লাইফ স্টাইল:-) আম বাগানে হঠাৎ ঝড়ের হামলা।।

কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আবারো আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।

আমরা সকলেই অবগত আছি যে কিছুদিন আগেই আমাদের দেশের কিছু কিছু জেলাতে ঘূর্ণিঝড় রেমাল কঠিন তাণ্ডব চালিয়েছে এবং পরিবেশ পরিস্থিতিকে একদম বাজে করে দিয়েছিল। কিন্তু সত্য কথা হলো এই ঘূর্ণিঝড় রিমান্ড আমাদের অঞ্চলে তার তেমন কোন পরিচয় দেয়নি বা সেরকম কোন ঝড়ের ও আভাস আমরা পাইনি। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে হয়তো আজকের ভোরের দিক সেই ঘূর্ণিঝড়ের কিছুটা অংশ আমাদের অঞ্চলে এসেছে । বিষয়টা জাস্ট বোঝানোর জন্যই বললাম কেউ আবার সত্যি বলে মনে করবেন না। আসলে আজকে ভোরের দিক এতটা পরিমাণ বাতাস বইছিল এবং ঝড় উঠেছিল তা দেখে মনে হচ্ছিল যেন কোন ঘূর্ণিঝড়ের আবির্ভাব ঘটেছে। আর এই ঘূর্ণিঝড়ে মানুষের কতটা ক্ষতি হয়েছে সেই বিষয় নিয়ে আজকের কিছু কথা আপনাদের মাঝে তুলে।

সকালবেলা যখন ফজরের নামাজ পড়তে উঠি ঠিক ওই সময় আকাশ মেঘলা এবং ঘর আধার করে ছিল। কিন্তু নামাজ পড়ে আসার পর দেখতে পেলাম একটু একটু করে বাতাস বইছে। ঘুমটা ভালোই হবে আজকের সকালে। বিছানায় গা দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয়ে গেল তুমুল ঝড়। রীতিমতো অবাক হয়ে গেলাম। স্যার একটু পরেই শুরু হল বৃষ্টি। আসলে বৃষ্টি তো শুধু নামেই ছিল কিন্তু বাতাসের বেগ ছিল অভাবনীয়। ধীরে ধীরে বাতাসের বেগ এতটাই বেড়ে যাচ্ছিল যে একরকম ভয় পেয়ে গেলাম। মানে ভয় পেয়ে যাওয়া বলতে ওই ভয়ে পাওয়াকে বোঝাচ্ছে না। আমি মূলত এই বিষয়টাকে নিয়ে ভয় পাচ্ছি যে এই ঝড় আমাদের বর্তমান সময়ে রংপুর জেলার মানুষদের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। কেননা আর কিছুদিন পরেই শুরু হবে রংপুরের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতির একমাত্র বাহক হাড়িভাঙ্গা আমের বাজারজাতকরণ। কিন্তু এই সময় যদি এরকম ঝড় হয় তাহলে গাছ থেকে অনেক আম পড়ে যাবে। আর যার ফলে প্রতিটা আম ব্যবসায়ী অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ কি অনেকের আবার লোকসানের দিকটাও অনেক বেশি প্রকট হয়ে যায়।

এগুলো চিন্তাভাবনা করতে করতেই বিছানা থেকে উঠে বসলাম। তারপর ভাবলাম এই ঝড়ের মধ্যেই বাগানে যাওয়া ঠিক হবে কিনা। একটু ভেবে নিয়ে মন স্থির করলাম এই সময় যদি আমি বাগানে যেতে চাই তাহলে আমার অবস্থাও বেহাল হয়ে যাবে। তাই অপেক্ষা করতে লাগলাম কখন একটু ঝড় কমে। ঠিক ৪৫ মিনিট পর একটু একটু বাতাসের বেগ কমতে লাগলো। সকালে আর ঘুমানো হলো না। তার আরো 20 মিনিট পর বাতাসের বেগ একদম কমে আসে।তারপরই রওনা দিলাম বাগানের উদ্দেশ্যে। বাসা থেকে বের হয়ে ১৫ বা ১৭ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম বাগানে। কিন্তু কি আর বলব বাগান বিষয়। আগেই বলে রেখেছিলাম এই ঝড় আমাদের বর্তমান সময়ে আম ব্যবসা দের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। যেটা ভয় করেছিলাম সেটাই হলো।

বাগানে প্রচুর পরিমাণ আম পড়েছিল। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলাম বেশ কয়েকজনের ঘরের টিনের চলা উড়ে গিয়েছে। আবার কারোর ওয়াল ভেঙ্গে পড়েছে। লক্ষ্য করলাম সবদিক থেকেই মোটামুটি অনেক কিছু বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুরু করলাম আম বাগানের আমগুলো কুড়ানোর। আসলেই এত বেশি আম পড়েছিল যেটা আমি কল্পনাও করিনি। মনটা একদম খারাপ হয়ে গেল। বাগান থেকে কুড়ানো আম গুলোর কিছু ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম যাতে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারি। এই ছিল আমার আজকের লেখা আমবাগান এবং হঠাৎ আসা ঝড় কে নিয়ে লেখা কিছু কথা। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।

বন্ধুরা আজকের মত আমার ব্লগটি এখানেই শেষ করছি।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।দেখা হবে আবারো আপনাদের সাথে নতুন কোনো পর্বে।আল্লাহ হাফেজ।

vote@bangla.witness as a witness

Set@rme as your proxy