꧁দীঘা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ ꧂☆
☆꧁দীঘা ভ্রমণ ꧂☆
☆꧁꧂☆
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন। এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা - কলকাতা থেকে প্রায় দুইশ কিলোমিটার দূরে দীঘা সমুদ্র সৈকত অবস্থিত। দীঘা ঘুরে দেখার জন্য আমাদের এক কবি দাদা তিনি খুব জেদ করেছিলেন আমাদেরকে।।
আমাদের কবি সুকেশ দাদার সাথে পরিচিত হয় আর এক দাদা উনার নাম ছিল প্রশান্ত কুমার।।
প্রশান্ত কুমার দাদা থাকেন পাঁশকুড়ায়। সেখানে তার আবাসিক হোটেল ছাড়াও আরো অনেকগুলো ব্যবসা আছে। দাদা খুবই চমৎকার মনের মানুষ।আন্তরিকতায় ভরপুর। তাছাড়া দীঘাতেও তার একটি খুবই চমৎকার আবাসিক হোটেল রয়েছে। সমুদ্র সৈকতের খুব কাছাকাছি। এবং পাশেই রয়েছে খাবার রেস্টুরেন্ট। তিনি আমাদের থাকা খাওয়া সবকিছু ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। খুবই আন্তরিকতার সাথে। এবং উনার রিকোয়েস্টই আমরা দেখাতে বেড়াতে যাই। প্রথমেই আমরা পাঁশকুড়া থেকে প্রথমেই আমরা পাঁশকুড়া থেকে রেল স্টেশনে গিয়ে টিকিট সংগ্রহ করি। এরপর আমরা ট্রেনে উঠি। যদিও প্রথম ট্রেনটি আমরা মিস করেছিলাম। আর তাই দ্বিতীয় ট্রেনে উঠে পড়েছি। ইন্ডিয়ায় একটা জিনিস খুবই ভালো লেগেছে আমার কিছুক্ষণ পরপর এই ট্রেন ছিল। সেখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই ভালো।আমি ওখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা দেখে অনেক বেশি হ্যাপি।
ট্রেনে যেতে যেতেও অনেকের সাথে পরিচয় হলো। আর পরিচিত হতে পেরেও বেশ ভালো লাগলো তাদের সাথে। কিন্তু সবচেয়ে কষ্টের বিষয় ছিল।এত পরিমান গরম যে গরমটা আমার সহ্যের বাইরে ছিল।
অসহ্য এবং অস্থির গরমে আমি প্রায় ঘামতে ঘামতে কালো হয়ে যাচ্ছিলাম। কিছুক্ষণ পরপর পিপাসায় বুকটা ফেটে যাচ্ছিল। সেখানে প্রচুর পরিমাণে পানি কিনে খেয়েছি আমরা।জয় হোক দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা জার্নি করার পর আমরা দীঘা পৌঁছে গেলাম। প্রশান্ত দাদার রেস্টুরেন্টের নাম বন্ধন ইন। স্টেশনের খুব কাছাকাছি হওয়ায় আমরা হেঁটে হেঁটেই সেই হোটেলে প্রবেশ করলাম। এবং হোটেলের যে নিয়মকানুন আছে সেগুলো প্রসেসিং করলাম।এবং রুমে উঠেই আমরা একটু রেস্ট নিয়ে ফ্রেশ হয়ে নেই। এবং দুপুরবেলা আমরা সেখানে খাওয়া-দাওয়া করি।
এরপর দীঘা সমুদ্র সৈকতে গিয়ে কিছুক্ষণ সেই পানিতে অনেক ভেজা ভেজি করি।লাফালাফি করি।
সেখানে অনেক পর্যটক দেখতে পাই এত ভিড় এত গরমের মধ্যেও। তবে বাংলাদেশের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভিজে যে মজা পাই সেটা সেখানে ছিল না।
তবে সন্ধ্যেবেলা আমরা যখন সমুদ্রের কাছাকাছি বসে ছিলাম তখন সেখানকার বাতাসটা আমার কাছে দারুণ লেগেছিল।
এবং সেখানকার বড় বড় পাথরগুলো বেশমুগ্ধ করার মত। তবে গরমটা একটু কম হলে আরো বেশি উপভোগ করতে পারতাম।এত বেশি গরম লেগেছিল যে আমার কাছে মনে হচ্ছিল পুড়ে যাচ্ছি। তারপরেও আমরা বেশ মজা করেছি বেশ এনজয় করেছি এবং মনে থাকবে দীর্ঘদিন। যাইহোক বন্ধুরা দীঘা ভ্রমণের সংক্ষিপ্ত বিবরণী আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।পরবর্তীতে আস্তে আস্তে আবারও সবকিছু শেয়ার করে নেব ইনশাআল্লাহ। সকলে ভালো থাকবেন।সুস্থ থাকবেন।সকলের দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই টা,,টা,,,
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
বিষয়:
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আপনার দীঘা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণের মুহূর্ত পড়ে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো। আর একটি কথা না বললেই নয় প্রথম ফটোগ্রাফিতে আপনাকে কিন্তু চমৎকার লাগছে। আসলে গরমের মধ্যে কোথাও যেয়ে শান্তি নেই ।তবে সমুদ্রে ঝাঁপাঝপি করলে মনে হয় বেশ মজা পাওয়া যায় ।গরম হলেও সমুদ্রে আপনারা বেশ ভালো সময় উপভোগ করেছেন জেনে ভালো লাগলো ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
প্রচন্ড এই গরমে সমুদ্রের পানিতে লাফাঝাপা করেও তেমন মজা পাই নাই। শরীরের ভেতরে কেমন যেন একটা আঠালো ভাব চলে এসেছিল ওই পানিতে ভেজার কারণে। তবে দীঘা সমুদ্র সৈকতে সন্ধ্যায় বসে থাকতে দারুন লাগে। 🌹🌹
দীঘা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করার দারুন কিছু মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে তুলে ধরেছেন। কিন্তু অতিরিক্ত গরমের কারণে আপনাদের এনজয় কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে, তারপরেও ভালো এনজয় করেছেন। যাইহোক দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা জার্নি করার পর আপনারা দীঘা পৌঁছে গিয়েছিলেন। প্রশান্ত কুমার দাদা অনেক আন্তরিক ছিলেন তার জন্য আপনারা অনেক সুন্দর ভাবে দীঘা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করতে পেরেছেন। আমাদের সাথে আপনার দারুন কিছু ফটোগ্রাফি এবং অনুভূতি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
দীঘা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছে। আগামীতে আরও বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করব।ভালো থাকবেন সব সময়। 🌹🌹
হ্যাঁ আপু কোথাও যেতে যেতে যদি অচেনা মানুষের সাথে কথা হয় এবং সুন্দরভাবে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয় তাহলে খুবই ভালো লাগে। তবে আপনার এই ভ্রমণ করার মুহূর্তে প্রচন্ড গরমটা অসহনীয় ছিল জেনে খুবই খারাপ লাগলো। আসলে প্রচণ্ড গরম আমরা অতিক্রম করলাম কিছুদিন ধরে। এখন আবহাওয়া যথেষ্ট অনুকূলে রয়েছে। যাইহোক অনেক কিছু জানানোর সুযোগ করে দিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।
এত সুন্দর জার্নিটাতে শুধুমাত্র গরমের কারণে অস্থির হয়ে উঠেছিল। অসহনীয় এই গরমের কথা জীবনেও ভুল বলা। আমার গোটা মুখ যেন ঝলসে গিয়েছে এমন অবস্থা। 🌹❤️🌹
সেখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা তাহলে আসলেই খুব সুন্দর। দীঘা সমুদ্র সৈকত এর সৌন্দর্য অসাধারণ। অনেকের সাথে পরিচিত হয়েছেন। খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন সেখানে। আপনাকে তো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে আপু। সমুদ্র আমার বেশ পছন্দের জায়গা। আপনার পোস্ট দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
আসলেই দীঘা সমুদ্র সৈকত অনেক সুন্দর দেখতে।সেখানকার মনোরম পরিবেশ আমার কাছে দারুণ লেগেছে।সবমিলিয়ে উপভোগ্য ছিল সময় গুলো।
🌹❤️🌹
আপু, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত তো অনেক বড় এবং সুন্দর। ওখানকার সাথে দীঘার সমুদ্র সৈকতের তুলনা চলে না। তাছাড়া আপনি যে টাইমে দীঘা ঘুরতে গিয়েছিলেন, ওই টাইমে হয়তো প্রচণ্ড গরম ছিল। এজন্য আপনার একটু কষ্ট বেশি হয়েছিল। তবে সব মিলিয়ে যে আপনি এনজয় করেছেন ব্যাপারটা, এটা জেনে খুব খুশি হলাম।
আসলে আমি কক্সবাজারের সাথে দীঘা সমুদ্র সৈকতে তুলনা করি নাই। জাস্ট একটু তুলে ধরেছি মাত্র। তবে দীঘা সমুদ্র সৈকতে সন্ধ্যার সময় বসে হিমেল বাতাস এবং সেই সাথে বাংলা গানের সুরে বেশ ভালো সময় কেটেছিল। 🌹🌹