একটি ময়ূরের অরিগ্যামি।
সবাইকে চৈত্র সংক্রান্তির শুভেচ্ছা।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,আশাকরি সবাই ভালো আছেন? আমিও ভালো আছি । প্রত্যাশা করি সব সময় ভালো থাকেন সবাই। আজ ৩০ শে চৈত্র, বসন্তকাল, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ১৩ইএপ্রিল, ২০২৪ খ্রীস্টাব্দ।
১৪৩০ বঙ্গাব্দের আজ শেষ দিন। চৈত্র সংক্রান্তি। আগামীকাল সূর্য উদয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হবে বাংলা নতুন বছরের। নতুন বছর সবার জীবনে সুখ,শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে নিয়ে আসুক, এই প্রত্যাশা করি। সবাইকে বাংলা নব বর্ষের আগাম শুভেচ্ছা। বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে, আজ আমি রঙ্গিন কাগজ দিয়ে একটি ময়ূরের অরিগ্যামি উপস্থাপন করবো। আমরা সবাই জানি, অরিগ্যামি হল কাগজকে নানা ভাবে ভাঁজে ফেলে একটি সুন্দর অবয়ব তৈরি করা।কাগজ না কেটে দৃশ্যমান করা। তাই অরিগ্যামি হল কাগজের ভাঁজের খেলা। তাই যে কোন কিছুর অরিগ্যামি তৈরির পদ্ধতি বর্ণনা করা বেশ কঠিন।কাগজের ভাঁজ দেখেই বুঝে নিতে হয়। আর অরিগ্যামি তৈরিতে ভাঁজ একটি বড় বিষয়। ভাঁজ হের ফের হলে সম্পূর্ণ কাজটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই সাবধানে ভাঁজ করতে হয়।তবেই সুন্দর একটি অরিগ্যামি তৈরি হবে। আজ আমি একটি ময়ূরের অরিগ্যামি তৈরিতে রঙ্গিন কাগজ প্রধান উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করেছি। অনেক কথা হলো বন্ধুরা, আসুন ধাপে ধাপে দেখে নেই, ,কিভাবে তৈরি হলো আজকের রঙ্গিন কাগজ দিয়ে বানানো ময়ূরের অরিগ্যামিটি। আশাকরি, আজকের ময়ূরের অরিগ্যামিটি ভালো লাগবে আপনাদের।
উপকরণ
১। রঙ্গিন কাগজ
২। পেন্সিল
৩।বিভিন্ন রং এর সাইন পেন
৪।কাঁচি
৫।গাম
তৈরির পদ্ধতি
ধাপ-১
প্রথমে a4 সাইজের রঙ্গিন কাগজ নিয়েছি।এবং ৩ইঞ্চি পরিমাণ ভাঁজ করে নিয়েছি। এবং আড়াআড়ি ভাবে সমান দু'ভাঁজে ভাঁজ করে নিয়েছি।
ধাপ-২
৩ইঞ্চি পরিমান ভাঁজ করা কাগজের মধ্যে ময়ুরের শরীর এঁকে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এরপর আঁকা ময়ুরটি কাঁচি দিয়ে কেটে নিয়েছি।
ধাপ-৪
অবশিষ্ট কাগজের অংশটিকে জিকজাক ভাবে ভাঁজ করে নিয়েছি।
ধাপ-৫
লাল রং এর সাইন পেন দিয়ে ময়ূরের ঠোঁট এঁকে নিয়েছি। লাল ও আকাশী সাইন পেন দিয়ে ময়ূরের পেখমে ডিজাইন করে নিয়েছি।
ধাপ-৬
গাম দিয়ে কাগজের দু'অংশ একসাথে লাগিয়ে নিয়েছি। আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেলো একটি ময়ূরের অরিগ্যামি।
উপস্থাপন
আশাকরি, আজকের রঙ্গিন কাগজ দিয়ে বানানো ময়ূরের অরিগ্যামিটি আপনাদের ভাল লেগেছে। পরিবারের সকলের যত্ন নিন। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুদের। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে, আজ আমার অরিগ্যামি পোস্ট এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।এই কামনা করি।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
শ্রেণী | অরিগ্যামি |
ক্যামেরা | Redmi Note A5 |
পোস্ট তৈরি | @selina75 |
তারিখ | ১৩ই এপ্রিল২০২৪ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
আপনি ঠিক বলছেন আপু যেকোনো অরিগ্যামির ভাঁজ গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি ভাঁজ ঠিক না থাকে তাহলে নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা থাকে।আপনি দারুণ ভাবে ময়ূরের অরিগ্যামি তৈরি করছেন।আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অরিগ্যামি তৈরিতে কাগজের ভাঁজ খুব গুরুত্বপূর্ণ। ধন্যবাদ ভাইয়া।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
রঙিন কাগজ দিয়ে চমৎকার একটি পেখম তোলা ময়ূর বানিয়েছেন আপু।চমৎকার হয়েছে আপনার ময়ূর টি।ধাপে ধাপে ময়ূর তৈরি পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ময়ূর তৈরি পদ্ধতি ও তৈরি করা ময়ূর টির ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আমার ময়ূরের অরিগ্যামি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
https://twitter.com/selina_akh/status/1779204070508834847
ময়ূরের আকৃতি কিন্তু অনেক সুন্দর হয়েছে আপু। রঙিন কাগজ দিয়ে দারুন প্রতিভার প্রকাশ ঘটিয়েছেন আজকে আপনি। খুব সুন্দর ভাবে আপনি ময়ূরটা তৈরি করে দেখিয়েছেন। দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার। এক কথায় অসাধারণ হয়েছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনাকেও বাংলা নববর্ষের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাই। তবে আজকে আপনার পোস্টটি দেখে আমি সত্যি মুগ্ধ হয়েছি। রঙিন কাগজ দিয়ে এত সুন্দর ময়ূর তৈরি করা যায়। সেটা বুঝতেই পারিনি, পেখম মেলে ময়ূরটি রয়েছে। এই দৃশ্যটি অসাধারণ হয়েছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।
একটি ময়ূরের খুবই সুন্দর অরিগামী তৈরি করেছেন। এই ধরনের কাজগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। যেটা নিজের দক্ষতা বাড়ায়। ধারাবাহিকভাবে নতুন নতুন কিছু তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করে চলেছেন। যেগুলো আমরা উপভোগ করছি। আজকে ময়ূরের অরিগামি তৈরি খুবই সুন্দর ছিল । আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমিও বেশ পছন্দ করি এ ধরনের কাজ করতে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
রঙিন পেপার দিয়ে খুবই সুন্দর একটি ময়ূরের অরিগ্যামি তৈরি করেছেন ৷ এটি দেখতে অসম্ভব সুন্দর হয়েছে ৷ ধাপ গুলোও বেশ চমৎকার ভাবে শেয়ার করেছেন ৷ সব মিলিয়ে ভীষণ ভালো লাগলো পোস্টটি দেখে ৷ ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য
আমার চেস্টা আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ময়ূরের অরিগ্যামি তৈরি করেছেন দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার তৈরি পদ্ধতি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
রঙিন কাগজে আঠা লাগিয়ে চমৎকার একটি ময়ূর তৈরি করেছেন আপু দেখতে অসাধারণ সুন্দর লাগছে। কিভাবে এমন সুন্দর ময়ূরের অরিগামি তৈরি করতে হয় সেটা ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
রঙিন কাগজ দিয়ে ময়ূরের অরিগামিটা অসাধারণ হয়েছে আপু। প্রত্যেকটা ধাপ খুবই সহজভাবে উপস্থাপন করেছেন যেটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।অসংখ্য ধন্যবাদ রঙিন কাগজ দিয়ে ময়ূরের অরিগামি তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমি চেস্টা করেছি সহজ করে উপস্থাপন করতে।ধন্যবাদ আপু।