাম্য ও ঠিক থাকে।তবে আমার মনে হয় সরকারের উচিত ঢাকার প্রতিটি সড়কে গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেয়া।আর এখন ঢাকার অনেকেই নিজ বারান্দা বা ছাদে বেশ ভালো গাছ ই লাগাচ্ছেন।এতে কোন সন্দেহ নেই।যে মানুষটি ভাড়া বাসায় থাকে,সে ও কিন্তু তার বারান্দায় কিছু না কিছু গাছ লাগাচ্ছে।এটা খুব ভালো একটা দিক।তবে শহরের পুকুর,জলাশয় ভরাট না করে কিছু কিছু রাখা জরুরী।
সবুজ প্রকৃতি যেখানেই দেখি না কেন মনটা শীতল হয়ে যায়।শহরে যদিও খুব বেশী আকারে সবুজের দেখা পাওয়া যায় না।তারপরেও কোথাও সবুজের দেখা পেলে মনে স্বস্তি চলে আসে।আমিতো ফটোগ্রাফিতেও সবুজের ছোঁয়া দেখলে মনটাকে শীতল করে নেই।মোটকথা বাস্তবে সবুজ প্রকৃতি দেখলে তো কোন কথাই নেই।এমনকি ছবির মাঝেও সবুজ প্রকৃতি দেখলে স্বস্তি পেয়ে থাকি।আর এজন্য যে ফটোগ্রাফিতে সবুজের দেখা পাওয়া যায় সেই ফটোগ্রাফি গুলো আমি দেখার চেষ্টা করি।কারন আমার চোখ শুধু সবুজ খোঁজে।আমরা কেন ভুলে যাই এই প্রকৃতির মাঝেই রয়েছে আমাদের স্বস্তি।আমি কিন্তু এই সবুজ প্রকৃতির মাঝেই স্বস্তি খুঁজে পাই।আপনারা কি আমার মতো স্বস্তি খুঁজে পান?আশাকরি কমেন্ট করে জানাবেন।
দেখুন,বর্তমান আধুনিকতায় আমরা অনেকেই অনেক কিছু দিয়ে নিজেদেরকে ভালো রাখার চেষ্টা করে থাকি।আজ আমরা নিজেদেরকে আধুনিক ভাবি।সত্যিই কি আমরা আধুনিক হতে পেরেছি??যদি সত্যিই আমরা আধুনিক হয়ে থাকি তবে আজ আমি কেন ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যেতে পারছি না।এই উত্তরটা আমি ই দিয়ে দিচ্ছি দেখুন,আমার কাছে মনে হয় আধুনিকতা মানে আমরা ও আমাদের নতুন প্রজন্মকে ভালো রাখার চেষ্টা করে যাওয়া আধুনিকতা দিয়ে।কিন্তু আমরা কি তা পেরেছি?না পারিনি। না আমরা পেরেছি ভালো থাকতে না পেরেছি নতুন প্রজন্মকে ভালো রাখতে।এই গরমের মধ্যে যেখানে সামান্য তম বাতাস নেই এই পরিস্থিতিতে আমি আমার ছেলেকে স্কুলে দিলে দেখা যাবে গরমে তার টনসিলের কারনে জ্বর এসে যাবে।এতে করে ওর যেমন কষ্ট তেমনি আমার ও কষ্ট।তার জন্য বাসায় ফ্যানের নীচে থেকে ভালো থাকুক,মা হিসেবে এটাই আজ আমার চাওয়া।আমার কাছে এখন এই পরিস্থিতিতে ওর সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকাটা প্রাধান্য পাচ্ছে।বেঁচে থাকলে বা সুস্থ থাকলে তবেই তো লেখাপড়া।এখন বলুন,এই রকম বাজে পরিবেশ তৈরি করার জন্য কারা দায়ী?এই আমরাই তো দায়ী।ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা না ভেবে আমরা শুধু চাই,চাই ই করে যাচ্ছি।এতো চাই চাই করে কি হবে? যে প্রকৃতির আলো -ছায়ায় আমরা বেঁচে আছি।আসুন না আগে সেই প্রকৃতিকে সবাই ভালোবাসি।তার যত্ন নেই নিজেদের সন্তানের মতোই।একদিন সবুজ প্রকৃতির শীতল ছায়ায় আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম অনেক বেশি স্বস্তি নিয়ে বেঁচে থাকবে।
প্রয়োজনের তাগিদে যেমন আমরা গাছ কেটে ফেলি ঠিক তেমনি একটির জায়গায় তিনটি করে আরো গাছ আমরা লাগাতে পারি।প্রতিটি মানুষের মনে যদি সবুজ প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা জাগ্রত হয়,তবে একদিন ঠিক সবুজ প্রকৃতির মাঝে আমাদের স্বস্তি মিলবে এটাই আমার বিশ্বাস।
আজ আর নয়।আশাকরি আমি আমার জেনারেল রাইটিং এর বিষয়টি আপনাদের মাঝে খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি।সবাই সুস্থ থাকবেন। ভালো থাকবন।আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ক্যামেরা | SamsungA20 |
পোস্ট তৈরি | @shimulakter |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার। আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে,আর সবাইকে নতুন নতুন রান্না করে খাওয়াতে ভীষণ ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার কথার সাথে আমি একদম এক মত। যার উপলব্দি আজ আমি করেছি। সকালে যখন অফিসে ঢুকার পথে অফিসের পাশের পার্কে বসলাম তখন পার্কের সবুজ প্রকৃতি যেন একরাশ স্বস্থি দিয়ে মন কে ভরে দিলো। সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
মতামত প্রকাশ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
Twitter link
একদম ঠিক বলেছেন আপু।আসলে বর্তমানে গরমের যে প্রকোপ বা প্রবাহ চলছে এটার জন্য কিন্তু আমরা নিজেরাই দায়ি। কারণ সবুজ প্রকৃতিকে কেটে নিজেরাই নিধন করছি। আর নিজেরাই নিজেদের স্বস্তি হারিয়ে ফেলেছি। এখনো যদি সবাই সম্মিলিতভাবে সবুজ প্রকৃতিকে বাড়িয়ে তুলি গাছ রোপনের মাধ্যমে, তাহলে দেখা যাবে অনেকটাই স্বস্তি ফিরে আসছে। ধন্যবাদ আপু দারুন একটি টপিক শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলেই আপু, পড়ালেখার চেয়ে জীবন আগে সুস্থতা আগে। এমন একটা পরিবেশে বাইরে বের হওয়া একদমই উচিত নয়। তবে তাও প্রয়োজনে আমাদের বাইরে যেতে হচ্ছে। প্রকৃতির গুরুত্ব এখন বোঝা যাচ্ছে। জলবায়ুর এমন পরিবর্তনের জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। আজকেও দেখলাম আমাদের বাসার সামনে একটা জায়গায় বেশ বড় বড় কয়েকটা গাছ কেটে ফেলেছে। এই জিনিসটা দেখে আসলেই খারাপ লেগেছে। জলবায়ুর এমন একটা পরিবর্তনে শুধুমাত্র সবুজ প্রকৃতি আমাদের স্বস্তি এনে দিতে পারে। যাইহোক আপনার আজকের লেখাগুলো পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
মতামত প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আপু বেশি আধুনিকতার ছোঁয়া সবুজের সৌন্দর্যটা দিনের পর দিন হারিয়ে যাচ্ছে। আর যদি গরম আবহাওয়ার কথা বলি সে ক্ষেত্রে বিবেচনা করে দেখবেন বড় গাছগুলোর আশপাশে আবহাওয়াটা বেশি ঠান্ডা থাকে।
হে,ঠিক বলেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
সবুজ প্রকৃতিই ই পারে এনে স্বস্তি। আসলে আমাদের উচিত বেশি বেশি করে গাছ লাগানো।সিলেটে দেখছিলাম অতিরিক্ত গাছ দেখতে ভীষণ ভালো লাগতেছে। পরিবেশ ও সুন্দর কিন্তু ঢাকা শহরে গাছের কোন দেখায় পাওয়া যায় না, শুধু বিল্ডিং আর বিল্ডিং । আমাদের উচিত হবে সকলে একসাথে হয়ে অতিরিক্ত গাছ লাগানো তাহলেই আমরা অনেক সুন্দর ভাবে গরম থেকে বাঁচতে পারব।
মতামত প্রকাশ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
একটু আগে দেখলাম ঢাকা সহ পাঁচ জেলার সকল স্কুল কলেজ আগামীকাল বন্ধ। আপনার ছেলেকে এই অবস্থায় স্কুলে না যেতে দিয়ে ঠিকই করেছেন আপু। চারিদিকে কী একটা দুঃসহ অবস্থা। কয়েক বছর আগে এই বৈশাখ মাসে প্রায় দিনই মেঘ লাগত ঝড় হতো। কিন্তু এবারে সেরকম কোন লক্ষণই নেই। আমরা আধুনিক হয়েছি না শৌখিনতায়। কিন্তু আমাদের চিন্তাধারা এখনো সেকেলে।
ধন্যবাদ ভাইয়া। একদম ঠিক বলেছেন।
বাঁচতে হলে গাছপালার যে গুরুত্ব কতটা সেটা গ্রামে আসার পর হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছি। শহরে এত গরম যে টেকাই যাচ্ছে না। কারণ সেখানে তেমন কোন গাছ নেই বললেই চলে। কিন্তু গ্রামে আশেপাশের সব জায়গাতেই গাছ। এজন্য গ্রামে খুব একটা গরম দেখছি না। একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু প্রকৃতিই পারে একটু স্বস্তি ফিরিয়ে দিতে।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি৷ আসলে এখন সবুজ প্রকৃতি ছাড়া আমাদেরকে কেউই বাঁচাতে পারবে না। এই প্রকৃতির মাঝে যা রয়েছে তা যদি আমরা পরিবর্তন করতে চাই তাহলে তা আমাদের ক্ষেত্রে কোনভাবেই সুখের হবে না৷ আর তেমনি আমরা যদি সবুজ প্রকৃতির মাঝে থাকতে পারি তাহলে আমাদের শান্তি৷ যদি এরকম কোন সবুজ প্রকৃতি আমরা তৈরি করতে না পারি এবং সেটা যদি সব সময় ধ্বংস করতে থাকি তাহলে তা কখনোই কারো শান্তি নিয়ে আসবে না।
একদম সত্যি।আর এ জন্য ই বলেছি প্রকৃতির মাঝেই স্বস্তি।