মচমচে গরম গরম লুচি বানাবো আজ, সাথী রান্নাঘরে চলছে তারি কারুকাজ||~~
সকলকে শুভেচ্ছা । আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন, এটাই প্রত্যাশা করি।💕
💞মচমচে লুচি রেসিপির গল্প 💞
লুচি বানাবো আজ,
সাথী রান্নাঘরে চলছে
তারি কারুকাজ,
সঙ্গে থাকবে সৃজনশীলতার
মজাদার সেই গল্প,
গল্প মাঝে খুঁজে পাবে
মহা অণুকল্প।
☆꧁ সাথী রান্না ঘরে "লুচির গল্প"꧂☆
সেদিন রোদ্রজ্জ্বল সকাল ছিল। ঘুম থেকে উঠেই মনে হলো আজকে বিশেষ কিছু রান্না করা যাক। মনটা বেশ উজ্জ্বল আর সক্রিয় ছিল, তাই সিদ্ধান্ত নিলাম লুচি বানাবো। এক কাপ গরম চা, সাথে মচমচে লুচি—এই ভাবনাই আমাকে অনুপ্রাণিত করল।
রান্নাঘরে ঢুকে প্রথমেই গমের ময়দা নিয়ে এলাম। গুনগুন করে গান গাইতে গাইতে ময়দার সাথে সামান্য লবণ, কালো জিড়া, আর হালকা গরম পানি মিশিয়ে তেলে ভেজে গরম চায়ের সাথে যেন অমৃতের স্বাদ।
লুচির প্রতিটি কামড়ে যেন আমি অনুভব করতে পারলাম নিজের হাতের কাজের প্রশান্তি। সেই সোনালী রঙের মচমচে লুচি, যা ভেতরে নরম আর বাইরে খাস্তা, যেন প্রতিটি মুহূর্তে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করার সুযোগ দিল। এই লুচি তৈরির অভিজ্ঞতা আমাকে মনে করিয়ে দিল, ছোট ছোট কাজের মাঝেও কতখানি আনন্দ পাওয়া যায়, যখন তা ভালোবাসা দিয়ে করা হয়।
যতই আমি লুচি গুলো খাচ্ছিলাম, ততই মনে হচ্ছিল, রান্নার এই সহজ কিন্তু সৃজনশীল কাজগুলো আমাদের জীবনের অনেক বড় একটা অংশ। একটা সাধারণ সকাল কিভাবে বিশেষ হয়ে উঠল, কিভাবে কিছু সাধারণ উপকরণ আমার হাতে সৃষ্টির এক সুন্দর প্রতিফলন হয়ে উঠল, সেই ভাবনাগুলো আমাকে আরও উদ্দীপিত করল।
লুচি গুলো খাওয়ার পর, সেই প্লেটটা দেখে আমার মনে হলো, আজকের সকালটা সত্যিই বিশেষ ছিল। নিজের হাতে বানানো এই মচমচে লুচি যেন শুধুমাত্র একটা খাবার নয়, বরং নিজের প্রতি একটা ভালোবাসার প্রকাশ। এই ভালোবাসাই আমাকে প্রতিনিয়ত নতুন কিছু সৃষ্টির জন্য অনুপ্রাণিত করে।
এভাবেই এক সাধারণ সকাল থেকে আমার লুচি বানানোর গল্পটা পূর্ণতা পেল—যেখানে প্রতিটি ধাপই ছিল এক ধরনের ধ্যান, আর প্রতিটি মুহূর্ত ছিল এক অমূল্য অভিজ্ঞতা।
♥☆꧁:: সাথী রান্না ঘর .::. ꧂☆♥
সাথী রান্নাঘরে আবারও সবাইকে স্বাগতম। আজ আমি নিয়ে এসেছি আপনাদের সকলের জন্য খুবই চমৎকার একটি রেসিপি। আর সেটা ইতিমধ্যে আপনারা জেনে গিয়েছেন। বন্ধুরা আজ সাথী রান্নাঘরে থাকছে মচমচে সুস্বাদু মজাদার লুচি রেসিপি।
☆꧁প্রয়োজনীয় উপকরন꧂☆
আটা
কালোজিরা
লবণ
তেল
- প্রথমে একটা বাটিতে এক কাপ পরিমাণ আটা নিয়ে নিলাম। এবং একজনকে লবণ ও কিছু কালোজিরা দিয়ে নিলাম।
- এবার হালকা একটু গরম পানি দিয়ে আটা গুলো ভালোভাবে মেখে নেব। আটার সাথে সামান্য কিছু তেল ও দিয়ে খুবই মসৃণ একটি ডো তৈরি করে নিবো।
- ঠিক এভাবে একটি মসৃন ডো তৈরী করে নিলাম।
- এবার রুটি বানানোর পীড়ায় বড় করে রুটি বেলে নিবো। এবং গোল ও কোনকুনি করে লুচির সেভে কেটে নিবো।
- এবার চুলার উপরে একটি কড়াই বসিয়ে দিয়ে তেল গরম করে নিয়ে লুচি গুলো ভেজে নিবো।
- ঠিক এভাবে মচমচে করে সবগুলো লুচি ভেজে নিলাম।
- তৈরি হয়ে গেল আমার মচমচে সুস্বাদু মজাদার গরম গরম লুচি। গরম গরম চা, সেমাই, সুজি, ফিরনি, সস ইত্যাদি দিয়ে খেতে দারুন লাগে এই মচমচে লুচি গুলো।
তো বন্ধুরা আমার আজকের এই রেসিপিটি যদি, আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে, তবেই আমার সার্থকতা। আপনারা সকলেই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আজকের মত বিদায় নিচ্ছি। টা টা,,
আমি ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা।আমার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করি। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই- সাথীর শত কবিতা,অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি' অবরিত নীল সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। আমি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনয়ন পেয়েছি। এছাড়াও ,ওপার বাংলা বঙ্গবন্ধু রিসার্চ এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন ভারত বাংলাদেশ। কবিগুরু স্মারক সম্মান ২০২৪ অর্জন করেছি।
বিষয়: রেসিপি
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
দারুণ লাগল ব্লগটা পড়ে৷ লুচি তো সবাই বানায়। পরিবেশন তাই আসল। এই যে একটা সুন্দর গল্পের মধ্যে সাধারণ জিনিস কে অসাধারণ ভাবে পরিবেশন করলে এটাই প্রতিভা। চমৎকার।
সাহিত্যের মধ্যে এত বেশি রস আছে, যে সাহিত্যের ভান্ডারে সেই সাধারণ বিষয়বস্তুগুলোকে অসাধারণ রসালো তৈরি করতে পারে, সাহিত্যে রসের ভান্ডারে। তোমার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক বেশি খুশি হলাম। অনেক অনেক শুভকামনা তোমার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু তো একদম লোভ লাগিয়ে দিলেন। আর আপনার লেখা গুলো পড়ে খুবই ভালো লাগছে। নিজের হাতে সামান্য কিছু জিনিসকে অসাধারণ কিছু বানিয়ে মনটাকেও ভালো করে ফেলা যায়। সত্যি দারুন কিছু কথা লিখেছেন আপু। এগুলো দেখে তো ইচ্ছে করছে এখান থেকে লুচি গুলো নিয়ে খেয়ে ফেলি। লুচির সাথে মাংসের ঝোল এর কম্বিনেশন টা আমার বরাবরই বেশ ভালো লাগে। আপনার বিশেষ সকালে এই লুচি টা দারুন উপভোগ্য ছিল মনে হয়।
ফুলকো এই লুচি গুলো খেতে দারুণ হয়েছিল। সুজি এবং গরম চা দিয়ে খেয়েছিলাম এটা দুর্দান্ত স্বাদের।
গরম গরম মচমচে লুচি দেখেই তো খেতে মন চাচ্ছে আপু। সত্যি কথা বলতে অনেকদিন লুচি খাওয়া হয়নি আপনার এই লুচি দেখে এখন এ লুচি খেতে মন চাচ্ছে। লুচি তৈরি করার প্রক্রিয়াটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করেছেন আপনি। এমন একটা রেসিপি দেখে সত্যিই আমার অনেক ভালো লাগলো।
এটা ঠিক। লুচি গুলো দেখতে এতটাই লোভনীয় হয়েছিল যে, দেখতেই খেতে ইচ্ছে করে। আমার বাসায় বেড়াতে আসলে নিশ্চয়ই বানিয়ে খাওয়াতাম। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মুচমুচে ফুলকো লুচি সাথে এক কাপ চা আহা অসাধারণ। এরকম লুচির সাথে আলুর দম হলে আরো জমে যেতো।আপনার লুচি দেখে মনে হচ্ছে এখনি বানিয়ে খেয়ে ফেলি।অসাধারণ হয়েছে আপনার লুচি রেসিপিটি। ধাপে ধাপে লুচি তৈরি পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে লুচি গুলো অনেক ফুলিয়ে গিয়েছিল একদম ফুলকো, আর সে কারণেই লোভনীয় হয়েছে অনেকটা। আমি তো সুজি দিয়ে খেয়েছি দারুন লেগেছিল। একদিন সময় করে বাসায় বানিয়ে খেয়ে নিন।
আজকাল লুচি খেতে আমার অনেক ভয় করে,কারণ গ্যাস্ট্রিকের প্রবলেমটা অনেক বেশি হয়ে গেছে আমার।তবুও আজকে আপনার তৈরি লুচি দেখে আমার খেতে খুবই ইচ্ছা করছে আপু।লুচি গুলো কি সুন্দর ফুলে ফুলে উঠেছে।খেতে নিশ্চয়ই খুবই মজা হয়েছিল।এছাড়া লুচি তৈরির রেসিপিটি আমাদের মাঝে খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন আপু।
আমিও সবসময় লুচি বানাই না। হঠাৎ করে মাঝে মধ্যে বানানো হয়। তবে খেতে দারুন মজা হয়েছিল। সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
বেশ মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। লুচি আমার ভীষণ পছন্দ। সন্ধ্যার নাস্তায় গরম গরম লুচির সাথে আলুর দম কিংবা চিকেন চাপ থাকলে একেবারে জমে যায়। এককথায় দারুণ লাগে খেতে। যাইহোক এতো লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।