আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা-৪৯"দুধ পুলি পিঠার রেসিপি।"

in আমার বাংলা ব্লগ7 months ago (edited)

শুভেচ্ছা সবাইকে।

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, সবাই ভাল ও সুস্থ্য আছেন,আশাকরি। সকলে ভালো থাকেন এই প্রত্যাশা করি । আমিও ভাল আছি। আজ ২৮ অগ্রাহায়ন হেমন্তকাল,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ১৩ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রীস্টাব্দ।

c35.jpg

c34.jpg

আমার বাংলা ব্লগ সবসময় নতুন নতুন নতুন বিষয়ে প্রতিযগিতার অয়োজন করে থাকেন, ইউজারদের জন্য। এবারও তেমনি একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন । আর তা হলো শীতের পিঠা তৈরির প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতার যখন এনাউন্সমেন্ট দেয় তখন আমি গ্রামের বাড়ি। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন তখন আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। কিন্তু প্রতিযোগিতার সময় বাড়ানের ফলে অংশ গ্রহন করতে পারছিে।এজন্য কর্তৃপক্ষকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ। গতকাল রাতে আমি ঢাকায় পৌঁছাই। আজ সকাল থেকেই সকল কিছু আয়োজন করে পিঠা বানাতে বসি । এরই মধ্যে মোবাইলটি শুরু করে গন্ডগোল কোনভাবে ওপেন হচ্ছে না। পরে দোকানে নিয়ে গিয়ে ঠিক করে পিঠা বানানো শুরু করি। চালের গুড়া ও কুড়ানো নারিকেল ফ্রিজে থাকায় এই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করা সম্ভব হচ্ছে। আজ আমি দুধ পুলি পিঠা বানানোর রেসিপি নিয়ে প্রতিযগিতায় অংশ গ্রহন করবো। বেশ মজার এই পিঠা। এই পিঠা বানাতে প্রথান উপকরণ হলো চালের গুড়া,নারিকেল ও খেজুরের গুড়।তখলে চলুন দেখে নেয়া যাক, দুধ পুলি বানানোর ধাপগুলো। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের, আমার খুব প্রিয় এই রেসিপিটি।

উপকরণ

c14.jpg

c2.jpg

c1.jpg

c19.jpg

উপকরণপরিমাণ
আতপ চালের গুড়া২কাপ
খেজুরের গুড়পরিমাণ মতো
চিনি৩ টে; চামচ
দুধ১ কেজি
নারিকেল১কাপ
সিদ্ধ চাল২ টেঃ চামচ
গোটা জিরা১ চাঃ চামচ
লবনপরিমাণ মতো
এলাচদুই পিস
তেজপাতাদুইটি
দারুচিনিদুই টুকরো

প্রস্তুত প্রনালী

ধাপ-১

c4.jpg

c5.jpg

c6.jpg

c7.jpg

প্রথমে চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিয়েছি। কড়াই গরম হয়ে এলে তাতে সিদ্ধ চাল দিয়ে দিয়েছি। চাল কিছু ভাজা হয়ে এলে তাতে গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছি। এবং ভালোভাবে ভেজে নিয়েছি। ঠান্ডা হয়ে এলে তা পাটায় পিসে গুড়া করে নিয়েছি।

ধাপ-২

c8.jpg

c10.jpg

c11.jpg

c12.jpg

c13.jpg

পুনরায় চুলায় কড়াইটি বসিয়ে দিয়েছি । নারিকেল ও গুড় দিয়ে দিয়েছি । এবং ভালো ভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।গুড় ও নারিকেল কিছুটা জ্বাল হয়ে এলে তাতে ভেজে গুড়া করা চাল ও জিরার মিশ্রণটি দিয়ে, সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে নিয়েছি।যখন মিশ্রণটি আঠালো হয়ে এসেছে ,তখন নামিয়ে নিয়েছি।

ধাপ-৩

c15.jpg

c16.jpg

c17.jpg

c20.jpg

c21.jpg

এবার একটি কড়াই এ পরিমাণ মতো পানি দিয়ে চুলায় বাসিয়ে দিয়েছি। এবং পানিতে সামান্য লবন দিয়ে দিয়েছি। পানি যখন ফুটে উঠবে তখন চালের গুড়া দিয়েছি। এবং ঢাকনা দিয়ে দিয়েছি সিদ্ধ হওয়ার জন্য। এবার সিদ্ধ করা চালের কাইটি একটি প্লেটে ঢেলে নিয়ে ভালোভাবে হাত দিয়ে ডলে মসৃন একটি ডো তৈরি করে নিয়েছি।

ধাপ-৪

c22.jpg

c23.jpg

c24.jpg

c25.jpg

এবার সেই ডো থেকে অল্প করে লেচি কেটে নিয়ে ছোট ছোট বল বানিয়ে নিয়েছি। সেই বল হাতের সাহয্যে বাটির মতো করে বানিয়ে নিয়েছি। সেই বাটির ভিতরে অল্প অল্প করে পাক দেয়া নারিকেল দিয়ে ফাঁকা অংশটি বন্ধ করে দিয়েছি। এভাবে সবগুলো পিঠা বানিয়ে নিয়েছি।,/div>

ধাপ-৫

c18.jpg

c26.jpg

c27.jpg

এবার একটি হাড়িতে ১ কেজি দুধ ঢেলে নিয়ে চুলায় বসিয়ে জ্বাল দিয়ে নিয়েছি। দুধ যখন কিছুটা ঘন হয়ে আসবে তখন এলাচ, দারুচিনি ও তেজপাতা দিয়ে দিয়েছি। এবং ৩ টেঃ চামচ চিনি দিয়ে জ্বাল দিয়ে নিয়েছি।

ধাপ-৬

c30.jpg

এবার একটি বাটিতে সামান্য দুধ নিয়ে নিয়েছি। সেই দুধে গুড় দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।

ধাপ-৭

c28.jpg

c29.jpg

দুধ যখন ফুটে উঠবে তখন আগে বানিয়ে রাখা পিঠা গুলো দিয়ে দিয়েছি । এবং ভালভাবে সিদ্ধ করে নিয়েছি।

ধাপ-৮

c38.jpg

c39.jpg

<div class='text-justify">এবার দুধে গুলানো গুড়গুলো পূর্বে সিদ্ধ করা পিঠায় ঢেলে দিয়ে চুলা নিভিয়ে দিয়েছি। এবং দুধের সাথে ভালভাবে মিশিয়ে নিয়েছি। তা নাহলে দুধ ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই গুড় দেয়ার পর আর দুধ জ্বাল দেয়া যাবে না।

পরিবেষণ

c32.jpg

c37.jpg

c36.jpg

এরপর একটি বাটিতে তুলে নিয়ে সাজিয়ে পরিবেষণ করেছি।

আশাকরি প্রতিযোগিতা-৪৯ এর জন্য তৈরি রেসিপি ব্লগটি আপনাদের ভালো লেগেছে। সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার রেসিপি ব্লগ এখানেই শেষ করছি। এই শীতে নিজেকে সুস্থ্য রাখতে নিজের প্রতি যত্ন নিন। এবং পরিবারের বয়স্ক ও শিশুদের প্রতি খেয়াল রাখুন।

পোস্ট বিবরণ

পোস্টরেসিপি
পোস্ট তৈরিselina 75
ডিভাইসRedmi Note 5A
তারিখ১৩ডিসেম্বর২০২৩ইং
লোকেশনঢাকা

আমার পরিচয়

আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সাথে থাকার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 7 months ago 

দুধপুলি পিঠা তৈরির অসাধারণ একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এ ধরনের দুধপলি পিঠা খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। দুধপুলি পিঠা তৈরির প্রতিটি ধাপের ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনাগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। একটি ঐতিহ্যবাহী পিঠা তৈরি করে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 7 months ago (edited)

ঠিক বলেছেন ভাইয়া একটি ঐতিহ্যবাহি পিঠা।
ধন্যবাদ ভাইয়া।

 7 months ago 

প্রথমে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অনেক অভিনন্দন জানাই৷ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে একদমই ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন৷ এই রেসিপি দেখে এখনই খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে৷ এটি একেবারে সুস্বাদু ও লোভনীয় মনে হচ্ছে৷

 7 months ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া।

 7 months ago 

মছাদার দুধ পুলি পিঠা রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। এই রেসিপিটি পরিবেশনে অসাধারণ হয়েছে। এই রকম রেসিপি সত্যি খেতে খুবই মজা। শীতের মজাদার পিঠা শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

 7 months ago 

জি ভাইয়া এ ধরনের পিঠা খেতে বেশ মজা।ধন্যবাদ ভাইয়া।

 7 months ago 

প্রথমে আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এজন্য যে আজকে আপনি আমাদের বাংলা ব্লক কর্তৃক আয়োজিত সুন্দর এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন। আপনার অংশগ্রহণ খুবই সুন্দর হয়েছে বেশ চমৎকারভাবে আপনি এ মিষ্টি রেসিপি তৈরি করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। আপনার এই রেসিপি ছিল অতিশয় লোভনীয় আমার কাছে।

 7 months ago 

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 7 months ago 

প্রথম সপ্তাহে যদিও অংশগ্রহণ করতে পারেননি, তবে এই সপ্তাহে আপনি অংশগ্রহণ করেছেন দেখে সত্যি খুব ভালো লেগেছে‌। দুধপুলি পিঠার রেসিপি দেখে আমার তো খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। এরকম রেসিপি তৈরি করলে কিন্তু সেগুলো খুবই ভালো লাগে গরম গরম খেতে। মনে হচ্ছে অনেক মজা করে খেয়েছিলেন। ধন্যবাদ মজাদার এবং ইউনিক পিঠা তৈরির রেসিপি নিয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।

 7 months ago 

আমার আবার এ পিঠা ঠান্ডা খেতে ভালো লাগে।ধন্যবাদ ভাইয়া।

 7 months ago 

গত সপ্তাহে যদি রেসিপি কনটেস্ট শেষ হয়ে যেত, তাহলে আপনার তৈরি করা মজাদার রেসিপিটা আমরা মিস করতাম। এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দেওয়ার কারণে আপনি অংশগ্রহণ করেছেন। আর আপনার তৈরি করা পিঠার রেসিপি কিন্তু সত্যি অনেক ইউনিক ছিল। দুধ পুলি পিঠা কখনো আমার খাওয়া হয়নি। যার কারণে এই পিঠার রেসিপি আমার কাছে অনেক বেশি ইউনিক লেগেছে। তবে আপনার উপস্থাপনা দেখে পিঠা তৈরি করার পদ্ধতি শিখে নিতে পেরে ভালো লাগলো।

 7 months ago 

এই পিঠাটা খেতে অনেক মজা।ধন্যবাদ আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 57344.91
ETH 3100.39
USDT 1.00
SBD 2.42