পরিবারের সবাই মিলে | ঈদ আনন্দে বড় মাঠে |মেতে ছিলাম সেদিন | তিন বছর পর বাবার বাড়ি গিয়েছিলাম যেদিন||~~
☆꧁ঈদের আনন্দ নীলফামারী বড় মাঠে ꧂☆
সবাইকে স্বাগত জানিয়ে
করছি ব্লগ শুরু,
শ্রদ্ধাভরে সালাম নিয়েন
যারা আছেন গুরু।
আশা করি সকলে মিলে
ভালো আছেন বেশ,
এপার বাংলা, ওপার বাংলা
ভারত -বাংলাদেশ 🇦🇷🇧🇩
🌹পরিবারের সবাই মিলে
ঈদ আনন্দে বড় মাঠে ,
মেতে ছিলাম সেদিন
তিন বছর পর বাবার বাড়ি
গিয়েছিলাম যেদিন।🌹
- বড় ভাবি, মেজো ভাবি
সঙ্গে ছিল মা,
ভালো মনের মানুষ তারা
হয়না তুলনা 👌
- মাসফিয়া টা শিপুর ঘাড়ে
মজা করে খেলছে
হাসি -খুশি আনন্দে যে
খুশির পেখম মেলছে।
- সবাই মিলে খেয়েছিলাম
ঝাল ঝাল মাখা
শীতল হাওয়া বইছিলো তাই
লাগেনিতো পাখা।
- মাথায় ওড়না বড় ভাবি
সঙ্গে দুটি মেয়ে
ভীষণ খুশি হয়ে ছিল
মাঠে ঘুরতে যেয়ে।
ডান পাশে রিন্থি সোনা
বামে রিয়া মনি,
সাত রাজার ধন মানিক রতন
যেন হীরার খনি।
মাঝখানেতে বিডি হিরো
দুইদিকে দুই বোন
বড় মাঠে ছুটোছুটি
করলো সারাক্ষন।
- আমি ওদের ছোট ফুপি
ওরা আমার মা
কোন কিছু দিয়ে তাঁদের
হয়না তুলনা।
সিয়াম বাবার বাহু ডোরে
যখন ছিলাম আমি
প্রশান্তিতে ভরলো হৃদয়
জানেন অন্তর্যামী।
সবাই মিলে ঈদ আনন্দে
মেতে ছিলাম সেদিন,
তিন বছর পর বাবার বাড়ি
গিয়েছিলাম যেদিন।
ছড়ায় ছড়ায় পরিচিতিটা
জানিয়ে দিলাম আজ,
অনুভূতির একাংশ
করে রাখলাম ভাঁজ।
আশা করি তোমাদের কেও
লেগেছে অনেক ভালো,
সবার সাথে মিলেমিশে
দূর করি সব কালো।
পরিশেষে বিদায় বেলা
মন করোনা ভার,
আজকে না হয় এ পর্যন্ত
বলবোনা কিছুই আর,,,
বন্ধুরা ছড়ায় ছড়ায় আজকের পোস্টটি লেখার চেষ্টা করেছি। হয়তো আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে আমার এই পদ্ধতিটি। তবে সত্যিই এটা অনেক কঠিন কাজ। যা অনেকে কল্পনাও করতে পারে না। তবে অন্তমিলের ছন্দ আমার প্রাণের সাথে মিশে থাকে সব সময়। আর এজন্য অনেকেই আমাকে অনেক ধরনের নাম দিয়েছেন। নামকরণ করেছেন। উপাধি দিয়েছেন।
আসলে সার্থকতা তখনই হয় যখন এই ব্লগটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আপনাদের ভালো লাগার জন্য আরও অনেক নতুনত্ব নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। যা হয়তো আগামী ব্লগের জন্য চমক হবে। তবে এটাও সত্যি যে আপনাদের উৎসাহ আপনাদের অনুপ্রেরণা আমাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যায়। সবার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা দোয়া ও শুভকামনা জানিয়ে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি।
টা টা,,,, 💕
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
বিষয়:
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ আজকে তো দারুন একটি পোস্ট পড়লাম। ছড়ায় ছড়ায় কখনো পোস্ট পড়া হয়নি। তাছাড়া ছড়ায় ছড়ায় পোস্ট লিখতে গেলে কবিতার বিষয়ে খুবই দক্ষ হতে হয়। আপনি প্রত্যেকটা জায়গায় খুব সুন্দর ভাবে ছন্দ গুলো মিলিয়ে কবিতাগুলো লেখার চেষ্টা করেছেন। ব্লগটি পড়ে খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু।
আহা। সাথী, কী দারুণ পোস্ট তোমার৷ একটা বাংলা সিনেমা আছে পুরনো অনেক। 'দাদারকীর্তি'৷ সেখানে মানুষ এমনই ছন্দে কথা বলত আর পেছনে তবলা বাজত৷ ক্লাব ছিল ওদের, নাম ছন্দবাণী ক্লাব৷ তোমার পোস্টটি পড়ে এতোই ভালো লেগেছে যে আমারও কেমন মনে মনে হচ্ছে পেছনে তবলা বাজছে৷ আর তুমি তালে তালে কথা বলে ঈদের যাপন শেয়ার করছ, সবার কথা বলছ। তুমি সত্যিই ছন্দে সুপার সেরা৷
কী সুন্দর ব্লগ শেয়ার করেছ। ভালোবাসা নিও বন্ধু হে আমার।
কেউবা ডাকে ছন্দরানী
কেউবা কাব্যকন্যা,,
সবার উৎসাহ অনুপ্রেরণায়
আমি যে অনন্যা 💕
কারো কাছে কবি আপু
কারো কাছে কবি,
কারো কাছে আমি নাকি
সদ্য উঠা রবি।
ভালোবেসে বন্ধু তোমায়
মনে দিয়েছি ঠাঁই,
এমনি করেই সারা জীবন
কাটিয়ে দিতে চাই 💕
তুমিও আমার মনেই আছো
প্রদীপ খানি নিয়ে
প্রাণের চেয়েও অধিক প্রিয়
উঠছ তুমি হয়ে।
আপনার ফ্যামিলির সবার সাথে একদিক দিয়ে পরিচিত হয়ে গেলাম আপনার কবিতার মাধ্যমে। সবার সাথে পরিচিত হতে পেরে সত্যি অনেক ভালো লাগতেছে এখন। আমায় একসাথে এত ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন এটা ভাবতেই তো ভালো লাগতেছে। তিন বছর পর বাবার বাড়িতে গিয়ে নিশ্চয়ই অনেক আনন্দ করেছিলেন আপু। আর ওই দিন আপনারা সবাই বড় মাঠে ঘুরাঘুরি করেছেন, সেই সাথে ঝাল ঝাল মুড়ি মাখা খেয়েছেন দেখে তো আরো ভালো লাগলো। ছন্দ গুলো অনেক সুন্দর করে মিলিয়ে লিখেছেন। ধন্যবাদ আপু এরকমভাবে এটি শেয়ার করার জন্য।
অনেক আগে তো ছড়ায় ছড়ায় রেসিপি পোস্ট করেছিলাম। আর কতকাল ভাবলাম ছড়ায় ছড়ায় পরিচিতিটা করে দেই। তাতে পড়তেও ভালো লাগবে? আর বিনোদন হবে এই ভেবে। 💕
একটু অন্যরকম ভাবেই পরিচিত হলাম আপনার ফ্যামিলির সব সদস্যের সাথে। এত সুন্দর ভাবে আপনি সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন এটা দেখে অনেক ভালো লেগেছে। দীর্ঘ তিন বছর পরে বাবার বাড়িতে গিয়েছেন। এরকম সময় কাটাতে না পারলে কি আর ভালো লাগে। আপনাদের সবাইকে একসাথে এত সুন্দর সময় কাটানো অবস্থায় দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আসলে এরকম স্পেশাল কিছু দিন ছাড়া সবাই একসাথে হওয়াই যায় না। এটাই কামনা করি আপু যেন আপনার জীবনে এরকম দিন সব সময় আছে।
একটু অন্যরকম ভাবেই আমার ফ্যামিলির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পেরে আমিও বেশ আনন্দিত।
ছন্দে ছন্দে মহানন্দে
দারুন কিছু দিলাম,
বিনিময় এই তোমাদের
ভালোবাসা পেলাম। 💕
দীর্ঘ তিন বছর পর বাবার বাড়িতে গিয়েছেন।যেটা আসলেই ভালো লাগার একটি বিষয়।আপনার পরিবারের সদস্যদের আমাদের মাঝে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।সবাইকে সুন্দর লাগছে ফটোগ্রাফি তে।ভালো লাগলো পোস্টটি।
তিন বছর পর বাবার বাড়িতে গিয়ে বাবার বাড়িটাই আমার কাছে অচেনা-অচেনা লাগছিল। তবে সবাইকে নিয়ে বেশ মজা করেছিলাম। 💕
চমৎকার। এটি একটি অভিনব পদ্ধতি যা ব্যবহার করে আপনি তুলে ধরেছেন নিজের কাটানো ঈদের অবকাশ যাপন করার মুহূর্ত আর প্রিয়জনের সাথে ভাগ করে নেওয়ার আনন্দ।
এটি একটি অনন্য সাধারণ লেখা, বিশেষ করে কবিতায় যে সাবলীল ও সরল ছন্দ প্রয়োগ,ব্লগটি পড়েই বেশ ভালো লেগেছে।
আপনি নিজেকে বেশ দারুণভাবে উন্নত করতে পেরেছেন৷ যা অন্য দশজনের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক। আমি শুভকামনা জানাই, যাতে আপনি আপনার মতো এগিয়ে যান আর ভালোভাবে ভবিষ্যতকে নিজ আলোয় উজ্জ্বল করে রাখেন।
💖💐
এর আগে এই পদ্ধতিতে আমি ফটোগ্রাফি এবং রেসিপি পোস্ট করেছিলাম অনেক। যা সকলের মন কেড়েছিল। উৎসাহ দিয়ে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ💕
এককথায় দুর্দান্ত একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। ছড়ায় ছড়ায় সবার পরিচয় আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখছি। সবাই মিলে বেশ আনন্দ করেছেন,ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই সেটা বুঝা যাচ্ছে। একেবারে ভিন্ন ধরনের পোস্টটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই চমৎকার গঠনমূলক মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য, অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।💕