স্বরচিত কবিতা || লাশ ||~~
স্বরচিত কবিতা
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ হঠাৎ করে আসা,কিছু কালো রাত্রি পেরিয়ে ঠোঁটে মুখে বিষণ্ণতার প্রলেপ মেখে, আমিও বেশ ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন, এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা আজ আবারো নিজের লেখা আর একটি কবিতা নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
"লাশ" কবিতাটি শিক্ষার্থীদের রক্তের দাগ এবং তাদের আত্মত্যাগকে ঘিরে রচিত। এখানে মূলত শিক্ষার্থীদের সংগ্রামের মাধ্যমে উঠে আসা তাদের সাহসিকতা ও স্বপ্নের কথা বলা হয়েছে। কবিতায় শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন ও শিক্ষার আলোর পরিবর্তে মৃত্যুর ছায়া ও অবর্ণনীয় বেদনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এই কবিতায় "লাশ" শব্দটি কেবল একটি মৃতদেহ নয়, বরং এটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক এবং নীরব কণ্ঠস্বর হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। কবিতাটি শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করিয়ে দেয় এবং তাদের রক্ত বৃথা যাবে না, সেই প্রতিজ্ঞা তুলে ধরে। শেষ পর্যন্ত, এই সংগ্রামটি স্বাধীনতা, ন্যায় এবং জীবনের জন্য উৎসর্গীকৃত।
কবিতার মাধ্যমে লেখক শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগ ও তাদের রক্তের দাগকে আমাদের পথপ্রদর্শক হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করেছেন।
"লাশ"
শহরের প্রতিটি ইট,
কোলাহল ভেদ করে
উঠে আসে এক নিঃশব্দ চিৎকার।
তোমাদের স্বপ্নের বই
এখন রক্তের দাগে মোড়া,
কালো কালির বদলে
লাল রক্তে লেখা প্রত্যেকটা পৃষ্ঠা।
শিক্ষার আলোর বদলে
মৃত্যুর ছায়া,
স্বপ্নের বদলে
অবর্ণনীয় বেদনা।
এই লাশ শুধু একটি শরীর নয়,
এটি একটি প্রতীক,
অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের
একটি নীরব কণ্ঠস্বর।
তোমাদের হাসি মুখ
এখন স্মৃতির পাতায়,
তোমাদের সাহসিকতা
আমাদের হৃদয়ে অমর।
লাশের পাশে দাঁড়িয়ে
আমরা প্রতিজ্ঞা করি,
তোমাদের রক্ত বৃথা যাবে না,
আমরা লড়ব, আমরা জিতব।
এই লাশের জন্য নয়,
এই লড়াই জীবনের জন্য,
স্বাধীনতার জন্য,
ন্যায়ের জন্য।
তোমাদের রক্তে রঞ্জিত
আমাদের পতাকা,
তোমাদের ত্যাগ
আমাদের পথপ্রদর্শক।
৪ আগস্ট ২০২৪
সময় বেলা ৩:২২
কবিতা কুটির-নীলফিমারী
বন্ধুরা আমার আজকের কবিতটি, নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর আপনাদের ভালোলাগাই আমার সার্থকতা ও পরম পাওয়া। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। পরবর্তীতে আবারো সুন্দর সুন্দর কবিতা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব, আমি সেলিনা সাথী...
আমি সেলিনা সাথী। ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা তার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। আমার বাবা পিতা মরহুম শহিদুল ইসলাম ও মাতা রওশনারা বেগম। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি'সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনীত হয়েছি।
বিষয়: ক্রিয়েটিভ রাইটিং
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একটা কথা মনে রেখো।
তাই বুকে রাখো বল। আর দু চোখে রাখো প্রত্যয়। মানুষের জয় নিশ্চিত। যে শক্তি সঞ্চয় করে আপামর বাংলাদেশ লড়াই করছে, তার ফলাফল আসবেই। কবিতাটির মাধ্যমে সেই প্রতিবাদের কলম আবার গর্জে উঠলো। এমন ভাবেই বারবার গর্জে উঠুক কলম। আর তোমার প্রতিবাদী কলমের অক্ষয় অমরত্ব কামনা করি।
একদম ঠিক বলেছ দাদা শহীদের রক্তগুলো বৃথা যায়নি। তবে আগামীর বাংলাদেশ যেন শান্তিপূর্ণ হয়ে উঠে এটাই প্রত্যাশা করি। ভালো থেকো সব সময়।
ঠিক বলেছেন, এই লাশ গুলো শুধু শরীর নয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের এক একটা প্রতীক। মেধাবী এই ভাই বোন গুলোর সাহসিকতা সত্যি আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়। শিক্ষার্থীদের এবং প্রত্যেকটা মানুষের স্বাধীনতা এবং অধিকার আদায়ের জন্য তারা প্রাণ দিয়ে দিলো। বেশ ভালো লাগলো আপনার কবিতাটা পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি অনেক বেশি উজ্জীবিত হই যখন আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পড়ি।। আর পাঠক হৃদয়ে আমার লেখা কবিতা গুলো স্থান পায় বলেই লেখার জন্য আরও বেশি অনুপ্রেরণা পাই।
খুব সুন্দর একটি কবিতা লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার লেখা কবিতা সব সময় সুন্দর হয়ে থাকে। তবে বর্তমান সময় উপযোগী একটি কবিতা লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার কবিতা আবৃতি করে। চমৎকার হয়েছে সময় উপযোগী কবিতাটি।
আমার লেখা কবিতা পড়ে কিংবা আবৃত্তি করে আপনার ভালো লাগে জেনে অনেক বেশি খুশি হলাম। চমৎকার চমৎকার মন্তব্য করে উৎসাহ প্রদানের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু আপনার লেখা কবিতার মাধ্যমে প্রতিবাদী ভাষা ফুটে উঠেছে। আপনি যেমন ভালো কবিতা লিখেন তেমনি নিজের অনুভূতি থেকে কথাগুলো উপস্থাপন করেছেন। আপু আপনার লেখা কবিতা পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
একজন কবি বা লেখক হিসেবে এটাই সবচেয়ে বড় সার্থকতা। যে আমার লেখা কবিতা পাঠকের হৃদয়ে স্থান পায়। আর এটা অনেক প্রশান্তি এনে দেয় হৃদয় গহীনে।
সময় উপযোগী খুবই সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। আপনার এই কবিতাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। এত সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য আমাকে নতুন নতুন কবিতা লিখতে অনুপ্রেরণা যোগায়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।