সাহিত্যের টানে বাংলাদেশ থেকে কলকাতা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা || ১ম পর্ব||~~💕
☆꧁কলকাতায় কেনা জামা গায়ে || লাইফ স্টাইল ||~꧂☆
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন। এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা, আমি আগেই আপনাদেরকে বলে রেখেছিলাম কয়েকটি পর্বে নিয়ে আসবো সম্প্রতি আমার কলকাতা শহরের কিছু স্মরণীয় এবং বরণীয় মুহূর্ত। দুই মাস আগে কয়েকটি সাহিত্য অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণে পৌঁছে গেছিলাম পশ্চিমবঙ্গ এর কলকাতা শহরে । এটা আমার প্রথম কলকাতা যাত্রা। এই ১০/১১ দিনের অভিজ্ঞতা নানা ভাবে গুছিয়ে রেখেছি নিজের মধ্যে, একটু একটু করে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বলে।। আমি কলকাতা দেখলাম আর
ভাবলাম কলকাতা অনেক টাই আমাদের দেশের ঢাকা শহরের মতো। আর হাঁ দুটো শহরের মধ্যে সামান্যই কিছু পার্থক্য। পার্থক্য টা অবশ্য অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের।
আমরা যারা বাঙালী আছি এপার বাংলা হোক আর ওপার বাংলা হোক আমাদের অস্তিত্বকে কি আলাদা করা যায় বলুন -? পৃথিবীর সবকিছুই ভাগ করা গেলেও বাঙালির তো আর আর ভাগ যায়না। কলকাতা বলুন আর বাংলাদেশ বলুন। যেমন বাংলাদেশের শাবাগ আর কলকাতার নন্দন। এপারে বাঙালি ওপারেও বাঙালি। আমি যতই কলকাতার পথ -ঘাট, গ্রাম নদী -নালা, মানুষজন, ঘরবাড়ি এবং যানবাহন। এমনকি মেট্রোরেলও রয়েছে দুই শহরেই। তাই বাঙালির এই দুই প্রাণের শহরকে ঘিরেই যেন দুই বাংলার এক ছবি। সব কিছুই যেন বাংলাদেশের মতোই। শুধু তারা আমাদের চেয়ে একটু বেশি হিসেবি।
অপচয় করে কম। সেখানে বেশির ভাগ খাবার হোটেল গুলোতে বাংলাশের মতো টিসু খুবই সহজে পাওয়া যায়না। এমন কি বড় বড় কাপে চা পান করেন না।
১০ মে ২০২৪শে যাত্রা শুরু করেছিলাম -
প্রথমে আমি নীলফামারী থেকে পাবনার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। বাই ট্রেনে। প্রায় পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা লেগেছিল পাবনাতে পৌঁছাতে। কারণ পাবনা থেকেই আমরা একটা টিম যাব সেটাই কথা ছিল।
এরপর আমরা পাবনা থেকে দাশুড়িয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে রাত ১১ টায়। সেখানে আমরা সিএনজি করেই গিয়েছিলাম। তারপর বাসে করে রাত ১১ঃ৩০ মিনিটে বেনাপোলের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। তবে মনের মধ্যে দারুন একটা উত্তেজনা কাজ করছিল। ইন্ডিয়াতে এর আগেও গিয়েছি তবে সেটা দার্জিলিং এ। কলকাতায় এই প্রথম কোন সাহিত্যের অনুষ্ঠানে যাচ্ছি। সেখানকার কবি বন্ধুরা সব সময় আমাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। এই যেন আত্মার টান কেউ হার মানিয়ে দেয়। একমাত্র বাংলাকে বুকের লালন করে দুই বাংলা একসাথে হওয়ার কঠিন এবং জটিল একটা লড়াই করতে হয় আমাদের বর্ডার গার্ডে। তারপরেও সব নিয়মকানুন মেনেই আমরা মিলিত হই,সাহিত্যের টানে বারবার।
যাইহোক বেনাপোলে আমরা পৌঁছে গেলাম ভোরবেলা। অত ভোর বেলায় দেখেছি অনেকেই লাইন ধরেছে। এরপর আমরা ও লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সকাল ছয়টা থেকে নয়টা অব্দি আমরা লাইনে একভাবে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সে কি গরম। এতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে পা লেগে যাচ্ছিল। তবে আমরা লাইনের প্রথম দিকেই ছিলাম।
কিভাবে লাইন পার হয়ে আমরা বর্ডার ক্রস করলাম সেটা না হয় পরবর্তী পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। সেই প্রত্যাশা রেখেই আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সকলেই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন,
বেশি বেশি জল পানি পান করবেন। শেষ রাতে খাবার চালায় এবং লেবু পানি খেতেও ভুলবেন না কিন্তু। টা টা,,
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
বিষয়: ভ্রমণ অভিজ্ঞতা।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ! বেশ দারুণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। আপনার নিজস্ব পর্যবেক্ষণ শক্তি দেখে খুবই বিমোহিত হয়েছি। ঢাকা ও কলকাতা দুটি শহরই বেশ পুরনো এবং কিছু সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন বাঙালি সত্তার মধ্যে ধারণ করে, তা অবশ্য সূক্ষ্ম দর্শনে চোখে পড়ে যায়।
সাহিত্য নিয়ে এত বেশি কাজ করেন দেখে ভালো লাগলো। আমার বাংলা ব্লগে আপনাকে পেয়ে সত্যিই উৎফুল্ল এবং আপনি নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে আমাদের সবাইকে কিছু জ্ঞানার্জনে সহায়তা করবেন, তা আশা করি।
ভালো থাকবেন, আর শুভেচ্ছা রইলো অনেক, 💐
তবে কলকাতার সাহিত্য অঙ্গনের বিচিত্র অভিজ্ঞতা আস্তে আস্তে আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেব। আশা রাখছি সেগুলো আপনাদের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগবে। 💕
সত্যি আপু অনেক জায়গাতেই বাংলাদেশের মত এতটা অপচয় করতে দেখা যায় না। আপু আপনি কলকাতায় ভ্রমণ করেছেন আমরা সবাই জানি। আশা করছি ধীরে ধীরে আপনার অনুভূতি আমাদের মাঝে তুলে ধরবেন। আজকের পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু।
এটা ঠিক আমরা বাঙালীরা অনেক বেশি অপচয় করতে শিখেছি। যা কলকাতার বাঙালি গুলো করে না। সে দিক থেকে ওদের কাছে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। 💕
আপনার পোস্টটি পড়ে দারুন কিছু জানতে পারলাম। এরকম একটা অনুষ্ঠানে আপনি অংশগ্রহণ করেছেন এটা জেনে অনেক বেশি খুশি হলাম। দুই বাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য প্রায় মিল রয়েছে। আপনার পোস্টি পড়ার পরে আপনার সম্পর্কেও ডিটেলস জানলাম। বেশ ভালো লাগলো অজানা কিছু জানতে পেরে।
আমার পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে, আমার সম্পর্কে জানতে পেরেছেন জেনে, আমিও বেশ খুশি হলাম। আর অজানা কিছু জানতে আমার কাছেও ভালো লাগে। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। 💕
সাহিত্যের টানে বাংলাদেশ থেকে কলকাতা ভ্রমণের অভিজ্ঞতাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্বগুলোর জন্য অপেক্ষা করে রইলাম। অনেক শুভকামনা রইল তোমার জন্য।
পরবর্তী পর্বগুলো নিশ্চয়ই খুব তাড়াতাড়ি নিয়ে হাজির হব। তুই বাংলা যখন এক সেতু বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তখন ভালোলাগা অনেক বেশি বেড়ে যায়। 💕
আসলেই আপু কলকাতার বেশিরভাগ মানুষ খুব হিসাব করে চলে এবং এটা আমিও কলকাতায় গিয়ে দেখেছিলাম। তবে আমরা যে অপচয় করি,সেটা মোটেই উচিত নয়। আমিও বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে কলকাতায় প্রবেশ করেছিলাম। আপনার পোস্টটি পড়ে পুরনো দিনের কথা মন পড়ে গিয়েছে। যাইহোক সাহিত্যের টানে বাংলাদেশ থেকে কলকাতা ভ্রমণে গিয়েছেন,এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।
আমার পোস্ট পড়ে আপনার পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে গেল,জেনে ভালো লাগলো। মাঝে মাঝে স্মৃতিচারণ হলে অন্যরকম একটা ভালোলাগা,অন্যরকম একটা অনুভূতি, ছুঁয়ে যায় হৃদয়ে। যা আমি চমৎকারভাবে উপলব্ধি করি। 💕
কলকাতায় তোমার সাথে মুহূর্তটুকু হৃদয়ে স্থান পেয়েছে। সেই থেকে ভীষণ প্রিয় তুমি৷ বাংলাদেশে যত বন্ধু আছে আমার, সবাই ভীষণ আপন। তুমিও তাদের মধ্যে অন্যতম একজন। আমরা দুই দেশের নাগরিক হতে পারি, কিন্তু বাঙালি মনন আমাদের বেঁধে রাখে। আর এই মনন রবীন্দ্র নজরুলের৷ তাতে কোনো বেড়া হয় না। ঢাকা কলকাতা এক সূত্র এক প্রাণ।
একদম ঠিক বলেছ দাদা, তুমিও আমার খুব প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠেছ। কোন বেড়া আমাদের আটকাতে পারে না বললেই আমরা একাকার হয়ে উঠি তারকাটা ভেদ করে। অনেক ভালো থেকো দাদা। খুব ভালো থেকো।শুভ কামনা সব সময়। 💕