লাইফ স্টাইলঃকাজিনদের সাথে গেট টুগেদার।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
আশাকরি সবাই ভালো আছেন ।আর প্রত্যাশা করি সব সময় ভালো থাকেন। আজ ৩ রা কার্তিক হেমন্তকাল,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ১৯ অক্টোবর,২০২৩ খ্রীস্টাব্দ। নিয়মিত ব্লগিং আজ হাজির হয়েছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আমি চেস্টা প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করার। আজ আমি আপনার সাথে শেয়ার করবো একটি লাইফ স্টাইল পোস্ট।
বেশ কিছু দিন আগে আমার একমাত্র খালার বাসায় আমরা যারা ঢাকায় থাকি তাদের একটি গেট টুগেদার ছিল। আর উপলক্ষ্য ছিল আমার ছোট খালাতো বোনের স্বপরিবারে অস্ট্রেলিয়া স্যাটেল হওয়া। আজ আশে পাশে প্রায়ই শোনা যাচ্ছে বাহিরে স্যাটেল হওয়ার খবর। কেউ স্বপরিবারে আর না হয় ছেলে মেয়েদের বাহিরে পাঠিয়ে দিচ্ছে পড়াশোনার জন্য। দিনকে দিন এ হার যে বেড়েই চলেছে। কেউ যেন আর দেশে থাকতে যচ্ছে না। এই গত দুই থেকে তিন মাসে আমার পরিচিত প্রায় তিনটি পরিবার আমেরিকা,কানাডা,অস্ট্রেলিয়া স্যাটেল হয়েছে। আর বাহিরে পড়তে গেছে প্রায় ৭-৮ জন । সবারই এক কথা বাচ্চার ভবিষ্যতের জন্য যাচ্ছে। তারা ভাবে এ দেশে বাচ্চাদের কোন ভবিষ্যত নেই । দিনে দিনে ভেঙ্গে পরছে শিক্ষা ব্যবস্থা। সে সাথে বৈষম্য। দেশে এখন প্রায় ৩-৪ ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা চালু রয়েছে। সে সাথে রয়েছে দূর্নীতি।অবশ্য কেউ কেউ কালো টাকা সাদা করার জন্যও বিদেশমূখী হচ্ছে।তাইতো বেগমপাড়ার কথা কানে আসে আমাদের।
সেই দিন আমরা কাজিনরা,কাজিনদের বর ,বৌ বাচ্চা সহ ২৫ জন একত্রিত হয়েছিলাম। বেশ মজা হয়েছিল সে দিন । বেশ জমিয়ে খাওয়া দাওয়া ,আড্ডা ,গ্রুপ ফটোসেশন সেলফি তোলা। তবে এ আনন্দের মাঝেও একটা কষ্ট ছিল, আমার খালার না থাকার কষ্ট। প্রায় ছয় মাস হলো আমার খালা মারা গেছেন। খালু বেঁচে আছেন। খালু ব্যাংকের রিটায়ার্ড কর্মকর্তা। খালার দুমেয়ে। বড় মেয়ে ডাক্তার। সে কর্মসুত্রে আবুধাবী থাকে। ছোট মেয়ে ঢাকার একটি কলেজের ইংরেজি শিক্ষক। আর তার বর একটি ব্যাংকের আইটি সেক্টরে কর্মরত। আর তাদের অস্ট্রেলিয়া চলে যাওয়া উপলক্ষ্যেই সকলে্র একত্রিত হওয়া।
তারা বাহিরে যাওয়ার জন্য প্রসেস শুরু করেছে ২০১৯ সাল থেকে। মাঝখানে করোনার জন্য তাদের যাওয়া পিছিয়ে গেছে। আমি জানতে চেয়েছিলাম তারা কোন ভিসায় যাচ্ছে। সে জানালো তারা স্কিল ভিসায় যাচ্ছে। স্কিল ভিসায় গেলে কাজ পেতে সুবিধা হয়। তার বরের পক্ষে কাজ পাওয়া সহজ হবে । যেহেতু সে আইটি সেক্টরে কাজ করতো। কিন্তু খালাতো বোন সেখানে শিক্ষকতা পেশায় কাজ করতে পারবে না। কেননা তার মাস্টার্স ডিগ্রী অস্ট্রেলিয়ায় ডিপ্লোমা কোর্স হিসাবে ট্রিট করা হবে। ওখানে ও যদি টিচিং প্রফেশনে কাজ করতে চায় ,তবে তাকে আবার পড়াশোনা করতে হবে। আর পড়ালেখা করতে গেলে প্রচুর খরচ হবে যা তাদের জন্য বেশ কষ্টকর হবে। কেননা তার দু'ছেলে মেয়ের লেখা পড়া বাবদ কিছু খরচ হবে। সেই সাথে নতুন জায়গায় স্যাটেল হতেও সময় লাগবে। তাই সেখানে যেয়ে যেনো একটি সম্মানজনক কাজ করতে পারে সেজন্য বাংলাদেশ থেকে একটি প্রফেশনাল বেকিং কোর্স করে গেছে। সে চাইলে ওখানে অনলাইনে ব্যবসা করতে পারবে।
রাত সারে এগারটার দিকে আমরা সবার থেকে বিদায় নিলে চলে এলাম । চলে আসার সময় বুকের মধ্যে একটা অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছিল আবার কবে দেখা হবে! আর দেখা হবে কিনা! তাও জানি না। যদিও বিজ্ঞানের বদৌলতে ভিডিও কলের মাধ্যমে দেখা ও কথা বলা যাবে। সেটাই সান্ত্বনা। জীবনের প্রয়োজনে এভাবেই চলতে থাকবে বাহিরে
স্যাটেল হওয়া প্রজন্মের পর প্রজন্ম।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ক্যামেরা | Redmi Note 5A |
পোস্ট তৈরি | @selina75 |
তারিখ | ১৯ অক্টোবর,২০২৩ |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/selina_akh/status/1715045883115663708
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এমন গেট টুগেদার হলে ভীষণ ভালো লাগে সবার।যদিও আপনার খালাতো বোন স্ব-পরিবারে বাইরে চলে যাচ্ছে।এটা আবার খুব কষ্টের।সবাই মিলে খুব আনন্দ করলেন ফটোগ্রাফি দেখে কিছুটা বোঝা গেলো।এটা ঠিকই বলেছেন সবাই কোন না কোন ভাবে দেশ ছাড়া হয়ে যাচ্ছে।এদেশে কোন ভবিষ্যৎ যেনো নেই।
জি আপু সবাই বাহিরে চলে যেতে চাচ্ছে। দিন দিন মেধা শুন্য হয়ে পরছে দেশ। আর এধরনের গেট টুগেদারে সবার সাথে দেখা হয় ব্লে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু।
আমাদের উচিত হবে প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করা যাতে করে আমরা সকল কাজে পারদর্শী হতে পারি। কোন কাজে যেন পিছিয়ে থাকতে না পারি। এগুলো সব কিছুই সম্ভব হয়েছে আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের মাধ্যমে।কাজিনদের সাথে একটু যখন একত্রিত হয় তখন সত্যিই অনেক ভালো লাগা কাজ করে। সেদিনটা অনেক স্মরণীয় হয়ে থাকে। এখন পরিবারের সবাই না গেলেও ছেলেমেয়েকে পড়ার জন্য পাঠিয়ে দিচ্ছে। এটা সত্যিই অনেক বেড়েই চলছে।দেশে কেউ থাকতে চাচ্ছে না। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা তো একদমই ভেঙে পড়ছে। কোন মান নেই। একজন যে লিখতে পারে না সেও এক্সাম এ জিপিএ ৫ পাচ্ছে। তাহলে একজন কষ্ট করে পড়াশোনা করছে সে পাচ্ছেনা৷ তার মনোবল তো হারিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন। একসাথে ২৫ জন হয়েছেন। মজা করেছেন। সেলফি তুলেছেন। আমরাও আপনার মুহূর্ত থেকে অনেক আনন্দিত হয়েছি।
সবাই বিদেশ ছুটছে। দেশের সব জায়গায় কেবল অনিয়ম আর অনিয়ম। সবাই একসাথে হলে বেশ মজা হয়,সেদিনও হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু,কাজিনদের সাথে গেট টুগেদার বেশ ভালোভাবে সম্পন্ন করে বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন জেনে খুব ভালো লাগলো। তবে ফিরে যাওয়ার সময় আপনার কষ্ট পাওয়াটাই স্বাভাবিক। কেননা আপনার কাজিন বাইরের দেশে চলে যাচ্ছে তাও আবার সপরিবারে। তবে আপু যেহেতু তারা সপরিবারে বাইরের দেশে যাচ্ছেন, সেহেতু সকলেই ভাল থাকবে এটা প্রত্যাশা করা যায়। তাই আপনার কাজিন তার সপরিবারে ভালো থাকুক সুদূর প্রবাস জীবনে আমিও এই প্রত্যাশা করছি।
দোয়া করবেন যেন ভালো থাকে।অনেক ধন্যবাদ।
পারিবারিক গেট টুগেদার সত্যিই অনেক আনন্দের বিষয়। অনেক পরিবারের অনেক সদস্য একত্রিত হওয়ার কারণে অনেক কিছুই ভাগাভাগি করে নেয়া হয়। আর বহু পুরনো স্মৃতিও তাজা হয়ে যায়। নিশ্চয়ই আপনাদের গেট টুগেদারটিও এমনই ছিল। আপনার খালা মারা গিয়েছেন তাকে আপনারা অনেক অনুভব করেছেন এটা বোঝা গেল।
এছাড়া বিদায়ের মুহূর্তে আপনার যে ভিন্ন অন্যরকম অনুভূতি হয়েছে তাও আপনি প্রকাশ করেছেন। সব মিলিয়ে আপনার গেট টুগেদারটি সুন্দর হয়েছে এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
পারিবারিক গেট টুগেদারে বেশ আনন্দ হয় । কিন্তু এ ধরনের গেট টুগেদারে কিছুটা কষ্টবোধও থাকে। দোয়া করবেন আপু।