রঙ্গিন কাগজ দিয়ে ঝুড়ি তৈরি।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,আশাকরি সবাই ভালো আছেন? আমিও ভালো আছি । প্রত্যাশা করি সব সময় ভালো থাকেন সবাই। আজ ১৩ই বৈশাখ, গ্রীষ্মকাল, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ২৬শেএপ্রিল, ২০২৪ খ্রীস্টাব্দ।
তীব্র গরমে পুড়ছে দেশ। সারাদেশেই মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।বৃষ্টি না হলে এই গরম কমবে বলে মনে হচ্ছে না।২৪ তারিখে ঢাকায় আসার পর মনে হচ্ছে আরও কিছুদিন গ্রামে কাটিয়ে আসলে ভালো হতো। গ্রামে দিনে বাহিরে যদিও গরম কিন্তু রুমের ভিতর বেশ আরাম।আর রাতে বেশ ঠান্ডাই অনুভুত হয় ফ্যান না চালেও চলে শেষ রাতে। আর এই বৈরি আবহাওয়ার জন্য আমরাই দায়ী। পরিবেশ এর উপর অত্যাচারের ফল ভোগ করছি আমরা। তা যাই হোক বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে, আজ আমি রঙ্গিন কাগজ দিয়ে একটি ঝুড়ি বানানোর ডাই উপস্থাপন করবো।রঙ্গিন কাগজ দিয়ে বানানো যে কোন জিনিস দেখতে বেশ সুন্দর লাগে। আমি বেশ পছন্দ করি এ ধরনের কাজ করতে। ছোট খাটো অনেক জিনিস রাখার কাজে এই ঝুড়ি ব্যবহার করা যাবে। আজ আমি একটি ঝুড়ি তৈরিতে রঙ্গিন কাগজ উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করেছি সাথে আরও কিছু উপকরণ। অনেক কথা হলো বন্ধুরা, আসুন ধাপে ধাপে দেখে নেই, ,কিভাবে তৈরি হলো আজকের রঙ্গিন কাগজ দিয়ে বানানো ঝুড়ি। আশাকরি, আজকের রঙ্গিন কাগজের ঝুড়িটি ভালো লাগবে আপনাদের।
উপকরণ
১। রঙ্গিন কাগজ
২।কাঁচি
৩।গাম
৪।পুথি
৫।লাল রং এর সাইন পেন
তৈরির পদ্ধতি
ধাপ-১
প্রথমে ১৬ সেঃ মিঃX১৬সেঃমিঃ সাইজের রঙ্গিন কাগজ নিয়েছি, ঝুড়ি বানানোর জন্য।
ধাপ-২
কাগজটি মাঝ বরাবর কোনাকুনি ভাবে ভাঁজ করে নিয়েছি।একইভাবে তিনবার ভাঁজ করে নিয়েছি কাগজটি।
ধাপ-৩
ভাঁজ করা কাগজটি ছবির মতো দাগ দিয়ে নিয়ে কাঁচি দিয়ে কেটে নিয়েছি।
ধাপ-৪
কেটে নেয়া কাগজটি আধা ইঞ্চি পরিমাণ ভাঁজ করে নিয়েছি।ছবির মত করে।
ধাপ-৫
কাগজটির সব দিকের ভাঁজ কাঁচি দিয়ে কেটে নিয়েছি ভাঁজ বরাবর।
ধাপ-৬
এবার কেটে নেয়া কাগজটিকে ছবির মতো করে ভাঁজ করে নিয়েছি।
ধাপ-৭
এবার প্রতিটি ভাঁজের এক সাইডে গাম লাগিয়ে নিয়েছি। এবং একটি অংশে সাথে অন্য অংশ গাম দিয়ে লাগিয়ে নিয়েছি। একইভাবে সবগুলো কেটে নেয়া অংশ গাম দিয়ে লাগিয়ে নেওয়াতে একটি ঝুড়ি তৈরি হয়েছে।
ধাপ-৮
এবার লাল রং এর কাগজ চিকন করে কেটে নিয়েছি ঝুড়ির হাতল বানানোর জন্য। এবং তা গাম দিয়ে ঝুড়ির দু'পাশে লাগিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৯
এবার ঝুড়িটিকে সুন্দর করার জন্য লাল রং এর সাইন পেন দিয়ে ঝুড়ির উপরে চিকন করে দাগ দিয়ে নিয়েছি। এবং হাতলে পুথি বসিয়ে দিয়ে ঝুড়ি বানানো শেষ করেছি।
উপস্থাপন
আশাকরি, আজকের রঙ্গিন কাগজ দিয়ে বানানো ঝুড়িটি আপনাদের ভাল লেগেছে। এই গরমে নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য বেশি করে পানি পান করুন। সেই সাথে পরিবারের সকলের প্রতি খেয়াল রাখুন। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।এই কামনা করি।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
শ্রেণী | ডাই |
ক্যামেরা | Redmi Note A5 |
পোস্ট তৈরি | @selina75 |
তারিখ | ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরি করা এমন বিভিন্ন রকমের ডাই জিনিস গুলো আমার কাছে বেশ কিউট লাগে বরাবর ই। আজ কি সুন্দর করে রঙিন কাগজ ব্যবহার করে ডাই ঝুড়ি বানিয়ে ফেললেন। ঝুড়ির ডিজাইন কিন্তু আমার বেশ পছন্দ হয়েছে আপু। সব মিলিয়ে বেশ দক্ষতার সাথে আপনি ডাই ঝুড়ি বানিয়ে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা।
আমারও বেশ সুন্দর লাগে রঙ্গিন কাগজ দিয়ে বানানো বিভিন্ন জিনিস। আর হ্যা আমার বানানো ঝুড়ি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
https://twitter.com/selina_akh/status/1783905871619301609
ঠিকি বলেছেন আপু শহর থেকে গ্রামে কিছুটা শান্তি আছে। আসলেও এই আবহাওয়ার জন্য আমরা মুলত দায়ি।পরিবেশ কে রক্ষা না করে নিধন করে চলেছি।অনেক সুন্দর একটিঝুরি বানিয়েছেন আপনি গুছিয়ে প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করেছেন শুভ কামনা রইলো।
বেশ আরাম গ্রামে।কিন্তু শহরে যেনো থাকাই দায়।যাক ধন্যবাদ ভাইয়া।
রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরি ঝুড়িটি অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। আপনি বেশ চমৎকারভাবে কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে ঝুড়িটি তৈরীর প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আমি চেস্টা করেছি সহজ করে উপস্থাপনের জন্য।ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে আমরা অনেকটাই দায়ী আপু। যাইহোক রঙিন কাগজ এবং পুঁথি দিয়ে অনেক সুন্দর একটি ঝুড়ি তৈরি করেছেন। যেটি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি ডাই পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমরাই দায়ী এই পরিবেশের জন্য।এখনই আমাদের সচেতন হতে হবে।ধন্যবাদ আপু।
একদম ঠিক বলেছেন আপু প্রকৃতির এই খারাপ পরিবেশ নিজেরই সৃষ্টি। আমরাই এর জন্য দায়ী। যাইহোক আপু আপনার তৈরি করা কাগজের ঝুড়িটি খুবই সুন্দর হয়েছে। আমার কাছে তো বেশ ভালো লেগেছে। দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
জি আপু আমরাইতো দায়ী এই পরিবর্তিত পরিবেশের জন্য।মতামতের জন্যবাদ আপু।
আপু আপনি কিন্তু সব সময়ই আমাদের মাঝে রঙিন কাগজ দিয়ে কিছু না কিছু শেয়ার করেন। আজও কিন্তু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করলেন। আসলে রঙিন কাগজ দিয়ে বানানো যে কোন জিনিস দেখতে বেশ সুন্দর লাগে। তবে আপনার বানানো ঝুড়িটি যে অসাধারণ হয়েছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
জি আপু আমি চেস্টা করি নতুন নতুন ডাই শেয়ার করার।ধন্যবাদ আপু মতামতের জন্য।
রঙিন কাগজ দিয়ে বানানো জিনিস গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর একটি ঝুড়ি করেছেন আপু।ঝুড়ি তৈরি করার ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরলেন। ধন্যবাদ আপনাকে প্রতিনিয়ত চমৎকার চমৎকার ডাই পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জি আপু রঙ্গিন কাগজ দিয়ে বানানো জিনিসগুলো আসলেই সুন্দর আপু।মতামতের জন্য ধন্যবাদ আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
রঙিন কাগজ দিয়ে খুবই দক্ষতার সাথে ঝুড়ি তৈরি করেছেন মঝুড়ির ভিতরে পুঁতিগুলো রাখার কারণে আরও সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
তৈরি করা ঝুড়িতে ছোট খাটো অনেক জিনিস রাখা যাবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।