অরিগ্যামিঃ ঘুড়ির আদলে বুক মার্ক তৈরি।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,আশাকরি সবাই ভালো আছেন? আমিও ভালো আছি।আজ ১৩ই কার্তিক হেমন্তকাল,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ২৯ অক্টোবর,২০২৩ খ্রীস্টাব্দ। আমার বাংলা ব্লগে আমার নিয়মিত ব্লগিং এ আজ নিয়ে এসেছি একটি অরিগ্যামি পোস্ট। আজ আমি রঙ্গিন কাগজ দিয়ে একটি ঘুড়ির আদলে বুক মার্ক অরিগ্যামি উপস্থাপন করবো। যারা বই পড়তে পছন্দ করেন তাদের বেশ পছন্দ হবে আমার তৈরি বুক মার্কটি। বুক মার্ক ব্যবহার করলে পৃষ্ঠা ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। ফলে একই পৃষ্ঠা বারবার পড়ার সুযোগও সৃস্টি হবে না। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক বুক মার্ক তৈরির ধাপ সমূহ। আপনারা জানেন, অরিগ্যামি হল কাগজকে নানা ভাবে ভাঁজে ফেলে একটি সুন্দর অবয়ব তৈরি করা। এক কথায় অরিগ্যামি হল কাগজে ভাঁজের খেলা। তাই বানানোর কৌশল বর্ণনা করা বেশ কঠিন। ভাঁজ দেখেই বুঝে নিতে হয়।তবুও চেস্টা করবো যতটা সম্ভব সহজ করে বর্ণনা করার। আজ আমি ঘুড়ির আদলে বুক মার্ক অরিগ্যামি তৈরিতে সবুজ রং এর কাগজ ও সাইন পেন উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করেছি। তাহলে বন্ধুরা, আসুন ধাপে ধাপে দেখে নেই,কিভাবে তৈরি হলো আজকের ঘুড়ির আদলে বুক মার্ক অরিগ্যামিটি। আশাকরি, আজকের ঘুড়ির আদলে বুক মার্ক অরিগ্যামিটি ভাল লাগবে আপনাদের।
উপকরণ
১।রঙ্গিন কাগজ
২।সাইন পেন
তৈরির পদ্ধতি
ধাপ-১
প্রথমে ১৪সেঃ মিঃX১৪সেঃমিঃ সাইজের এক টুকরো সবুজ রং এর কাগজ নিয়েছি বুক মার্ক বানানোর জন্য। কাগজটিকে প্রথমে কোনাকুনিভাবে ভাঁজ করে নিয়েছি।
ধাপ-২
এরপর কাগজটিকে কোনাকুনি ভাবে ভাঁজ করা কাগজটিকে মাঝ বরাবর ভাঁজ করে নিয়েছি। ছবির মতো করে।
ধাপ-৩
এবার কাগজটিকে যে পাশ বন্ধ রয়েছে সে পাশটি ভাঁজ করে নিয়েছি। ছবির মতো করে।
ধাপ-৪
এবার কাগজটির অপর পাশটির এক অংশ ভাঁজ করে নিয়েছি আগে যেভাবে কাগজটি ভাঁজ করে নিয়েছি সেভাবে। ছবিতে যেভাবে দেখানো হয়েছে।
ধাপ-৫
এবার কাগজের অন্য অংশটি মাঝ বরাবর ভাঁজ করে নিয়েছি।ছবির মতো করে
ধাপ-৬
এবার কাগজটির অতিরিক্ত অংশটি ভাঁজ করে ফাঁকা অংশে ঢুকিয়ে দিয়েছি । আর এভাবেই তৈরি করে নিলাম ঘুড়ির আদলে বুক মার্ক ।
উপস্থাপনা
আশাকরি, আজকের রঙ্গিন কাগজ দিয়ে ঘুড়ির আদলে বুক মার্ক অরিগ্যামি তৈরি আপনাদের ভাল লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে, আজ আমার অরিগ্যামি পোস্ট এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে। নিজে সুস্থ্য থাকুন ও পরিবারের সকলকে সুস্থ্য রাখুন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | অরিগ্যামি |
---|---|
ক্যামেরা | Redmi Note A5 |
পোস্ট তৈরি | @selina75 |
তারিখ | ২৯ অক্টোবর ২০২৩ |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
ঘুড়ির আদলে বুক মার্ক তৈরি করলেন আপু।রঙিন কাগজ দিয়ে যা কিছু বানানো হয় দেখতে ভীষণ ভালো লাগে।আপনি আজ বুক মার্ক করলেন। চমৎকার হয়েছে।আপনি ধাপে ধাপে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ জানাই আপনাকে সুন্দর এই ডাই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বইপ্রেমীদের জন্য এটা খুবই ইমপোর্টেন্ট একটা জিনিস, খুব সুন্দর একটা বুক মার্ক তৈরি করেছেন তাও বেশকিউট একটা ঘুড়ির মত দেখতে খুব সুন্দর হয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু আপনি রঙিন কাগজ দিয়ে ঘুড়ির মতো বুকমার্ক বানিয়েছেন। আপনার এই বুকমার্ক আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। একটা কাজ দেখে মনে হয় অনেক সহজ কিন্তু বানাতে গেলে বুঝা যায় কতটা সহজ। ধন্যবাদ এত সুন্দর বুকমার্ক শেয়ার করার জন্য।
কোন জিনিস দেখে মনে হয় বানানো বেশ সহজ।কিন্তু বানাতে গেলে ভাঁজের হেরফের হলে সব শেষ। ধন্যবাদ আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কোন কিছু দেখতে সহজ মনে হলেও করতে গেলে বোঝা যায় আসলে কতটা কঠিন। একটু ভাঁজ এলোমেলো হয়ে গেলে সম্পূর্ণ জিনিসটা নষ্ট হয়ে যায়। বুক মার্ক খুবই প্রয়োজনীয়। আপু আপনার তৈরি করা বুকমার্ক দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে।
বুক মার্ক খুবই প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। ধন্যবাদ আপু।
ঘুড়ির আকৃতিটা বেশ চমৎকার ছিল। খুব সুন্দর ভাবে আপনি তৈরি করেছেন এবং আমাদের মাঝে দেখানোর চেষ্টা করেছেন আসলে এই জাতীয় জিনিসগুলো আমার খুবই ভালো লাগে। কারণ রঙিন কাগজ দিয়ে অনেক কিছুই তৈরি করে দেখানো সম্ভব যদি নিজের দক্ষতা থাকে আর দক্ষতা বিহীন রঙিন কাগজ পড়ে থাকবে জিনিস তৈরি হবে না। খুশি হলাম পরবর্তীতে আরো নতুন কিছু আপনার থেকে প্রত্যাশা করি।
আমি চেস্টা করবো নতুন নতুন জিনিস শেয়ার করতে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঘুড়ির আদলে বুক মার্ক তৈরিরং দারুন একটা অরিগমি তৈরি করে আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। খুবই ভালো লাগলো আপনার তৈরি করা এই ঘুড়ি দেখে।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
ছোটবেলা ঘুড়ি অনেক তৈরি করেছি। কিন্তু সেটা আকাশে উড়ানোর জন্য। কখনো ঘুড়ির আদলে বুকমার্ক তৈরি করিনি। এটা দারুণ করেছেন তো আপু। সত্যি বেশ চমৎকার লাগছে। ঘুড়ির বুকমার্কটা দারুণ তৈরি করেছেন। অনেক সুন্দর লাগছে। বেশ ক্রিয়েটিভ বুকমার্ক বলতেই হয়। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঘুড়ির আদলে চমৎকার বুক মার্ক তৈরি করেছে আর এই বুকমার্ক তৈরি করতে কাগজের ভাঁজগুলো কিভাবে দিয়েছেন সেটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করার জন্য।