গতকালকের বিশেষ হ্যংআউটের বিশেষ অনুভুতি//"আত্মকথা "১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁকের জন্য
আ মার বাংলা ব্লগের সন্মানিত পরিবার বৃন্দ সকলকে আমার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি আজকের এই বিশেষ ক্ষণে। আশা করি সকলেই ভাল আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি।আজকের শিরোনাম দেখে বুঝতে পারছেন একটু ব্যতিক্রম আয়োজন নিয়ে এসেছি আপনাদের মাঝে। আজকের এই আয়োজনকে আমরা যদি উপলব্ধি করি তাহলে এখান থেকেও অনেক কিছু শিক্ষা নেয়ার আছে বলে আমি মনে করি। গতকালকের বিশেষ হ্যাংআউটে বিশেষ একটি ঘোষণা সবাইকে অবাক করে দিয়েছিল। তারই আলোকে আজকে আমার বিশেষ অনুভূতি আত্মকথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে ।
আ ত্মকথা
বাস্তবতা যতটা সুন্দর,,ততটাই কঠিন, ততটাই নির্মম,আর এই নির্মম সত্য টা কখনো কখনো মানুষকে অবাক করে দেয় আবার কখনো চমকিয়ে দেয়। কখনো কখনো পৃথিবীতে এতটাই অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটে যা বিশ্বাস করতে আমাদের অনেক কষ্ট পেতে হয়। তবে হ্যাঁ অবিশ্বাস্য হলেও এটাই বাস্তব।আর বাস্তবতা আমাদের মেনে চলতে হয় এর থেকে আমরা কেউ পরিত্রান পায়নি পাবোনা কখনো।তাই এমনি এক নির্মম বাস্তবতা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি আজ -আমি।।এই বাস্তবতা থেকে আজ আমরা নতুন কিছু জানতে পারব আশা করি।।
"জীবনের গল্প"
খুব ছোটবেলা থেকেই আমি অনেক হাসিখুশি আর চঞ্চল আদুরে কন্যা হিসেবে সবার কাছে পরিচিত ছিলাম। বাবা মা ভাই বোন সবাই আমাকে ভীষণ ভালোবাসতো।স্কুল থেকে এসে বেশিরভাগ সময়টা গাছে বসে কাটতো। খুব ছোটবেলা থেকেই বড় বেশী আবেগপ্রবন ছিলাম কারো কষ্ট দুঃখ সহ্য করতে পারতাম না।সবাই কে হাসানোর জন্য নানা রকম কৌশল অবলম্বন করতাম। নিজেও হাসতাম প্রাণ খুলে।কিন্তু এই হাসিটা মাত্র অল্প কিছুদিনের মধ্যেই কান্নায় রূপ ধারণ করে।
আমি ঠিক তখন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। বার্ষিক পরীক্ষা হয়েছে সবে মাত্র।বয়স তখন 11 তে পা দিয়েছি। ঠিক সেই সময় একটি কালবৈশাখী ঝড় আমার জীবনে নেমে এলো।একদিন গভীর রাতে আমাদের বাসায় অনেকগুলো ছেলে মানুষ চলে আসে দলীয় ছেলেপেলে । তারা এসে আমার ঘরের দরজা ভেঙে আমার ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে।আমি তখন গভীর ঘুমের ঘোরে খুব চমকে উঠি।এবং ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে বিছানার এক কোণে বসে পড়ি।তখন কেউ একজন বলছিল সাথী তোমার কোন ভয় নেই আমরা সবাই তোমার ভাই।তোমার বাবা এখনো বাড়ী আসেনি তোমার বাবাকে ওরা আটকে রেখেছে তোমার একটা সিগনেচার এই কাগজ আমাদের দিলেই শুধুমাত্র তোমার বাবা বাড়িতে ফিরতে পারবে। নযতো তোমার বাবা আর কোনদিন কখনোই বাড়িতে ফিরবে না।তখন ঘরে বিদ্যুৎ ছিল না ওরা একটা টর্চ জ্বালিয়ে আমাকে একটা কাগজে এগিয়ে দিলো ঠিক কাগজের যে জায়গাটায় স্বাক্ষর আমি সাক্ষর লেখাটা দেখতে পেয়েছিলাম এবং কিছু না ভেবেই বাবাকে ভালবাসি তাই বাবাকে ফেরানোর জন্য নিজের নামটা সেখানে লিখে দিলাম।এরপর ওরা চলে গেল এবং আমার মা ঘরে ঢুকে আমাকে জড়িয়ে ধরে খুব কান্না করতে লাগল। আধাঘন্টা পর দেখলাম আমার বাবা বাসায় ফিরে এলো। বাবার চোখ মুখ অন্ধকার দেখে খুব মায়া হচ্ছিল।তবে এখানে একটু বলে নেই আমার বাবা ছিল খুব সহজ-সরল সান্তটাইপ একজন মানুষ।
প্রায় সাত দিন পর সবার মুখে মুখে শুনতে পাই আমার বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়েছে।আমার বাবার খুব ক্লোজ বন্ধু এর সাথে।এবং আমার বাবাকে নানারকম ভয়-ভীতি দেখিয়ে দু'মাসের মধ্যে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করে নিল।বিয়ে-সংসার তখন তেমন কিছুই বুঝিনা আমি তবুও আশেপাশে যত আত্মীয়-স্বজন সবার হাতে পায়ে ধরে কেঁদেছি এই বিয়েটা যেন না হয়। কোন ভাবেই ঠেকানো গেল না।অবশেষে বিয়ের আগের দিন আমার বাবা আমাকে কেঁদে কেঁদে বুকে জড়িয়ে নিয়ে বলছিল মারে মনে কর আমি তোকে নদীতে ভাসিয়ে দিচ্ছি। পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিস।কারণ আমি নিরুপায়।বাবার মুখের দিকে চেয়ে আমি কোন কথাই বলতে পারলাম না।ইঁদুর মারা ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করলাম।কিন্তু আমার মামাত বোন দেখতে পেয়ে সেটা আর হলো না।
অবশেষে বিয়ের বরযাত্রী এলো।নানা রকম টেনসনে আমি প্রায়ই জ্ঞান হারিয়ে ফেললাম।জ্ঞান ফিরে দেখি আমি শ্বশুরবাড়ি উঠোনে অনেকেই আমাকে ধরে দাঁড়িয়ে আছে।ভাগ্যের নির্মমতা মেনে নিতে হচ্ছে আমাকে। কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না।অবশেষে ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে যে মানুষটার সাথে আমার বিয়ে হল তাকে বলেছিলাম প্লিজ কখন ও আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাবেন না।কারণ ওই মানুষটাকে আমি আংকেল ডাকতাম।
তবে এটাও সত্যি মানুষটা কোনদিন কখনো আমার কাছে আসার চেষ্টা করেননি। সেদিন থেকেই।কিন্তু আমি একটি মানসিক যন্ত্রণায় ছটফট করে প্রায় মানসিক রোগী হয়ে গেলাম।একদিন রাতে অনেক অসুস্থতার কারণে আমাকে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়ানো হলো।এবং আমি বুঝতেই পারলাম না সেদিন রাতে আমার সাথে কি কি ঘটেছিল।ঠিক তার দুমাস পর আমার প্রচণ্ড বমি হচ্ছিল তাই আমি কিছুই খেতে পারছিলাম না।ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডক্টর আলট্রাসনোগ্রাফি করে দেখে আমার গর্ভে দুই মাসের সন্তান।আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না কি কি ঘটছে আমার সাথে।চিৎকার করে কাঁদতে লাগলাম।এটা কি করে সম্ভব কেমনে সম্ভব কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না।সেই মানুষটা তখন সামনে এসে সেই রাতের কথা আমাকে বলে আশ্বস্ত করে।এবং আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয়।তখনও আমি শিশু।আর শিশুর গর্ভে আরেক শিশু।ডক্টর বলেছিল বাচ্চাটিকে এ্যবসান করতে নইলে আমাকে বাঁচানো যাবেনা।কিন্তু সেদিন আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আজ না হয় কাল সে তো মারা যেতেই হবে কি করে আমি একটা জীবনকে হত্যা করব।বরং একটা নতুন জীবন আসাতে যদি আমার মৃত্যু হয় হোক।
সেদিন থেকেই শুরু হলো নতুন জীবন।শিশুর গর্ভে শিশু।
জানুয়ারি মাসের 23 তারিখ শুক্রবার 13 রমজান।নরমাল ডেলিভারিতে পৃথিবীর আলো-বাতাস দেখল একটি নবজাতক শিশু।যার জন্য আমার আজও বেঁচে থাকা। ওর মুখটি দেখতে পেয়ে এক নিমিষেই আমার সকল কষ্টগুলো ম্লান হয়ে গেল।আমি মা হলাম "স্বামীর সোহাগ" ছাড়াই।কারণ সেদিনের পর থেকে কোনদিন তার সাথে আমার এক বিছানায় থাকা হয়নি তখনো।তবে মা হয়ে আমি আত্ম তৃপ্তি পেলাম আমার মনের মধ্যে একটা গর্ব বোধ করছিল যে পৃথিবীর আলো-বাতাসে আমি একটা জীবন আনতে পেরেছি।সেই থেকে জীবনের অন্যরকম আর এক সংগ্রাম শুরু হলো।12 বছর বয়সে মা হলাম।যে সময়টা আমার খেলাধুলা করার বয়স,, স্কুলে যাওয়ার বয়স,সেই সময়টা শাশুড়ির সেবা বাচ্চা লালন পালন করা পরিবারের সকল কাজ এই আমাক দিয়ে এই
রানো হতো।কিন্তু হ্যাঁ কোনদিন কখনো লেখাপড়া ছাড়িনি।অনেক কষ্টে অনেক অপবাদ শয়েও লেখাপড়াটা চালিয়ে গেছি অবলীলায়।এত বড় জীবনের গল্প ঠিক এতটুকু সমযে কি বলা সম্ভব।
বন্ধুরা সেই দিনের সেই শিশু টাই আজকে আমার বাংলা ব্লগের সন্মানিত মডারেটর।
আমরা একই সাথে লেখাপড়া করছি একই সাথে বেড়ে উঠা। ওকে স্কুলে দিয়ে আমি স্কুলে যেতাম।সাড়ে তিন বছর বয়সে ওকে আমি প্লে শ্রেণীতে ভর্তি করিয়েছিলাম।আর আমি তখন নবম শ্রেণীর ছাত্রী।এমনি করে ও স্কুলে আর আমি কলেজে। সিয়াম আমার জীবনের সবচেয়ে ভালো এবং শ্রেষ্ঠ বন্ধু।আমার জীবনে ওর চেয়ে ভালো বন্ধু আর একটিও নেই।সবাই দোয়া করবেন আমাদের জন্য।জীবনের বাকি অনেকগুলো অধ্যায় আপনারা চাইলে আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেব।যেখান থেকে অনেক প্রেরনা অনেক শিক্ষা অনেকেই পেতে পারেন।
আপনাদের কাছে আমার একটি আকুল আবেদন নিজেদেরকে পুরুষ ভেবে আমার মত কেউ কোনো নারীর জীবন নষ্ট করার কথা চিন্তাও করবেন না।আকুল মিনতি করে বলছি।আর সিয়াম কে আমি আমার আদর্শে মানুষ করার চেষ্টা করছি মাত্র।
এখানে আরেকটি কথা বলে যেতে চাই বর্তমান যুগে সিয়ামের মত সন্তান হওয়া বড়ই বিরল ব্যাপার।।
সিয়াম কে ছোটবেলা থেকে কিভাবে মানুষের মত মানুষ করার চেষ্টা করছি সেটা নাহয় আরেকদিন অন্য কোন পোস্টে আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো।
আমার জীবনে আমার লেখা আমার সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য অনেক গুলো অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি।আমার জীবনের শেষ চাওয়া টা হলো আমি রত্নগর্ভা মা আওয়ার্ড পেতে চাই। এবং ছোটবেলা থেকেই তা আমি সিয়ামকে বলে এসেছি।আর আমি বিশ্বাস করি মহান আল্লাহ তায়ালা আমার এই ইচ্ছেটা পূরণ করবে।
সিয়াম আমি জানি তুমি একদিন তোমার স্বপ্ন কে ও ছাড়িয়ে যাবে। এটা আমার বিশ্বাস।।
আশা করি আপনাদের কৌতূহল মেটাতে পেরেছি।
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিরাপদে থাকবেন।এই প্রত্যাশায় আজকের মত এখানেই।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
🌼ধন্যবাদ🌼
বাস্তবতা যতটা সুন্দর,,ততটাই কঠিন, ততটাই নির্মম,আর এই নির্মম সত্য টা কখনো কখনো মানুষকে অবাক করে দেয় আবার কখনো চমকিয়ে দেয়। কখনো কখনো পৃথিবীতে এতটাই অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটে যা বিশ্বাস করতে আমাদের অনেক কষ্ট পেতে হয়। তবে হ্যাঁ অবিশ্বাস্য হলেও এটাই বাস্তব।আর বাস্তবতা আমাদের মেনে চলতে হয় এর থেকে আমরা কেউ পরিত্রান পায়নি পাবোনা কখনো।তাই এমনি এক নির্মম বাস্তবতা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি আজ -আমি।।এই বাস্তবতা থেকে আজ আমরা নতুন কিছু জানতে পারব আশা করি।।
"জীবনের গল্প"
খুব ছোটবেলা থেকেই আমি অনেক হাসিখুশি আর চঞ্চল আদুরে কন্যা হিসেবে সবার কাছে পরিচিত ছিলাম। বাবা মা ভাই বোন সবাই আমাকে ভীষণ ভালোবাসতো।স্কুল থেকে এসে বেশিরভাগ সময়টা গাছে বসে কাটতো। খুব ছোটবেলা থেকেই বড় বেশী আবেগপ্রবন ছিলাম কারো কষ্ট দুঃখ সহ্য করতে পারতাম না।সবাই কে হাসানোর জন্য নানা রকম কৌশল অবলম্বন করতাম। নিজেও হাসতাম প্রাণ খুলে।কিন্তু এই হাসিটা মাত্র অল্প কিছুদিনের মধ্যেই কান্নায় রূপ ধারণ করে। আমি ঠিক তখন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। বার্ষিক পরীক্ষা হয়েছে সবে মাত্র।বয়স তখন 11 তে পা দিয়েছি। ঠিক সেই সময় একটি কালবৈশাখী ঝড় আমার জীবনে নেমে এলো।একদিন গভীর রাতে আমাদের বাসায় অনেকগুলো ছেলে মানুষ চলে আসে দলীয় ছেলেপেলে । তারা এসে আমার ঘরের দরজা ভেঙে আমার ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে।আমি তখন গভীর ঘুমের ঘোরে খুব চমকে উঠি।এবং ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে বিছানার এক কোণে বসে পড়ি।তখন কেউ একজন বলছিল সাথী তোমার কোন ভয় নেই আমরা সবাই তোমার ভাই।তোমার বাবা এখনো বাড়ী আসেনি তোমার বাবাকে ওরা আটকে রেখেছে তোমার একটা সিগনেচার এই কাগজ আমাদের দিলেই শুধুমাত্র তোমার বাবা বাড়িতে ফিরতে পারবে। নযতো তোমার বাবা আর কোনদিন কখনোই বাড়িতে ফিরবে না।তখন ঘরে বিদ্যুৎ ছিল না ওরা একটা টর্চ জ্বালিয়ে আমাকে একটা কাগজে এগিয়ে দিলো ঠিক কাগজের যে জায়গাটায় স্বাক্ষর আমি সাক্ষর লেখাটা দেখতে পেয়েছিলাম এবং কিছু না ভেবেই বাবাকে ভালবাসি তাই বাবাকে ফেরানোর জন্য নিজের নামটা সেখানে লিখে দিলাম।এরপর ওরা চলে গেল এবং আমার মা ঘরে ঢুকে আমাকে জড়িয়ে ধরে খুব কান্না করতে লাগল। আধাঘন্টা পর দেখলাম আমার বাবা বাসায় ফিরে এলো। বাবার চোখ মুখ অন্ধকার দেখে খুব মায়া হচ্ছিল।তবে এখানে একটু বলে নেই আমার বাবা ছিল খুব সহজ-সরল সান্তটাইপ একজন মানুষ। প্রায় সাত দিন পর সবার মুখে মুখে শুনতে পাই আমার বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়েছে।আমার বাবার খুব ক্লোজ বন্ধু এর সাথে।এবং আমার বাবাকে নানারকম ভয়-ভীতি দেখিয়ে দু'মাসের মধ্যে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করে নিল।বিয়ে-সংসার তখন তেমন কিছুই বুঝিনা আমি তবুও আশেপাশে যত আত্মীয়-স্বজন সবার হাতে পায়ে ধরে কেঁদেছি এই বিয়েটা যেন না হয়। কোন ভাবেই ঠেকানো গেল না।অবশেষে বিয়ের আগের দিন আমার বাবা আমাকে কেঁদে কেঁদে বুকে জড়িয়ে নিয়ে বলছিল মারে মনে কর আমি তোকে নদীতে ভাসিয়ে দিচ্ছি। পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিস।কারণ আমি নিরুপায়।বাবার মুখের দিকে চেয়ে আমি কোন কথাই বলতে পারলাম না।ইঁদুর মারা ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করলাম।কিন্তু আমার মামাত বোন দেখতে পেয়ে সেটা আর হলো না। অবশেষে বিয়ের বরযাত্রী এলো।নানা রকম টেনসনে আমি প্রায়ই জ্ঞান হারিয়ে ফেললাম।জ্ঞান ফিরে দেখি আমি শ্বশুরবাড়ি উঠোনে অনেকেই আমাকে ধরে দাঁড়িয়ে আছে।ভাগ্যের নির্মমতা মেনে নিতে হচ্ছে আমাকে। কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না।অবশেষে ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে যে মানুষটার সাথে আমার বিয়ে হল তাকে বলেছিলাম প্লিজ কখন ও আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাবেন না।কারণ ওই মানুষটাকে আমি আংকেল ডাকতাম। আমরা একই সাথে লেখাপড়া করছি একই সাথে বেড়ে উঠা। ওকে স্কুলে দিয়ে আমি স্কুলে যেতাম।সাড়ে তিন বছর বয়সে ওকে আমি প্লে শ্রেণীতে ভর্তি করিয়েছিলাম।আর আমি তখন নবম শ্রেণীর ছাত্রী।এমনি করে ও স্কুলে আর আমি কলেজে। সিয়াম আমার জীবনের সবচেয়ে ভালো এবং শ্রেষ্ঠ বন্ধু।আমার জীবনে ওর চেয়ে ভালো বন্ধু আর একটিও নেই।সবাই দোয়া করবেন আমাদের জন্য।জীবনের বাকি অনেকগুলো অধ্যায় আপনারা চাইলে আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেব।যেখান থেকে অনেক প্রেরনা অনেক শিক্ষা অনেকেই পেতে পারেন। আপনাদের কাছে আমার একটি আকুল আবেদন নিজেদেরকে পুরুষ ভেবে আমার মত কেউ কোনো নারীর জীবন নষ্ট করার কথা চিন্তাও করবেন না।আকুল মিনতি করে বলছি।আর সিয়াম কে আমি আমার আদর্শে মানুষ করার চেষ্টা করছি মাত্র। সিয়াম কে ছোটবেলা থেকে কিভাবে মানুষের মত মানুষ করার চেষ্টা করছি সেটা নাহয় আরেকদিন অন্য কোন পোস্টে আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো। আশা করি আপনাদের কৌতূহল মেটাতে পেরেছি। আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
তবে এটাও সত্যি মানুষটা কোনদিন কখনো আমার কাছে আসার চেষ্টা করেননি। সেদিন থেকেই।কিন্তু আমি একটি মানসিক যন্ত্রণায় ছটফট করে প্রায় মানসিক রোগী হয়ে গেলাম।একদিন রাতে অনেক অসুস্থতার কারণে আমাকে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়ানো হলো।এবং আমি বুঝতেই পারলাম না সেদিন রাতে আমার সাথে কি কি ঘটেছিল।ঠিক তার দুমাস পর আমার প্রচণ্ড বমি হচ্ছিল তাই আমি কিছুই খেতে পারছিলাম না।ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডক্টর আলট্রাসনোগ্রাফি করে দেখে আমার গর্ভে দুই মাসের সন্তান।আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না কি কি ঘটছে আমার সাথে।চিৎকার করে কাঁদতে লাগলাম।এটা কি করে সম্ভব কেমনে সম্ভব কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না।সেই মানুষটা তখন সামনে এসে সেই রাতের কথা আমাকে বলে আশ্বস্ত করে।এবং আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয়।তখনও আমি শিশু।আর শিশুর গর্ভে আরেক শিশু।ডক্টর বলেছিল বাচ্চাটিকে এ্যবসান করতে নইলে আমাকে বাঁচানো যাবেনা।কিন্তু সেদিন আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আজ না হয় কাল সে তো মারা যেতেই হবে কি করে আমি একটা জীবনকে হত্যা করব।বরং একটা নতুন জীবন আসাতে যদি আমার মৃত্যু হয় হোক।
সেদিন থেকেই শুরু হলো নতুন জীবন।শিশুর গর্ভে শিশু।
জানুয়ারি মাসের 23 তারিখ শুক্রবার 13 রমজান।নরমাল ডেলিভারিতে পৃথিবীর আলো-বাতাস দেখল একটি নবজাতক শিশু।যার জন্য আমার আজও বেঁচে থাকা। ওর মুখটি দেখতে পেয়ে এক নিমিষেই আমার সকল কষ্টগুলো ম্লান হয়ে গেল।আমি মা হলাম "স্বামীর সোহাগ" ছাড়াই।কারণ সেদিনের পর থেকে কোনদিন তার সাথে আমার এক বিছানায় থাকা হয়নি তখনো।তবে মা হয়ে আমি আত্ম তৃপ্তি পেলাম আমার মনের মধ্যে একটা গর্ব বোধ করছিল যে পৃথিবীর আলো-বাতাসে আমি একটা জীবন আনতে পেরেছি।সেই থেকে জীবনের অন্যরকম আর এক সংগ্রাম শুরু হলো।12 বছর বয়সে মা হলাম।যে সময়টা আমার খেলাধুলা করার বয়স,, স্কুলে যাওয়ার বয়স,সেই সময়টা শাশুড়ির সেবা বাচ্চা লালন পালন করা পরিবারের সকল কাজ এই আমাক দিয়ে এই
রানো হতো।কিন্তু হ্যাঁ কোনদিন কখনো লেখাপড়া ছাড়িনি।অনেক কষ্টে অনেক অপবাদ শয়েও লেখাপড়াটা চালিয়ে গেছি অবলীলায়।এত বড় জীবনের গল্প ঠিক এতটুকু সমযে কি বলা সম্ভব।
বন্ধুরা সেই দিনের সেই শিশু টাই আজকে আমার বাংলা ব্লগের সন্মানিত মডারেটর।
এখানে আরেকটি কথা বলে যেতে চাই বর্তমান যুগে সিয়ামের মত সন্তান হওয়া বড়ই বিরল ব্যাপার।।আমার জীবনে আমার লেখা আমার সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য অনেক গুলো অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি।আমার জীবনের শেষ চাওয়া টা হলো আমি রত্নগর্ভা মা আওয়ার্ড পেতে চাই। এবং ছোটবেলা থেকেই তা আমি সিয়ামকে বলে এসেছি।আর আমি বিশ্বাস করি মহান আল্লাহ তায়ালা আমার এই ইচ্ছেটা পূরণ করবে।
সিয়াম আমি জানি তুমি একদিন তোমার স্বপ্ন কে ও ছাড়িয়ে যাবে। এটা আমার বিশ্বাস।।
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিরাপদে থাকবেন।এই প্রত্যাশায় আজকের মত এখানেই।
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
কি বলবে ভেবে পাচ্ছি না আম্মু। পোস্টটি পড়ছিলাম আর চোখ দিয়ে পানি পরছিলো। তোমাকে অনেক ভালোবাসি আম্মু। কখনও তেমন ভাবে বলা হয় নি আজ বলছি, তোমাকে অনেক ভালোবাসি আম্মু।
আমি সব কিছু অনেক কাছে থেকে দেখেছি, আমার জন্য যে সব ত্যাগ তুমি করেছো তা হয় তো পৃথিবীতে অন্য কোন মা করতো না। সব সময় তোমার পাশে থাকবো আম্মু এবং তোমার স্বপ্ন আমি পূরন করবো।♥♥♥♥♥♥♥
😢😢😢😢😢
আমার চোখেও পানি চলে আসছে।
♥♥
আমি জানি বাবা তুমি পারবে
আর পারতে তোমাকে হবেই
তোমাকে বলেছিলাম না
তোমার জীবন হবে
সফলতার গল্প,,
দৃষ্টান্ত এক অনুপ্রেরণার নাম হবে
আল সারজিল সিয়াম
বড় বেশি ভালোবাসি তোমাকে
বেশে যাবো আজীবন
রক্তে আমার তুমি আছো
আছো হৃদয় জুড়ে
সফলতার গাইবো গান
একই সুরে সুরে♥♥
ভালো থেকো বাবা তুমি
স্বপ্ন করো পুরন
এই পৃথিবীর বুকে হবে
শ্রেষ্ঠ উদাহরণ
♥♥
ইনশাআল্লাহ প্রিয় ভাই আমার স্বপ্ন পূরণ করতেই হবে 💜
♥♥
সত্যি কথা বলতে আমি কমেন্টের ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। কি বলব বুঝতে পারছি না। আমি একটা মুভি দেখেছিলাম এই রকম। আর এমনটা বাস্তবে আপনার সাথেও হয়েছে, এটা জেনে খুব খারাপ লাগলো।
তবে আমি বাজি ধরে বলতে পারি। আপনি লাখে একজন। এত দুঃখ কষ্ট সহ্য করেও সংগ্রামের সাথে লড়ে গেছেন। সফলতা ছিনিয়ে এনেছেন। স্যালুট বোন আপনাকে।
সত্যি আপনাকে স্যালুট জানাই ভাইয়া আজকে আপনি আমাকে সত্তিকারের ভাইয়ের পরিচয় দিয়েছেন।গতকালকে বলেছিলেন আজ থেকে সিয়াম আমার ভাগনা তখন আমার বুকটা ভরে গিয়েছিল।আমি দেখেছি অন্যদের মতো আপনি বলেন নি যে আপনাকে কি বলে ডাকবো আপনি নিজেই নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বনের পাশে ভাই হয়ে থাকতে।আপনাকেও স্যালুট প্রিয় ভাইয়া। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভকামনা সবসময়♥♥
আপনার জীবনকথা সত্যি সংগ্রামমুখর ম্যাডাম । আপনি জয়ী হয়েছেন । আমাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন । আমরা পুরুষেরা নারীদের দাসী ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারলাম না । এটা আমাদের সমগ্র পুরুষ জাতির জন্য অপমানজনক এবং দারুন লজ্জার ।
দাদা সাথী আপু জীবনের গল্প পড়ে এতোটা আঘাত পেয়েছি তা আপনাকে ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।এই একটি সপ্তাহ আমার কাজ করতে খুবই কষ্ট হয়েছে। আমাদের মাঝে মানুষ রুপে অমানুষ আছে,যারা আমাদের সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
♥♥
আমি শুধু এতোটুকুই জানি দাদা জীবন মানেই সংগ্রাম আর সংগ্রাম করেই আমাদের বেঁচে থাকতে হয়।তবে পৃথিবীর সব পুরুষই কিন্তু খারাপ নয় আমি পুরুষকে খারাপ বলে আবার বাবাকে অপমান করতে পারিনা।আমার ভাইকে অপমান করতে পারিনা।পারিনা আপনাকে ছোট করে দেখতে।আমার সন্তানকে ছোট করে -দেখতে। এই লজ্জা আমাদের সকলের।এ লজ্জা পুরুষতান্ত্রিকতার।আমাদের সমাজ ব্যবস্থার।আপনার উপলব্ধি থেকে আমি প্রেরণা পাই। আমি উজ্জীবিত হই।আমার বাংলা ব্লগের সম্মানিত ভাইয়েরা সম্মানিত বন্ধুরা সবার প্রতি অনুরোধ রেখে বলছি দাদার উপলব্ধিকে এস ধারণ করি।
লাখো সালাম দাদা আপনাকে।।
বাকি কাহিনীগুলো আরো কষ্ট দায়ক।আরো বেশি বেদনা মুখর।♥♥
জীবন আসলেই বড় কঠিন ।আপনার সংগ্রামময় জীবন আরো উৎসব মুখোর হোক এই কামনা করি।আপনার সন্তান আপনার শক্তি আপনার গৌরব।
ঠিক বলেছেন দাদা।সিয়াম এ যুগের আর দশটা ছেলের মত নয়।ও একদম ব্যতিক্রম একদম আলাদা।ওর মাঝে আমি শ্রেষ্ঠত্ব খুঁজে পাই।। দোয়া করবেন আমাদের জন্য শুভকামনা সবসময়♥♥
সত্যি বাস্তবতা কতটা নিষ্ঠুর েএবং নির্মম ততে পারে তা আবারও নতুনভাবে সামনে চলে আসলো, আপনার পুরো ব্লগটি পড়ে। আমি সত্যি কি বললো বা কি বলা উচিত, সেই ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। শুধু এতোটুকু বলবো, সিয়াম তার সাফল্যের উচ্চতায় পৌছাক এবং শেষ পর্যন্ত আপনার পাশে থাকুক। ধন্যবাদ
আপনারা সকলেই আমাদের জন্য দোয়া করবেন আমরা যেন কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি।সিয়াম যেন সত্যি সত্যি একজন আদর্শ মায়ের আদর্শ সন্তান এবং একজন ভালো মানুষ হতে পারে এটাই প্রত্যাশা।
♥♥
আপু আমি আপনার পোস্ট টি অনেক দেরিতে পড়েছি। কিন্তু পড়ে আমার ভাষা হারিয়ে গেছে। আপু আপনার পোস্ট টি পড়ে আমার দু চোখ বেয়ে জল এসে গেল। আপনার মতো এত সুন্দর মানুষের সাথে এটা হলো আমি ভাবতে পারছি না। আসলে আপু আপনি অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন। আপু আপনাকে হাজার স্যালুট।আপু খুব খারাপ লাগছে আপনার জীবনের সাথে এত খারাপ কিছু হয়েছে।সিয়াম ভাইয়া আপনার সব স্বপ্ন পূরণ করবে আপু। আপনি ঠিক একদিন রত্নগর্ভা অ্যাওয়ার্ড পাবেন সেটাই চাই।
এটাই সত্য মানুষের বাহিরের রূপ দেখে ভেতরটাকে কল্পনায় ও আনা যায় না।প্রতিনিয়ত নিজের সাথে সমাজের সাথে অভিনয় করে চলতে হয়।আর কিছু পারি আর নাই পারি অভিনয়টা বেশ শিখেছি দিদিমণি।
♥♥
ওইযে লোকমুখে শুনে এসেছি ছোটবেলা থেকেই কষ্টে যাদের জীবন গড়া তাদের আবার কষ্ট কিসের???অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা বৌদি মনি সহমর্মিতা প্রকাশ করার জন্য♥♥
আমি জানিনা কেনো খুব কান্না করে ফেললাম আপু। শুধু এতোটুকু বলবো, জীবনে একবার হলেও আপনাকে একটি বার জড়িয়ে ধরতে চাই৷ আর @alsarzilsiam আপনাকে অবশ্যই সেই স্বপ্ন পূরন করতেই হবে। অবিরাম ভালবাসা রইলো❤️❤️❤️।
যে আপুমনি জড়িয়ে ধরতে পারলে আমারও ভীষণ ভালো লাগতো।বিশ্বাস করুন আপনাদের কমেন্টের রিপ্লাই দিতে আবার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।সত্যিই আমি কাউকে কষ্ট দিতে চাইনা।মহান বিধাতার কাছে আমার একটি চাওয়া আমার মত জীবন যেন পৃথিবীর আর কোনো নারীর ভাগ্যে না জুটে।।।ভালো থেকো আপু মনি অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা♥♥
আজকের এই পোস্ট আমার জীবনে পড়া একটি শ্রেষ্ঠ পোস্ট। আমি অনেক গল্প পড়তাম,বাস্তবধর্মী গল্প।তবে আজকের এই পোস্ট আমার পুরো কল্পনাকেই হারিয়ে দিল।আপনার জীবনের ছোটবেলা হারিয়ে গেল,আর জীবনের নির্মম সময় পার করে এসেছেন। আর এমন একজন মানুষকে আমার একজন বন্ধু হিসেবে এখানে পেয়েছি,সত্যিই খুব ভালো লাগতেছে আমার।আমি মন থেকেই দোয়া করি যেন আপনার সকল আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়,সবসময় আপনি অনেক অনেক ভালো থাকুন আর সিয়াম ভাইয়ার সব ইচ্ছা আপনি পূরণ করতে পারেন। এমন একজন মা পেয়ে সিয়াম ভাইয়া অনেক লাকি,আমি মনে করি। বিশ্বাস করেন, আপনার জন্য আমার মনের কোণে শ্রদ্ধার পাহাড় জমা হয়ে গেল। জীবন কাহিনীর বাকি কিছু অধ্যায় জানার ইচ্ছা রইল।বাংলার সাহসী একজন মা আপনি,আর আপনাদের মত মানুষের জন্যই প্রতিবাদী কন্ঠস্বার এখনো আছে,তার প্রমাণ হলো সিয়াম ভাইয়া।
সত্যি বলতে আপু আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক ক্ষণ কেঁদেছি।মনে হয় একটা শোকের আবহাওয়া ছুঁয়ে যাচ্ছে মনে।আমি এটা জানি আমার পুরো জীবন কাহিনী যদি আমি লিপিবদ্ধ করতে চাই।তাহলে আরেকটি নতুন ইতিহাস হয়ে রবে এই কাহিনী।আজতো শুধুমাত্র জীবনের একটি অধ্যায়ের ছিটে ফোটা পোস্ট করেছি মাত্র।আমার এত টুকু জীবনে বাস্তবমুখী এত অভিজ্ঞতা হাজারো সিনেমা কে হার মানাবে।
তবে আমি সত্যিই ভাগ্যবতী যে সিয়ামের মত সন্তান আমি গর্ভে ধারণ করেছিলাম।এবং ওকে আমার আদর্শ মত মানুষ করার চেষ্টা করছি।দোয়া করবেন আল্লাহতায়ালা যেন আমাদের সকলকে হেফাজত করেন এবং আমার স্বপ্নগুলো পূরণের সহায়তা প্রদান করেন আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি সহমর্মী হওয়ার জন্য।অনেক অনেক ভালোবাসা ও দোয়া আপনার জন্য আপুমণি।
তবে জীবনের বাকি কিছু অধ্যায়ে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আপনার কথা রাখবো।এতে করে অনেকেই অনুপ্রাণিত হবে এবং অনেকেই সংশোধিত হবে♥♥
আপু আপনার পোষ্টটি পড়ে কি বলবো ভাষা খুজে পাচ্ছি না। প্রতিটি লাইন পড়ার সময় এত বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিলাম যে কি আর বলবো। মানুষের বাইরে দেখে বোঝার উপায় নেই তার জীবনে কি ঘটেছে বা কি ঘটছে। আপনাকে সবসময় হাসিখুশি দেখে মনে হত আপনি সবসময় অনেক সুখি একটি মানুষ। কিন্তু আপনার জীবনের যত দুঃখের মধ্য দিয়ে পার করেছেন তা আজকের পোস্টটি না পড়লে জানতেই পারতাম না। আপনাকে নিয়ে গর্ববোধ হচ্ছে যে আমরা আপনার সঙ্গে কাজ করতে পারছি। আপনাকে দেখে শেখার অনেক কিছু আছে। যদি আপনার কষ্ট না হয় আপনার পরবর্তী গল্প গুলো শুনতে চাই। শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য।😍🥰❤️❤️
যে কষ্টগুলো সয়ে এসেছি তা লিপিবদ্ধ করা অনেক কষ্টের।তবে আপনাদের অনুপ্রাণিত করার জন্য হলেও আমি লিখব।লেখার চেষ্টা করব।ভালো থাকবেন শুভকামনা অবিরাম
♥♥
অনেক কিছুই লিখতে চেয়েও কিছুই লিখতে পারলাম না। জীবন বড়ই বৈচিত্র্যময় ,
আপনার এই চাওয়াও পুরন হোক, এই প্রার্থনা করি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আপনার চমৎকার উৎসাহমূলক মন্তব্য করার জন্যঅনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল সেই সাথে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিরাপদে থাকবেন♥♥