বদরগঞ্জ উপজেলা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় ঘোরার অভিজ্ঞতা//পর্ব-- আট

হ্যাল্লো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে। বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপজেলা পর্যায়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় ঘোরার কিছু মুহূর্ত এবং সেখান থেকে পাওয়া কিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব । আজকে আরো কিছু বিষয় আপনাদের সামনের উপস্থাপন করব। চলুন শুরু করা যাক

উপজেলা কর্তৃক আয়োজিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় ঘোরার কিছু মুহূর্ত:

বন্ধুরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় ঘোরাঘুরির আরো সাত টি পর্ব আমি ইতিপূর্বেই আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করেছিলাম। সেখান থেকে আপনাদের দারুন রকমের সাপোর্ট পেয়েছি। তো আবার অষ্টম পর্ব নিয়ে আসলাম আপনাদের মাঝে। এই পর্বে ও আমি সব কিছু সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।চলুন দেখে নেওয়া যাক।

বর্তমান সময়ে কমন যে বিষয়টি সেটি হচ্ছে ক্লাইমেট চেঞ্জ। ক্লাইমেট চেঞ্জ হওয়ার পিছনে থেকে বড় কারণটা হচ্ছে মানুষ। দ্রুত আমাদের নিজেদের দুহাতের কর্মের কারণেই এরকম প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মোট কথা হচ্ছে আমরা পরিবেশ প্রকৃতির উপর অত্যাচার করতেছি ঠিক তেমনি প্রকৃতি ও আমাদের উপর তার নির্মম রূপ দেখাচ্ছে। মোটকথা হলো আমরা যদি পরিবেশের প্রকৃতির ভালো যত্ন করতে শুরু করি তাহলে আশা করা যায় আগামীতে আমরা ভালো রকম ওয়েদারে বসবাস করতে পারব নতুবা আমাদের জন্য আরো কঠিন ওয়েদার অপেক্ষা করছে। নিজের প্রয়োজনীয় কাজের জন্য গাছপালা কেটে ফেলেছি বড় বড় দালান কোঠা বানাচ্ছি এবং ইট ভাটা তৈরি করছি যার প্রভাব পরিবেশের উপর পড়ছে। আর সেটার ফলাফলই আমরা পাচ্ছি। যাইহোক এটুকুই বলবো আমাদের উচিত পরিবেশের উপর এবং প্রকৃতির উপর যত্নশীল হওয়া।

বন্ধুরা এর আগেও হয়তো বা আমি আপনাদের মাঝে পরিত্যক্ত পলিথিন হতে কিভাবে পেট্রোলিয়াম গ্যাস তৈরি করা যায় সেই বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে বর্ণনা করেছিলাম। ঠিক সে কারণেই আজকে আর সেই বিষয়ে বেশি কিছু বলতে চাচ্ছি না। কিন্তু ফটোগ্রাফিটি শেয়ার করার মূল কারণ হচ্ছে অনেক বেশি সুন্দর দেখাচ্ছিল আগের সিস্টেম গুলির থেকে এই সিস্টেমটি উন্নত ছিল যার কারণে ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম এবং সেটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে।

দুই রাস্তার মাঝখানে সিগনাল লাইট থাকা অত্যন্ত জরুরি। কেননা এতে দুর্ঘটনা থেকে অনেক মানুষ বেঁচে যায়। বিশেষ করে যে রাস্তাগুলো ঘূর্ণন হয়ে থাকে সেই রাস্তাগুলোর বাক খাওয়া জায়গাগুলোতে অবশ্যই উচিত সিগন্যাল লাইট স্থাপন করা। নতুবা অনেক মানুষ এই জায়গাগুলোতে এক্সিডেন্ট করে অকালেই প্রাণ হারায়। বিশেষ করে মোটরসাইকেল অনেক বেশি এক্সিডেন্ট করার সম্মুখীন হয়ে থাকে। এরকম দারুন একটি আইডিয়া নিয়ে ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা এই সিগনাল লাইট তৈরীর প্রজেক্টটি দারুণভাবে উপস্থাপন করেছে।

বর্তমান সময়ে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ লোডশেডিং করছে তাতে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মোট কথা হলো একদিকে গরমের চাপ অন্যদিকে কারেন্ট থাকছে না আবার সূর্যিমামার প্রকোপ তো আছেই। সবদিক বিবেচনা করলে জনজীবন এখন দুর্বিষহ। এত গরমের মাঝেও যদি কারেন্ট ঠিকমতো সার্ভিস দিত তাহলে একটু হলেও প্রশান্তিতে অবস্থান করা যেত। তবে লক্ষ্য করে দেখুন আমরা কি কারেন্টের বিকল্প কোন কিছু ব্যবহার করতে পারি না? অবশ্যই পারি সেটা হচ্ছে সোলার প্যানেল। সৌর শক্তির মাধ্যমে আমরা আমাদের বৈদ্যুতিক চাহিদা মেটাতে পারি কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন উচ্চ ভোল্টের সোলার প্যানেল। যেটা আমার উপরের ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন আপনারা।

আজকে আপনাদের মাঝে বেশিরভাগ বিষয় ছিল সোলার সম্পর্কিত। কিন্তু আসলেই সোলার প্যানেল আমাদের প্রত্যেকের জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল যদি আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি। কিন্তু তার জন্য বলতে হবে প্রচুর পরিমাণ অর্থ। সে যাই হোক আমার উপরের দেখানো ফটোগ্রাফির মত করে সুন্দরভাবে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে গ্রামকে নগরায়নের ছোঁয়া দেওয়া যায়। ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা এরকম ইউনিক এবং দারুণ কিছু প্রজেক্ট তাদের নিজেদের দক্ষতার মাধ্যমে প্রকাশ করেছিল। কিন্তু বাস্তবিকভাবে যদি এগুলোকে প্রকাশ করা যায় বা আমরা বাস্তবিক জীবনে যদি এগুলো বাস্তবায়ন করি তাহলে কিন্তু আমাদের নিজেদের জন্যই অনেক বেশি হেল্পফুল হবে। বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের পোস্ট এর বিবরণ। পরবর্তী আরেকটি পোস্ট হয়তোবা মাত্র বাকি আছে এই বিজ্ঞান মেলা হতে অর্জিত অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আজকের মত এখানেই ইতি।

বন্ধুরা আজকের মত আমার ব্লগটি এখানেই শেষ করছি।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।দেখা হবে আবারো আপনাদের সাথে নতুন কোনো পর্বে।আল্লাহ হাফেজ।

vote@bangla.witness as a witness

Set@rme as your proxy