ফটোগ্রাফি পোস্ট:-) রেনডম ফটোগ্রাফি দিয়ে একটি অ্যালবাম।
হ্যাল্লো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আবারো আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি বিষয় নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।
ফটোগ্রাফি করা আমার একটি নেশা বলতো পারেন। আর ফটোগ্রাফিকে আমি একটি আর্ট ও মনে করি। কেননা এই ফটোগ্রাফির মধ্যেও মনে অন্য রকম একটা প্রশান্তি অনুভব করা যায়। কোথাও কোন সৌন্দর্যপূর্ণ জিনিস দেখলেই সেটি ক্যামেরাবন্দি করে নেই আমি। এখানে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আমি যদিও বা প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার না কিন্তু আমি আমার পক্ষ থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করি আমার করা ফটোগ্রাফি গুলি শ্রোতাদের দৃষ্টি আকর্ষণীয় করার জন্য। আশা করি আপনারা আমার করা ফটোগ্রাফি সম্বন্ধে নিচের কমেন্ট বক্সে আপনাদের নিজস্ব মন্তব্য জানাবেন। চলুন তাহলে এবার ফটোগ্রাফির পর্ব টি শুরু করি।
বন্ধুরা প্রথমেই যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন তাতে লক্ষ্য করলে দেখা যাচ্ছে একজন ব্যক্তি সামনে দাঁড়িয়ে আছেন আর তার সামনেই আরো কিছু সংখ্যক মানুষ হাতে রাইফেল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আসলে সামনে যে একজন মানুষ দাঁড়িয়ে আছে তিনি হলেন আমাদের বাংলাদেশের জনপ্রিয় নেতা বাংলার মানুষের মুক্তির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর তার সামনেই যে ভাস্কর্য গুলো রয়েছে মানুষের আকৃতির এগুলো হচ্ছে ব্যাটালিয়ন আনসারের সৈনিক। ব্যাটালিয়ান আনসারের সৈনিকদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গাইড করছিলেন তারও একটি সুন্দর চিত্র ভাস্কর্যের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
এইবার যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন রাস্তায় আলপনা করা। কিছুদিন আগেই পহেলা বৈশাখ উপলক্ষেই আলপনা করে বিশ্বে রেকর্ড করেছিল একটি রিপোর্টে জানা যায়। ঠিক তেমনি আলপনা করা রয়েছে ব্যাটালিয়ন আনসার এর কেন্দ্র সফিপুর গাজীপুরে। দেখতে কিন্তু বেশ সুন্দর লাগে। ব্যাটালিয়ন আনসারের কেন্দ্রের ভিতরে প্রতিটি রাস্তাতেই এরকম সুন্দর করে আলপনা করা আছে।
এইবারে একটি চমৎকার ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। সাদা এবং জাম কালার এর সংমিশ্রণে সুন্দর একটি ফুল। এই ফুলটির নাম বর্তমান আমার মনে পড়ছে না তবে ফুলটিকে আমার ভীষণ ভালো লেগেছিল এজন্যই ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম যাতে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আপনাদের কারো যদি এই ফুলের নাম জানা থাকে তাহলে অবশ্যই কিন্তু কমেন্টের মধ্যে জানাবেন বন্ধুরা।
ফুচকা: ফুচকার কথা উঠলেই মেয়েদের কথা সংযুক্ত থাকতেই হবে। টক আর এই ফুচকা দেখলেই মেয়েদের জিভে জল চলে আসে। কি আর বলবো আমি কলেজে থাকা অবস্থায় ফুচকার দোকান দেখলে আমার কিছু বান্ধবীর শুধু ওদিকেই চোখ যাইতো কিন্তু মুখে বলতে পারতো না ফুচকা খাওয়ার কথা কারণ তাদের কাছে তো টাকা থাকতো না। অসহায়ের মতো ফুচকার দোকান দেখতে দেখতেই চলে যেত হি হি। শুধু ছেলেদের ভাঙ্গানোর ধান্দা। আমিও চুপ করে হেঁটে হেঁটে চলে যেতাম। কারণ হঠাৎ করেই ফুচকা খাওয়ার কথা বলে ফেললে না খাওয়ালে আবার মান-সম্মানের পরে যাওয়া লাগবে।আপনাদের কারোর কলেজে বান্ধবীদের ফুচকা খাওয়া নিয়ে কোন ঘটনা থাকলে জানাবেন বন্ধুরা।
প্রাণীদের মধ্যে চিতা বাঘের পরই যে প্রাণী সর্বোচ্চ গতিতে ছুটতে পারে তার নাম হরিণ। হরিণ আমার প্রিয় প্রাণীগুলোর মধ্যে একটি। তাদের সুন্দর চাহনি আমাকে বেশ মুগ্ধ করে। ছোটবেলায় চিড়িয়াখানা গেলে হরিণের শিং ধরে টানাটানি করার চেষ্টা করতাম। তবে হরিণ শান্তশিষ্ট প্রাণী ও বটে। এই হরিণের ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম নন্দন ইকোপার্ক থেকে।
বর্তমান সময়ে যে পরিমাণ গরম পড়তেছে বাইরে গেলে সবাই শুধুমাত্র চেষ্টা করে কখন বাসায় যাব ,কখন এসির নিচে যাব বা কখন একটু ছায়ার নিচে বসে বিশ্রাম করতে পারব। তারপরেও আজকে মনে হল গরম একটু কম পড়েছে। নন্দন ইকোপার্ক এ এরকম সুন্দর একটি বসার স্থান রয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য। অতিরিক্ত গরমের কারণে মানুষজন এখানে বসে বিশ্রাম নেয়। আমরাও বেশ কিছুক্ষণ এখানে বসে জিরিয়ে নিয়েছিলাম।
কবুতর: কবুতর হল শান্তির প্রতীক প্রাণী। অত্যন্ত ভদ্র এবং শান্তশিষ্ট প্রাণীগুলোর মধ্যে কবুতর শ্রেষ্ঠ। আমার কাছেও কবুতর বেশ ভালো লাগে। তবে এরকম খোপা জাতীয় কবুতরগুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। কবুতরের রং সাদা হলে সবার আগেই সেই কবুতর মানুষের নজর কাড়ে। কোথাও একটা ঘুরতে গিয়ে যতদূর সম্ভব মনে হচ্ছে এই কবুতরের ফটোগ্রাফি করেছিলাম মোবাইলের গ্যালারিতে না রেখে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম।
বন্ধুরা আজকের মত আমার ব্লগটি এখানেই শেষ করছি।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।দেখা হবে আবারো আপনাদের সাথে নতুন কোনো পর্বে।আল্লাহ হাফেজ।
Device | Redmi 9A |
---|---|
Camera | 13 MP |
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি অসম্ভব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন এবং ফুচকার ফটোগ্রাফি টা দেখে আমার ভীষণ ভালো লাগলো ও সব থেকে চমৎকার ছিল পিটুনিয়া ফুল। এই ফুলটি বেহেস্তের চমৎকার। এই ফুলটির নাম পিটুনিয়া ফুল। সর্বোপরি আপনি প্রতিটি ফটোগ্রাফির সাথে সুন্দর বর্ণনা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। পায়রার ছবিটি দেখে আমার ভীষণ ভালো লাগলো। আমি কবুতরের ফটোগ্রাফি করে থাকি। সব মিলিয়ে দারুন ছিল আপনার ফটোগ্রাফি পর্ব।
জি ভাই ঠিক বলেছেন এটি হচ্ছে পিটুনিয়া ফুলের একটি জাত। আপনার কমেন্টের ধরন আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া। আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে অনেক বেশি উৎসাহ গেলেন।
প্রথমটা ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কে নিয়ে নির্মিত একটা ভাস্কর্য। আলপনা বেশ সুন্দর লাগছে। ঐ ফুলটার নাম হলো পিটুনিয়া। বেশ দারুণ ছিল। হরিণ টাও বেশ চমৎকার লাগছে। অন্যান্য ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল। সবমিলিয়ে দারুণ করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো। ধন্যবাদ আমাদের সাথে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
ধন্যবাদ ভাইয়া নাম না জানা ফুলটির বিষয় অবগত করার জন্য।দারুন একটি মন্তব্য করেছেন আপনি যা দেখে ভীষণ অনুপ্রাণিত হলাম।
দারুন কয়েকটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাইয়া।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে ভীষণ সুন্দর হয়েছে। খুব আকর্ষণীয় লাগছে প্রতিটা ফটো। খুবই নিখুঁতভাবে ফটোগুলো তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনার উৎসাহ মূলক মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ আপু।