꧁পাবনা ভ্রমণ꧂☆
☆꧁পাবনা ভ্রমণ꧂☆
প্রাণঢালা শুভেচ্ছা সবাইকে। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালোই আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা - নীলফামারীর থেকে পাবনা ভ্রমণের মধুর কিছু স্মৃতি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব। গতকাল ৮ই মে ২০২৪। কলকাতা যাওয়ার উদ্দেশ্যে আগে পাবনা আসতে হবে। কারণ পাবনায় আমরা একটা টিমের সাথে যাব। তারি ধারাবাহিকতাই ট্রেনের টিকিট করলাম সকাল ৯ টায়।
কিন্তু বড় বড় মতই ট্রেন ১ ঘন্টা লেগে আসলো। অথচ আমি বাসা থেকে খুব তাড়াহুড়া করে বের হয়েছিলাম।
কালকের পোস্ট লিখে বের হয়েছে কিন্তু পোস্ট করার সুযোগ পেয়েছিলাম না বাসায়। পরবর্তীতে স্টেশনে গিয়ে দেখি আমার লেখা গুলো খুঁজে পাচ্ছি না সবগুলো ডিলিট হয়ে গেছে। কেমন করে হল কিভাবে হল কিছুই বুঝতে পারলাম না। পুরোটাই স্টেশনে বসে আবারো পোষ্টটি লিখে সেখানেই বসে বসে পোস্ট করলাম। যাইহোক ঠিক দশটা বাজে ট্রেন আসলো নীলফামারী স্টেশনে। সে আমাকে ট্রেনে তুলে দিয়ে সিটে বসিয়ে দিল। এবং ট্রেন ছেড়ে না যাওয়া পর্যন্ত সে স্টেশনে প্লাটফর্মে বসে বসে আমাকে দেখছিল।
ঠিক সেই সময় ট্রেনের ভেতর থেকে আমি ওর একটা ছবি তুলে রাখি। এবং মনে মনে ওর জন্য দোয়া করতে থাকি। মহান সৃষ্টিকর্তা যেন আমাদের এই বন্ধন টাকে আরো মজবুত আরো দৃঢ় রাখে আজীবন।।
ট্রেনে আমি য়ে সিটে বসেছি পাশের সিট একদম ফাঁকা। না ভুল করেও কেউ বসেনি ওই সিটে। তবে গতকাল আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল, যখন ট্রেনটা ছেড়েছে। হঠাৎ বুকের ভেতরটা কেমন যেন ছটফট করে উঠছিল। বুক ফেটে কান্না আসতেছিল।
কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। এমতাবস্থায় ট্রেনে বসে বসে কয়েকটি ভিডিও বানালাম।।কবিতা লিখলাম। এবং ট্রেনে বসে বসে বাইরের দৃশ্য গুলো দেখতে লাগলাম। আর ভাবতে লাগলাম। আসলে ফসলের মাঠ, সবুজ প্রকৃতি দেখতে এতটাই মনোরম, এবং এতটাই সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, যা বলে বোঝানোর মত নয়। আর সে কারণেই ট্রেনে ভ্রমন আমার কাছে বেশ ভালো লাগে।
ঈশ্বরদী আসতে আসতে সময় লাগলো প্রায় ৬ ঘন্টার কাছাকাছি। ঈশ্বরদী স্টেশনে নেমে, সিএনজি করে রওনা দেই পাবনার উদ্দেশ্যে। সিএনজিতে আমার পাশেই একজন স্টুডেন্ট বসেছিল ও মেডিকেলে পড়ে।
ওর বাড়ি পাবনা শহরে ওর সাথে বেশ পরিচিত হলাম।
এবং আমি লেখক জেনে সে অনেক খুশি হলো। এবং যথেষ্ট সম্মানের সাথে আমার সাথে কথা বললো। ওর সাথে গল্প করতে করতেই আমরা পাবনা শহরে চলে এলাম। সিএনজি থেকে নেমে দেখি আমার কবি বন্ধুরা সেখানে দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে রিসিভ করার জন্য। বেশ সবার সাথে কুশল বিনিময় করার পর আমার এক কবি আপু আছে তার বাসায় চলে এলাম।
এখানে একটু বলে নেই আমার এই কবি আপু কিন্তু আমার মায়ের মত। আমার অনেক বেশি যত্ন নেন।
পাবনা আসলে বেশিরভাগ সময় আমি এই কবি আপুর বাসায় থাকি। নইলে আপা অনেক রাগ করেন আমার উপর।
ট্রেনে করে পাবনা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে ভালো লাগলো। অনেক আগে প্রায় আসা হতো পাবনাতে। জয় বন্ধুরা আজকেই আমরা কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেবো পাবনা থেকে। আশা করছি আগামীতে আরো সুন্দর সুন্দর ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে আসব। তো কথা না বাড়ি আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। যাওয়ার আগে আরো একবার বলে নেই কালকের পাবনা ভ্রমণটা আমার কাছে যতটা আনন্দদায়ক ছিল ততটাই একটু ভিন্ন রকম সাধের ছিল যা, বুকের ভেতর অন্য রকমের একটা অনুভূতি অনুভূত হয়েছিল। তবে পাবনায় আসার পর কবি বন্ধুদের সাথে দেখা হয়ে, কিছুটা ভালো লেগেছে।
পরিশেষে সকলে সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
বিষয়: ꧁পাবনা ভ্রমণ꧂☆
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার পোস্টে সিয়াম ভাইয়ের ছবি দেখে ভেবেছিলাম হয়তোবা সেও গিয়েছে। কিন্তু এখন দেখছি আপনাকে ট্রেনে তুলে বসে অপেক্ষা করছিল। আসলে আপনার ট্রেন ছেড়ে দেওয়াতে মন খারাপের কারণ মনে হচ্ছে এটাই। তবে যাক ভালোয় ভালোয় আপনি আপনার কবি বন্ধুদের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন শুনে ভালো লাগলো। পাবনার পরবর্তী বিষয়গুলো জানার অপেক্ষায় রইলাম। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমি চেষ্টা করছি সাহিত্য জগতে কিছু করার জন্য..
যখন ট্রেন ছেড়েছিল তখন আপনার খুব কষ্ট হচ্ছিল বুকের ভেতর ফেটে যাচ্ছিল। সেই সময় আপনি কিছু ভিডিও বানিয়েছিলেন পাবনা ভবনের কিছু ছবি এবং কিছু গল্প আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপু আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
কাছের মানুষকে ছেড়ে যাওয়ার যে বেদনাটা সেটা অনুভব করেছি, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু..