জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তির অভিজ্ঞতা।।
বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের জনপ্রিয় এবং উন্নত শিক্ষা প্রদানের জনপ্রিয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হল কারমাইকেল কলেজ। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এ লেখাপড়া করার সময় বেশ কয়েকবার এই ক্যাম্পাসে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমার কাছে বেশ দারুন লেগেছিল। যদিও এর থেকে বাইরের তথা দেশের অন্যান্য জেলার বিশ্ববিদ্যালয় গুলি আরো দৃষ্টি নন্দিত এবং সেখানের লেখাপড়াও দেশ উন্নত। কিন্তু আমার বাসার পাশেই এই কলেজটি হওয়ার কারণে আমার কাছে অন্যরকম একটা ভালো লাগার অনুভূতি কাজ করে। সেই ভালোলাগা থেকেই যখন আমাদের ভার্সিটি চয়েজ দেওয়া শুরু হয় তখন কারমাইকেল কলেজ দিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমি ফাস্ট মেরিট এ অকৃতকার্য হই। মনটা অনেক বেশি খারাপ হয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু তারপরেও আমি আশা ছাড়িনি অপেক্ষা করতে থাকলাম সেকেন্ড মেরিট এর। আমার বিশ্বাস ছিল আমি যে কোন একটা সাবজেক্ট অবশ্যই পাব। তাই দৃঢ়তার সাথে প্রত্যাশা নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকলাম দ্বিতীয় মেরিট এর রেজাল্ট এর জন্য।অবশেষে গত কিছুদিন পূর্বে প্রকাশিত হয় সেকেন্ড মেরিট এর রেজাল্ট।শেষ অব্দি আমার ভাবনায় সত্যি হলো।সেকেন্ড মেরিট এ আমার রেজাল্ট আসে।আমি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে সিলেক্ট হই। আমি তো আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাই।তাই ঠিক করি যে আজকেই ক্যাম্পাস ও যেয়ে ভর্তির সব কাজ শেষ করে আসবো।যেই ভাবা সেই কাজ।কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সকাল 10 টার দিক বাসা থেকে বের হই।
কলেজে যাওয়ার আগের দিন ভর্তির সরকুলারটা দেখে নিই।যা যা কাগজ এবং টাকা সহ ভর্তির প্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিস ম্যানেজ করে রেডি করে রেখে দেই যাতে ভর্তির সময় কোনো সমস্যায় পড়তে না হয়।কেননা এরকম ইম্পর্ট্যান্ট কাজ গুলার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় নইলে পরে অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়।তাই আগে থেকেই সব কিছুর প্রস্তুতি নিয়ে রাখি।
আজকে সকাল 10 টায় কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে প্রায় 11 টা বেজে যায় ক্যাম্পাস এ পৌঁছাতে।প্রচণ্ড রোদ থাকায় একটু ক্লান্ত ও লাগছিল। তাও কলেজে পৌছানোর পর মনে অনেক বেশি আনন্দ অনুভূত হলো।বেশ সুন্দর সুন্দর এবং সব কিছুই অনেক বেশি পরিপাটি লাগছিল চতুর্দিকের।এর পর খুঁজতে লাগলাম আমার ভর্তির ডিপার্টমেন্ট কোথায়।
যদিওবা এর আগেও বেশ কয়েকবার গিয়েছিলাম কলেজে কিন্তু কোন ডিপার্টমেন্ট কোন দিকে এটা কখনও সেরকমভাবে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখিনি তাই ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ তাড়াতাড়ি খুঁজে পাচ্ছিলাম না।যাইহোক খুঁজলে তো সব কিছুই পাওয়া যায়।অবশেষে আমিও আমার ডিপার্টমেন্ট পেয়ে গেলাম।তারপর প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে ব্যাংক কে একটা নির্দিষ্ট আমাউন্ট জমা দিতে বললো কলেজ কর্তৃপক্ষ।তাই ব্যাংক এ চলে গেলাম টাকা জমা দেওয়ার জন্যে।টাকা জমা দিয়ে পুনরায় ডিপার্টমেন্ট এ এসে ব্যাংক রশিদ সাথে প্রয়োজনীয় ভর্তির কাগজ জমা দিলাম।
অবশেষে আমার পছন্দের কলেজ এ ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলো।বেশ ভোগান্তিতে পড়েছিলাম যেহেতু ডিপার্টমেন্ট চিনতাম না।আর আজকে অসহনীয় গরম থাকায় আরো বেশি ক্লান্ত লাগছিল।তাই তাড়াতাড়ি করে ভর্তির কাজ শেষ করে একটু খাওয়া করেই বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হই।
বন্ধুরা আজকের মত আমার ব্লগটি এখানেই শেষ করছি।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।দেখা হবে আবারো আপনাদের সাথে নতুন কোনো পর্বে।আল্লাহ হাফেজ।
Device | Redmi 9A |
---|---|
Camera | 13 MP |
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শুনে ভাল লাগলো যে আপনি আপনার পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে পেরেছেন। সঠিকভাবে আপনি আপনার উচ্চ শিক্ষা শেষ করুন, এই কামনা রইল।
আপনার শেয়ার করা ছবি গুলোর মাধ্যমে আমরা কারমাইকেল কলেজের একটা চিত্র বুঝতে পারলাম। ধন্যবাদ এজন্যেও।
উদাহরণ দেখিঃ ১। রক্তের সুগার ৫ মি.লি.মোল= ৫ × ১৮= ৯০ মি.লি.গ্রাম। ২। রক্তের সুগার ১৮৫ মি.লি.গ্রাম= ১৮৫ ÷ ১৮=১০.২৭ মি.লি.মোল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার অনুপ্রনামূলক মন্তব্যের জন্য। সুন্দর মতামত প্রকাশের জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।