লাইফ স্টাইল -- 💖 " ছেলের আবদারে ফুড পান্ডায় অর্ডার "
আমার বাংলা ব্লগ এ সবাইকে স্বাগতম।
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয় "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভালো আছি।আর প্রতিনিয়ত ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি।আশাকরি আপনারা ও এমনটাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভালো থাকার।
বন্ধুরা,আজ আমি শেয়ার করতে চলে এলাম লাইফ স্টাইল পোস্ট।আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।আমি আমার প্রতিদিনের নানা রকমের কর্মকান্ডের কিছু কিছু বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকি।আশাকরি আমার শেয়ার করা অনুভূতি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগে।চলুন তবে আজকের বিষয়টি তুলে ধরছি।
ছেলের আবদারে ফুড পান্ডায় অর্ডারঃ
সামনে ঈদ।সবাই খুব আনন্দে সময় অতিবাহিত করছেন আশাকরি।আর গৃহিনীরা তো মহা ব্যস্ত থাকে এ সময়টাতে।আমিও কিন্তু খুব ব্যস্ততার মাঝে আছি।ঈদের ছুটি দিয়ে দিয়েছে স্কুলে।তাই এখন বাসায় সময় কাটছে।বাইরে বের হলেই গরু আর ছাগল দেখা যাচ্ছে।সময়টা এখন বাসায়ই কাটছে।আর তাই সব কাজের পর ছেলেকে কিছুটা সময় দিতে হচ্ছে।আমরা একসাথে ক্যারাম খেলি।আর ইউ টিউব এ নানা রকমের কার্টুন ও দেখি।সেদিন একসাথে বসে গোপাল ভাঁড় দেখছিলাম।
সত্যি কথা বলতে গোপাল ভাঁড় ই বেস্ট।গোপাল ভাঁড় দেখে যেনো কখনো ই ইচ্ছে মেটে না।আমার সব সময় গোপাল ভাঁড় ভীষণ ভালো লাগে।তাই দুজন মিলে দেখছিলাম।তখন ছেলে বলল,মামনি কিছু খেতে ইচ্ছে করছে।এটা খেয়াল করেছি আমি কিছু একটা দেখতে বসলে আমার ও কিছু না কিছু খেতে মন চায়।কি অর্ডার দেবো জানতে চাইলে ছেলে বলল নাচোস খাবে।আমি আগেই বলি আমি কিন্তু বাইরের এসব খাবারগুলো কখনোই খাই না।তাই ছেলের জন্য নাচোস অর্ডার করলাম।আর চিকেন স্পাইসি উইংস অর্ডার করলাম।অর্ডার করার ১০ মিনিটের মধ্যেই খাবার চলে এলো।
নাচোস আমার কখনো ই ভালো লাগে না শুধুমাত্র ওই মেয়োনিজের জন্য।আমি খুব স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ। কেউ খুশী মনে দিলেও আমি এই মেয়োনিজের খাবার খেতে চাই না।কিন্তু বাচ্চারা এ ধরনের খাবার ভীষণ পছন্দ করে।আমার ছেলে আমাকে রিকুয়েষ্ট করাতে আমি চিকেন নিয়েছিলাম এক পিস।কারন কুড়মুড়ে খাবারগুলো কিন্তু আমার ভীষণ পছন্দ,হিহিহি।যাই হোক গোপাল ভাঁড়ের কথা বলছিলাম।এই গোপাল ভাঁড়কে ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি।এই গোপাল ভাঁড় যদি এখনো থাকতো আমি ঠিক তার সাথে দেখা করতাম।কি যে ভালো লাগে গোপাল ভাঁড়ের বুদ্ধির খেলা দেখে।আপনারা কে কে গোপাল ভাঁড়কে পছন্দ করেন জানাবেন।
ছেলে গোপাল ভাঁড় দেখতে দেখতে পছন্দের নাচোস খেয়ে নিল।সময়টা বেশ ভালোই কেটে গেলো।মাঝে মাঝে বাচ্চাকে নিয়ে এভাবে আমি সময় কাটাই।সেই অনুভূতিগুলোর মাঝে একটি অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।আশাকরি আমার শেয়ার করা অনুভূতি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।
আজ আর নয়।আশাকরি আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।আপনাদের কাছে মনের অনুভূতি গুলো শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগলো।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | লাইফ স্টাইল |
---|---|
প্রয়োজনীয় ডিভাইস | Samsung A 20 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | ধানমন্ডি ,ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।আমি এম এস সি(জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি স্বাধীনচেতা একজন মানুষ।ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে,ফটোগ্রাফি করতেও আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রথমেই বলি আমি কিন্তু গোপাল ভাড়কে ভীষণ পছন্দ করি। তার অসংখ্য কার্টুন সিরিজ আমি দেখেছি এবং এখনো সময় পেলে দেখার চেষ্টা করি।
ছেলের আবদার পূরণ করার জন্য চমৎকার খাবারের অর্ডার দিয়েছেন। এ ধরনের খাবারগুলো আমি যখন পরিবার নিয়ে বাইরে বের হই তখন খাওয়ার চেষ্টা করি। তবে মেয়োনিজ এই জিনিসটা আমার কাছেও অপছন্দের। কিন্তু আমার মেয়ে এবং ছেলে ওরা এগুলো ভীষণ পছন্দ করে। তবে মেওনিজ না খাওয়াটা সবথেকে ভালো। যাইহোক বেশ চমৎকার অনুভূতি নিয়ে আজকের পোস্টটি শেয়ার করেছেন সত্যি ভালো লাগলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি চমৎকার মন্তব্য তুলে ধরার জন্য।
ছেলের ঈদে স্কুল ছুটিতে বাসায় দুজনে মিলে ভালোই মজা করেন তাহলে এখন। ক্যারাম খেলা কার্টুন দেখা, গোপাল ভাঁড় দেখা। ঠিক বলেছেন গোপাল ভাঁড় বেস্ট আমার এখন পর্যন্ত গোপাল ভাঁড় দেখতে ভালো লাগে খেতে বসলে দেখি। গোপাল ভাঁড় দেখতে,দেখতে ছেলের এবং আপনারও কিছু খেতে ইচ্ছা করছে। ফুড পান্ডা থেকে চিকেন ফ্রাই এবং নাচোস অর্ডার করে খুব মজা করে তাহলে আজকে খেয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার এত সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এই মেয়োনিজের বিষয়টি আমারও ভিষণ অপছন্দ কিন্তু আমার ছেলে পেলে উপুর হয়ে পরে খাওয়ার জন্য, বর্তমান প্রজন্ম স্বাস্থ সম্পর্কে একদম বেখেয়াল।
হে ভাইয়া ঠিক বলেছেন। এরা স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা ই করে না।মনে হয় আগে খেয়ে নেই এমন একটা অবস্থা আর কি।😂