জেনারেল রাইটিং:-)পরিশ্রমের মধ্যে থাকায় উত্তম।।
আমরা সবাই জানি লোহাকে যত বেশি ব্যবহার করবেন তত বেশি চকচকে থাকবে। কিন্তু একটি ধারালো শ্রমিক কেউ যদি আপনি ফেলায় রাখেন তাহলে সেটি আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যাবে বা অকেজো হয়ে যাবে। মোট কথা হচ্ছে যে জিনিসকে আপনি যত বেশি ব্যবহার করবেন সেই জিনিসটা তত বেশি ভালো এবং সৌন্দর্যপূর্ণ থাকবে। আর অতি উত্তম জিনিস কেউ যদি আপনি অযথা বা কারণে ব্যবহার না করে ঘরের এক কোণে কিংবা অযত্নে ফেলে রাখেন তাহলে সেটাতে অবশ্যই ভালোর বিপরীত দিক অবস্থান করবে।
ঠিক তেমনিভাবে আমরা আমাদের মেধা কে যদি নিয়মিতভাবে ব্যবহার করে থাকি তাহলে সেই মেধারও চাঞ্চল্যকর আউটলুক আমরা দেখতে পারি। চলুন বিষয়টাকে আরো একটু ক্লিয়ার করি। দেখেন একজন মানুষ কিন্তু ছোট থেকেই বুদ্ধিমান বা বুদ্ধিহীন হয় না। এটা কেবলমাত্র তার ব্যক্তিত্বের উপর নির্ভর করে। তথা যে ছেলেটা ছোট থেকেই তার মেধা কে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গায় প্রয়োগ করে এবং নানা রকমের জ্ঞান অর্জন করে সেই ছেলেটাই কিন্তু একসময়ের জ্ঞানী হয়ে ওঠে। কিন্তু যে ছেলেটা ছোট থেকেই নিজেকে বোবার মত রেখেছে বা কাজকে দেখলেই দূরে পালিয়ে যায় বা নিজেকে সব সময় পরিশ্রমহীন এবং অলস প্রকৃতিতে অবস্থান করতে ভালোবাসে সেই ছেলেটা সময়ের ব্যবধানে একসময় বুদ্ধিহীনতায় ভোগে। মোট কথা হচ্ছে যে যেমন ভাবে তার মেধা কে ব্যবহার করতে পারে ঠিক তেমনটাই সে পারদর্শী হয় তার বাস্তব জীবনে।
আমরা আমাদের জীবন কাহিনীর দিকে এবার একটু লক্ষ্য করি। আমাদের বাস্তবিক জীবনে দুই রকম মানুষ লক্ষ্য করা যায়। এক কিছু মানুষ রয়েছে সারাদিন ফ্যানের নিচে বসে বসে কাজ করে আর দুই কিছু মানুষ রয়েছে যারা মাঠে-ঘাটে রোদে কাজ করে। দুজনেই কিন্তু কাজ করে কিন্তু তাদের কাজের ধরন সম্পূর্ণ আলাদা। এই আলাদা হওয়ার দিক থেকেই তাদের শরীরের অবকাঠামো আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। যে মানুষটা ফ্যানের নিচে বসে কাজ করে থাকে সে মানুষটা সময়ের ব্যবধানে একসময় বিভিন্ন রকমের রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। কিন্তু যে মানুষটা রোদে এবং মাঠে-ঘাটে পরিশ্রম করে গায়ের ঘাম ঝরিয়ে কাজ করে সে কিন্তু অতটাও রোগের সম্মুখীন হয় না বা অসুস্থতায় ভুগেনা।
একটি বিশেষ উদাহরণের মাধ্যমে বোঝানো যাক। ব্রয়লার মুরগি এবং দেশি মুরগি। দুটোই কিন্তু মুরগি। কিন্তু বিষয় হচ্ছে বয়লার মুরগিকে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই গরমে ফ্যানের নিচে রাখা হয়। অপরদিকে দেশি মুরগি সর্বদা খোলা মাঠে ঘুরে বেড়ায় বা কখনো ফ্যানের নিচে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। যার দারুন লক্ষ্য করা যায় দেশি মুরগিগুলোতে খুব বেশি হলে শীতকালীন সময়ে একটু রোগব্যাধি দেখা যায় তা ব্যতীত নয়। অপরদিকে ব্রয়লার মুরগি চব্বিশ ঘন্টায় ফ্যানের নিচে থাকার কারণে তারা কিন্তু বিভিন্ন রকম রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয় অল্প সময়ের মধ্যেই। এখান থেকে বোঝা যায় পরিশ্রমই মানুষকে সঠিক এবং রোগ মুক্ত থাকতে সহায়তা করে। সম্ভব হয় প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় একটু করে ব্যায়াম করুন। কথাগুলো অবশ্য কারোর ব্যক্তিগত নির্দেশ করে আমি বলিনি জাস্ট একটা বিষয়কে বোঝানোর জন্যই তুলে ধরেছি। অলস মানুষ বিভিন্ন রকম রোগে আক্রান্ত বা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে সুতরাং আমাদের অবশ্যই পরিশ্রমের মধ্যেই হবে তাহলে অনেকটা শান্তিতে থাকা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি। আপনারা কি মনে করেন মন্তব্যের মাধ্যমে জানাতে কিন্তু ভুলবেন না বন্ধুরা।
বন্ধুরা আজকের মত আমার ব্লগটি এখানেই শেষ করছি।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।দেখা হবে আবারো আপনাদের সাথে নতুন কোনো পর্বে।আল্লাহ হাফেজ।
Device | Redmi 9A |
---|---|
Camera | 13 MP |
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এজন্যই তো কথায় আছে অলস মস্তিষ্ক শয়তানের বাসা।
সুস্থ থাকতে হলে আর্থিকভাবে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে হলে অবশ্যই পরিশ্রম করার দরকার রয়েছে।
বাংলা একটা কথা আছে বসে খেলে রাজার গোলা শেষ হয়ে যায়।
আসলেই কিন্তু কথাটা সত্য।
যাইহোক আপনি কিন্তু অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন খুবই ভালো লাগলো।
আসলেই ভাই অলস মস্তিষ্ক শয়তানের বাসা আর বসে খেলে রাজার গুদামও ফাঁকা হয়ে যায়। বেশ দারুন কিছু কথা বলেছেন। আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
যে মানুষগুলো অলস তারা কখনোই পারেনা সফল হতে। প্রত্যেকটা মানুষের উচিত প্রতিনিয়ত পরিশ্রমের মধ্যে থাকা। নিজের ভেতরে অলসতা না নিয়ে আসা উচিত। কারণ অলসতা আমাদের জীবনে কখনোই পারবেনা সফলতা নিয়ে আসতে। তারাই সফলতা অর্জন করতে পারবে যারা প্রতিনিয়ত পরিশ্রম করে থাকে, আর পরিশ্রমের পেছনেই সময় দেয়। কথায় আছে পরিশ্রম হচ্ছে সাফল্যের চাবিকাঠি। আর সফলতার চাবি হিসেবে পরিশ্রম সব থেকে বেশি কাজ করে। তাই সবাইকে পরিশ্রম করে যেতে হবে। আপনার লেখাগুলো অনেক সুন্দর ছিল। সত্য কথাগুলোকে তুলে ধরেছেন।
জ্বী আপু পরিশ্রমই হচ্ছে সফলতার চাবিকাঠি। আমাদের উচিত নিজেকে পরিশ্রমের মধ্যেই গড়ে তোলা। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আজকে আপনি খুব মূল্যবান একটি টপিক নিয়ে পোস্ট করেছেন। তবে আপনার সাথে আমি নিজেও একমত। প্রত্যেক মানুষ পরিশ্রমের মধ্যে থাকা উত্তম। যদি একটি ছাত্র যখন পরিশ্রম করে সে ভালো রেজাল্ট করতে পারে। আর পরিশ্রমের কারণে মানুষ নিজের জীবন উজ্জ্বল করতে পারে। সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মানুষ পরিশ্রমের মাধ্যমেই আসলে নিজের জীবন বা নিজের ভবিষ্যৎ জীবন উজ্জ্বল করতে পারে এটাই চরম সত্য। আপনি সঠিক বলেছেন। চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার লিখার মাধ্যমে চমৎকার সত্য উপস্থাপন করেছেন। আমাদের মেধাগুলোকে যদি আমরা যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারি তাহলে সাফল্য সুনিশ্চিত। লোহাকে সব সময় ব্যবহার করলে লোহা যেমন চকচকে থাকে ঠিক তেমনি আমরা আমাদের মেধা গুলোকে সেভাবেই ব্যবহার করতে হবে। না হলে সব কিছু একটা সময় অকেজো হয়ে যাবে। ধন্যবাদ এমন একটি শিক্ষনীয় পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
যতই জ্ঞানী লোক হোক যদি থতমত হয়ে বসে থাকে তাহলে তার সেই জ্ঞান এক সময় বিলীন হয়ে যাবে কিন্তু যদি সে নিজেকে অধ্যবসায় এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে তাহলেই সে সঠিক জায়গায় পৌঁছাতে পারবে। ধন্যবাদ ভাই এরকম দুর্দান্ত একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি৷ আসলে আমাদেরকে সবসময়ই পরিশ্রম করে যাওয়া উচিত৷ কখনোই পরিশ্রম থেকে দূরে সরে যাওয়া উচিত নয়৷ যদি আমরা সবসময় পরিশ্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি তাহলে আমাদের জীবনের পথ চলা অনেকটাই সহজ হবে৷ ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷