বৈচিত্র্যময় নৌকার ফটোগ্রাফি।

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

সবাইকে শুভেচ্ছা।

বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন? আশাকরি, সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকুন এইপ্রত্যাশা করি। আমিও ভালো আছি। মঙ্গলবার ৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।

b2.jpg

বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে তোলা কিছু নৌকার ছবি শেয়ার করবো। গত মার্চে চট্রগ্রাম থেকে আমার ভাইয়ের ছেলে-মেয়েরা ঢাকায় আসলে তাদের নিয়ে সামরিক জাদুঘরে গিয়েছিলাম।সেখানেই বৈচিত্র্যময় নৌকার ছবি গুলো মোবাইল ক্যামেরায় ধারন করি।

b1.jpg

b3.jpg

আধুনিক স্থাপত্যশৈলিতে নির্মিত জাদুঘরটি বাংলাদেশের অনন্য স্থাপনা। ১০ একর জায়গা ঘিরে নির্মিত জাদুঘরটি ঢাকার বিজয় সরণিতে অবস্থিত। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর ইতিহাস,ঐতিহ্য,কর্মকান্ড,সাফল্যগাঁথা মানুষের মাঝে তুলে ধরতেই জাদুঘরটি তৈরি। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত জাদুঘরটিতে সেনা,বিমান ও নৌ বাহিনীর ছয়টি অংশ আছে।চার তলা জাদুঘরটিতে প্রতি তলায় বঙ্গবন্ধু কর্ণার আছে। গতানুগতিক জাদুঘর নয়। প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারে সর্বাধুনিক জাদুঘর এটি। পুরোটাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। মহান মুক্তিযুদ্ধে সেনাবাহিনীর ভূমিকা,ঐ সময়ের ব্যাজ,গোলা-বারুদ,বন্দুক,রাইফেল,পোশাক,বাহন প্রভৃতি জাদুঘরটি রক্ষিত আছে। সেনাবাহিনী সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেতে এই জাদুঘরে যাওয়া উচিত।

b4.jpg

b5.jpg

বিশাল পরিসরের জাদুঘরটিতে ঘুরতে ঘুরতে চোখ আটকে গেল নৌকার ছবিতে। বিভিন্ন আদলের নৌকা। আপনারা জানেন, আমাদের দেশ নদীমাতৃক দেশ। হাজার বছরের বেশি আমাদের নৌকার ইতিহাস। তার প্রমাণ হাজার বছরের বাঙ্গালির গানে, কবিতায়, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনে নৌকার উপস্থিত। প্রাচীন,মধ্যযুগে তাড়াতাড়ি পৌছানো ও খবর আদান-প্রদানে নৌকার বিকল্প ছিল না। ব্যবসা-বানিজ্য, যুদ্ধ-বিগ্রহে নৌকার ব্যবহার ছিল সর্বজনবিদিত। ভৌগলিক কারণে ও মানুষের প্রয়োজনেই এদেশে তৈরি হয়েছে খাল-বিল-নদী ও সমুদ্রে চলার উপযোগি বিভিন্ন নামে ও আকৃতির নৌকা।যার অধিকাংশই এখন বিলুপ্ত। প্রাচীন কাল থেকেই নৌকা তৈরির জন্য বিখ্যাত ছিল ঢাকা,চট্রগারম।ময়মনসিং,খুলনা,কুষ্টিয়া,রাজশাহী এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ। আধুনিকতার ছোঁয়া্য অনেক নৌকা বিলুপ্ত হলেও এখনো টিকে আছে।অনেকের এখনো জীবন নির্বাহ ও চলাচলের মাধ্যম নৌকা। আমাদের দেশে এখনো অনেক জায়গা আছে বর্ষাকালে নৌকা ছাড়া চলাফেরার বিকল্প উপায় নেই। নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা আমাদের দেশে খুবেই জনপ্রিয়। সামরিক জাদুঘরে আমাদের ঐতিহ্যের নৌকার ছবি দেখে লোভ সামলাতে না পেরে ফটোগ্রাফি করেছিলাম। সময় সুযোগ মত সেই নৌকার ছবি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের।

আশাকরি ,আজকের বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে ধারণ করা,বৈচিত্র্যময় নৌকার ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার ফটোগ্রাফি ব্লগ এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে । সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।শুভ রাত্রি।

পোস্ট বিবরণ

পোস্টফটোগ্রাফি
পোস্ট তৈরিselina 75
ডিভাইসSamsung A10
তারিখ২১শে মে,২০২৪ইং
লোকেশনঢাকা

আমার পরিচয়

আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সাথে থাকার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 months ago 

বেশ সুন্দর কিছু বৈচিত্রময় নৌকার ছবি শেয়ার করলেন আপু। দেখে খুবই ভালো লাগলো। আমার কাছে দ্বিতীয় ছবির নৌকাটা বেশ দারুন লেগেছে। অসংখ্যা ধন্যবাদ আপনাকে আপু।

 last month 

ধন্যবাদ আপু পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

 last month 

বৈচিত্র্যময় নৌকার দারুন কয়েকটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু। আপনার তোলা নৌকার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে ভীষণ সুন্দর হয়েছে। খুবই চমৎকার ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 last month 

নৌকার ফটোগ্রাফিগুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.029
BTC 56087.39
ETH 2965.10
USDT 1.00
SBD 2.15