রেসিপিঃঝিঙ্গে দিয়ে কই মাছের ঝোল।

in আমার বাংলা ব্লগlast month

শুভেচ্ছা সবাইকে।

বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন? আশাকরি, সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকুন এই প্রত্যাশা করি। আমিও ভালো আছি। ২৭শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জুন ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।

f18.jpg

বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ হাজির হয়েছি একটি রেসিপি ব্লগ নিয়ে। আর তা হচ্ছে ঝিঙ্গে দিয়ে কই মাছের ঝোল। মাছ সাধারনতে ভুনা করে খেতেই সবাই পছন্দ করে। কিন্তু সব সময় একই রকম রেসিপি খেতে ভালো লাগে না। তাই আজ ঝিঙ্গে দিয়ে কই মাছ রান্না করেছিলাম। সেই রেসিপিটি আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। মাঝে মাঝে মাছ অন্য রকম করে রান্না করলে খেতে ভালই লাগে। ঝিঙ্গে নরম সব্জি হওয়ার কারনে মাছ দিয়ে রান্না করায় খেতে বেশ মজা হয়েছিল। মাছ ও ঝিঙ্গে মাখা মাখা হওয়ার জন্য রেসিপিটি খেতে বেশ মজা লেগেছে। আর মাছ হলো প্রোটিনের বড় উৎস । তাই মাছ আমাদের শরীরের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে। আর সব্জিতে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। রেসিপিটি তৈরি করতে প্রধান উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করেছি কই মাছ ও ঝিঙ্গে । তাছাড়া আরও কিছু উপকরণ ব্যবহার করেছি। আর কিভাবে এই ঝিঙ্গে দিয়ে কই মাছের ঝোল রেসিপিটি তৈরি করলাম চলুন তা দেখে নেই। আশাকরি,ঝিঙ্গে দিয়ে কই মাছের ঝোল রেসিপিটি আ্পনাদের ভালো লাগবে।

উপকরণ সমূহ

f6.jpg

f1.jpg

t-2.jpg

t1.jpg

উপকরণপরিমাণ
কই মাছ৫পিস
ঝিঙ্গে৩টি
পিঁয়াজ৩টি
রসুন২ কোয়া
আদা১/২ ইঞ্চি
কাঁচা মরিচ৪টি
তেল১ টেঃ চামচ
লবনস্বাদ মতো
ধনে গুড়া১ চাঃ চামচ
জিরা গুড়া১ চাঃ চামচ
হলুদ গুড়া১ চামচ
মরিচ গুড়া১/২ চাঃ চামচ

তৈরির ধাপ সমূহ

ধাপ-১

f4.jpg

f5.jpg

রসুন,আদা,পিঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ বেটে নিয়েছি।

ধাপ-২

f6.jpg

কই মাছগুলো কেটে ধুয়ে পরিস্কার নিয়েছি।

ধাপ-৩

f3.jpg

ঝিঙ্গেগুলো ছিলে ধুয়ে টুকরো করে নিয়েছি।

ধাপ-৪

f7.jpg

f8.jpg

f9.jpg

চুলায় একটি হাড়ি বসিয়ে দিয়েছি। হাড়ি গরম হয়ে এলে তাতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিয়েছি।তেল গরম হয়ে এলে তাতে পিঁয়াজ কুচি দিয়ে দিয়েছি।

ধাপ-৫

f10.jpg

f11.jpg

f12.jpg

f13.jpg

পিঁয়াজ ভাজ়া ভাজা হয়ে এলে তাতে বাটা পিঁয়াজের মিশ্রণটি দিয়ে দিয়েছি।সকল উপকরণ ভাজা ভাজা হয়ে এলে তাতে সকল গুড়া মশলা ও পরিমাণ মতো লবন দিয়ে দিয়েছি। মশলা যাতে পুড়া না যায় সেজন্য সামান্য পানি দিয়ে দিয়েছি। এবং ভালোভাবে কষিয়ে নিয়েছি।

ধাপ-৬

f14.jpg

মশলা ভালোভাবে কষানো হয়ে এলে তাতে ধুঁয়ে রাখা মাছের টুকরো গুলো দিয়ে দিয়েছি। এবং মশলার সাথে ভালো ভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।

ধাপ-৭

f15.jpg

f16.jpg

মাছ কষানো হয়ে এলে তাতে ধুঁয়ে টুকরো করে নেয়া ঝিঙ্গে দিয়ে মাছের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি। এবং পরিমান মত পানি দিয়ে জ্বাল দিয়ে নিয়েছি। পানি কিছু কমে মাখা মাখা হয়ে আসলে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।ব্যাস তৈরি আমার ঝিঙ্গে দিয়ে কই মাছের ঝোল। এরপর একটি পাত্রে তুলে লেবুর স্লাইচ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করেছি।

উপস্থাপন

f19.jpg

f23.jpg

আশাকরি আজকের ঝিঙ্গে দিয়ে কই মাছের ঝোল রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আমি চেষ্টা করি নতুন নতুন রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমার রেসিপি ব্লগ এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। পরিবারের সকলের যত্ন নিন।নিজে ভালো থাকুন অন্যকে ভালো রাখুন।

পোস্ট বিবরণ

পোস্টরেসিপি পোস্ট
পোস্ট তৈরিselina 75
ডিভাইসRedmi Note A5
তারিখ১০ জুন,২০২৪
লোকেশনঢাকা

আমার পরিচয়

আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সাথে থাকার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last month 

ঝিঙে দিয়ে কই মাছের খুব সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। ঝিঙে দিয়ে যেকোনো বিশেষ করে মাছ রান্না করলে খুবই দারুন লাগে।অনেক সুন্দর হয়েছে রেসিপিটা ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

 last month 

আমারও বেশ পছন্দ ঝিঙ্গের তরকারী। তাই মাছ দিয়ে রান্না করেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last month 

ঝিঙ্গে দিয়ে কৈ মাছ রান্না করা তরকারি খেতে অসাধারণ সুস্বাদু লাগে। আপনি খুবই সুন্দর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে চমৎকার এই রেসিপিটি তৈরি করেছেন। আপনার এই রেসিপি তৈরিতে মসলাগুলো প্রস্তুত করে নেওয়াটা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। দারুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last month 

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।

 last month 

আসলে আপু একটা সত্যি কথা বলতে যে এই কই মাছ আমার কাছে ততটা প্রিয় ঠিক ততটা অপ্রিয় এই ঝিঙে। আসলে অন্যান্য সবজির ভিতরেই এই ঝিঙে সবজিটা আমার খুবই অপছন্দ। আসলে আপনি আজকের রেসিপিটা খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এবং প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি পোষ্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last month 

সবসময় কই মাছ ভাজি বা ভুনা খতে ভালো লাগে না। তাই ঝিঙ্গে দিয়ে রান্না করেছি।ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।

 last month 

কই মাছ এবং ঝিঙ্গে দুটো আমার খুব প্রিয়। তবে ঝিঙ্গের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন আছে। আজকে আপনি অনেক সুন্দর করে কই মাছ এবং ঝিঙ্গে দিয়ে রেসিপি করেছেন। এই ধরনের রেসিপির মধ্যে হালকা পেঁয়াজ ও মরিচ বাড়ি দিলে খেতে বেশ মজাই লাগে। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে আমার কাছে খুব ভালো লাগলো । চমৎকার একটি রেসিপি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

 last month 

আমার রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।

 last month 

বাহ দারুন রেসিপি আপু মাছ তো খুবই প্রিয় মাছ। আর সবজি আরো ভালো লাগে খেতে বিশেষ করে ঝিঙ্গে সবজি। এত সুস্বাদু দুইটি খাবারের কম্বিনেশন দেখে খুবই ভালো লাগলো। রেসিপি কালার কম্বিনেশন এবং উপস্থাপনা দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনার রেসিপির কালার দেখে বেশ লোভ লেগে গেল। ভালো লাগলো এত সুন্দর সুস্বাদু একটি রেসিপি দেখে।

 last month 

আমারও পছন্দের সব্জির মধ্যে ঝিঙ্গে একটি। আর রেসিপিটি খেতেও বেশ মজা হয়েছিল।ধন্যবাদ আপু।

 last month 

গরমকালের ঝিঙ্গা খুব সুন্দর ও উপকারী একটি সবজি।কই মাছের ভুনা খেতে আমার ও পছন্দ তবে আপনার মতো সবজি দিয়ে ঝোল করে খেতেও ভীষণ ভালো লাগে।আপনি চমৎকার সুন্দর করে ঝোল করেছেন এবং তা আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু রেসিপিটি ভাগ করে নেয়ার জন্য।

 last month 

ঝিঙ্গেতে পানির পরিমাণ বেশি থাকায় গরমের সময় খাওয়া ভালো। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।

 last month 

ঝিঙ্গে দিয়ে মাছের মাখা মাখা ঝোল খেতে ভালোই লাগে। আপু আপনার তৈরি করা রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে এই খাবারটি দিয়ে গরম ভাত খেতে দারুন লাগবে। দারুন একটি রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 last month 

জি আপু গরম গরম ভাতের সাথে খেতে বেশ মজা লাগে রেসিপিটি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 65133.17
ETH 3480.37
USDT 1.00
SBD 2.52