হ্যাল্লো,
আমার বাংলা ব্লগ এর সকল বন্ধুরা,, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।আমার আজকের ব্লগের বিষয় হচ্ছে নাটক রিভিউ।নাটকের নাম হচ্ছে বহিপীর। আজকে আপনাদের মাঝে আরও একটি নতুন পর্ব শেয়ার করতে চলে আসলাম।এটি হচ্ছে গল্পের প্রথম পর্ব।আশা করি আমার আজকের নাটক রিভিউ ব্লগ টি আপনাদের ভালো লাগবে। ।চুলুন শুরু করি তাহলে।
নাটকটির গুরুত্ববহ তথ্যসমূহ:
নাটকের নাম: | বহিপীর |
পর্ব নং: | প্রথম |
পরিচালক: | হারুনুর রশিদ |
প্রযোজক: | উর্বশী ফোরাম |
অভিনয়: | হারুনুর রশিদ, আরিফুর রহমান, সানজিদা আক্তার, ফারহানা আহমেদ অর্পা, হাসনাইন নাবিল, রাকিব খান, নাদিম আহমেদ, হরবিন্দ রায় ইত্যাদি |
নাটকটির দৈর্ঘ্য | ২৯ মিনিট |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
নাটকটির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: |
নাটকের নায়ক নাদিম আহমেদ নাটকের মধ্যে
হাসেম নামে পরিচিত আর নায়িকা ফারহানা আহমেদ অর্পা তাহেরা নামে পরিচিত।
গল্পের শুরুতেই দেখা যায় গল্পের নায়িকা একটি নদীর ঘাটে বসেছিল তার চাচাতো ভাইকে সাথে নিয়ে। কারণ তাকে তার সৎ মা এবং বাবা বুড়ো পীরের সাথে বিয়ে দিয়েছিল তাই সে বাসা থেকে পালিয়ে আসে এমন সময় তাকে চতুর্দিকে মানুষেরা দেখতে থাকে ।ঠিক ঐ সময় ঐ দিক দিয়ে যাচ্ছিল এক জমিদার এর বজরা। তাই জমিদারের বউ তাদের বজরায় তাহেরাকে তুলে নেয়। তারপর বজ্রার ভিতরে জমিদারের বউ এবং জমিদারের ছেলে নাটকের নায়িকা তাহেরাকের বিভিন্ন প্রশ্ন করছিল। তাহেরা বলে আমি বুড়ো ব্যাটাকে বিয়ে করবো না। তাই বাসা থেকে পালিয়ে আসি। জমিদারের বউ বলে দুলা সেতো কপালের লিখন কারো কপালে ভালো থাকে কারো কপালে খারাপ। তাদের কথা চলছিল এভাবেই।
এদিকে ঐ বজরাতেই উঠে সেই বুড়ো পীর। যার সাথে তাহেরার বিয়ে হয়েছিল। তাই জমিদার এবং পীর সাহেব অন্য কামরায় বসে গল্প করছিল। এমন সময় জমিদার সাহেব তার ছেলে হাসেম কে পীরের সাথে কথা বলার জন্য ডাক দেয়। ফলে তারা সবাই মিলে বসে গল্প করছিল তথা একে অপরের বিষয় জানছিল। পীর সাহেব কেন এদিকে আসছিলেন কোথায় বা যাবেন আর জমিদার সাহেবের পরিচয় বা কি? ইত্যাদি তাদের মধ্যে নানা রকম কথোপকথন চলছিল।
পুনরায় হাশেম রান্নাঘরে চলে যায় যেখানে তাহেরা এবং হাশেমের মা ছিল। এইবার তাহেরা পীর সাহেবকে চুপি চুপি দেখে নেয়। আর বলে ইনি হচ্ছেন সেই পীর যে আমাকে শাদি করেছিল। তখন জমিদারের বউ বলে ভালোই হলো দুজনকে এক করে দিতে পারব আমরা আমাদের কিছু সাওয়াব ও হবে। কিন্তু তাহেরা এতে রেগে যায়। আর সে বজ্রা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করার হুমকি দেয়। তাই হাসেম এবং হাশেমের মা বলে তুমি ওখান থেকে সরে আসো আমরা তোমাকে সাহায্য করবো। ফলে সে পুনরায় কামরার মধ্যে এসে চুপচাপ বসে থাকে। এরই মাঝে পুনরায় পীর সাহেব ডাক দিলেন হাশেমকে।
আর বলেন যে তোমার বাবা সেই কখন তার কোন যেন বন্ধুর খোঁজে বেরিয়ে গেছেন এখনো ফিরে আসেননি। এই বিষয়ে তুমি কি কিছু জানো বাবা। তখন হাসেম বলল আমি তো কিছু জানতেছিনা। তার অল্প কিছুক্ষণ পরেই হাশেমের বাবা তথা জমিদার সাহেব বজ্রায় ফিরে আসেন। কিন্তু তাকে খুব ক্লান্ত এবং টেনশন যুক্ত দেখাচ্ছিল। জমিদার সাহেব হাশিমকে বলে বাবা আমাকে একটু পানি খেতে দাও। হাশেম তার বাবাকে পানি খাওয়ানোর পর জমিদার সাহেব একটু স্থির হয়ে বসেন।
তারপর জমিদার সাহেব হাশেমকে অন্য রুমে পাঠিয়ে দিলেন ।পাঠিয়ে দিয়ে পীর সাহেব এবং জমিদার দুজনে কথোপকথন করছিলেন। জমিদার সাহেব বলেন যে পীর সাহেব আমি আপনার কাছে আমার একটা কথা লুকিয়েছি। তখন জমিদার সাহেব তার কথাটি খুলে বললেন। এদিকে পীর সাহেবও বলেন যে আমিও আপনার কাছে একটা কথা লুকিয়েছি। সেটি হচ্ছে আপনারা আপনাদের বজরায় একটি মেয়েকে ডেমরা ঘাট থেকে তুলে নিয়েছেন। আর এদিকেই আমার গতকাল সাদী হয়েছে। আমি যদি ভুল না বলি তাহলে আপনাদের বজ্রার মেয়েটাই আমার দিবি। তখন জমিদার চমকে ওঠে এবং হাশেমকে ডাক দিয়ে সেই মেয়ের বিষয়ে জানতে চান।
তখন হাশেম যেয়ে তার মাকে বলেন যে পীর সাহেব তার স্ত্রীকে চেনেন না তাহলে আমরা যদি তাহেরার পরিচয় গোপন রাখি তাহলে সে তাহেরাকে নিয়ে যেতে পারবেনা। কিন্তু হাসেম এর মা জোর করে গিয়ে পীর সাহেব কে বলে দেয় যে আপনার স্ত্রী আমার সাথেই রয়েছে। তখন পীর সাহেব খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায়। কিন্তু এদিকে তাহেরা এবং হাশেম এর মধ্যে ঘটে আরেক বিপত্তি। যা দেখে হাশেমের মায়ের চোখ কপালে উঠে যায়।
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,
নাটকের এই পর্বকে নিয়ে আমার মন্তব্য:
কাউকেই তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন কাজে বাধ্য না করা। কেননা মানুষ বলতে সবাই সমান। সবারই একটা ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। তাই সবাইকে তার ইচ্ছার জন্য স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। আর বিয়ের বিষয়ে আমি মনে করি অবশ্যই এই বিষয়টাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত কেননা একজন মানুষ আরেকজন মানুষের সাথে তার পুরো জীবনটা পার করে দিবে তাই অবশ্যই তাদের দুজনের মধ্যে সমঝোতা থাকতে হবে। দেখা যাক নাটকের পরবর্তী পর্বে কি ঘটে।
নাটকের সব পিকচার গুলা ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশট নেওয়া হয়েছে এবং নাটকের লিংক টিও ইউটিউব থেকে কপি লিংক করা হয়েছে |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দশম শ্রেণীতে এই নাটকটি পড়েছিলাম। খুবই সুন্দর একটি নাটক। তবে কখনো পর্দায় দেখা হয়নি। নাটকের রিভিউটি পড়ে আমারও দেখার আগ্রহ বেড়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে নাটক রিভিউ করার জন্য পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকবো।
খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব নিয়ে আসবো আপু।
ভাই আপনি আজকে দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। ভাই ভাই নাটকটি আমরা বইতে অনেক পড়েছি। আমার খুবই মনে আছে যে এখানে বহিপীর নামে একজন তার সাথে তাহেরা নামের ছোট একজন বালককে বিয়ে দেয়ার কথা হয়েছিল। কিন্তু এই বিয়েতে তাহেরা নামের মেয়েটি রাজি ছিল না। যদিও জবরদস্তি করে বিয়ে হয়েছিল কিন্তু পরবর্তীতে তাহেরা পালিয়ে চলে গিয়েছিল। এই নাটক টি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া এবং এই নাটকের শেষ সারমর্ম ছিল। সবকিছুই জোর করে পাওয়া সম্ভব নয়। যদিও বহিপীর তাহেরা কে অনেক বাহানা করে পেতে চেয়েছিল কিন্তু শেষমেশ তা হয়নি। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য অবশ্যই সময় পেলে নাটকটি নিজ চোখে আবারো দেখে নিবো।
জি ভাই সময় পেলে নাটকটি দেখে নিবেন আর দেখাই যাক শেষ অব্দি নাটকটির কি অপেক্ষা করছে। বালক কে হবে না বালিকা হবে। আশা করি বানানটি ঠিক করে নেবেন ভাইয়া।
সৈয়দ ওয়ালীউল্লার বিখ্যাত নাটক বহিপীর আমি অনেকবার পড়েছি। বিশেষ করে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর সমস্ত নাটকগুলো সহ আরো অনেক কিছু আমার পড়া রয়েছে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করার কালে। অনেকদিন পর সুন্দর এই নাটক আমাদের মাঝে রিভিউ করে দেখেছেন দেখতে পেলে ভালো লেগেছে আমার।
আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বহিপীর এ নাটকটা আমি বেশ কয়েকবার পড়েছি। অনেক সুন্দর একটা বিষয়কে কেন্দ্র করে লেখা। যেখানে এক পীরের সাথে কম বয়সী মেয়ের বিয়ে হয়েছিল। সে কিছুতেই তাকে মেনে নিতে পারে নাই। ঠিক এমনই একটা ঘটনা। আজকে আপনি সেটা রিভিউ করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো আমার।
জ্বী আপু সেই মেয়েটি ঐ পীরকে তার স্বামী হিসেবে কোন ভাবেই মানতে নারাজ। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে আর কি কি দেখতে পাওয়া যায়।