꧁স্বরচিত কবিতা꧂☆উত্তরবঙ্গের পিতা꧂☆
☆꧁স্বরচিত কবিতা꧂☆
☆꧁উত্তরবঙ্গের পিতা꧂☆
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন। এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা - বন্ধুরা আজ আমি আমাদের উত্তরবঙ্গের স্বনামধন্য একজন ব্যক্তি কে নিয়ে একটি কবিতা লিখেছি। আর কবিতার শিরোনাম দিয়েছি উত্তরবঙ্গের পিতা। এই শিরোনামে অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন জেগে উঠতে পারে। এবং এটা খুব বেশি স্বাভাবিক। আমি প্রায় ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি অনুভব ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করান। আস্তে আস্তে তার মেধা তার স্বপ্ন সবকিছুকে কাজে লাগিয়ে নীলসাগর গ্রুপ নামে একটি প্রতিষ্ঠান করেন। এই নীলসাগর গ্রুপের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গে হাজারো মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। অনেক অসচ্ছল পরিবারের মানুষদের মুখে তিনি হাসি ফোটাতে সক্ষম হয়েছেন। আমার কাছে তিনি একজন অনন্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী। নীলফামারীর মতো তৃণমূল পর্যায়ের জন্ম নিয়ে আজকে উনি যেভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তা আমাদের নীলফামারী বাসির জন্য গৌরবময়। তিনি আমাদের অঞ্চলের সিঁদল এবং শোল মাছ খেতে ভীষণ পছন্দ করেন। তিনি নিয়মিত তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করেন। এবং পরিকল্পিতভাবে তার কর্ম জীবন পরিচালনা করেন।
এবং তার আচার-আচরণে অনেকেই সন্তুষ্ট। এমন একজন গুণী ব্যক্তি কে নিয়ে আজ দুকলম লিখতে পেরে আমার নিজের কাছেও বেশ ভালো লাগছে।আমাদের অঞ্চলে আমার দেখা শ্রেষ্ঠ একজন মোটিভেটর। আমার অনেক প্রোগ্রামে আমি ওনাকে উদাহরণস্বরূপ দার করাই। যাইহোক সকলেই এই বিশেষ ব্যক্তির জন্য দোয়া করবেন ওনার মাধ্যমে যেন আরো হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়।তার দীর্ঘায়ু কামনা করছি মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে।
তবে চলুন দেরি না করে কবিতাটি পড়ে আসি।
আশা করছি কবিতাটি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে। আর আপনাদের ভালো লাগাই আমার পরম পাওয়া আমার স্বার্থকতা।
উত্তরের এক কৃতি সন্তান
বলবো যে তার গল্প,,
এই কবিতায় তুলে ধরলাম
পুরোটা নয় অল্প।
নূরানী তার গায়ের বরণ
মায়ায় ভরা মুখ,
হাজার মানুষের পিতা তিনি
এটাই বড় সুখ।
সিঁদল আর শোল মাছ-
খেতে ভালোবাসেন,,
মাঝে মাঝে ইচ্ছে মতোই
প্রাণ খুলে হাসেন।
আমার দেখা এই অঞ্চলের
শ্রেষ্ঠমোটিভেটর,
দক্ষ তিনি, সাহসী তিনি -
নেই তো অবসর।
তাহাজ্জুতের নামাজ পড়ে
অশ্রু ঝড়ান তিনি,
হাজার মানুষের কর্মসংস্থান
গড়ে তুলেছেন যিনি।
"নীলসাগর"গ্রুপ যে তাঁর
সফলতার ফল,
হোঁচট খেলেও যায়না থেমে
বাড়ায় মনোবল।
নীলসাগরের জন্য হল
নীলফামারী ধন্য,
ঘরে ঘরে দেখি এখন
নীলসাগরের পণ্য।
নীলকদমের মিষ্টি যেন
স্বাদে ভরপুর
মুখে দিলেই কাছে টানে
দেয় না যেতে দূর।
নীলসাগর এগিয়ে যাক
আরো বহু দূর,
নীলাঞ্চলের ঘরে ঘরে
বাজুক -বিজয় সুর।
সীমাহীন স্বপ্নগুলো
বাস্তবে নিক রুপ,
নিন্দুকেরা এবার না হয়
যাক হয়ে যাক চুপ।
মহানুভাব অন্তরে যার
সাগর সমান মন,
উত্তরাঞ্চলের উন্নতিতে
তাঁকেই প্রয়োজন।
"আহসান হাবিব লেলিন" ভাই
অনুপ্রেরণার নাম,
উত্তরবঙ্গের পিতা তিনি
লাখো কোটি সালাম।
মায়ের মত স্বর্গ কি আর
টাকায় পাওয়া যায়-?
সেই স্বর্গে কজন সন্তান
যেতে বল পায়-?
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
বিষয়: (কবিতা )
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
নিঃসন্দেহে এটা মানতে হবে আপু যে ,আহসান হাবিব লেলিন আমাদের উত্তরবঙ্গের একজন গৌরবময় মানুষ।তার সান্নিধ্যে অনেক পরিবারের মুখে হাসি ফুটেছে।তার কৃতিত্ব অনস্বীকার্য।আহসান হাবীব স্যার কে নিয়ে দারুন ছন্দ মিলে একটি কবিতা লিখেছেন।পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম আপু।আপনার জন্যে শুভ কামনা করছি,অবশ্যই আপনি একদিন আমাদের দেশের সুনাধন্য কবির খেতাব পাবেন।
নিঃসন্দেহে উনি আমাদের উত্তরবঙ্গের পিতার মতো। নীলফামারীর জন্য অবশ্যই গৌরবময়। আমার কাছে তিনি একজন শ্রেষ্ঠ মোটিভেটর।
মানুষের জীবনে ইচ্ছে শক্তি থাকলে অনেক কিছু সম্ভব। এতো সুন্দর একটা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করান। যার মধ্যে দিয়ে এতো মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এটা দারুণ একটা উদ্যোগ ছিল। আপনি সেই উত্তরবঙ্গের পিতা নিয়ে এতো সুন্দর একটা কবিতা লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করা জন্য অনেক ধন্যবাদ।
উনি একজন সফল উদ্যোক্তা। আজ ওনার মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। অনেকগুলো মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছেন তিনি। এরকম মহৎপ্রাণ মানুষের জন্য সব সময় শুভকামনা।
আহসান হাবীব স্যারকে নিয়ে খুবি সুন্দর কবিতা লিখেছেন। কবিতা ছন্দে মিল রয়েছে। আসলে এই কবিতাটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। কবিতার মাধ্যমে তার অনুদানের কথা আপনি স্বীকার করেছেন। আসলে ভালো মানুষের কদর যেন সব সময় থাকে। আর ভালো মানুষ আছে বলেই পৃথিবীটা আজও টিকে রয়েছে।
আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি ভালো মানুষ আছে বলেই আজো পৃথিবীটা বেঁচে আছে। সুন্দর আছে।
আসলে যারা দুনিয়ার বুকে ভালো কিছু করে যান তাদের মূল্যায়ন মানুষ যুগ যুগ ধরে দিতে থাকেন। ঠিক তেমনি একটা কবিতা লিখে শেয়ার করেছেন আপনি। আর এই কবিতার লেখার মধ্য দিয়ে কিন্তু অনেকেই জানতে পারবে অচেনা এক মানুষ সম্পর্কে। আর এভাবেই মহৎ ব্যক্তিরা যুগ যুগ মানুষের দৃষ্টিতে বেঁচে থাকেন। যাই হোক কবিতাটা বেশ ভালো লাগলো আপু।
মহৎপ্রাণ মানুষগুলো যুগ যুগ বেঁচে থাকুক তাদের কর্মগুণের ফলে। তাদের প্রতি সব সময় বিনম্র শ্রদ্ধা।
আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে উনি বেশ ভালো এবং মহৎ একজন মানুষ।
উনার মানুষ যদি বাংলাদেশের প্রতিটা অঞ্চলে থাকত তাহলে হয়তো এই পরিবেশ পরিস্থিতি গুলো বদলে যেত। উনার চরিএ উনার কাজ আপনার কবিতার মধ্য দিয়ে খুব সুন্দরভাবে উঠে এসেছে। চমৎকার লিখেছেন কবিতা টা আপু। ধন্যবাদ আমাদের সাথে কবিতা টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
এটা ঠিক বলেছেন উনার মত মানুষ যদি প্রতিটা অঞ্চলে থাকতো তাহলে অনেক বেশি উদ্যোক্তা তৈরি হতো। আমরা সকলেই এই মহৎ প্রান মানুষটির জন্য মন থেকে দোয়া করব।