আমার বাংলা ব্লগের প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুদের জন্য|| একটি সতর্কীকরণ বার্তা||~~
বন্ধুরা সবাইকে রক্তিম শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো নেই। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বর্তমান মায়েরা আর ভালো নেই। আমি তাদের দলেরই একজন। তবে সকলের সুস্বাস্থ্য দীর্ঘায়ু এবং সুস্থতা কামনা করছি🤲।
বন্ধুরা বাংলাদেশে বেশ কিছুদিন ধরেই কোটা বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। কোটার সংস্কারের দাবিতে নানা রকমের পদক্ষেপ নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। তারই ধারাবাহিকতায় এখন শিক্ষার্থীদের উপরে যেভাবে জুলুম নিপীড়ন অত্যাচার শুরু হয়েছে, মা হিসেবে এটি মেনে নেয়া খুবই কষ্টের। তিল তিল করে একটা সন্তানকে বাবা-মায়েরা যখন লালন পালন করে, তখন একটু আচর লাগতে দেন না সন্তানদের গায়ে। আর সেই সন্তানেরা যখন, এভাবে আহত হচ্ছে নিহিত হচ্ছে এটা মেনে নেয়া, এত বেশি কষ্টের যা আমি আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারবো না। আর তাই আমার বাংলা ব্লগে যেসব বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা আছেন। তাদের উদ্দেশ্যে মা হিসেবে আমার একটি ছোট্ট সতর্কীকরণ বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছি আজ।
শিপুর ফোনে তোলা ছবি
🌹সতর্কীকরণ বার্তা🌹
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ,
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজকের এই বার্তাটি আপনাদের সকলের প্রতি আমার গভীর অনুরোধ ও দায়িত্ববোধ থেকে লিখছি। আমাদের দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা ও ছাত্রদের অধিকারের বিষয়ে কোটা আন্দোলন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই আন্দোলনের মাধ্যমে আপনারা নিজেদের অধিকার ও দাবি-দাওয়া প্রকাশ করছেন, যা অবশ্যই প্রশংসনীয়। তবে, এ সময় আপনাদের কিছু বিষয় মনে রাখা অত্যন্ত জরুরি।
প্রথমত, আন্দোলনের সময় অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করুন। অনেক সময় আন্দোলনের উত্তেজনায় আমরা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি এবং ভুল পদক্ষেপ নিতে পারি। চেষ্টা করুন যে কোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ও শান্তি বজায় রাখতে। সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা কখনোই কোন সমস্যার স্থায়ী সমাধান এনে দিতে পারে না। বরং, এটি আমাদের উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করতে পারে এবং অনেক সময় আরও বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
দ্বিতীয়ত, নিজেরা সচেতন থাকুন এবং অন্যদেরও সচেতন করুন। আপনারা সবাই মিলে যখন একটি শান্তিপূর্ণ ও সংগঠিত উপায়ে নিজেদের দাবিগুলো উপস্থাপন করবেন, তখন সেটি অধিক কার্যকরী হবে। আন্দোলনের সময় বিভিন্ন রকম প্রোপাগান্ডা ও ভুল তথ্য ছড়াতে পারে, তাই যেকোনো তথ্য যাচাই করে তবেই বিশ্বাস করুন।
তৃতীয়ত, আন্দোলনের সময় আপনারা নিজেদের এবং অন্যদের নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখবেন। যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয় বা কেউ আহত হয়, তাহলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করুন। আপনারা আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ এবং আপনাদের সুস্থতা ও নিরাপত্তা আমাদের সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা সবাই জানি যে, শিক্ষার্থীদের কণ্ঠই পরিবর্তনের মূল চাবিকাঠি। তাই আপনারা নিজেদের অধিকারের জন্য অবশ্যই আওয়াজ তুলুন, কিন্তু সেটা যেন সঠিক ও শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে হয়।
সবাইকে ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছান্তে,
সেলিনা সাথী
আমি সেলিনা সাথী। ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা তার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। আমার বাবা পিতা মরহুম শহিদুল ইসলাম ও মাতা রওশনারা বেগম। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি'সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনীত হয়েছি।
বিষয়: জেনারেল রাইটিং
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ছাত্র ছাত্রীদের এই খারাপ সময়ে আপনি বেশ ছাত্র ছাত্রীদের সতর্কতার লক্ষ্যে বেশ কিছু টিপস দিয়েছেন, দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। আমরা আন্দোলন করবো ঠিক আছে, কিন্তু আমরা সেই আন্দোলন নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থেকে করার চেষ্টা করবো।এতে করে আমরা সকলেই ভালো থাকতে পারবো।
সকল শিক্ষার্থী যেন ভালোভাবে আন্দোলন করতে পারত,,সেই লক্ষ্যে এই লেখাটি লেখা। কিন্তু অশ্রুসিক্ত নয়নে বলতে হয় আজ শত শত শিক্ষার্থীর নির্মম প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে গেল। যেটা ভীষণ মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক।
বাহ্! বেশ কার্যকরী একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা একেবারে পরিকল্পিত ভাবে তাদের উপর হামলা করছে। প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা আহত হচ্ছে, এমনকি নিহতও হচ্ছে। কিন্তু তবুও তারা থেমে যায়নি। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন একেবারে যুক্তিসঙ্গত। যাইহোক সতর্কীকরণ বার্তাগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি কিংবা আমরা সতর্ক করিয়ে লাভ কি হল-?
শত শত হাজার হাজার মায়ের কোল খালি হল, এই আর কি। সকলের উজ্জ্বল স্বপ্নগুলো মুহূর্তেই বিলীন হয়ে গেল। এটা যতটা কষ্টের ততটাই লজ্জার।
আসলেই তাজা প্রাণ গুলো কিভাবে ঝরে গেলো সেটা ভাবলেই বুকটা ফেটে যায়। কল্পনাতেও ভাবিনি এমন দিন দেখতে হবে।
বর্তমান দেশের অবস্থা খুব খারাপ। গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট করেছেন। শিক্ষার্থীদের ধৈর্য্য ধরা উচিত। অনেকেই আছেন বিভিন্ন ধরণের উস্কানি মুলক কথা বলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। কয়েকদিন এর খবর দেখে মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গিয়েছে। দেশের অবস্থা কি হবে বলা যাচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের জন্য দোয়া এবং শুভ কামনা রইল।
বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীদের জীবনই সবচেয়ে সহজ হলো নেয়াটা। যা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে আজীবন।
অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনার লেখাগুলো পড়ে সত্যি আমার অনেক ভালো লেগেছে শিক্ষার্থীদের কন্ঠই পরিবর্তনের মূল চাবিকাঠি। আমাদের প্রত্যেকের উচিত অধিকারের জন্য আওয়াজ তোলা এবং সেটা যেন সঠিক ও শান্তিপূর্ণ হয়। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আজ সেই শিক্ষার্থীরাই মৃত্যুপুরীতে। জীবন দিয়ে কোঠার সংস্কার করে গেলেন। 😭
বর্তমান সময় দেখা যাচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলন করতে গিয়ে অনেক বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। তার পাশাপাশি মারধর থেকে শুরু করে অনেক অন্যায় অত্যাচার করা হচ্ছে। আর এভাবে যদি একে একে ঝরে যেতে থাকে মেধাবী শিক্ষার্থীরা তাহলে দেশের কি হবে। এমনিতেই দেশ চলে গেছে উৎছন্নে। তবে সবাইকে সতর্ক থেকে এর মোকাবেলা করতেই হবে। না হলে অধিকার আদায় করা যাবে না। আপনার পোস্টটা আসলে সতর্কতামূলক একটি পোস্ট। পড়ে ভালো লাগলো আপু।
শিক্ষার্থীদের কে যেভাবে মারা হয়েছে তার কিছু ভিডিও আমি দেখেছি। ওই ভিডিওগুলো দেখে কোনভাবেই স্থির থাকা যায় না। 😭