অন্যের ক্ষতি করে বেশিদূর এগোনো যায় না।।
বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষ হয়ে পড়েছে আত্মসাৎ কেন্দ্রিক। সবার কাছেই যেন বর্তমান সময়ে চিন্তাধারা হচ্ছে নিজের জায়গাটা আগে পাকাপোক্ত করে রাখতে হবে। তারপর বাকিদের হিসাব। এ থেকে বাচে বাঁচুক আর কে মরে মরুক। নিত্যদিন সবার এখন চাহিদা একটাই নিজেকে কিভাবে সবার সামনে তুলে ধরতে হবে নিজেকে কিভাবে সবার উপরে দেখানো যাবে এবং নিজেকে কিভাবে সবার থেকে বেস্ট দেখানো যাবে। সবদিক থেকেই যেন আমাদের বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষের মনে এরকম চিন্তাধারা বিরাজ করছে। অন্যের ক্ষতি করে হলেও নিজেকে সবার উপরে থাকতে হবে এটাই যেন সংকল্প নিয়েছে মানুষ। কিন্তু আদৌ কি এই বিষয়টি ঠিক?
কিছু মানুষকে লক্ষ্য করা যায় স্বার্থে তাগিদে অনেক বেশি আপন হয়ে থাকে এবং স্বার্থ ফুরালেই কেটে পড়ে। এই বিষয়টা ভালোভাবে বুঝাতে গেলে আরো একটু বিশ্লেষণ করতে হবে। যেহেতু কিছুদিন আগে ইলেকশনের সময় চলে গেলো তাই চলেন ইলেকশনের বিষয়টা দিয়েই বুঝানো যাক। ইলেকশনের সময় এমন কিছু মানব দরদী লোক বের হয় যারা সাধারণ জনগণের কাছে গিয়ে এমনভাবে মগজ ধোলাই করে ফেলে যে তাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করলে সেই নেতা উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দেবে। কিন্তু সে নির্বাচনে জয়যুক্ত করার পর মানুষদেরকে এমনভাবে ধোঁকা দিয়ে থাকে যে সে যেন এই সাধারন মানুষের থেকে কোন উপকারই পায়নি বা নেইনি। সে নিজে নিজেই জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছে এমনটা যেন তার মনোভাব দেখে বোঝা যায়। এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে এটা দিয়ে সে মানুষের কিভাবে ক্ষতি করল?
হ্যাঁ আমিও মানছি যে ওই ব্যক্তি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পর সে জনগণের ক্ষতিটা প্রত্যক্ষভাবে করেনি কিন্তু সে পরোক্ষভাবে ঠিকই জনগণের অনেক বেশি ক্ষতিসাধন করে ফেলেছে। সেটা আসলে কিভাবে? দেখুন এই জনগণ যদি সঠিক মানুষকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে নিত তাহলে সে হয়তো সরকারিভাবে কিছু অনুদান পেতো এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু ওই জনপ্রতিনিধি মানুষকে লোভ দেখিয়ে নির্বাচিত হওয়ার পরে সেই অনুদানগুলো আর এই সাধারণ মানুষ পাচ্ছে না। হ্যাঁ এখানে আমিও মানছি যে অবশ্যই জনগণের নিজেদের দোষ তারা ভুল প্রার্থীকে নির্বাচিত করেছিল। এই বিষয়টা থেকে আমি শুধু এতোটুকুই বোঝাতে চাচ্ছি যে এই রকম জনপ্রতিনিধিগুলো একবার যদিও বা নির্বাচিত হয়ে যায় কিন্তু পরের বারার জনগণের কাছে এসে ভোট পায় না ফলে হেরে যায়। তারমানে অন্যের ক্ষতি করার শাস্তি হচ্ছে তার জন্য এটাই।
আবার দেখেন কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যারা সাধারণ মানুষকে কিছু লোক দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয় অথচ সেই বিষয়ে তার কোন সামঞ্জস্যই নেই তার মধ্যে। যেমন চাকরি দেওয়ার বিষয়ে অনেক মানুষ রয়েছে যারা সাধারণ মানুষদের নিকট টাকার দাবিদার করে কিন্তু আদৌ সে চাকরি নিয়ে দেওয়ার মত কোন যোগ্যতা রাখেনা। কিন্তু টাকা নিয়ে সে আর চাকরিও দেয় না পালিয়ে যায়। তবে সময়ের সাথে নিজেও সে কঠিন রকমের ধোকার সম্মুখীন হবে এটাই স্বাভাবিক। কেননা সৃষ্টিকর্তা তো সবকিছু দেখছেন কোনটা সঠিক আর কোনটা অবিচার। মোটকথা হচ্ছে অন্যের ক্ষতি করে কেউ কোনদিন বেশিদূর এগোতে পারেনি আর আগামীতেও পারবে না কেননা আমরা যারই ক্ষতি করি না কেন সে তো অবশ্যই স্রষ্টার কাছে ফরিয়াদ জানাবে আর তাছাড়াও অন্যায় তো করেই ফেলেছি একটা এই দু দিক থেকেই সম্মিলিতভাবে অন্যের ক্ষতি করা ব্যক্তিকে অবশ্যই সেই ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। সুতরাং আমাদের উচিত পরস্পর সামঞ্জস্যতা বজায় রেখে নিজেদেরকে এবং নিজের আশেপাশের লোকদেরকে সফলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
বন্ধুরা আজকের মত আমার ব্লগটি এখানেই শেষ করছি।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।দেখা হবে আবারো আপনাদের সাথে নতুন কোনো পর্বে।আল্লাহ হাফেজ।
Device | Redmi 9A |
---|---|
Camera | 13 MP |
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক সময় দেখা যায় যারা অন্যের ক্ষতি করার চেষ্টা করে তারাই সব সময় ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তবে বর্তমান সময়ে কাউকে বিশ্বাস করে যদি কেউ টাকা দেয় তাহলে ক্ষতি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি হয়। বিশেষ করে চাকরির জন্য টাকা দিলে সেই সমস্যাটা আরো বেশি হয়। আপনার লেখাগুলো পড়ে ভালো লাগলো ভাইয়া। আশা করছি সবাই পুরো বিষয় বুঝতে পারবে।
চাকরির জন্য জমি বিক্রি করে টাকা দিয়ে নিঃস্ব হওয়া এরকম ভুক্তভোগী লোক অনেক রয়েছে ভাইয়া। এরকম চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমরা কখনোই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো না অন্যের ক্ষতি করে। আমরা যদি অন্যের খারাপ চাই তাহলে এগিয়ে যেতে পারবো না কখনোই। অন্যের ক্ষতি করলে কখনো আমাদের নিজেদেরও ভালো হবে না। সব সময় আমাদেরকে অন্যের ভালোটা ও চিন্তা করতে হবে নিজের ভালোর পাশাপাশি। তাহলে সব সময় আমাদের সাথেও ভালো কিছুই হবে। আমরা যদি অন্যের কোন ক্ষতি করি, তাহলে ওইটা কোন না কোন ভাবে আমাদের সাথেও ঘটে যাবে। আপনার লেখাগুলো আমার কাছে সত্যি খুব ভালো লেগেছে।
এটা সত্য যে অন্যের ক্ষতি করে আমরা কখনোই বেশি দূরে হতে পারবো না আপনি যথার্থ বলেছেন আপু। আমাদের সব সময় উচিত অন্যকে সহযোগিতার মনোভাব তৈরি করা নিজের মনের মধ্যে। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।