🌹মানবতার টানে: আমাদের নৈতিক দায়িত্ব🌹
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালো আছি আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন এটাই প্রত্যাশা করি।
" মানবতার টানে: আমাদের নৈতিক দায়িত্ব"
🥀 জেনারেল রাইটিং 🥀
মানবতার টানে: আমাদের নৈতিক দায়িত্ব
আজকের দিনটি ছিল মানবতার একটি বিশাল পরীক্ষার দিন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো ছিল আমাদের নৈতিক দায়িত্ব, এবং তা আমরা সবাই মিলেই পালন করেছি। বন্যার করাল গ্রাসে যারা সব হারিয়েছে, তাদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে আমি উপলব্ধি করেছি, মানবতা এখনও আমাদের মাঝে জেগে আছে।
ত্রাণ সংগ্রহের উদ্যোগ যখন আমরা প্রথমে নিয়েছিলাম, তখন মনে কিছুটা সংশয় ছিল—মানুষ কি সত্যিই এগিয়ে আসবে? কিন্তু আমার আশঙ্কা মিথ্যা প্রমাণিত হলো। আমাদের সমাজের মানুষ যে এখনও সংকটের সময়ে একে অপরের পাশে দাঁড়াতে জানে, সেই দৃশ্য দেখে আমি গর্বিত। মানুষজন স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে এসেছে, যার যা কিছু সামর্থ্য ছিল, তাই নিয়ে। কেউ অর্থ দিয়ে, কেউ খাদ্য সামগ্রী দিয়ে, কেউবা নিজেদের শ্রম দিয়ে সাহায্য করেছে।
এমন একটি সময়ে, যখন সমাজে মানুষের মধ্যে বিভক্তি আর অবিশ্বাসের চিহ্ন স্পষ্ট, তখন এই ধরনের সহযোগিতা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। ছোট ছোট সহায়তার হাতগুলো যখন একত্রিত হয়, তখন তারা যে কত বড় কিছু করতে পারে, তা আজ আবার প্রমাণিত হলো।
একের পর এক মানুষ যখন এসে আমাদের সাহায্য করতে চাইল, তাদের মুখে ছিল কৃতজ্ঞতার ছাপ, চোখে ছিল সহমর্মিতার চিহ্ন—এই দৃশ্যগুলো আজও আমার মনে গেঁথে থাকবে। এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা, ক্ষুদ্র সহায়তাগুলো হয়তো একা কিছুই নয়, কিন্তু এটাই তো আসল মানবতা, যেখানে একজন মানুষের কষ্ট আরেকজনের হৃদয়ে ব্যথার জন্ম দেয়।
আজকের এই অভিজ্ঞতা আমাকে আরও দৃঢ় বিশ্বাস করিয়েছে, মানবতার মশাল এখনও নিভে যায়নি। যদি আমরা সকলেই একে অপরের পাশে দাঁড়াতে পারি, তাহলে কোনো বিপর্যয়ই আমাদের ভেঙে ফেলতে পারবে না। আমাদের ছোট ছোট দান আর সহানুভূতির সংমিশ্রণই তো একদিন বড় কিছু হয়ে উঠবে, যা অসহায় মানুষদের জীবনে আলোর দিশা দেখাবে।
বাংলাদেশের এই ছোট ছোট প্রচেষ্টা, এই ক্ষুদ্র সহানুভূতির হাতগুলোই ভবিষ্যতে একটি নতুন, আরও শক্তিশালী জাতির ভিত্তি গড়ে তুলবে। আমরা একে অপরের পাশে দাঁড়ালে, একে অপরের কষ্ট ভাগ করে নিলে, আমাদের সমাজ শুধু টিকে থাকবে না, বরং তা সমৃদ্ধ হবে।
একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য দরকার সহযোগিতার মনোভাব, একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর মানসিকতা। আমরা আজ যে দায়িত্ব পালন করেছি, তা হয়তো ছোট ছিল, কিন্তু এর প্রভাব হবে বিশাল। এটি একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে একটি বড় পদক্ষেপ।
আমাদের সহানুভূতি, মানবতা, আর সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা একসাথে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি—এটাই আমার বিশ্বাস। আমরা একে অপরের জন্য কাজ করে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করলে, একদিন এই বাংলাদেশ হবে আরও সুন্দর, আরও সমৃদ্ধ।
বন্ধুরা আমার আজকের এই জেনারেল রাইটিং টি , নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর আপনাদের ভালোলাগাই আমার সার্থকতা ও পরম পাওয়া। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। পরবর্তীতে আবারো সুন্দর সুন্দর ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। আমি সেলিনা সাথী
💞
🥀 ধন্যবাদ 🥀
আমি সেলিনা সাথী। ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা তার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। আমার বাবা পিতা মরহুম শহিদুল ইসলাম ও মাতা রওশনারা বেগম। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি'সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনীত হয়েছি।
বিষয়: জেনারেল রাইটিং
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আপনার উদ্যোগ দেখে অনেক ভালো লাগলো। বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানো প্রত্যেকের উচিত। আপু আপনার মানবতা দেখে অনেক ভালো লাগলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ছোটবেলা থেকেই এ মানবিক কাজগুলোর সাথে জড়িয়ে আছি কারণ আমিও মানুষ এবং মানবিক গুণাবলী গুলো আমার ভেতর খুব বেশি কাজ করে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আমাদের সবার উচিত এই দুর্যোগপূর্ণ মুহুর্তে নিজ নিজ অবস্থান হতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা। খুবই চমৎকার উদ্যোগ এবং দারুণ ভূমিকা পালন করছেন আপনি। অনেক ধন্যবাদ আপু।
সেই ছোটবেলা থেকেই এসব কাজ করে এসেছি। আর আজ বড়বেলায় এসেও চুপ করে থাকতে পারলাম না। বানভাসি মানুষদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। আপনার সুন্দর মন্তব্য আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করল। ধন্যবাদ ভাইয়া দোয়া করবেন আমার জন্য।
আমাদের অফিস থেকেও আমরা যার যার সামর্থ অনুযায়ী বন্যার্তদের সাহয্য করেছি। আপনাদের উদ্যোগটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আসলে মানুষ হিসাবে বন্যার্তদের পাশে দাড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ধন্যবাদ।
আসলে এ বছর প্রায় সকলেই বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।