এসো নিজে করি সপ্তাহ(চতুর্থ দিন) বেগুন,আলু ও সিমের বিচি দিয়ে টেংরা মাছের ঝোল রেসিপি।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, সবাই ভাল ও সুস্থ্য আছেন,আশাকরি। সকলে ভালো থাকেন এই প্রত্যাশা করি । আমিও ভাল আছি।আমিও ভাল আছি। আজ ২১ ই চৈত্র, বসন্তকাল, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ৪ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রীস্টাব্দ
ফাঁকা হতে শুরু করেছে ঢাকা।নাড়ীর টানে ছুটছে মানুষ পরিবার-পরিজন,বন্ধু-বান্ধব ও পাড়া প্রতিবেশির সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে। ৫/৬ দিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। মানুষ এখন ব্যস্ত, সিয়াম সাধনার পাশাপাশি ঈদের প্রস্তুতি নিতে।তার উপর শুরু হয়েছে প্রচন্ড গরম।ঢাকাসহ চারটি বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আশাকরি এই তাপপ্রবাহে সবাই সতর্ক থাকবেন, নিরাপদে থাকবেন।বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের ব্লগিংয়ে, আজ হাজির হয়েছি একটি রেসিপি ব্লগ নিয়ে। আর তা হচ্ছে বেগুন,আলু ও সিমের বিচি দিয়ে টেংরা মাছের ঝোল রেসিপি। উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করেছি বেগুন,আলু,সিমের বিচি,টেংরা মাছসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য উপকরণ। যা নিম্নে বিস্তারিত দেওয়া আছে। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের রেসিপিটি। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক, কিভাবে তৈরি হলো আমার আজকের বেগুন,আলু ও সিমের বিচি দিয়ে টেংরা মাছের ঝোল রেসিপি।
রান্নার উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
টেংরা মাছ | ১৫০ গ্রাম |
বেগুন | ১টি |
আলু | ১টি |
সিমের বিচি | ৫০ গ্রাম |
পিঁয়াজ | ২টি |
রসুন | ১ কোয়া |
টমেটো | ১টি |
হলুদ গুড়া | ১ চাঃ চামচ |
ধনে গুড়া | ১চাঃ চামচ |
জিরা গুড়া | ১/২ চাঃ চামচ |
কাঁচা মরিচ | ৫-৬টি |
লবন | স্বাদ মতো |
পিয়াজ কলি | পরিমাণ মতো |
ধনেপাতা | পরিমাণ মত |
সরিষার তেল | ২ টেঃ চামচ |
রন্ধণ প্রনালী
ধাপ-১
টেংরা মাছগুলো কুটে ভালোভাবে ধুয়ে পরিস্কার করে নিয়েছি।
ধাপ-২
বেগুন , আলু,ট্মেটো কেটে ও সীমের বিচি ছিলে ধুয়ে নিয়েছি।পিয়াজ,কাঁচা মরিচ,রসুন ও পিয়াজের কলি ধুয়ে কেটে নিয়েছি
ধাপ-৩
চুলায় একটি হাড়ি বসিয়ে দিয়েছি। হাড়ি গরম হয়ে এলে, তাতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হয়ে এলে, তাতে পিয়াজকুচি দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৪
পিয়াজ কিছুটা ভাজা হয়ে এলে তাতে কেটে রাখা পিয়াজ কলি ও সকল মশলা দিয়ে দিয়েছি । এবং কাটা টমেটো দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিয়েছি। মশলা যাতে পুড়ে না যায় সে জন্য সামান্য পানি দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৫
মশলা যখন তেল ছেড়ে আসবে তখন ধুয়ে রাখা টেংরা মাছ গুলো দিয়ে দিয়েছি এবং ভালোভাবে কষিয়ে নিয়েছি। মাছ কষানো হয়ে গেলে একটি পাত্রে তুলে নিয়েছি।
ধাপ-৬
টেংরা মাছ গুলো তুলে নেয়ার পর, সেই মশলায় সকল সব্জি দিয়ে ভালোভাবে মশলার সাথে কষিয়ে নিয়েছি। এরপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে পাতিলে ঢাকনা দিয়েছি ১০-১২ মিঃজ্বাল দিয়ে নিয়েছি সব্জি গুলো সিদ্ধ হওয়ার জন্য।
ধাপ-৭
সব্জিগুলো মোটামুটি সিদ্ধ হয়ে এলে, তাতে আগে থেকে কষিয়ে উঠে রাখা মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি। এবং আরো ৮-১০ মিঃ জ্বাল দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৮
যখন তরকারীর তেল উপরে উঠে আসবে এবং ঝোল কমে আসবে তখন ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিয়েছি। ব্যস তৈরি আমার বেগুন,আলু ও সিমের বিচি দিয়ে টেংরা মাছের ঝোল।
পরিবেষণ
এরপর একটি বাটিতে তুলে নিয়ে সাজিয়ে পরিবেষণ করেছি।
আশাকরি আজকের বেগুন,আলু ও সিমের বিচি দিয়ে টেংরা মাছের ঝোল রেসিপিটি আপনাদের ভাল লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার রেসিপির ব্লগ এখানেই শেষ করছি । আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | রেসিপি |
---|---|
পোস্ট তৈরি | selina 75 |
ডিভাইস | Redmi Note 5A |
তারিখ | ৪ঠা এপ্রিল ,২০২৩ইং |
লোকেশন | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
ঠিক বলেছেন আপু সবাই নিজের আপন মানুষদের কাছে ফেরার চেষ্টা করছে। তাই তো শহর একেবারে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। আপু আপনার শেয়ার করা রেসিপি দারুণ হয়েছে। টেংরা মাছের রেসিপি দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। কালকে অবশ্য টেংরা মাছ আর সজনে ডাটা দিয়ে খেয়েছিলাম।
বেশ মজা হয়েছিল রেসিপিটি। কোন দিন তৈরি করিনি আজই প্রথম করলাম। ধন্যবাদ আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ছোট মাছের মধ্যে টেংরা মাছ আমার খুবই পছন্দের মাছ। আর আজকে আপনি টেংরা মাছের সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করলেন। আলু বেগুন ও সীমের সাথে এই টেংরা মাছের রেসিপি দেখেই মজাদার মনে হচ্ছে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
সব সময় মাছ ভুনা খেতে ভালো লাগে না। তাই আজ একটু অন্যভাবে মাছ রান্না করেছি। খেতে বেশ মজা হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
https://twitter.com/selina_akh/status/1775946274346557782
দেশী টেংরা মাছ গুলো খেতে ভীষণ মজার।আলু,বেগুন,টমেটো ও সিমের বিচি দিয়ে খুব চমৎকার ভাবে রেসিপিটি শেয়ার করেছেন আপু।দেখে ভালো লাগলো।সত্যি ই বলেছেন এতো গরম। এর মধ্যে সবাই বাড়িতে যাওয়া শুরু করে দিয়েছেন।সবাই খুব সাবধানে যাবেন এমনটাই আশাকরি। ধন্যবাদ আপু দারুন স্বাদের টেংরা মাছের রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু দেশী টেংরা মাছ খেতে বেশ মজা। আর এভাবে সব্জি দিয়ে রান্না করলেও বেশ লাগে। সবার ঈদ যাত্রা নিরাপদ হোক এই কামনা করি। ধন্যবাদ আপু মতামতের জন্য।
দেশি টেংরা মাছের তুলনা হয় না।আপনি অনেক গুলো সবজির সমন্বয়ে টেংরা মাছ রান্না করেছেন। আসলে আপু যেকোন তরকারিতে টমেটো দিলে স্বাদ আরো বেড়ে যায়। আপনার তরকারি নিশ্চয় অনেক মজার হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
টমেটো ও ধনেপাতা যে কোন তরকারীর স্বাদ দ্বিগুন করে দেয় আপু। ধন্যবাদ আপু।
ঈদের শেষ সময় প্রতিটি পরিবারে কি যে ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে কাটে তা বলে বোঝানো যাবে না। তাছাড়া যারা দূরে ঈদ করতে যায় তাদের কথা তো আলাদাই। গরমের জন্য কাজে আরো বেশি ব্যাঘাত ঘটে। যাইহোক আপু সিমের বিচি, বেগুন দিয়ে টেংরা মাছের খুবই মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। সিমের বিচি এবং টেংরা মাছ দুটিই বেশ মজা লাগে আমার কাছে। আপনার রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে।
ঈদে যারা দূরে যাবেন তারা যেন নিরাপদে পৌঁছে এই দোয়া করি। পরিবারের সাথে যেন আনন্দময় ঈদ কাটায়। আমি বেশ পছন্দ করি সিমের বিচি। তাইতো এই রেসিপিটি করলাম। ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন আপু নাড়ীর টানে মানুষ ছুটছেন পরিবার, পরিজন, বন্ধুবান্ধবদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করতে।দেখতে দেখতে চলেই গেলো রমজান মাস প্রায়। আর মাত্র ৫/৬দিন পরেই ঈদের আনন্দ প্রতিটি ঘরে ঘরে হবে।আজকে আপনি চমৎকার সুস্বাদু করে শিমের বিচি,আলু,বেগুন, টমেটো দিয়ে চমৎকার করে রান্না করেছেন। খুব সুস্বাদু হয়েছে বোঝা যাচ্ছে। ধাপে ধাপে চমৎকার করে রন্ধন প্রনালী আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
সবার ঈদ আনন্দে কাটুক, এই দোয়া করি। জি আপু খেতে বেশ মজা হয়েছিল। ধন্যবাদ মতামতের জন্য।
আলু, বেগুন, সিমের বিচি দিয়ে টেংরা মাছের খুবই দারুণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।আলু বেগুন সিমের বিচি দিয়ে টেংরা মাছ খেতে আমার খুবই ভালো লাগে।আপনি রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।খুবই মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু আজকে।খুবই সুন্দর ভাবে প্রতিটা ধাপ উপস্থাপন করেছেন।আপনার রেসিপিটি দেখে খুবই ভালো লাগলো আপু।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।