DIY প্রোজেক্ট-ও সৃষ্টিশীলতার গল্প ||~~
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন, এটাই প্রত্যাশা করি।💕
DIY প্রোজেক্ট-ও সৃষ্টিশীলতার গল্প
এক গ্রীষ্মের সকালে ছোট্ট একটি বাড়িতে , যেখানে রোদ যখন চুড়ান্ত তাপে পুড়ে, সেখানে এক তরুণী মায়া তার ঘরের বারান্দায় বসে কাগজ নিয়ে খেলা করছিল। মায়ার হাতে ছিল লাল এবং সবুজ রঙের কাগজ, যা দিয়ে সে একটি তরমুজ বানানোর পরিকল্পনা করেছিল।
মায়া ছিল একজন কথা শিল্পী, তার হাতের কাজগুলো ছিল ছোট্ট বাড়িটিতে বিখ্যাত। সবাই জানতো, মায়া কাগজ, রঙ, এবং মনের কল্পনা দিয়ে এমন কিছু বানাতে পারে, যা দেখলে মনে হয় জীবন্ত। সেই দিন মায়া মনস্থির করলো, সে একটি তরমুজ বানাবে—যেটা দেখে সবাই বুঝবে না, এটি আসল না নকল।
সে লাল কাগজের টুকরো দিয়ে তরমুজের ভেতরের রসালো অংশ বানালো, যেখানে প্রতিটি বিচি, প্রতিটি লাল রেখা নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুললো। তারপর সবুজ কাগজ দিয়ে সে তরমুজের খোসা তৈরি করলো, এমনভাবে মুড়িয়ে দিলো যেন মনে হয় তরমুজটা একটু আগে ক্ষেত থেকে তুলে আনা হয়েছে।
মায়া যখন তরমুজটা শেষ করলো, তখন মনে হলো, এই তরমুজ যেন কাগজের না, সত্যিকারের কোনো মাঠের তরমুজ। তার তরমুজটা নিয়ে ***আমার বাংলা ব্লগের ***পথে ঘুরতে বের হলো, সবাইকে দেখানোর জন্য। কিন্তু সবাই যখন তার তরমুজটা দেখলো, তখন তারা বিশ্বাস করতে পারলো না যে এটি কাগজ দিয়ে তৈরি।
সবাই মায়াকে জিজ্ঞাসা করলো, “কোথায় পেলে এমন সুন্দর তরমুজ?” মায়া হেসে উত্তর দিলো, “এটা আমি নিজেই বানিয়েছি কাগজ দিয়ে!”
মায়ার তরমুজের গল্পটি আমার বাংলা ব্লগে ছড়িয়ে পড়লো, আর সেই তরমুজ হয়ে উঠলো মায়ার সৃষ্টিশীলতার আর এক প্রতীক। সবাই জানলো, প্রকৃত শিল্পীর হাতে কোনো কাঁচামালই অপ্রয়োজনীয় নয়—এমনকি কাগজও হতে পারে জীবন্ত এক শিল্পকর্ম। মায়ার তরমুজ শুধু একটি কাগজের সৃষ্টি নয়, এটি তার সৃষ্টিশীলতার গল্প, তার মনের কল্পনার প্রতিচ্ছবি।
সেই দিন থেকে মায়ার তরমুজ সবার মধ্যে আনন্দ এবং সৃষ্টির উৎসাহ ছড়িয়ে দিতে লাগলো। প্রত্যেকে তার থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজ নিজ ক্ষেত্রে সৃজনশীল হতে শুরু করলো। আর মায়া? সে তরমুজটা একটি বিশেষ জায়গায় রেখে দিলো, যেন তার প্রতিদিনের কাজগুলো তাকে সবসময় মনে করিয়ে দেয়, “কল্পনার কোনো সীমা নেই।”
DIY প্রোজেক্ট- রসালো তরমুজ |~~
☆꧁ DIY প্রোজেক্ট- তরমুজ ꧂
- রঙিন কাগজ
- কাচি
- স্কেল
- আঠা
প্রথমে লাল এবং সবুজ রঙের কাগজগুলো মাপ মতো গোলাকার র করে নিলাম পেন্সিল দিয়ে।
এবার কাগজগুলো গোল করে কেটে নিলাম। এবং সবুজ রঙের কাগজটিতে এভাবে আঠা লাগিয়ে নিলাম।
এবার সবুজের উপরে লাল রঙের কাগজটি লাগিয়ে দেবো।
এবার কাগজগুলো মাঝামাঝি ভাজ করে নেব। এবং পেন্সিল দিয়ে মাঝে মাঝে গোল আকৃতি করে তরমুজের বিচি বানিয়ে নেব।
তৈরি হয়ে গেল খুবই চমৎকার রসালো লাল টকটকে তরমুজ।
বন্ধুরা আশা করছি আমার আজকের এই প্রজেক্টটিও আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। অনেক অনেক শুভকামনা জানিয়ে আজকের মতো বিদায়। টা টা
আমি ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা।আমার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করি। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই- সাথীর শত কবিতা,অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি' অবরিত নীল সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। আমি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনয়ন পেয়েছি। এছাড়াও ,ওপার বাংলা বঙ্গবন্ধু রিসার্চ এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন ভারত বাংলাদেশ। কবিগুরু স্মারক সম্মান ২০২৪ অর্জন করেছি।
বিষয়: ডাই প্রজেক্ট
কমিউনিটি
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
কাগজ দিয়ে তৈরি করা তরমুজ খুবই সুন্দর হয়েছে আপু। দেখতে একেবারে সত্যিকারের তরমুজের মতই লাগছে। মনে হচ্ছে তরমুজের টুকরো সাজিয়ে রাখা হয়েছে।দারুন হয়েছে আপু আপনার পোস্ট।
খুবই সহজ এবং সিম্পল ভাবে, রঙিন কাগজ দিয়ে এরকম তরমুজ বানাতে পেরে, বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছেও। আপনার চমৎকার মন্তব্য আমাকে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করেছে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় আপু।
আপু সুন্দর একটি গল্পও লিখলেন, সেই সাথে সাথে সুন্দর করে একটি ডাই পোস্টও শেয়ার করেছেন। আপনার আজকের ডাই পোস্টটি বেশ দারুন হয়েছে। বেশ সুন্দর করে ডাই পোস্টটির প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপু এমন সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ইদানিং ডাই প্রজেক্ট এর সাথে গল্প লিখতে বেশ ভালো লাগে। রূপক এই গল্প গুলো অন্যরকম এক ভালো লাগার সৃষ্টি করে। ডাইপ্রজেক্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।
আজকের গল্পে খুব সুন্দর একটা লাইন পড়লাম। আসলেই তাই প্রকৃত শিল্পীর হাতে কোনো কাঁচামালই অপ্রয়োজনীয় নয়। মায়া সত্যিই খুব সুন্দর তরমুজ বানিয়েছে কাগজ দিয়ে। বেশ ভালো লাগলো আপনার ডাই প্রজেক্ট দেখে। সেই সাথে গল্পটাও খুব সুন্দর ছিল। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
পুরো গল্পটি পড়ে, এত চমৎকার একটি লাইন খুঁজে বের করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। ভালোলাগার মতো করেই এই ডাইপ্রজেক্টটি তৈরি করার চেষ্টা করেছি। আপনার উৎসাহ মূল্যক মন্তব্য আমাকে অনেক বেশি উজ্জীবিত করেছে অসংখ্য ধন্যবাদ আবারো।
অসাধারণ একটি গল্প লিখেছেন সেই সাথে রঙিন কাগজ দিয়ে ডাই প্রজেক্টটি দেখতেও বেশ দারুন লাগছে।একদম সত্যিকারে তরমুজের মতোই লাগছে। রঙিন কাগজ দিয়ে যে কোন কিছু তৈরি করলে দেখতে অনেক ভালো লাগে।অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আমার করা ডাই প্রজেক্ট এবং সৃজনশীলতার গল্প আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। বেশ কয়েকদিন ধরেই ভাবছিলাম তরমুজ বানিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আর তাই গতকাল রাতে লাল এবং সবুজ কাগজ দিয়ে এই তরমুজ বানিয়েছিলাম। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
পেছন দিকটা খালি রয়েছে না গো? কিন্তু সামনে থেকে দেখে বোঝাই যাচ্ছে না। দারুন দেখতে লাগছে। তরমুজ আমার প্রিয় ফলগুলোর মধ্যে পড়ে।
ঠিক বলেছো পিছনের দিকটা একেবারেই খোলা। তারপরেও দেখতে ঠিক তরমুজের মত। আর এটাই হল বড় কারিশমা। হা হা হা,,।
তরমুজ খেতে আমারও ভীষণ ভালো লাগে।ভালো থেকো সবসময় অনেক অনেক শুভকামনা তোমার জন্য।