নিজের লেখা কবিতা প্রার্থনা 🤲||~~
স্বরচিত কবিতা
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ হঠাৎ করে আসা,কিছু কালো রাত্রি পেরিয়ে ঠোঁটে মুখে বিষণ্ণতার প্রলেপ মেখে, আমিও বেশ ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন, এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা আজ আবারো নিজের লেখা আর একটি কবিতা নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
"প্রার্থনা" শিরোনামে গদ্য কবিতাটির মূলভাব হলো শিক্ষার্থী আন্দোলনে রক্তপাত বন্ধ করার জন্য এক আন্তরিক প্রার্থনা। কবিতাটি শিক্ষার্থী, তাদের পরিবার, শিক্ষক এবং সমাজের প্রতি আহ্বান জানায় যাতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও শান্তি নিশ্চিত হয়। আমি শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ও নির্ভীক ভবিষ্যতের প্রার্থনা করেছি এই কবিতার মাধ্যমে। এবং সমাজের কাছে অনুরোধ করেছি 🙏যাতে শিক্ষার্থীদের আবেগ ও আকাঙ্ক্ষাকে শ্রদ্ধা করা হয়।
গদ্য কবিতাটিতে শিক্ষার্থীদের প্রতি সহানুভূতি, তাদের মা-বাবার প্রতি মমতা, শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা, এবং সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ প্রকাশ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সংগ্রামকে শান্তিপূর্ণ ও রক্তহীন করার এই আকাঙ্ক্ষা এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি নির্ভীক ও মানবিক পরিবেশ তৈরির আশাবাদই মূলভাবের মূলে রয়েছে।
"প্রার্থনা"
শিক্ষার্থী আন্দোলনে আর কারো যেন রক্ত না ঝরে—এই প্রার্থনায় আমি আজ কলম তুলে ধরেছি।
রক্তস্নাত অঙ্গন আর দেখি না,
বুলেটের শব্দে কেঁপে ওঠা
প্রিয় মুখ আর দেখি না।
আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন আর
কোনোদিন রক্তাক্ত না হয়, যেন
তাদের চোখে আর কোনোদিন ভয় না থাকে।
প্রিয় আলোকবর্তিকা,
যে শিক্ষার্থীরা জ্ঞানের পিপাসায় মগ্ন,
যারা বইয়ের পাতায় সন্ধান করে
নতুন দিনের আলোর,
তাদের জন্য শান্তির প্রার্থনা করি।
আন্দোলন হোক ন্যায়ের,
হোক পরিবর্তনের—
কিন্তু রক্তের বিনিময়ে নয়।
প্রিয় মা-বাবা,
তোমাদের সন্তানদেরকে
ঘরে ফিরে আসতে দাও,,নিরাপদে দাও।
তোমাদের চোখের জলের বদলে
হাসির প্রার্থনা করি, কারণ
তোমাদের সন্তানেরা এই দেশের ভবিষ্যত।
প্রিয় শিক্ষক,
তোমাদের শিক্ষা হোক মানবতার, সহমর্মিতার। শিক্ষার্থীদের যেনো আর কোনোদিন
শিক্ষার জন্য জীবন দিতে না হয়,
সেই প্রার্থনা করি।
তোমাদের শিক্ষার আলোতে যেন
তাদের পথ আলোকিত হয়,
কোনোদিন অন্ধকারে ঢেকে না যায়।
প্রিয় সমাজ,
তুমি তাদের কথা শুনবে।
তাদের আবেগ, তাদের চাওয়া,
তাদের আশা তুমি উপলব্ধি করবে।
শিক্ষার্থীদের রক্তের বিনিময়ে
নতুন সূর্যোদয়ের — প্রার্থনা করি ।
প্রিয় বন্ধুরা,
একসাথে আমরা দাঁড়াই,
একসাথে আমরা লড়ি—
কিন্তু শান্তিপূর্ণভাবে।
আমাদের একতা হোক শক্তির,
আমাদের স্বপ্ন হোক রক্তহীন।
তোমাদের জন্য আজ প্রার্থনা করি,
যেন তোমাদের আশা, তোমাদের স্বপ্ন,
তোমাদের আন্দোলন আর কখনোই
রক্তে লাল না হয়।
প্রার্থনা করি,
যেন শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শান্তি ও সম্মানের পথে এগিয়ে চলে। রক্তের বিনিময়ে নয়, প্রেম আর মানবতার আলোতে উদ্ভাসিত হোক তাদের পথ।
১ আগস্ট ২০২৪
সময় বেলা - ৩:১১
কবিতা কুটির - নীলফামারী ।
বন্ধুরা আমার আজকের কবিতটি, নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর আপনাদের ভালোলাগাই আমার সার্থকতা ও পরম পাওয়া। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। পরবর্তীতে আবারো সুন্দর সুন্দর কবিতা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব, আমি সেলিনা সাথী...
আমি সেলিনা সাথী। ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা তার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। আমার বাবা পিতা মরহুম শহিদুল ইসলাম ও মাতা রওশনারা বেগম। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি'সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনীত হয়েছি।
বিষয়: ক্রিয়েটিভ রাইটিং
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে দারুন একটা কবিতা লিখেছেন। আসলে শান্তিপূর্ণ এবং রক্তহীন আন্দোলনের প্রার্থনা আমরা সবাই করি। আপনার আজকের গদ্য কবিতার প্রত্যেকটা লাইন সত্যি অসাধারণ ছিল। বেশ ভালো লেগেছে কবিতাটা পড়ে। নিজের দায়িত্ববোধ থেকে কবিতাটা লিখেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দেশের বর্তমান অবস্থা কে তুলে ধরে আপনি আজকে অনেক সুন্দর একটা কবিতা লিখেছেন। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রার্থনা জানিয়ে খুব সুন্দর করে কবিতাটা লিখেছেন। আপনার লেখা কবিতাটা অনেক সুন্দর হয়েছে। আমরা সব সময় শান্তিপূর্ণ এবং রক্তহীন আন্দোলনের প্রার্থনাই করি। এখনো পর্যন্ত অনেক শিক্ষার্থী মারা গিয়েছে। এগুলো ভাবতে অনেক খারাপ লাগছে। কবিতার লাইনগুলো সুন্দর করে লিখেছেন।
তোমার প্রতিবাদের ভাষা কলমের মাধ্যমে এভাবেই ফুটে উঠুক। অসাধারণ কলম তোমার। কাব্যিক রঙে ফুটিয়ে তোলো অক্ষর। আলোকবর্তিকা শব্দটির অনেকদিন পরে সুন্দর ব্যবহার দেখলাম৷ চালিয়ে যাও৷ কলমের শক্তি অনেক৷ আলোর পথ আসবেই। অন্ধকার ক্ষণস্থায়ী। কেটে আবার সূর্য উঠবেই। কলমই তো মানুষকে স্বপ্ন দেখায়।
শুনেছি অস্ত্রের চেয়ে কলমের শক্তি অনেক বেশি। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি আমার জায়গা থেকে। যেভাবেই হোক প্রতিবাদ তো করতে হবে তাইনা।