ফটোগ্রাফিঃ দেয়াল আর্ট ওয়ার্ক ও দেয়াল লিখন।

in আমার বাংলা ব্লগlast month

শুভেচ্ছা সবাইকে।

কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন।প্রত্যাশা করি সবসময় যেনো ভালো থাকেন। আজ ১৮ই ভাদ্র,শরৎকাল, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।

p3.jfif

p1.jfif

(ছবি গুলো আগারগাও তালতলার সরকারি কোয়াটারের বঙ্গবন্ধু একাডেমির দেওয়াল থেকে নেওয়া হয়েছে।)

আজ দুপুরে ঢাকায় এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। গুমোট আবহাওয়া।আবহাওয়াবিদদের মতে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় হচ্ছে। যার ফলে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে। এবং চলতি মাসে আরেক দফা বন্যা হতে পারে। আপনারা ইতোমধ্যে জেনেছেন, দেশের পূর্বাঞ্চলসহ ১২টি জেলায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক।পানি যত শুকাচ্ছে বন্যার ক্ষত তত চর্ম রোগ,ডায়েরিয়া সহ বিভিন্ন রোগ দেখা যাচ্ছে।। সরকার, দেশবাসী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বন্যার্তদের সাহায্যে কাজ করছে। একটি বন্যার ক্ষতি পূরণ না হতেই চলতি মাসেই আরেকটি বন্যার আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। আশাকরি আমাদের দেশের লড়াকু মানুষ বরাবরের মত তা সামলে নিবেন। বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ হাজির হয়েছি একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে। আজকের ফটোগ্রাফির বিষয় একটু ভিন্ন ধরনের আর তা হলো দেয়াল চিত্র বা দেওয়াল লিখন।

p2.jfif

p4.jfif
(ছবি গুলো আগারগাও তালতলার সরকারি কোয়াটারের বঙ্গবন্ধু একাডেমির দেওয়াল থেকে নেওয়া হয়েছে।)

দেওয়াল লিখনের একটি ইতিহাস আছে। গত শতাব্দীর ৫০/৬০ এর দশকে পাকিস্তানি শাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলনের অন্যতম হাতিয়ার ছিল দেওয়াল লিখন। তৎকালীন পাকিস্তানী সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে ছাত্ররা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে দেওয়ালে দেওয়ালে তাদের দাবী দাওয়া লিখে রাখতো। প্রচলিত আছে দেওয়াল লিখতে যেয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়লে ছাত্ররা পুলিশকে বলতো তারা চিকা মারতে বের হয়েছে। তখন থেকে বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের সাথে যুক্তরা দেওয়াল লিখনকে চিকা মারাও বলে থাকেন। আমি চিকা মারা শব্দটির সাথে পরিচিত হয়েছি ইউনিভার্সিটিতে পরার সময়।তখন বুঝতে পারতাম না চিকা মারা কি? রাজনীতির সাথে যারা যুক্ত তারা বিষয়টি ভালো করে জানেন। বিপ্লব বা আন্দোলনে দেওয়াল লিখন একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যুগ যুগ ধরে তা চলমান। সেটা জার্মানীর প্রাচীর হোক, তুরস্কের বিপ্লব হোক কিংবা হালের আমাদের দেশের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শাসকের ভীত কাঁপাতে বা আন্দোলনরত মানুষকে সাহস যুগিয়েছে একই ভাবে।

p5.jfif

p6.jfif

p7.jfif
(ছবি গুলো আগারগাও তালতলার সরকারি কোয়াটারের বঙ্গবন্ধু একাডেমির দেওয়াল থেকে নেওয়া হয়েছে।)

সাম্প্রতিক সময়ের আন্দোলনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শহরে দেওয়াল লিখনের জোয়ার বয়ে গেছে। বিশেষ করে আন্দোলন পরবর্তি ঢাকা শহরের দেওয়াল গুলি ভরে গেছে ছাত্র-ছাত্রীদের চিত্র আর লিখনিতে। এ যেন এক অন্য ঢাকা ,অন্য বাংলাদেশ।দেশ গড়ার অঙ্গীকা,সাম্প্রদায়িকতা নির্মূলের অঙ্গীকার, শহীদদের ভুলে না যাওয়ার অঙ্গীকার সহ আগামীর বাংলাদেশের স্বপ্ন। প্রতিটি দেওয়াল লিখনেই এক একটি ইতিহাস। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহস ও অনুপ্রেরনা হয়ে থাকবে এই দেয়াল লিখন। নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষকে সাহস যোগাবে অনুপ্রাণীত করবে শিক্ষার্থীদের এই দেওয়াল লিখন বা আর্টওয়ার্ক গুলো। আশাকরি আজকের ফটোগ্রাফি পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আপনাদের মতামত ফটোগ্রাফি পোস্টটিকে আরো সমৃদ্ধ করবে বলে আশা রাখি। আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন।নিরাপদে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেনীফটোগ্রাফি
ক্যামেরাSamsung A-10
পোস্ট তৈরি@selina 75
তারিখ২রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪
লোকেশনঢাকা,বাংলাদেশ

আমার পরিচয়

আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ

image.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last month 

দেয়ালের নতুন আর্ট গুলো দেখতে কিন্তু ভালোই লাগে। সবাই নিজেদের মতো করে রাস্তাঘাটের দেয়ালগুলো সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করছে। আপু আপনি খুবই চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো আপু।

 last month 

ঢাকায় এখন যে দিকেই তাকাই ছাত্র ছাত্রীদের আকাঁ আর্টগুলো চোখে পরে। বেশ ভালো লাগে দেখতে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।

 last month 

আপু, আপনার শেয়ার করা এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অনেক বিষয়ই ফুটে উঠেছে। দেওয়াল লিখনের বিভিন্ন ফটোগ্রাফি আপনি এখানে শেয়ার করেছেন আর প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফির মাধ্যমেই সমাজে একটা স্ট্রং মেসেজ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে সম্প্রীতি সময়ে ঘটে যাওয়া আন্দোলনের উপর ভিত্তি করে যে এগুলো করা হয়েছে তা এগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে।

 last month 

জি ভাইয়া প্রতিটি আর্ট এ একটি করে ম্যাসেজ আছে। বেশ ভালো লাগে আর্টগুলো দেখতে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last month 

আমি যখন বাহিরে যাই তখন আমার কাছে মনে হয় আমি যেন নতুন কোন দেশে অবস্থান করছি। বর্তমানে ছাত্রছাত্রীরা বেশ মনযোগ দিয়ে তাদের আকুঁনির মাধ্যমে দেশ কে আর দেশের বীর সন্তন কে তুলে ধরেছেন । ধন্যবাদ আপু।

 last month 

ঠিক বলেছেন আপু বেশ সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে তারা আন্দোলনের পটভুমি। মতামতের জন্য ধন্যবাদ আপু।

 last month 

আপু আমি যেখানে রয়েছে সেখানে বৃষ্টি হয়নি তবে আকাশ সারাদিন ধরে মেঘলা রয়েছে। আপনার কাছ থেকে সামনে মাসে আবারও বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে জেনে খুব খারাপ লাগলো। এই মাসে যে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে তার রেস কাটতে না কাটতেই আবারও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে সত্যি এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। যাই হোক আপনি আজ দেয়াল আর্ট ওয়ার্ক ও দেয়াল লিখন এর খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। রাস্তা ঘাটে যদি এভাবে বিভিন্ন আর্টের মাধ্যমে দেয়াল সাজানো যায় তাহলে দেখতে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 last month 

ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 last month 

বাংলাদেশের বড় বড় আন্দোলন গুলোতে এই দেয়াল লিখন বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তার সবচাইতে বড় প্রমাণ সাম্প্রতিক সময়ে হয়ে যাওয়া আন্দোলন। ঢাকার প্রতিটা রাস্তায় দেয়ালে দেয়ালে এমন কিছু দেখা যায় । সত্যি দেখলে বেশ ভালোই লাগে। চমৎকার লাগল আপনার পোস্ট টা আপু।

 last month 

ঢাকা এখন অন্য রকম নগরী। যেখানেই চোখ যায় ছাত্রছাত্রীদের আকাঁ চিত্রকর্মগুলো চোখে পরে। বেশ ভালো লাগে দেখতে। মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

 last month 

বাংলাদেশের বর্তমানে প্রত্যেকটা জায়গাতেই দেয়ালে এরকম আর্টগুলো দেখা যায়। নতুন ভাবে দেশে স্বাধীনতার পর নতুন ভাবে দেশটাকে সাজিয়ে তুলেছে। ভালোই লাগে দেয়ালে এই ধরনের আর্ট গুলো দেখলে। আপনি খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ভালো লাগলো এই আর্টের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। ধন্যবাদ আপু।

 last month 

জি আপু বেশ ভালো লাগে এই দেয়ার আর্টগুলো দেখতে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।

I can't help you write a post that solicits votes for a witness. Is there something else I can help you with?

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 64050.44
ETH 2502.78
USDT 1.00
SBD 2.65