জেনারেল রাইটিং:-) কারো সর্বনাশ আর কারো পৌষ মাস।।
প্রতিনিয়ত আমি আপনাদের মাঝে চেষ্টা করি বাস্তবধর্মী কিছু কথা আমার পোস্ট এর মাধ্যমে তুলে ধরতে। আজকেও তেমনি একটা কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে আসলাম। ঘটনাটি আমার কাছে খুবই বেদনাদায়ক লেগেছে। এই ঘটনাটি মূলত আমার বাসার পাশেই ঘটেছে। তার জন্য আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য চলে আসলাম। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
ঘূর্ণিঝড় বিমাল সম্বন্ধে আমাদের মধ্যে কারোরই এখন অজানা নেই। তোমার কতটা পরিবেশকে অশান্ত করে দিয়ে গেছে সেটা আমাদের সকলেরই জানা। তবে দেশের 64 জেলাতেই কিন্তু একই রকম আবহাওয়া লক্ষ্য করা যায়নি বা ঘূর্ণিঝড় রিমালের তেমন একটা প্রাদুর্ভাভ লক্ষ্য করা যায়নি। একই দেশ একই সময়ে অথচ আবহাওয়ার কতটা বৈচিত্র্যময় পরিবেশ লক্ষ্য করা গিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় বিমাল সম্পর্কে।
বিশেষ করে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলো সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের বসতবাড়ি একটু নিরাপদে কিংবা উত্তরবঙ্গের দিকে তারা মোটামুটি ভালই সেভ ছিল। এমনকি অনেকে বুঝতেই পারেনি যে দেশের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় হয়েছে এবং তার প্রভাবে দেশের মানুষ মৃত্যুবরণ সহ নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। কিন্তু যারা এই ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়েছিল কেবলমাত্র তারাই জানে এর প্রকোপটা কতটা ভয়ানক ছিল।
কেউ কেউ বলেছিল যে ঘূর্ণিঝড় তো হওয়ার কথা কিন্তু তার তো কোন প্রাদুরভাবে তো লক্ষ্য করা গেল না। অথচ দেশের মধ্যে ঠিক ওই প্রবল গতির ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেছে। অনেকেই আবহাওয়া শীতল হওয়ার আমি যে কাঁথা মুড়ি দিয়ে মনের শান্তিতে ঘুমিয়ে ছিল আবার একই সময়ে অনেক মানুষ তাদের ঘরবাড়ি হারা হয়ে পানিতে সাঁতার কাটছিল। নিজেদের বউ-বাচ্চা গবাদি পশু সহ পরিবারের সকল পন্য সামগ্রী তারা এই ঘূর্ণিঝড় এর কারণে হারিয়েছে।
আমাদের অঞ্চলেও তেমন একটা ঘূর্ণিঝড় লক্ষ্য করা যায়নি বা ঘূর্ণিঝড়ের চিহ্ন লক্ষ্য করা যায়নি। কিন্তু গতরাতে নয়টার দিক হঠাৎ করেই এতটা গতিসম্পন্ন বাতাস বইছিল যে বলার বাইরে। দৃষ্টিহীন শুধুই বাতাস যেন সবার মনেই ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছিল। এদিকে কারেন্টের জ্বালাতো আছেই। গত তিনদিন যাবত বাসার কাজ এবং বৈদ্যুতিক সমস্যার কারণে মোবাইলে চার্জ না থাকার কারণে কমিউনিটির এক্টিভিটিও আমি ঠিকভাবে করতে পারছিলাম না।
তো আসল কথা হচ্ছে গতকালকের এই প্রবল গতির বাতাসের কারণে আমাদের এলাকার এক আঙ্কেলের ঘরের টিনের চালা উড়ে যায়। হঠাৎ করেই এমন পরিস্থিতিতে তার পরিবার এবং সেই আঙ্কেল অনেক বেশি সমস্যার সম্মুখীন হয়ে যান। তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিবারকে আমাদের এলাকায় অবস্থানরত স্কুলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই আঙ্কেল তার পরিবারকে নিয়ে অন্তত রাত টি সেভলি কাটিয়েছেন।
আজকে যখন তিনি সকালে এসে তার টিনের চালা ঠিক করার জন্য কাঠ এবং টিন খুঁজতে লাগলেন তখন তিনি লক্ষ্য করলেন যে তার উড়ে যাওয়া ঘরের টিনের চাল হতে টিন গুলো গায়েব হয়ে গেছে। তার মানে বুঝতেই পারছেন বন্ধুরা তার ঘরের টিনের চালার টিন গুলো কেউ না কেউ চুরি করে নিয়ে গেছে। অবশেষে তিনি পুনরায় নিজ অর্থায়নে টিন ক্রয় করে নিয়ে এসে পুনরায় ঘরের টিনের চালা ঠিক করলেন। চিন্তা করেছেন এই ঝড়ের রাতেও কেউ না কেউ এই টিনগুলো চুরি করে নিয়ে গেছে। একেই বলে আসলে কারোর পৌষ মাস আর কারোর সর্বনাশ।
বন্ধুরা আজকের মত আমার ব্লগটি এখানেই শেষ করছি।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।দেখা হবে আবারো আপনাদের সাথে নতুন কোনো পর্বে।আল্লাহ হাফেজ।
Device | Redmi 9A |
---|---|
Camera | 13 MP |
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
এটা অবশ্যই বাস্তব কথা ভাইয়া কারো পৌষ মাস আবার কারো সর্বনাশ। আসলে আমাদের সমাজে মানুষের মানবতা বলে কিছুই নেই। এমনিতে ঝড়ে সব কিছু উড়ে নিয়েছে তারপর আবার বাদবাকি কিছু চুরি করে নিয়েছে। যাইহোক ভাইয়া এসকল মানুষকে ধিক্কার জানাই। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আর লোকটিও ছিল গরিব মানুষ। যার কারনে তার ঘরের চালার টিন গুলো চুরি করে নিয়ে যাওয়া আমার মতে একদম অনুচিত কাজ করেছে। যাই হোক সকল মানুষদের মন থেকে ঘৃণা ছাড়া আর কিছুই নেই। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আপনাকে।
হ্যাঁ ভাই উপকূল এলাকায় মানুষের বেশি ক্ষতি হয়েছে আর তারা এখনো তাদের প্রতি কাটিয়ে উঠতে পারে নাই। আমরা কেউ কখনো এমন ঝড় প্রত্যাশা করছিলাম না তারপরেও যে ঝড় হয়ে গেছে এতে অনেকের ক্ষয়ক্ষতির সৃষ্টি হয়েছে। দোয়া করি সে সমস্ত মানুষগুলো যেন ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারে খুব সহজে।
জ্বী আপু আমরা বৃষ্টি প্রত্যাশা করেছিলাম কিন্তু এমন ঝড় নয়। তবে সৃষ্টিকর্তার দেওয়া সবকিছুই নেয়ামত এটা মেনে নিতে হবে। যাই হোক পোস্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
হ্যাঁ এইবার আমাদের এদিকে অনেক জায়গাতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে আপনার পোস্ট পড়ে খুব দুঃখ লাগলো। আপনার আঙ্কেলের ঘরের টিন গুলো গায়েব হয়ে গেল। আসলে কিছু কিছু নিচু মনের মানুষ আছে তারা কালো আলকাতরা দেখলেও নিয়ে যায়। অথচ এই লোকটিকে সবাই হেল্প করা দরকার ছিল। সিটি না করে তার ঘরের টিন গুলো নিয়ে গেল। এরকম মানুষ কম বেশি সব জায়গাতে আছে লোভী ধরনের।
আসলেই আপু আমাদের সকলের উচিত ছিল সেই লোকটাকে সহযোগিতা করা কিন্তু তার বিপরীতে মানবতার ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।