লাইফস্টাইলঃগরমে করণীয়।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
বাংলা ব্লগের বন্ধুর,কেমন আছেম? আশাকরি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। সকলে ভালো থাকেন এই প্রত্যাশা করি । আমিও ভাল আছি। আজ ৪ঠা বৈশাখ, গ্রীষ্মকাল, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ১৭ইএপ্রিল, ২০২৪ খ্রীস্টাব্দ।
ঈদ ও বাংলা নববর্ষ গ্রামে উদযাপন করেছি।আরো দিন কয়েক গ্রামে থাকবো। গ্রামে থাকতে ভালোই লাগে। কিন্তু সমসা হচ্ছে বিদ্যুৎ এর আসা যাওয়া।ঈদের সময়টা বিদ্যুৎ এর সমস্যা ছিলনা। নির্বিঘ্ন ছিল বিদ্যুৎ।। দিন দুই/তিনেক থেকে শুরু হয়েছে যখন তখন লোডশেডিং। গরম বাড়ছে, তার সাথে সমান পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ শেয়ার করবো একটি লাইফস্টাইল ব্লগ। আর তা হচ্ছে গরমে করণীয়।
বন্ধুরা,আপনারা জানেন সারাদেশ জুড়ে বইছে তাপপ্রবাহ। আবহাওয়া অফিস রংপুর বিভাগকে তাপপ্রবাহের বাইরে রাখলেও গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত। আমি এখন রংপুর বিভাগে অবস্থান করার কারণে তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। রংপুর বিভাগ তাপপ্রবাহের বাইরে থেকেই যা অবস্থা, দেশের অন্যান্য এলাকার কি অবস্থা, তা সহজে অনুমেয়।এখন পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপর তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে গতকাল দেশে। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন আগামী ৪/৫ দিন তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে। কমার সম্ভাবনা নেই। যদিও দেশের বিভিন্ন জায়গায় কালবৈশাখী ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে বা যেতে পারে। বন্ধুরা এই গরমে আমরা কি করবো?
তীব্র গরমে আমাদের সতর্কভাবে চলাফেরা করা ছাড়া উপায় নেই। এই গরমে পেটের সমস্যা,হিটস্ট্রোকসহ নানাবিধ জটিলতায় ভুগছে মানুষ। চিকিৎসকরা এই সময় জীবনযাপনে কিছু পরামর্শ ও করণীয় মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন। আমাদের তা মেনে চলা উচিত। চিকিৎসকদের মতে এই তীব্র গরম থেকে বাঁচতে সময় নিয়ে, অল্প অল্প করে স্বাভাবিক পানি পান করুণ, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি,বরফ ও বরফ দেওয়া পানি পুরোপুরি এড়িয়ে চলুন। কারণ তীব্র গরমে ঠান্ডা পানি পানে রক্তনালি সঙ্কুচিত হয়ে, যে কোন সময় স্ট্রোক হয়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা ৩৮°সে হলে, দরকারে বা কাজে বাসার বাইরে থাকলে ঘরে চলে আসুন বা গাছের ছায়া, ঠান্ডা জায়গায় অবস্থান নিন।কোন ভাবেই ঠান্ডা পানি পান করবেন না। বরং স্বাভাবিক তাপের পানি পান করুন বা কুসুম কুসুম গরম পানি পান করুণ। একসাথে বেশী পানি পান না করে অল্প অল্প করে পান করুণ। ঘরে এসেই গরমের চোটে গোসল বা হাত,মুখ ধুবেন না। একটু জিরিয়ে নিন। নিজের শরীরের তাপমাত্রার সাথে ঘরের তাপমাত্রা খাপ খাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুণ।অন্ততঃ ২০/২৫ মিনিট অপেক্ষা করুণ। অল্প অল্প করে বারে বারে স্বাভাবিক পানি পান করুন।বাহিরের জুস বা এজাতীয় পানিয় পরিহার করুন। স্বাভাবিক শরবত,ডাব বা লবণ পানির শরবত পান করতে পারেন যদি তা আপনার জন্য অন্য কারণে নিষিদ্ধ না হয়ে থাকে।তবে তাও স্বল্প পরিমানে। মাংস,ভাজাপোড়া ও যে কোন বাজারি জুস পরিহার করাই ভালো। তবে ডাবের পানি ও সিজনাল ফলমূলের জুস উপকারি। পোশাক পরিধানে ঢিলেঢালা ও কম উজ্জ্বল পোশাক পরিধান এই গরমে স্বাস্থ্য উপযোগী।
গরম থেকে বাঁচতে নিজে সচেতন হোন। অপরকে সচেতন করুণ। বিশেষ করে বাড়ীর শিশু ও বয়স্কদের প্রতি বিশেষ নজর দিন।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | লাইফস্টাইল |
---|---|
পোস্ট তৈরি | selina 75 |
ডিভাইস | Redmi Note 5A |
তারিখ | ১৭ই এপ্রিল ,২০২৪ইং |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
https://twitter.com/selina_akh/status/1780557949964046763
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সময় উপযোগী পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু।সত্যি ই এতো গরম এই গরমে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা খুব জরুরী।ঠান্ডা পানি একদম খাওয়া উচিত নয়।ঘরে যেকোনো ফল দিয়ে জুস তৈরি করে খাওয়া ভালো।ভাজা ভুজি খাওয়া ঠিক নয়।ধন্যবাদ আপু গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়কে সামনে রেখে পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এই গরমে সুস্থ্য থাকতে হলে নিজের প্রতি যত্ন নিতে হবে।
শুরুতে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু। এই সময়এত সুন্দর একটি সতর্কতার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। হ্যাঁ আপু চারিদিকে যেই গরম পড়েছে অতঃপর আমাদের সকলের সতর্ক থাকা দরকার। আবহাওয়াবিদরা বলছে এ গরমে তাপমাত্রা নাকি আরো অনেক দিন থাকবে আবার বাড়তেও পারে। সুতরাং এই সময়টা আমাদের নিজের এবং পরিবারের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।কিছুক্ষণ পর পর পানি খেতে হবে এবং ফ্রিজে ঠান্ডা পানি এড়িয়ে চলতে হবে। ধন্যবাদ আপু খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন।
জ়ি আপু এ গরমে নিজে সুস্থ থাকতে হবে এবং পরিবারের অন্যদের সুথা রাখতে হবে। আর এ জন্য গরমে তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। আর ভাজাপোড়া বাদ দিতে হবে।
সত্যি বলতে আপু প্রচন্ড গরমে যেন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। আর এরকম গরম আবহাওয়ার মধ্যে আমাদেরকে অবশ্যই আমাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে অধিক সচেতন ও যত্নবান হতে হবে। যাহোক আপনার লেখাগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে এবং গরমে করণীয় সম্পর্কে আপনার লেখাগুলোর সাথে আমি সহমত পোষণ করছি। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
গরমের সময় আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা। কারণ এই মুহূর্তে আমাদের শরীরে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে অতিরিক্ত গরমে বাইরে চলাচলের কারণে। সুন্দর একটি টপিকস নিয়ে আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। আমি সর্বদা একটা পরামর্শ দিতে পারি সেটা হচ্ছে স্বাস্থ্য সচেতনতা বিধি মেনে চলতে হবে এই মুহূর্তে। তাহলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
জি ভাইয়া স্বাস্থ্য বিধি মেনে চললে এই গরমের বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই এরকম একটি সুন্দর ও সচেতনতামূলক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আসলে এরকম একটি পোস্ট আমি অনেকদিন ধরে খোঁজ করছিলাম৷ আসলে এই গরমের ফলে অনেকেই অসুস্থতার স্বীকার হয়ে যাচ্ছে৷ তবে এর থেকে বাঁচার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই অনেক ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে৷ একইসাথে সবসময় সতর্কতা অবলম্বন করে চলতে হবে৷ যাতে করে কোন ধরনের সমস্যা না হয়৷
এই গরমে সুস্থ্য থাকতে হলে স্বাস্থবিধি মেনে চলতে হবে। প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার খেতে হবে।