বিভিন্ন ফুলের ফটোগ্রাফি।

সারাদেশে তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ট। স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, এক সপ্তাহের জন্য। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, কিছু জায়গায় ঝড়ো বৃষ্টি হলেও সহসাই কমবেনা গরমের তীব্রতা। তাপদাহর এই সময়ে দেশের সর্বউত্তরের জেলা গুলোতে গরম এখনো সহনীয়। দিনে প্রচন্ড রোদ ও গরম থাকলেও সন্ধ্যার পরেই আবহাওয়া সহনীয়। গভীর রাতে কিছুটা হালকা ঠান্ডা অনুভূতি হচ্ছে। আমি এখনো গ্রামে অবস্থান করছি, রাতে কখনো কখনো পাতলা চাদর গায়ে দিতে হচ্ছে! আবহাওয়ার এই বিরুপ প্রক্রিয়া বুঝে উঠা মুসকিল। পরিবেশ-প্রকৃতির যে ধবংস আমরা করছি তারেই প্রভাব কি? পরিবেশ বিজ্ঞানীরা ভালো বলতে পারবেন। বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে বিভিন্ন ফুলের ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করবো আজ। ফুল ভালোবাসে না এমন ব্যাক্তি খুঁজে পাওয়া যাবেনা। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে আজকাল বিভিন্ন ধরনের কাঁচা ফুলের ব্যবহার দেখা যায়। আমাদের দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রচুর ফুলের চাষ হচ্ছে। বিভিন্ন দিবসে তরুণ-তরুণী বা বিভিন্ন বয়সের মানুষ, প্রিয়জনকে ফুল উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ফুলের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে আমাদের দেশে। বন্ধুরা, বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন জায়গা থেকে তোলা, আমার আজকের ফটোগ্রাফি পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে আশাকরি।

বেশ সুন্দর রং গোলাপটি।এই রং এর ফুল আগে দেখেনি। বেশ লাগছিলো দেখতে ।তাইতো ফটোগ্রাফি করা। গোলাপকে ফুলের রানি বলা হয়। পৃথিবীতে প্রায় ৩০০ প্রজাতির গোলাপ ফুল দেখতে পাওয়া যায়। সেই সাথে অনেক রং এর গোলাপ ফুল দেখা যায়। প্রাচীন কাল হতেই গোলাপ ফুলের পাপড়ি রুপ চর্চায় ও প্রসাদনী তৈরিতে ব্যবহার হয়ে আসছে। সেই সাথে খাবারের সুগন্ধ বৃদ্ধির জন্য গোলাপ ফুল ব্যবহার করা হয়।যে কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে গোলাপ ফুলের ব্যবহার দেখা যায়। মেয়েরা নিজেকে সাজাতেও গোলাপ ফুল ব্যবহার করে।

বর্তমানে আমি গ্রামের বাড়িতে আছি। উঠানে লাগানো মিস্টি কুমড়ার ফুল এটি। দেখতে বেশ সুন্দর। তাইতো ফটোগ্রাফি করেছি। মিস্টি কুমড়ায় রয়েছে ভিটামিন এ যা চোখ ভালো রাখতে সহায়তা করে। মিস্টি কুমড়ায় থাকায় বিভিন্ন উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

সুপরিচিত ও দেখতে সুন্দর ফুলটির নাম রঙ্গন। বিভিন্ন রঙের রঙ্গন ফুল দেখতে পাওয়া যায়। তবে লাল রঙের রঙ্গন ফুল প্রায় সব জায়গায় দেখতে পাওয়া যায়। আমার আজকের রঙ্গন ফুলটি কমলা রঙের। চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মত সুন্দর।দেশের সব জায়গায় রঙ্গন ফুলের গাছ দেখতে পাওয়া যায়।এই রঙের রঙ্গন আমার কাছে বেশ ভালো লাগে আশাকরি আপনাদেরও ভালো লাগবে।

এটি সুগন্ধি ফুল বেলি ফুল। বেলি ফুল ৩ ধরনের হয়ে থাকে।এক স্তর,দু'স্তর ও ভু স্তরের বেলি ফুল সাধারনত দেখা যায়। বিভিন্ন অনুষ্ঠান বেলিফুলের ব্যবহার দেখা যায়।বেলি ফুল ফোটার সময়কাল হলো বর্ষাকাল।

ফুলটির নাম ডালিয়া। শীতকালে যে সকল ফুল ফোটে তাদের মধ্যে ডালিয়া সর্ববৃহৎ ও আকর্ষনীয় রঙের ফুল। ডালিয়ার ৪২টি প্রজাতি দেখতে পাওয়া যায়। ডালিয়া ফুল সাদা,বেগুনী,লাল সহ বিভিন্ন রং এর হয়ে থাকে। ডালিয়া ফুল কয়েকটি স্তরের পাপড়ি থাকায় দেখতে বেশ সুন্দর লাগে।

আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।