জেনারেল রাইটিংঃসবজির বাজার ও আমাদের কৃষক।
শুভেচ্ছা সবাইকে
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন? আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।আজ ১লা অগ্রহায়ণ, হেমন্তকাল,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ১৬ নভেম্বর,২০২৩ খ্রীস্টাব্দ। অগ্রহায়ণ মাস শুরু হয়ে গেল। গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধ! ঘরে ঘরে খুশির আমেজ। পিঠা পুলির উৎসব।যদি ধানের ন্যায্য দাম পায় কৃষক, তাহলে এই খুশি চওড়া হয়ে যায় আর না হলে নিমিষেই চুপসে যায়। আনন্দ হয়ে যায় নিরানন্দ।বন্ধুরা,গত ৮/১০ দিন আগেও সবজির বাজারে ছিল আগুন! শীতের সবজি বাজারে আসায় এখন কিছুটা সহনীয়। বন্ধুরা,আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিং এ আজ আমি একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। আজকের জেনারেল রাইটিং এর বিষয় সবজির বাজার ও আমাদের কৃষক।
বন্ধুরা,বেশ কিছুদিন ধরেই সবজির বাজারে ছিল আগুন। সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে ছিল বলা যায়।এখনো আদা,রসূন,পিয়াজ ও আলু কিনতে সাধারণ মানুষের ত্রাহি অবস্থা। শাক-সবজির দাম কমায় বর্তমানে কিছুটা স্বস্তি।কিন্তু বাজার এত চড়া কেন হয়? এই চড়া বাজারে আমাদের উৎপাদনকারী কৃষকদের কি লাভ হয়? হুট হাট দাম আকাশ ছোয়া হয়ে যায় কি কারণে? নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বা সরকারের করণীয় কি? কি তাদের পরিকল্পনা! এবার আমরা দেখেছি বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের চেষ্টা আসলে কাজে আসেনি!
গত কয়েকদিন আগে কাঁচা মরিচের কেজি ছিল ১৫০/ ২০০ টাকা। এখন ৬০/৭০ টাকা।বেগুন, করল্লার কেজি ছিল ১০০ টাকার উপর এখন ৪০/৫০ টাকা। কেন এমন হয়! উৎপাদনকারী কৃষক আসলে কত দাম পাচ্ছে! ভোক্তা হিসেবে এই প্রশ্নটা ঘুরপাক খায় আমার মাথায়! কৃষক কেন তার উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম পায়না!!এক্ষেত্রে আমাদের নীতি নির্ধারকদের ভূমিকা কখনোই চোখে পড়েনি সেভাবে। শুধুমাত্র ধান ও গম কেনার ক্ষেত্রে সরকারের উদ্যোগ চোখে পড়ে। এছাড়া উদ্যোগ নেই বললেই চলে।কৃষি পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের, যে দাম পাওয়ার কথা সিজন টাইম্ সে দাম না পেয়ে কম দামে বা কখনো কখনো উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। যেমন ধরেন প্রান্তিক কৃষককে আলু উৎপাদন করে ৮/১০ টাকায় বিক্রি করতে হয়েছে। সেই আলুই তাদের ৫০/৬০ টাকায় কিনে খেতে হচ্ছে। আবার আলুর বীজ তাদের ৭০/৮০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে! যদিও সরকারি বা কৃষি অধিদপ্তরের বেশ কিছু উদ্যোগ আছে কৃষকদের নিয়ে তা জানেই না প্রান্তিক কৃষক। হ য ব র ল অবস্থা!
মোটা দাগে তিনটি জায়গা সমন্বয় করতে পারলে কৃষক, ভোক্তা ও ব্যবসায়ী লাভবান হবেন।
১। কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা।
২।ভোক্তার সীমার মধ্যে মূল্য নির্ধারণ করা।
৩। ব্যবসায়ীর বিক্রির মূল্য নির্ধারণ করা।(খুচরা ও পাইকারি)।
এই তিনটি জায়গা সমন্বয় করতে পারলে কৃষক, ভোক্তা ও ব্যবসায়ী সবাই লাভবান হবে।যদিও কাজটা কঠিন কিন্তু একবার শুরু করলে একদিন কাঠামোর মধ্যে দাড়িয়ে যাবে। কম মূল্যে ক্রয় করে বেশি মূল্যে বিক্রি এবং বিভিন্ন অযুহাতে ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফা বন্ধ হয়ে যাবে। ফড়িয়া,মধ্যস্বত্বভোগী, আড়তদার ও মজুমদারদের দৌরাত্ম কমবে। বাস্তবে কৃষকের প্রাপ্ত মূল্য আর খুচরা মূল্যের মধ্যে ব্যবধান আকাশ পাতাল।এটা কখনোই রোধ করা যায়নি।তবে রোধ করা জরুরী। এছাড়া কৃষকদের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি, সার-কীটনাশলকের দাম কমাতে হবে।এবং শষ্য বিমা চালু করতে হবে। এজন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাদের কর্মসূচি বাস্তবায়নে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে।
পোস্ট বিবরণ
| শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
|---|---|
| ক্যামেরা | Redmi Note 5A |
| পোস্ট তৈরি | @selina75 |
| তারিখ | ১৬ নভেম্বর, ২০২৩ |
| লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
সত্যি খুব ভালো লাগলো আপনার আজকের লেখাগুলো পড়ে। বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা লিখেছেন আপনি। আপনি গুরুত্বপূর্ণ তিনটি জায়গা সম্পর্কে বলেছেন। আসলে এগুলো ঠিক করতে পারলেই সবকিছু স্বাভাবিক হবে। এবং সবাই লাভবান হবে। আসলে এই ব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া টা অনেক বেশি জরুরী।
এই তিনটি জায়গায় সমন্বয় হলে কিছুটা স্বস্থি আসবে সব্জির বাজারে। ধন্যবাদ আপু।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/selina_akh/status/1725197510367740408
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি ভালো একটি বিষয় নিয়ে আজ আলোচনা করেছেন। সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ক্রমশ আমাদের হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। সত্যি বলতে এখানে কৃষক তার ন্যায্য মূল্য পায়না, তবে মাঝখান থেকে কিছু অমানুষ টাকা লুটে নিচ্ছে। বাংলাদেশে আসলে এগুলো বন্ধ হবে না, কারন মানুষের থেকে এখন অমানুষ আর অসুস্থ মানসিকতার লোক বেশি।
আমাদের নীতি নৈতিকতা নস্ট হয়ে গেছে। সেই সাথে বেড়ে গেছে লোভ ও চাহিদা। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আপনি সম সাময়িক বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেন।ভীষণ ভালো লাগে। আজ সবজির বাজার ও আমাদের কৃষক নিয়ে বেশকিছু তথ্য তুলে ধরেছেন। পড়ে খুব ভালো লেগেছে। আসলে শাক সবজির দাম যে হারে বেড়ে গিয়েছিল।সেই ভাবে আমাদের দেশের কৃষক তেমন কোন লাভবান হননি। আপনি তিনটি বিষয় কে সমন্বয় করতে বললেন।হয়তো এর দ্বারা কৃষক,ভোক্তা ও ব্যবসায়ী সবাই মোটামুটি লাভবান হবেন।সুন্দর একটি বিষয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
কৃষক যদি তাদের পণ্যের ন্যাযমূল্য পেতো তাহলে খুশি হতাম। কিন্তু লাভ করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।ধন্যবাদ আপু।
আসলে সত্যি কথা বলতে কি আমাদের দেশের কোন কিছুর নিয়ম শৃঙ্খলা নেই বললেই চলে। আর এজন্য হঠাৎ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হাই রেট হয়ে যায়। আবার হঠাৎ কমে যায়। আর এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষগুলো।
ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় কিছু অসাধারণ ব্যবসায়ী যারা কিনা কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে পণ্য কিনছে, কিন্তু সেই পণ্যটাই বাজারে এমন ভাবে উপস্থাপন করছে যে পণ্য খুব একটা বেশি নেই যার কারণেই এত দাম। পক্ষান্তরে কৃষকেরা হয়তো বা তাদের ন্যায্য মূল্যটা কোনভাবেই আদায় করতে পারছে না। আর আপনি আপনার পোস্টের মাধ্যমে যে তিনটা জায়গায় সমন্বয়ের কথা বলেছেন এটা মোটামুটি ভালো একটা উদ্যোগ বলে আমি মনে করি। বর্তমান সময় আসলে সবজি বাজারেও আগুন লেগে গিয়েছে সকল কিছুর দাম অনেকটাই বেশি। আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপনি বর্তমান প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছেন আপনার পোষ্টের মাধ্যমে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।