ডাটা দিয়ে টেংরা মাছের ঝোল রেসিপি।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুর,কেমন আছেন? আশাকরি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। সকলে ভালো থাকেন এই প্রত্যাশা করি ।আমিও ভাল আছি। আজ ৫ই বৈশাখ, গ্রীষ্মকাল, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ১৮ইএপ্রিল, ২০২৪ খ্রীস্টাব্দ।
প্রিয় বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে, আজ হাজির হয়েছি একটি রেসিপি ব্লগ নিয়ে। আর তা হচ্ছে ডাটা দিয়ে টেংরা মাছের ঝোল রেসিপি। আমি সব সময় টেংরা মাছ ভুনা খেতেই বেশি পছন্দ করি।কিন্তু সব সময় একই রকম খেতে ভালো লাগে না, তাই আজ ডাটা দিয়ে টেংরা মাছ রান্না করেছে। মাঝে মাঝে একটু অন্য রকম খাবার খেতে ভালো লাগে। তাই আজ টেংরা মাছ দিয়ে ডাটা রান্না করেছে। খেতে বেশ মজাই লেগেছে।আপনারাও ট্রাই করতে পারেন এই রেসিপিটি।তাই রেসিপিটি আপনাদের শেয়ার করলাম। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের।এই রেসিপি তৈরিতে উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করেছি টেংরা,ডাটা সহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য উপকরণ। যা নিম্নে বিস্তারিত দেওয়া আছে। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের রেসিপিটি। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক, কিভাবে তৈরি হলো আমার আজকের ডাটা দিয়ে টেংরা মাছের ঝোল রেসিপিটি।
উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
টেংরা মাছ | ১৫০ গ্রাম |
ডাটা | ১০০ গ্রাম |
পিঁয়াজ | ২টি |
রসুন | ১ কোয়া |
টমেটো | ১টি |
হলুদ গুড়া | ১ চাঃ চামচ |
ধনে গুড়া | ১চাঃ চামচ |
জিরা গুড়া | ১/২ চাঃ চামচ |
কাঁচা মরিচ | ৫-৬টি |
লবন | স্বাদ মতো |
পিয়াজ কলি | পরিমাণ মতো |
ধনেপাতা | পরিমাণ মত |
তেল | ২ টেঃ চামচ |
রন্ধণ প্রনালী
ধাপ-১
টেংরা মাছগুলো কুটে ভালোভাবে ধুয়ে পরিস্কার করে নিয়েছি।
ধাপ-২
ডাটা ছিলে কুচি করে কেটে ধুয়ে নিয়েছি।পিয়াজ,কাঁচা মরিচ,রসুন,টমেটো ও পিয়াজের কলি ধুয়ে কেটে নিয়েছি।
ধাপ-৩
প্রথমে পিঁয়াজ,রসুন,আদা ও কাঁচামরিচ বেটে নিয়েছি।
ধাপ-৪
চুলায় একটি হাড়ি বসিয়ে দিয়েছি। হাড়ি গরম হয়ে এলে, তাতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হয়ে এলে, তাতে বেটে রাখা মশলা দিয়ে দিয়েছি। মশলা ভাজা ভাজা হয়ে এলে তাতে সকল গুড়া মশলা দিয়ে দিয়েছি।মশলা যাতে পুড়ে না যায় সে জন্য সামান্য পানি দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৫
মশলা যখন তেল ছেড়ে আসবে তখন ধুয়ে রাখা টেংরা মাছ গুলো দিয়ে দিয়েছি এবং ভালোভাবে কষিয়ে নিয়েছি। মাছ কষানো হয়ে গেলে একটি পাত্রে তুলে নিয়েছি।
ধাপ-৬
টেংরা মাছ গুলো তুলে নেয়ার পর, সেই মশলায় কেটে রাখা ডাটা দিয়ে ভালোভাবে মশলার সাথে কষিয়ে নিয়েছি। এরপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে পাতিলে ঢাকনা দিয়েছি ১০-১২ মিঃজ্বাল দিয়ে নিয়েছি ডাটা সিদ্ধ হওয়ার জন্য।
ধাপ-৭
ডাটা মোটামুটি সিদ্ধ হয়ে এলে, তাতে আগে থেকে কষিয়ে উঠে রাখা মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি। এবং আরো ৮-১০ মিঃ জ্বাল দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৮
যখন তরকারীর তেল উপরে উঠে আসবে এবং ঝোল কমে আসবে তখন ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিয়েছি। ব্যস তৈরি আমার ডাটা দিয়ে টেংরা মাছের ঝোল।
পরিবেষণ
এরপর একটি বাটিতে তুলে নিয়ে সাজিয়ে পরিবেষণ করেছি। এবং কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি।
আশাকরি আজকের ডাটা দিয়ে টেংরা মাছের ঝোল রেসিপিটি আপনাদের ভাল লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার রেসিপির ব্লগ এখানেই শেষ করছি । আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | রেসিপি |
---|---|
পোস্ট তৈরি | selina 75 |
ডিভাইস | Redmi Note 5A |
তারিখ | ১৮ই এপ্রিল ,২০২৩ইং |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
ডাটা দিয়ে টেংরা মাছের ঝোল রেসিপি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। তাছাড়া টেংরা মাছ খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। তবে এই রেসিপিটা আমার কাছে ভীষণ ইউনিক মনে হয়েছে। খেতে নিশ্চয় অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো। ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://twitter.com/selina_akh/status/1781005756449591313
ডাটা দিয়ে টেংরা মাছের ঝোল রেসিপিটি বেশ লোভনীয় হয়েছে। ডাটা দিয়ে টেংরা মাছ খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনি বেশ চমৎকারভাবে রেসিপিটি বানিয়েছেন ও আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
জি ভাইয়া এই রেসিপিটি খেতে বেশ মজা । মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
তাজা টেংরা মাছ ডাটা দিয়ে খেতে অনেক মজার। আমি ও কয়েক দিন আগে অনেক টেংরা মাছ কিনে এনেছি। আমার রেসিপি খেতে নিশ্চয় অনেক সুস্বাদু হয়েছে। কালারটা দারুণ এসেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি রেসিপিটি বেশ মজা হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু।
ডাটা দিয়ে টেংরা মাছের ঝোল রান্নার লোভনীয় রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। অনেকদিন পরে আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে টেংরা মাছের রেসিপি দেখতে পেলাম। কতদিন যে টেংরা মাছের রেসিপি খাওয়া হয়নি সেটা আপনাকে বলে বোঝাতে পারবো না।
টেংরা মাছ যেভাবেই রান্না করা হোক না খেতে দারুন লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বর্তমানে যে গরম পড়েছে এই গরমের সময় এমন ঝোল তরকারি খাওয়াই আমাদের উচিত।আর আপনি ডাটা দিয়ে এত সুন্দর ভাবে টেংরা মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করেছেন।আর রেসিপির প্রতিটি ধাপ ছবিসহ এত সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন যা পড়ে আপনার রেসিপি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়েছি।এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
জ়ি আপু এই গরমে আমাদের পাতলা তরকারী খাওয়া দরকার। মতামতের জন্য ধন্যবাদ আপু।
এটা সত্যি বলেছেন আপু মাঝে মধ্যে ভিন্ন ধরনের খাবার খেতে ভীষণ ভালো লাগে। টেংরা মাছ আর ডাটা দিয়ে বেশ দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন ভীষণ লোভনীয় লাগছে। মাছের রেসিপি গুলো খাইতে অনেক বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। আপনার রেসিপি তৈরীর প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সব সময় একই ধরনের খাবার খেতে ভালো লাগে না। তাই মাঝে মাঝে অন্যভাবে খেতে ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ডাটা দিয়ে মজাদার টেংরা মাছের রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন বিশেষ করে রেসিপি টা কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটা পর্যায়ক্রমে উপস্থাপন করেছেন। তবে বাটিতে পরিবেশন করা মাছের রেসিপির ছবি যদি আরও বেশি সচ্ছ হতো তাহলে বেশি ভালো লাগতো।
গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন আপু সব সময় এক রকম রেসিপি খেতে আসলেই ভালো লাগে না। তাছাড়া ছোট টেংরা মাছ হলে চচ্চড়ি খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপনি তো দেখছি ডাটা দিয়ে খুবই সুস্বাদু করে টেংরা মাছ রান্না করেছেন। কালার দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। খুব লোভনীয় লাগছে দেখতে।
জি আপু মাঝে মাঝে অন্য রকম রান্না খেতে ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু।