১৮ মার্চ আমার জন্মদিনের কিছু অনুভূতি||~~
🇧🇩১৮ মার্চ আমার জন্মদিনের কিছু অনুভূতি 🇧🇩
আমার জন্মদিনের স্পেশাল শুভেচ্ছা সবাইকে।আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলেই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালোই আছি।আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা, আজ ১৮ মার্চ আমার জন্মদিন। আর আমার জন্মদিন কে ঘিরে নানা রকম স্মৃতি আছে। আছে আনন্দের, আছে বেদনার, আছে আশ্চর্যজনক,এই তারিখটি দিয়ে কেউ কবিতা লিখেছে। কেউ প্রেজেন্টেশন বানিয়েছেন। কেউবা নানাভাবে উইশ করে আমাকে আশ্চর্য করেছেন। অর্থাৎ এপার বাংলা ওপার বাংলা এবং প্রবাস বাংলা মিলে,
এত এত শুভাকাঙ্ক্ষী এত ভাবে উইশ করেন যা আমি আপনাদেরকে ভাষায় বলে বোঝাতে পারবো না। এত মানুষ আমাকে ভালোবাসে আজকের এই দিনটা না আসলে আমি বুঝতেই পারতাম না। আমার জন্মদিনে সবার আগে আমি মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে, আমার শ্রদ্ধাভাজন মাতা পিতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে, আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আসলে আমার জন্মদিন কখনো খুব দমদমে পালন করা হয়েছে। অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানে। বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্নভাবে আমার জন্মদিন কে পালন করেছে। আমার বাসায় ছোট ছোট পরিসরে আমার সন্তানেরা পালন করেছে। জীবন চলার পথে আমার সহকর্মীরা আমার জন্মদিন পালন করেছে।
গত বছরেও এই দিনটি ধুমধাম করে পালিত হয়েছিল নীলফামারী এল,জি,ইডি ভবনে।অনেক কবি সাহিত্যিকদের উপস্থিতিতে আমার কেক কাটা হয়েছিল।নাম না জানা অনেকেই আমাকে গিফট পাঠিয়েছিলেন বিভিন্ন জন্মদিনে। যেগুলো এখনো স্মৃতি হিসেবে আমার ঘরে রয়েছে।ভাবছেন আজকে এসব গল্প কেন করছি-?
ছোট করে বলি শুনুন তাহলে-সেই ছোটবেলা থেকেই জীবন যুদ্ধে আমি একজন যোদ্ধা। আমার খুব কাছের আত্মীয়-স্বজন কিংবা আপনজন এই দিনটিকে ঘিরে তাদের যতনা উচ্ছ্বাস ছিল তার চেয়ে বেশি উচ্ছ্বাস ছিল আমার এই বাহিরের জগতের অর্থাৎ আমার কর্ম জগতের মানুষদের। নিকট আত্মীয়-স্বজনরা শুধু প্রত্যাশা করে।উপহাস করতেও ছাড়ে না তারা। না সবার কথা বলছি না কেউ কেউ। যে দিনটা আপনজনেরা মনে রাখে না অথচ,বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো যখন আমার জন্মদিন পালন করে তখন আমি অভিভূত হই আমি মুগ্ধ হই আমি আপ্লুত হই। আর আজকের এই আমি টা তৈরি হতে অনেক কাট করি পোড়াতে হয়েছে।
আজ আমি গর্ববোধ করতে পারি।মহান আল্লাহ তায়ালা আমাকে দুটো হীরের টুকরো পাঠিয়েছেন।আমার জন্মদিনে তারা যেভাবে আমাকে উইশ করে তা প্রাণে দাগ কেটে যায়। আর ওদের এই ভালোবাসা এই মায়া এই মুহূর্ত আমাকে আরো বেশি গর্বিত করে।
নিজেকে মনে হয় আমি শ্রেষ্ঠ সন্তানের মা। মনে হয় পৃথিবীতে আমি শ্রেষ্ঠ সুখী মানুষদের মধ্যে অন্যতম একজন। আমার সন্তানেরা যে ভাষাগুলো বলে আমাকে উইশ করে সে ভাষাগুলো সাধারণ কোন ভাষা নয়। অনেক সন্তানরাই যা পারে না। অবাক হয়ে গেলাম গতকাল রাত ১২:০১ (বারোটা এক) মিনিটে দুই ভাই একই সঙ্গে আমাকে কল দিয়েছে।এবং আমার প্রত্যাশা চেয়েও ভালোভাবে তারা আমাকে উইশ করেছে।তাদের দিয়ে শুরু করেই হাজার হাজার মানুষ আমাকে উইশ করেছে আমার মেসেঞ্জার আমার হোয়াটসঅ্যাপ আমার ইমো ফেসবুক এবং ডিসকর্ডে। এত এত মানুষের ভালোবাসায় সত্যিই আমি অভিভূত। অনেকেই মোবাইলে কল দিয়ে উইশ করেছেন অনেকে বাসায় এসে ফোন দিয়ে উইশ করেছেন অনেকে গিফট এনেছেন। সব মিলিয়ে আজকের দিন টা বেশ ভালো কেটেছে।
তারপরেও বিশাল বড় একটা শূন্যতা রয়েই গেছে হৃদ মাঝারে। আমার সন্তানেরা যদি আমার কাছে থাকতো তাহলে আরও বেশি ভালো লাগতো সময়টা আরো প্রাণবন্ত হত।
আজকের এই ব্লগের মাধ্যমে সিয়াম এবং শিপুকে বলতে চাই বাবা আমিও তোমাদেরকে অনেক বেশি ভালোবাসি। বলতে পারো আমার জীবনের চেয়েও অনেক বেশি।আমি কোনদিনও তোমাদের যাওয়া গুলোকে অপূর্ন রাখি নাই। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি তোমাদের চাওয়া-পাওয়া গুলোকে পাইয়ে দিতে।আজ শুধু একটি কথাই বলবো গরিব হয়ে জন্মানো দোষের কিছু নয়। কিন্তু গরিব হয়ে মৃত্যুবরণ করাটা অনেক দোষের। আরো বেশি কষ্টের পৃথিবীতে ভালো মানুষ হওয়ার আগেই পৃথিবী ছেড়ে যাওয়া। তোমরা ভালো মানুষ হবে প্রতিষ্ঠিত মানুষ হবে। মানুষের জন্য থাকবে নিবেদিত। আর নিজের জীবনটাকে করবে রঙিন করবে উপভোগ। তোমাদের প্রতি আমি অনেক খুশি, অনেক খুশি, অনেক খুশি তোমরা সামনের দিকে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাও আমি পাশে আছি পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ।
পরিশেষে বলবো আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের যারা আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তাদের সকলের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা এবং অনাবিল ভালোবাসা। আর যারা জানতেন না আজকে আমার জন্মদিন তাদের প্রতি অনেক অনেক ভালোবাসা।সর্বোপরি একরাশ ভালোবাসা দিলাম আমার বাংলা ব্লগ পরিবারকে।আমার জন্মদিন নিয়ে কিছু অনুভূতি কিছু স্মৃতিচারণ করে গেলাম। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। সকলের প্রিয় কবি আপু।টা টা,,
বিশেষ দ্রষ্টব্য-- আজকে আমি আমার জন্মদিনে অন্য কারো ছবি, কিংবা উপহার সামগ্রীর ছবি দেই নাই ইচ্ছে করে।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
বিষয়: আমার জন্মদিনের কিছু অনুভূতি
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রিয় কবি আপু আপনার উপরের লেখা গুলো পড়ে সত্যি ভীষণ খুশি হলাম। আপনার দেখা অনূভুতি গুলো পরে অনেক ভালো লাগলো। কাছের মানুষ গুলো আপনার জন্মদিন মনে না রাখলে কি হবে। ঠিক আপনি আপনার কর্মের ফল পেয়েছেন। বড় বড় প্রতিষ্ঠান গুলো আপনার জন্মদিন পালন করে। জন্মদিনে শুভেচ্ছা রইলো আপু অনেক অনেক দোয়া করি আপনি আরো অনেক দুরে এগিয়ে যান সর্বোপরি এই কামনাই করি।
আমার লেখাগুলো পড়ে খুশি হয়েছেন জেনে আমিও খুশি হলাম। গঠনমূল্য মন্তব্য করে উৎসাহ দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপু প্রথমেই আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আপনার জন্মদিনের। দুই ছেলের মাধ্যমে জন্মদিনের উইশ শুরু হয়েছিল, আর একে একে প্রত্যেকে আপনাকে উইশ করেছে বিভিন্ন ভাবে এটা জেনে সত্যি খুবই ভালো লেগেছে। আজকের এই দিনে এটাই কামনা করি যেন, আপনি খুবই ভালো থাকেন আপনার দুই সন্তানকে নিয়ে। আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করি আপু। এই দিনটা যেন আপনার জীবনে সব সময় ফিরে আসে এটাই কামনা করি। আবারো আপনাকে আপনার জন্মদিনের শুভেচ্ছা ❤️
সুন্দর এই দিনটা বারবার ফিরে আসুক ততদিন পর্যন্ত যতদিন না আমার স্বপ্নগুলো পূরণ হয়। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে সেটাই দাবি করি আল্লাহ ততদিন পর্যন্ত আমাকে বাঁচিয়ে রাখুন। আমিন।
শুভ জন্মদিন আপু এই দিনটি আপনার জীবনে বারংবার ফিরে আসুক এমনটাই প্রত্যাশা ব্যাক্ত করছি৷ সেই সাথে আপনার সুস্থতা কামনা করছি ৷ আপু একটা কথা খুব ভালো বলেছেন ৷ কাছের মানুষেরা শুধু আশা প্রর্তাশা করে কিন্তু কর্মজীবনের সাথে থাকা মানুষ গুলো আপনার ভালো হোক এটাই চায় ৷ সর্বশেষে বলবো আপনার অবিরাম শুভকামনা রইল ৷
এটা ঠিক যে কর্মজীবনে মানুষগুলো সব সময় আপনাকে ফলো করে।কে উৎসাহ দেয় আবার কেউ উপহাস করে। আবার কারো কারো হিংসাত্মক মনোভাব থাকে।যাক আমরা সেসব দিকে না যাই। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার জন্মদিনের আবারও শুভেচ্ছা জানাই।আসলেই জন্মদিনের অনুভূতি জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। বিশেষ করে আপনার দুই ছেলে একসাথে আপনাকে জন্মদিনের উইশ করেছে। এটাই ছিল জীবনের পাওয়া। আসলে জন্মদিন আপনি নানাভাবে পালন করেছেন। আপনার জন্মদিন অনেক বড় বড় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করা হয়েছে। আর এই জন্মদিনের আজকের অনুভূতিগুলো জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। আপনার দীর্ঘজীবী কামনা করছি। এবং আপনার মনের আশা যেন পূরণ হয় এই দোয়া করি।
প্রথমেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আসলে মায়েদের কাছে শ্রেষ্ঠ উপহার হচ্ছে তাদের সন্তানেরা। আর সেদিক থেকে আমার দই ছেড়ে দিলে অসাধারণ
ব্যক্তিত্বসম্পন্ন।ঠিক আমার মনের মত করে আল্লাহ তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। এজন্য মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি ও অশেষ কৃতজ্ঞতা।
জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল। আপনার এই দিনটি বার বার ফিরে আসুক এবং আপনি দীর্ঘজীবী হন। পরিবারের সকলের সাথে হাসিখুশি ভাবে থাকতে পারেন এটাই দোয়া করি। আর আপনার দুই ছেলে আপনাকে একসাথে উইশ করেছে এটা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। আসলে মায়ের জন্মদিন বলে কথা। আর আপনার জন্মদিন অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করে থাকেন। প্রত্যেকবারই আপনি খুবই বড় করে জন্মদিন পালন করা হয়। আশা করছি এভাবেই বারবার ফিরে আসুক আপনার এই দিনটি।
আপনার চমৎকার মন্তব্য আমাকে অনেক বেশি অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। দোয়া করবেন আমাদের পরিবারের জন্য। সেই সাথে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
প্রথমেই আপনাকে জানাই আপনার জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আসলে প্রতিটি মানুষের জীবনে বছরে একবার করে জন্মদিন ফিরে আসে।ঠিক অনুরূপ ভাবেই আঠারো মার্চ আপনার জন্মদিন ছিল। আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি ছোট বেলা থেকেই অনেক পরিশ্রমী। আমি মন থেকে দোয়া করি আপনার পরবর্তী জীবন আরো বেশি সুন্দর হোক।
এটা ঠিক ছোটবেলা থেকেই আমি অনেক সংগ্রামী। এবং অনেক যুদ্ধ করে করে আজ এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। দোয়া করবেন বাকি জীবনটা যেন ভালোভাবে কাটাতে পারি।
দেরি করে হলেও জন্মদিনের শুভেচ্ছা আপু। সন্তানদের আপনার প্রতি এত বেশি ভালোবাসা এবং সন্তানদের প্রতি আপনার এত বেশি ভালোবাসা দেখে খুবই ভালো লেগেছে। অনেকের কাছ থেকেই আপনি নিজের জন্মদিনের উইশ পেয়েছেন শুনে ভালো লেগেছে। দিনটা সত্যি খুব স্পেশাল। এই দিনটি আপনার জীবনে সব সময় যেন আসে। আর আপনি যেন আপনার পরবর্তী জীবন হাসিখুশি ভাবে কাটাতে পারেন, যেন নিজের সবগুলো স্বপ্ন আপনি পূরণ করতে পারেন, এরকমটাই প্রতিনিয়ত কামনা করি।
আসলে সন্তান দুটোকে ঘিরেই আমার পৃথিবী। আমার বেঁচে থাকা। আমার অবলম্বন। আমি যতটা ওদেরকে ভালোবাসি। ওরাও ঠিক ওদের মত করে আমাকে ভালোবাসে। যে ভালোবাসায় আমি ধন্য আমি গর্বিত।