"লেখক এর সু লিখনী হোক সমাজ সংস্কারের হাতিয়ার" বন্ধু ক্লাব"১০% বেনিফেসিয়ারি @Shy-fox এর জন্য
সকলকে শুভেচ্ছা।আশা করি সকলেই ভাল আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি।
আমি যখন এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী। ঠিক তখনই আমার মনে দোলা দিতে লাগল যে আমরা একটা সংগঠন করতে পারি কিনা? কারণ চারিদিকে সমাজের অবক্ষয় নিজের চোখে দেখেছি সেখানে থেকেই এই অনুভূতি শিহরিত হয়।
কলেজে কিংবা এই স্কুলে পড়া ছাত্রদের হাতে যখন দেখি সাদা লাঠি বা সিগারেট ঠিক তখনই মনটা ভেঙে যেতো। একটা অশনিসংকেত মনে দাগ কেটে যেত।।
এইসব ছেলেদের কিভাবে সিগারেট এর হাত থেকে মুক্ত করা যায় এই বিষয়টি আমার মাথায় চেপে বসল।। কারণ মাদকের বিরুদ্ধে ছোটবেলা থেকেই আমি সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছি। তাই অনেক চিন্তাভাবনা করে একটা কৌশল অবলম্বন করলাম। শাসন মারধর বকাঝকা করি কিন্তু তেমন পরিবর্তন আনা সম্ভব নয় এই কোমলমতি ছাত্রদের।
আমার এলাকার খোকন নামে একটি ছেলের সাথে আমি পরামর্শ করলাম কি করে আমরা এই ছাত্রদেরকে ভালো পথে আনতে পারি। ও আমাকে বুদ্ধি দিল যে তুমি তো চমৎকার কবিতা লিখতে পারো তুমি ওদেরকে নিয়ে একটি কবিতার সংগঠন করা যায় কিনা ভেবে দেখো।ওর এই আইডিয়াটা আমার কাছে চমৎকার লাগল। এবং আমি সিদ্ধান্ত নিলাম ঠিক এই ভাবেই কাজটা শুরু করতে হবে।
যেই ভাবা সেই কাজ খোকন আর আমি দুইজন মিলেই একটা তালিকা তৈরী করলাম কারা ধুমপানের সাথে সম্পৃক্ত। তালিকা করে সবাইকে একদিন ইনভাইট করলাম আমাদের নীলফামারী শহীদ মিনার মাঠ প্রাঙ্গনে।এবং সেখানে ধূমপান কত খারাপ ধূমপানের ক্ষতিকারক দিকগুলো তুলে তাদের সামনে অনেকগুলো কথা আমি উপস্থাপন করলাম।
তারা খুব মনোযোগ সহকারে আমার কথাগুলো গ্রহণ করল।
তারা আমাকে কথা দিল আজকে থেকে কেউ আর ধূমপান করবে না। বরং সবাই কবিতা লিখবে ছড়া লিখবে গল্প লিখবে এবং মানুষের কল্যাণের জন্য নিজেকে নিবেদিত রাখবে। আমি মনে মনে একটু শান্তি অনুভব করলাম। এবং সর্বসম্মতিক্রমে সেদিন আমরা বন্ধু ক্লাবের ঘোষণা দিলাম। এবং একটি চমৎকার স্লোগান তৈরি করলাম।
সেই থেকে প্রতি শুক্রবার বিকেল তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত আমরা সাহিত্যচর্চা করতাম নীলফামারী শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে।সবাই সবার মনের কথাগুলো সুন্দর করে লেখার চেষ্টা করত লেখাগুলো লেখার মত না হলেও আমরা উৎসাহ দিয়ে সবাইকে উৎসাহিত করতাম। আমাদের সবার লেখা দিয়ে আমরা দেয়ালিকা করতাম। ছোট ছোট প্রকাশনা করতাম।কারো শরীর খারাপ হলে সবাই মিলে এগিয়ে যেতাম
বিভিন্ন দিবস ধুমধামে পালিত করতাম। আস্তে আস্তে আশে পাশের অনেক সংগঠনগুলো আমাদেরকে ডাকতো সাহিত্যচর্চার অনুষ্ঠানগুলোতে।
এভাবে একটি সময়ে শত শত ছেলেরা সিগারেট ফেলে দিয়ে কলম হাতে তুলে নিয়েছে এটা আমাদের কাছে একটি বিশাল প্রাপ্তি অন্যরকম একটি অর্জন।
যখন আমরা নিজের লেখা কবিতা ছড়া পড়তাম অন্যরা বাহবা দিতে হাতে তালি দিত সেই মজা করতাম আমরা।যার যেখানে ভুল হতো আস্তে আস্তে সেটা ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করতাম। পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই পড়তে উৎসাহ যোগাতাম সবার মনে।।।
এই বন্ধু ক্লাব এর মাধ্যমে আমরা অনেক অসহায় ছাত্রদের ফরম ফিলাপের টাকা অ্যারেঞ্জ করে দিয়েছি।অনেক হত দরিদ্র মা শিশু ও যেকোনো বয়সের পুরুষ অথবা নারী স্বাস্থ্যগত কোন সমস্যায় পড়লে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে রক্ত অ্যারেঞ্জ করে দেওয়া থেকে শুরু করে প্রতিটি পদক্ষেপেই বন্ধু ক্লাব ছিল দুর্বার ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে।অনেক হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে আমার নাম রাখা হয়েছিল গরিবের নানি।কেউ কেউ আবার সেবিকা বলেও ডাকত।।
কেউ মারা গেলেও তাদের দাফন-কাফন থেকে শুরু করে সৎকারের কাজে অংশগ্রহণ করত এই বন্ধু ক্লাব।আমরা কোনদিন কখনো ধর্ম দেখিনি। সে যে ধর্মেরই হোক না কেন আমরা তার পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছি। কারণ আমরা এটাতে বিশ্বাস করি আমরা সৃষ্টির সেরা জীব। আমরা মানুষ। আমরা প্রত্যেকে মানুষ হয়ে বেঁচে থাকতে চাই। মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই।।
বন্ধুরা আমরা যে যার ক্ষেত্র থেকে সকলেই যদি ছোট ছোট ভূমিকা রাখতাম সমাজটাকে সংস্কারের জন্য তাহলে আমার বিশ্বাস সমাজ একদিন নিশ্চয়ই খানিকটা হলেও বদলে যেত।তবে আমরা নিজের সাথে নিজেই যদি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই আমি নিজে ভাল মানুষ হব। এবং আমার মাধ্যমে তিনজনকে ভালো মানুষ হওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করব। ঠিক এভাবেই যদি ডুপ্লিকেশন চালু করা যায় প্রত্যেককেই তিনজন তিনজন করে পরিবর্তনের কাজগুলো করবে তাহলে একদিন বিশাল অংকের মানুষগুলো পরিবর্তনে আমাদের সুশীল সমাজে ভূমিকা রাখবে। এভাবেই একদিন নিজের পরিবার নিজের সমাজ এবং নিজের রাষ্ট্রকে পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আমরা ভূমিকা রাখতে পারি। এবং আমার বাংলা ব্লগ এর মাধ্যমেও কিন্তু আমরা আমাদের এই ভালো মানুষ হওয়ার সম্প্রচার করতে পারি।
যেহেতু আমাদের ফ্যান্টম দাদা একজন মানবিক মানুষ।মানবতার কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।এমন একটি মানুষের সংস্পর্শে এসে তাকে সামনে রেখে আমরাও ভালো মানুষ হওয়ার আহ্বান রাখতে পারি।
বদলে যাই বদলে দেই
বৈষম্য তুলে নেই
ছবিগুলো অনেক পুরনো দিনের তাই ভালো রেজুলেশন আসেনি এগুলো আমি আমার ফেসবুক থেকে সংগ্রহ করেছি।।
লেখকের সুলেখোনি হোক সমাজ সংস্কারের হাতিয়ার।।
আজ এ পর্যন্তই আগামী দিনে আবারো ফিরে আসবো নতুন কোনো অভিজ্ঞতা নিয়ে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।শুভ কামনা সব সময়♥♥
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রাইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি, বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" সংগঠেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
আপু আপনার কবি আপু এই পাওয়া একদিনের নয়। আপনি তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন আপনার মেধা শক্তিকে। এবং মনুষ্যত্বকে কাজে লাগিয়েছেন মানুষ গড়ার অঙ্গীকারবদ্ধ। সত্যিই আপনি অসাধারণ একজন কবি। আর আপনি উচ্চমাধ্যমিক থেকে যে পণ করেছেন এবং সেটা বাস্তবায়ন করে ছেড়েছেন। আপনার মনবল দেখেই অবাক হয়ে যাই একটা মেয়ে কিভাবে পারে অসম্ভবকে সম্ভব করতে। সত্যি আপু মানুষ চাইলে যেকোনো কিছু মানুষের পক্ষে করা সম্ভব। আপনি আপনার কলেজ জীবন থেকে মানুষ গড়ার অঙ্গীকার শুরু করে দিয়েছেন।
আপনার এই স্লোগানটা এই বলে দিচ্ছে যে আপনার ব্যক্তিত্ব কত দূর গড়িয়েছে। আমি মনে করি আপনার আজকের এই অবস্থানে আপনার এই শ্লোগান এই নিয়ে এসেছে। আমাদের সাথে এত সুন্দর একটা শিক্ষনীয় পোস্ট ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ভালোবাসা অবিরাম অপু।
সত্যি আপনাদের ভালোবাসায় আমি এতটাই অভিভূত যে ভাষা হারিয়ে ফেলি কমেন্ট করার জন্য,,,
ছোটবেলা থেকে একটা কথা আমার মাথায় সব সময় নক করে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সেরা সেরা কাজগুলো আমাকে করে যেতে হবে।যতটুকু পারা যায়।
আর আমি সবসময় নিজেকে মানুষ ভাবি মানুষ ভেবেই সমাজের ভূমিকা রেখে চলেছি।।
আপনার সুন্দর সুন্দর কমেন্ট আমার
ইচ্ছাশক্তি কে জাগ্রত করে।অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
পাশেই থাকবেন♥♥
আগেই একদিন বলেছি আপনার সম্পর্কে এখনও অনেক কিছু জানা বাকি আছে আমাদের। আজ নতুন একটি বিষয় জানলাম আপু আপনার সম্পর্কে। কত মহৎ এবং সূদুরপ্রসারী চিন্তা ছিল আপনার। সত্যি অনেক প্রশংসনীয়।
আমার কলেজের লেখাপড়া শেষ বলা যায়। কিন্তু এখনো আমি এই সিগারেট এর ধারে কাছেও যায়নি🤓।
ধন্যবাদ আপু এতু সুন্দর একটি বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।।
একটি কথা আপনি ঠিকই বলেছেন এখনো আমার অনেক কার্যক্রম আপনাদের সাথে শেয়ার করিনি হয়তো আস্তে আস্তে করবো আগামীতে।
আপনি যেমন আজও সিগারেট হাত দিয়ে ধরে নেই ঠিক তেমনি আপনার মত করে কেউ যেন সিগারেট বা সাদা লাঠি হাতে না নেয় এই বিষয়টা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে ধন্যবাদ ভাইয়া শুভকামনা রইল।।
মাদককে না করি
সুস্থ সমাজ দেশ গড়ি♥♥
😄😄
সামনে আপনার প্রতিটি পদক্ষেপ সাফল্য মন্ডিত হোক। আপনার লেখা দেখে আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি আপনি জীবনে অনেক কিছু করেছেন যা কল্পনাও করা যায় না। বর্তমান যুগে মেয়েদের এই সকল কাজের সম্পৃক্ততা খুব কমই দেখা যায়, যা আপনি করিয়ে দেখিয়েছেন। বর্তমান যুগে প্রতিটি নারী এবং পুরুষের মাঝে যদি দর্শন এবং সাহিত্যচর্চা থাকে তাহলে আমাদের এই যান্ত্রিক ভালোবাসাগুলো আবার প্রকৃতিক ভালোবাসায় রূপান্তরিত হবে। আমাদের প্রত্যেক করে মাঝে সাহিত্যিক জ্ঞান এবং সাহিত্যচর্চার অনেক বেশি ঘাটতি রয়েছে, যা আমাদেরকে পৃথিবী থেকে অনেক দূরে নিয়ে গেছে। আমার মনে হয় পৃথিবীতে যারা বসবাস করে এবং অন্যের মাঝে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে তাদের জন্য এই পৃথিবীটা যেমনটা পরিলক্ষিত হয়েছে আপনার মাঝে। আপনি একজন সফল ব্যক্তি। প্রতি দিতে চাই, "নতুন নারীর আবিষ্কারক" এই কথা দ্বারা আমি বুঝিয়েছি সমাজে নারীর ভূমিকা এবং একজন নারীর দায়িত্ব কর্তব্য সাহিত্য চর্চা এবং সকল ক্ষেত্রেই তার অবদান। আপু আপনাকে মন থেকে ধন্যবাদ জানাই। আপনার জন্য প্রাণ খুলে দোয়া করলাম।
সত্যিই বলেছেন আমাদের দেশে বেশিরভাগ নারীরা টেলিভিশন দেখেই কাটিয়ে দেয় অনেকটা সময়।সমাজ সংস্কার নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যাথাই নেই।এমনকি নিজের পরিবারে ও সঠিকভাবে সময় এখনকার নারীরা দিতে পারছে না।প্রযুক্তির অপব্যবহার করে।
তবে অনেক নারী অনেক ভালো ভালো কাজ করে যাচ্ছে যেটা দৃষ্টান্তমূলক।আসলে আমাদের আরো বেশি সচেতন হতে হবে।
একটা জিনিস আমাকে ভাবিয়ে তোলে
আপনার মত করে হাজারো মানুষ আমার জন্য দোয়া করে।সত্যি আমি ভীষণ ভাগ্যবতী।
আপনার জন্য মন থেকে দোয়া ও ভালোবাসা অবিরাম।খুব ভালো থাকবেন শুভ কামনা সব সময়♥♥
আপু সত্যিকারে অনেক সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি আজকে। কেননা বর্তমান সমাজে বিড়ি সিগারেট থেকে শুরু করে মাদকদ্রব্য ছোট থেকে বড় পর্যন্ত আসক্ত। এইসব থেকে ওই সমাজের লোকগুলো বিরত থাকার কারণে আগে নিজেকে বিরত থাকতে হবে এগুলো থেকে। তাহলেই নিজের মনোবল দিয়ে এগুলো জয় করা সম্ভব। আপনি এভাবেই এগিয়ে যান আমরা আছি আপনার পাশে।
বর্তমান যুব সমাজের তরুণ ছেলেমেয়েরা খুব সহজে খারাপ পথ বেছে নিচ্ছে। মদ গাজা সিগারেট সহ আরও বিভিন্ন ধরনের নেশাজাতীয় দ্রব্যতে আকৃষ্ট হচ্ছে। সংস্কৃতি চর্চায় তাদেরকে খারাপ পথ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারে। খুব সুন্দর ছিল আপনার আজকের পোস্টটি। ধন্যবাদ আপু।
এই পোস্ট টি সব থেকে ভিন্ন এবং ছিল আপু মনি। আপনি সত্যি একজন প্রতিভাসম্পন্ন এবং পরিশ্রমি ব্যাক্তি আমার কাছে। অনেক কিছু জানতে পারলাম এই পোস্ট এর মাধ্যমে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।