রেসিপিঃগাজরের মাওয়া লাড্ডু।
ঈদের শুভেচ্ছা সবাইকে।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুর,কেমন আছেম? আশাকরি ঈদ উৎসবে, সবাই পরিবার=পরিজন নিয়ে ভালো ও সুস্থ্য আছেন। সকলে ভালো থাকেন এই প্রত্যাশা করি । আমিও ভাল আছি। আজ ২৮ ই চৈত্র, বসন্তকাল, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ১১ইএপ্রিল, ২০২৪ খ্রীস্টাব্দ।
একমাস সিয়াম সাধনার পর পবিত্র ঈদুর ফিতর উপযাপন হলো আজ। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে উৎসব। খুশি-আনন্দের উৎসব।পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ঈদ করায় যে আনন্দ, তার তুলনা হয়না।ঈদের দিন আমাদের নারীদের বেশ ব্যস্ত কাটাতে হয়।বিভিন্ন পদের রান্না-বান্না ,আপ্যায়ন,ঈদের সাজ আবার ফাঁকে ঘুরাঘুরি। আমারও বেশ ব্যস্ত কেটেছে আজ। ফ্রি হয়েই আমার বাংলা ব্লগের জন্য আজকের পোস্ট রেডি করতে বসলাম। প্রিয় বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে, আজ হাজির হয়েছি একটি রেসিপি ব্লগ নিয়ে। আর তা হচ্ছে গাজরের লাড্ডু তৈরি রেসিপি।আপনারা জানেন, গাজর শীতকালীন সবজি। কিন্তু সারা বছরেই এখন এই সবজি কমবেশী পাওয়া যায়। প্রচুর পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এই সবজি শরীরের জন্য ভিষণ উপকারি। সালাদ,তরকারির সাথে, জুস হিসেবেও বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। তাই আমার ব্লগের বন্ধুদের সাথে আজ গাজরের লাড্ডু তৈরির রেসিপি শেয়ার করছি। উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করেছি গাজর,ঘি বাদাম সহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য উপকরণ। যা নিম্নে বিস্তারিত দেওয়া আছে। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের রেসিপিটি। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক, কিভাবে তৈরি হলো আমার আজকের গাজরের লাড্ডু তৈরির রেসিপি রেসিপি।
উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
গাজর | ৫টি |
চিনি | স্বাদ মতো |
মাওয়া | ১০০ গ্রাম |
ঘি | ৫টেঃ চামচ |
এলাচ | ৪টি |
দারুচিনি | ১ ইঞ্চি |
তেজপাতা | ২টি |
কেওড়া জল | ১ চাঃ চামচ |
বিভিন্ন ধরনের বাদাম | ২০ গ্রাম |
জ্বাল দেয়া দুধ | ১ কাপ |
লবন | ১/৪ চাঃ চামচ |
তৈরীর প্রনালী
ধাপ-১
প্রথমে গাজর ছিলে ধুয়ে গ্রেড করে নিয়েছি।
ধাপ-২
চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিয়েছি। কড়াই গরম হয়ে এলে তাতে পরিমাণ মতো ঘি দিয়ে দিয়েছি। সেই ঘিয়ে বাদাম ভেজে তুলে নিয়েছি। এবং কুচি করে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এবার সেই কড়াই এ এলাচ,দারুচিনি,তেজপাতা ফোড়ন দিয়েছি।
ধাপ-৪
যখন মশলা থেকে এরোমা বের হবে তখন তাতে গ্রেড করা গাজর গিয়ে দিয়েছি। এবং কিছুটা ভেজে নিয়েছি যাতে গাজরের কাঁচা গন্ধটা চলে যায়।
ধাপ-৫
এরপর তাতে সামান্য লবন ও দুধ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি। এবং ঢাকনা দিয়ে ১০-২৫ মিঃ জ্বাল দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৬
এবার পরিমাণ মতো চিনি,বাদাম কুচি ও কেওড়া জল দিয়ে ভালো ভাবে মিশিয়ে নিয়েছি। আরও কিছুক্ষন জ্বাল দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৭
মাওয়া গ্রেড করে নিয়েছি। গাজরের যখন পানি শুকিয়ে আসবে এবং কড়াই থেকে ছেড়ে আসবে তখন গ্রেড করা মাওয়া দিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৮
এবার পরিমাণ মতো ভাজা গাজর নিয়ে হাতের সাহায্যে গোল গোল করে লাড্ডু বানিয়ে নিয়েছি। এভাবে সবগুলো লাড্ডু বানিয়ে নিয়েছি।
পরিবেষণ
এরপর একটি প্লেটে তুলে নিয়ে বাদাম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেষণ করেছি। এবং কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি।
আশাকরি আজকের গাজরের লাড্ডু তৈরির রেসিপি আপনাদের ভাল লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার রেসিপির ব্লগ এখানেই শেষ করছি । আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। ঈদ মোবারক।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | রেসিপি |
---|---|
পোস্ট তৈরি | selina 75 |
ডিভাইস | Redmi Note 5A |
তারিখ | ১১ই এপ্রিল ,২০২৩ইং |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
আপু গাজরের হালুয়া খেয়েছি তবে কখনো গাজরের মাওয়া লাড্ডু খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। নিশ্চয় অনেক মজার ছিল। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু গাজরের এই মাওয়া লাড্ডু খেতে বেশ মজা।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
https://twitter.com/selina_akh/status/1778459074079977822
আসলে আমি গাজরের হালুয়া খেয়েছি। কিন্তু গাজরের এই মাওয়া লাড্ডু আমি এই সর্বপ্রথম দেখতে পেলাম। যদিও আমার গাজরের তৈরি কোন জিনিস পছন্দ নয়। কিন্তু গাজর কাঁচা অবস্থায় খেতে আমার খুব ভালো লাগে। আর আজ আপনার পোস্টে একটা নতুন রেসিপি দেখতে পেলাম। আর রেসিপিটা তৈরীর প্রতিটি বিবরণ আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার আবার গাজরের সব কিছুই ভালো লাগে।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলেই আপু ঈদ মানেই আনন্দ , তবে তার পাশপাশি একটু ব্যস্ততার মাঝে সময় কাটাতে হয় ঘরের নারীদের ৷ বিভিন্ন পদের খাবার রান্না করা বেশ সময় এবং পরিশ্রমের ব্যাপার ৷ যাই হোক , আজ আপনি আমাদের মাঝে বেশ চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ৷ আপনার রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ গাজরের মাওয়া লাড্ডু দেখতে অসম্ভব ভালো লাগে ৷ যাই হোক এমন মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ৷
ঠিক তাই ঈদে নারীরা ব্যস্ত থাকে বিভিন্ন খাবার তৈরিতে।যাই হোক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
প্রথমে আপনাকে জানাই, ঈদ মোবারক আপু। গাজরের মাওয়া লাড্ডু আমার খুব পছন্দের। গাজরের মাওয়া লাড্ডু দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন । এত চমৎকার রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আমার বানানো গাজরের মাওয়া লাড্ডু আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এখন আপু আমাদের দেশে শীতকালীন সবজি বলতে কিছু নেই। বিশেষ করে সারা বছরই আমরা যে কোন সবজি পেয়ে থাকি। গাজর সবজি এমন একটি সবজি যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। গাজর দিয়ে অনেক সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করা যায়। আজকে আপনি গাজর দিয়ে গাজরের মাওয়া লাড্ডু তৈরি করলেন। দেখতে অনেক লোভনীয় দেখাচ্ছে অনেক সুস্বাদুভাবে তৈরি করলেন।
ঠিক বলেছেন এখন শীতকালীন সব্জি বলে কিছুই নেই, সব সব্জি সারা বছর পাওয়া যায়।ধন্যবাদ আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঠিক বলেছেন আপু গাজর শীতকালীন পুষ্টিকর সবজি।শীতকালে এই রেসিপিটি অনেক পাওয়া যায়।আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী এবং নানা ভাবে এই সবজি টি খাওয়া যায়। আপনি ঈদের ব্যাস্ত সময় পার করার পরেও আমাদের সাথে দারুণ লোভনীয় গাজরের লাড্ডু রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।চমৎকার হয়েছে আপনার রেসিপিটি। ধাপে ধাপে চমৎকার ভাবে রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ও সুস্বাদু রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
লাড্ডু খেতে আমি অনেক বেশি পরিমাণে পছন্দ করি৷ সবসময় লাড্ডু দেখলে যেন খেয়ে ফেলতে ইচ্ছা করে৷ আজকে আপনার এই লাড্ডু দেখে একেবারে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে৷ খুব সুন্দর ভাবে আপনি এটি তৈরি করেছেন এবং এটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা একেবারে লোভনীয় ও সুস্বাদু মনে হচ্ছে৷ একইসাথে এরকম একটি রেসিপি আপনার কাছ থেকে দেখে মুখের মধ্যে পানি চলে আসলো৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য৷