DIY প্রোজেক্ট-সৃজনশীলতায় পাথরের বুকে নান্দনিক শৈল্পিকতা সৃষ্টির গল্প||~~
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন, এটাই প্রত্যাশা করি।💕
DIY প্রোজেক্ট-সৃজনশীলতায় পাথরের বুকে নান্দনিক শৈল্পিকতা সৃষ্টির রূপক গল্প:-
বন্ধুরা আজ আমি একটি DIY প্রোজেক্ট-ও সৃজনশীলতায় পাথরের বুকে নান্দনিক সৃষ্টির গল্প নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি এই নতুনত্ব সাহিত্য আপনাদের মনে স্থান পাবে।
একটি ছোট্ট গ্রাম ছিল, যেখানে প্রকৃতি তার পূর্ণ রূপে বিরাজ করত। আর সেখানে ছিল একটি বিশেষ ধরনের পাথর, যার রঙ ছিল মসৃণ সাদা। সেখানকার গ্রামবাসীরা বিশ্বাস করত এই পাথরগুলোতে প্রাচীন জাদু লুকিয়ে আছে, যা শুধুমাত্র প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে প্রকাশ পায়।
একদিন, ছোট্ট একটি কাব্যিক মেয়ে, যার নাম ছিল কাব্যকন্যা , সে গ্রামের পাশের জঙ্গলে হাঁটতে গিয়ে পায় সেই মসৃণ পাথরটি। কাব্যকন্যার মনে হলো এই পাথরটিতে যেন বিশেষ কিছু বিশেষত্ব আছে। সে তার বাড়িতে পাথরটি নিয়ে আসে এবং সেটি নিয়ে ভাবতে শুরু করে। সে ছিল একজন সৃজনশীল শিল্পী, তাই সে ভাবলো এই পাথরটিকে কিছু একটা দিয়ে সাজালে কেমন হয় -
কাব্যকন্যা তার হাতে থাকা রঙিন মাটি দিয়ে পাথরের উপর একটি নকশা তৈরি করল। সে তিনটি পাতা এবং একটি সর্পের আকৃতি তৈরি করল, যার মধ্যে পাতাগুলোর রঙ ছিল গোলাপী ও বেগুনি এবং সর্পের রঙ ছিল কমলা। পাতাগুলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতীক এবং সর্পটি শক্তি ও জ্ঞানের প্রতীক হিসেবে দাঁড় করাল।
যখন কাব্যকন্যা এই নকশাটি সম্পন্ন করল, তখন সে দেখতে পেল পাথরটি এক আলোর কিরণ ছড়িয়ে দিচ্ছে। গ্রামের প্রবীণরা তাকে বলল, এই পাথরটি প্রকৃতির জাদুর সাথে সম্পৃক্ত এবং এটি প্রকৃতিপ্রেমী এবং সৃজনশীল মানুষদের হাতে আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠে। কাব্যকন্যা বুঝল যে তার সৃষ্টির মাধ্যমে সে প্রকৃতির এক টুকরো সৌন্দর্য ধরে রাখতে পেরেছে।
এই গল্পের মাধ্যমে কাব্যকন্যা শিখল যে প্রকৃতির সাথে মানুষের সংযোগ সবসময় বিশেষ এবং গভীর। তার সৃজনশীলতাই পাথরটির জাদুকে জাগিয়ে তুলেছে। তাই, প্রতিটি মানুষের উচিত তার সৃষ্টিশীলতা ও প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসাকে সজাগ রাখা, কারণ প্রকৃতিই আমাদের সকলের সত্যিকারের উৎস।
আমার বাংলা ব্লগের জন্য ডাই প্রজেক্টটি নিবেদন করলো সেই আপনাদের সকলের প্রিয় কাব্যকন্যা আপু।
DIY প্রোজেক্ট
☆꧁ DIY প্রোজেক্ট- ক্লে দিয়ে পাথরকে জাগিয়ে তোলা ꧂
- পাথর
- বিভিন্ন রঙের ক্লে
- কাচি
- স্কেল
প্রথমে আমি একটি নরমাল পাথরটিকে আগেই সাদা রঙ করে নিয়েছিলাম। এরপর গোলাপি রঙের ক্লে দিয়ে একটি পাতা বানিয়ে পাথরের এক সাইডে লাগিয়ে দিলাম।
এবার আরো একটি গোলাপি রঙের পাতা বানিয়ে অন্য দিকে লাগিয়ে দিলাম।
এবার বেগুনি রঙের ক্লে দিয়ে এর একটি একটু বড় পাতা বানিয়ে মাঝখান বরাবর লাগিয়ে দিলাম। এবং সবুজ রঙের একটি ছোট পাতা মাঝখানে লাগলাম।
এবার কমলা রঙের ক্লে দিয়ে একটি সাপের সেপ তৈরী করে এভাবে মাঝ বরাবর সেট করে দিলাম।
তৈরী হয়ে গেল DIY প্রোজেক্ট- ক্লে দিয়ে পাথরকে জাগিয়ে তোলা ꧂
আমি ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা।আমার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করি। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই- সাথীর শত কবিতা,অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি' অবরিত নীল সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। আমি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনয়ন পেয়েছি। এছাড়াও ,ওপার বাংলা বঙ্গবন্ধু রিসার্চ এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন ভারত বাংলাদেশ। কবিগুরু স্মারক সম্মান ২০২৪ অর্জন করেছি।
বিষয়: ডাই প্রজেক্ট
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গল্পটা সত্যিই দারুন ছিল। আপনার পোস্টগুলোতে সুন্দর সুন্দর ডাই প্রজেক্ট দেখার পাশাপাশি অনেক সুন্দর গল্পও পড়া যায়। এই জিনিসটা সত্যি ভীষণ ভালো লাগে। ডাইপ্রজেক্টটা যেমন সুন্দর হয়েছে গল্পটাও তেমন ভীষণ ভালো হয়েছে। এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার গল্প এবং ডাই প্রজেক্ট এর নতুন অনুভূতি আপনার কাছে ভালো লেগেছে, জেনে খুব ভালো লাগলো। আপনার সুন্দর মন্তব্যে অনেক বেশি উৎসাহ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের কাব্য কন্যা সবকিছুতেই পারদর্শী। কাব্য কন্যার প্রতিভা যতই দেখি ততই মুগ্ধ হয়ে যাই। সত্যি আপু আপনার হাতের কাজ যেমন সুন্দর তেমনি ভালো কবিতা লিখেন। আজকের এই পোস্ট দেখে অনেক ভালো লেগেছে।
কাব্যকন্যার জন্য আপনার এত সুন্দর সুন্দর মন্তব্য আমাকে সব সময় অনুপ্রাণিত করে। অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় আপু।
শুরুর গল্পটা পড়ে খুব ভালো লাগলো সাথী। প্রকৃতির সৌন্দর্যের কাছে বাকি সমস্ত সৌন্দর্য ফিকে হয়ে যায়। আর প্রকৃতির সাথে সংযোগ স্থাপন করে রাখতে পারলেই সৃষ্টি ও অন্য এক রূপ নেয়। আসলে প্রকৃতিই তো সৃষ্টির আদি এবং অনন্ত। খুব ভালো লাগলো তোমার এই DIY আর্টটি।
আসলে আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ,, প্রতিটি কাজ এক একটা গল্পের অংশ। আর আমি এভাবে গল্প লিখে নতুন একটি ধারার সূচনা করতে চলেছি। তোমার উৎসাহ আমাকে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করে প্রিয় বন্ধু 💞
তোমার প্রোজেক্টগুলির সাথে যেভাবে গল্পকে সম্পৃক্ত করে উপস্থাপন করো, তা একেবারে আলাদা করে দেয় তোমার পোস্টকে। অসাধারণ লাগলো কাব্যকন্যার সৃজন ও যাদু পাথরের গল্প৷ আসলে তুমিই তো সেই কাব্যকন্যা, যে তাঁর সৃজন দিয়ে সবকিছুতেই যাদু প্রবেশ করাতে সক্ষম। তোমার হাতের কাজ নিয়ে আর কি বলব। সৃজনে থাকো এমন ভাবেই৷
অতিক্রম করতে চাইলে ব্যতিক্রম কিছু করতে হয় দাদা। আমি চেষ্টা করছি পোস্টটে নতুন কিছু সংযোজন করতে। তোমার দৃষ্টিতে এসেছে, এবং উপলব্ধি করেছো দেখে ভালো লাগলো।
পাথরের বুকে নান্দনিক শিল্পের কালারফুল ডাই শেয়ার করেছেন।ডাই টি জাস্ট অসাধারণ লাগছে দেখতে আপু।আপনার অন্যান্য গুণের মতো এই গুণ টিও ভালো লাগলো।যেটা আসলেই প্রশংসনীয়।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
এত সুন্দর সুন্দর মন্তব্য সত্যি আমাকে অনেক বেশি অনুপ্রেরণা দেয়। আসলে অনেক আগে থেকেই আমি পাথরে ফুল ফোটাতে চাই এবং এর আগে পাথরে অনেক কাজ করেছিলাম। যেগুলো প্রায় ভুলতেই বসেছি।