রেসিপিঃঢেঁড়স ভর্তা।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
কেমন আছেন সবাই? আশাকরি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।প্রত্যাশা করি সবাই সব সময় ভালো থাকেন,নিরাপদে থাকেন। আজ ২৯শে বৈশাখ,গ্রীষ্মকাল ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১২ই মে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ । আজ একটি রেসিপি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
বন্ধুরা নিয়মিত ব্লগিং এ আজ হাজির হয়েছি নতুন আর একটি ব্লগ নিয়ে। আর তা হচ্ছে রেসিপি ব্লগ। আজ আমি একটা ভর্তা রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। কম বেশি সকলেই ভর্তা পছন্দ করেন। আমারতো বিভিন্ন ধরনের ভর্তা খেতে বেশ ভালো লাগে। আর ভর্তা দিয়ে বেশ তৃপ্তি করে ভাত খাওয়া যায় বলে আমার মনে হয়। তাই প্রতিদিন চেস্টা করি একটি করে ভর্তা রাখারর খাদ্য তালিকায়। আর সব ধরনের সব্জিরি ভর্তা করি আমি।এখন চলছে ঢেঁড়সের সিজন।বাজারে প্রচুর ঢেঁড়স পাওয়া যাচ্ছে। ঢেঁড়স রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এ ছাড়া আরো রয়েছে প্রয়োজনীয় মিনারেল যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে ঢেঁড়স । তাই ঢেঁড়সের সিজনে আমরা এই ভর্তা রেসিপিটি রাখতে পারি আমাদের খাদ্য তালিকায়। রেসিপিটি তৈরি করতে আমি উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করেছি ঢেঁড়স সহ আরও কিছু উপকরণ। বন্ধুরা তাহলে আর দেরি না করে চলুন দেখে নেয়া যাক,রেসিপি তৈরির ধাপ সমূহ। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
ঢেঁড়স | ২০০গ্রাম |
---|---|
পিয়াজ কুচি | ১ টেঃ চামচ |
লবন | স্বাদ মতো |
কাঁচা মরিচ | প্রয়োজন মতো |
রসুনের কোয়া | ৬-৭টি |
সরিষার তেল | প্রয়োজন মতো |
রন্ধন প্রণালী
ধাপ - ১
প্রথমে ঢেঁড়সগুলো ধুয়ে দু'টুকরো করে নিয়েছি।
ধাপ - ২
একটি পাতিলে ঢেঁড়স,রসুনের কোয়া ,কাঁচা মরিচ ও সামান্য লবন দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিয়েছি সিদ্ধ হওয়ার জন্য।
ধাপ - ৩
ঢেড়শ সিদ্ধ হয়ে এলে একটি প্লেটে নামিয়ে নিয়েছি।
ধাপ - ৪
পিয়াজ, কাঁচা মরিচ ও রসুন লবন দিয়ে মেখে নিয়েছি। তাতে পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ - ৫
এবার মাখানো পিয়াজ,রসুন ও কাঁচা মরিচের সাথে সিদ্ধ করা ঢেঁড়স ভালোভাবে মেখে নিয়েছি। ব্যস তৈরি মজাদার ঢেঁড়সের ভর্তা। কেউ ইচ্ছে করলে ধনেপাতাও দিতে পারেন। আমি দেইনি। আমার হাসবেন্ড কাঁচা ধনেপাতা খেতে পছন্দ করেন না। তাই দেইনি।
পরিবেশন
এবার একটি প্লেটে তুলে নিয়েছি পরিবেশনের জন্য। সাথে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আশাকরি, আজকের ঢেঁড়সের স্বাস্থ্যকর মজাদার ভর্তা রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগেছে।আমি চেষ্টা করি সব সময় নতুন নতুন রেসিপি শেয়ার করতে। এবারও সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন রেসিপি নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।শুভ রাত্রি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণি | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরা | Samsung A-10 |
পোস্ট তৈরি | @selina 75 |
তারিখ | ১২ই মে, ২০২৫ ইং |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামে শহরে। চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
যেকোনো ধরনের ভর্তা খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। বিশেষ করে গরম ভাতের সাথে। ঢেঁড়স ভর্তা আমারও বেশ পছন্দের। তবে এই ভর্তার মধ্যে আমরা বেশি ভাজা শুকনো মরিচ ব্যবহার করে থাকি কাঁচামরিচ দিয়ে কখনো এই ভর্তা তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটা দেখে লোভনীয় লাগছে। মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কাঁচা মরিচ স্বাস্থ্যকর। তাই আমি চেস্টা করি সকল কিছুতে কাঁচা মরিচ ব্যবহার করতে। ধন্যবাদ আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/selina_akh/status/1921956864243257617
Link
https://x.com/selina_akh/status/1921919900433457503
https://x.com/selina_akh/status/1921918204353315198
ঢেঁড়স খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। এই খাবারটি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে ঢেঁড়স ভর্তা খেতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। দারুন একটি রেসিপি তুলে ধরেছেন আর গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো উপস্থাপন করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু।
আমারও অনেক প্রিয় ঢেড়ঁস ভর্তা। কচি ঢেড়ঁস ভর্তা ডালের সাথে খেতে আমার বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু।
ঢেঁড়সের ভর্তা খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। তেমন শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী এই ঢেঁড়স। আপনি অনেক সুন্দর করে ঢেঁড়সের লোভনীয় পুষ্টিকর ভর্তা তৈরি করেছেন এবং সাথে উপকারিতাও আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ।
বেশ পুষ্টিকর একটি খাবার এই ঢেড়ঁস ভর্তা। আর খেতেও বেশ মজা। ধন্যবাদ আপু।
ঢেঁড়স খুবই উপকারী সবজি। ঢেঁড়সের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে দারুন লিখেছেন আপু।এখন খুব একটা ঢেঁড়স ভর্তা খাওয়া হয়ে ওঠেনা। ছোটবেলায় ঢেঁড়সভর্তা খুবই পছন্দ করতাম। পিছলা পিছলা হওয়ায় খুব সহজেই ভাত গিলে ফেলতে পারতাম সেজন্য বেশি ভালো লাগতো। চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
অনেকে পিছলার জন্য ঢেড়ঁস ভর্তা খেতে পছন্দ করেন না। তবে আমার বেশ লাগে এই ভর্তা। ধন্যবাদ আপু।
অসাধারণ একটি উদ্যোগ এবং চমৎকার রেসিপি ব্লগ! আপনি যেমন ঢেঁড়সের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সচেতনতা তুলে ধরেছেন এবং তার সঙ্গে একটি সহজ, ঘরোয়া কিন্তু সুস্বাদু ভর্তার রেসিপি শেয়ার করেছেন—তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আপনার লেখায় একধরনের আন্তরিকতা আছে, যা পাঠকদের আকর্ষণ করে এবং রান্নার প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে তোলে। ঢেঁড়সের মতো পুষ্টিকর সবজিকে কেন্দ্র করে এমন রেসিপি আরও বেশি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়া উচিত। আশা করছি নিয়মিত আপনার এমন নতুন রেসিপি ব্লগ পড়ার সুযোগ পাবো।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।