রেসিপিঃচিজ পটেটো চপ।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন? আশাকরি, সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকুন এই প্রত্যাশা করি। আমিও ভালো আছি। আজ ২৮শে শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ১২ই আগস্ট , ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।
বন্ধুরা, বেশ কয়েকদিন পর প্রিয় আমার বাংলা ব্লগে ফিরতে পেরে ভালই লাগছে। আশাকরি আমার মত ভালো লাগা আপনার মধ্যেও বিরাজ করতে।দেশের বিভিন্ন জায়গায় আজ বৃষ্টি হয়েছে। গত দুদিন ধরেই বৃষ্টি হচ্ছে। ঢাকায় ভারী বৃষ্টি না হলেও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও আকাশ ছিল মেঘচ্ছন্ন। বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ হাজির হয়েছি একটি রেসিপি ব্লগ নিয়ে। আর তা হচ্ছে চিজ পটেটো চপ রেসিপি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নতুন নতুন রেসিপি বানিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে।সেই চেষ্টার প্রয়াস আজকের রেসিপিটি।অতিথি আপ্যায়নে ও বিকেলের নাস্তায় এই রেসিপি ভোজন রসিকদের প্রিয়। তবে সবসময় তেলে ভাজা জিনিস না খাওয়াই ভালো। তেলে ভাজা জিনিস আমার পছন্দের হলেও এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। তবে মাঝে মধ্যে নিজে তৈরি করে খাই। এই চিজ পটেটো চপ রেসিপিটি তৈরি করেছিলাম আমার বাংলা ব্লগের প্রতিযোগিতার জন্য কিন্ত তখন পোস্টটি শেয়ার করতে পারিনি। সেটাই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। চিজ পটেটো চপ রেসিপিটি তৈরিতে প্রধান উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করেছি আলুসহ অন্যান্য উপকরণ ।আর কিভাবে মজাদার চিজ পটেটো চপ রেসিপিটি তৈরি করলাম, চলুন তা নিম্নে ধাপে ধাপে দেখে নেই। আশাকরি,আমার আজকের উপস্থাপন মজাদার-মুখরোচক চিজ পটেটো চপ রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।
উপকরণ সমূহ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
আলু | ৩পিস |
পিঁয়াজ | ৩টি |
রসুন | ১টি |
কাঁচা মরিচ | ২টি |
ট্মেটোর সস | ২ টেঃ চামচ |
গোল মরিচ এর গুড়া | পরিমাণ মতো |
লবল | স্বাদ মতো |
কর্ণফ্লাওয়ার | ৪ টেঃ চামচঃ |
ধনেপাতা | পরিমাণ মতো |
মোজারেলা চিজ | পরিমাণ মতো |
ব্রেডক্রাম | পরিমাণ মতো |
চিলি ফ্লেক্স | ২ চাঃ চামচ |
সয়াবিন তেল | ৩ কাপ |
চিজ পটেটো চপ তৈরির প্রণালী
ধাপ-১
প্রথমে আলুগুলোকে ছিলে টুকরো করে নিয়েছি। এরপর প্রেসার কুকারে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিয়েছি।
ধাপ-২
এরপর পিয়াজ,কাঁচা মরিচ, রসুন ও ধনেপাতা কেটে নিয়েছি।
ধাপ-৩
সিদ্ধ আলু ভালোভাবে ম্যাশ করে নিয়েছি।
ধাপ-৪
ম্যাশ করা আলুতে একে একে চিলি ফ্লেক্স,গোল মরিচ এর গুড়া ও পরিমাণ মতো লবন দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৫
এরপর সেই মাখানো আলুতে রসুন কুচি,ধনেপাতা,কাঁচা মরিচ কুচি ও পিয়াজ কুচি দিয়ে আবারও ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৬
এবার মাখানো আলুতে কর্ণফ্লাওয়ার, টমেটোর সস, সামান্য তেল ও গ্রেড করা মোজারেলা চিজ দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিয়েছি।
ধাপ-৭
মোজারেলা চিজ লম্বা করা কয়েক টুকরা কেটে নিয়েছি।
ধাপ-৮
এবার চিজ পটেটো চপ বানানোর জন্য পরিমাণ মতো মাখানো আলু নিয়ে নিয়েছি। আলুর মধ্য লম্বা করে কেটে নেয়া চিজ দিয়ে চপের শেপে বানিয়ে নিয়েছি। এভাবে সবগুলো বানিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৯
এবার একটি বাটিতে ৩ টেঃ চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার,১ টেঃ চামচ গোল মরিচের গুড়া ,স্বাদ মতো লবন ও পরিমাণ মতো পানি দিয়ে একটি ব্যাটার বানিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-১০
এবার বানানো চপ প্রথমে কর্ণফ্লাওয়ারের ব্যাটারে ডুবিয়ে ব্রেডক্রামে গড়িয়ে নিয়েছি। এভাবে সবগুলো চপ একইভাবে বানিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-১১
এবার চপগুলো ভেজে নেয়ার জন্য পরিমাণ মতো তেল দিয়ে চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হয়ে এলে তাতে বানানো চপ দিয়ে ব্রাউন করে ভেজে তুলে নিয়েছি। একইভাবে সবগুলো চপ ভেজে নিয়েছি। ব্যাস তৈরি আমার পটেটো চিজ চপ। এরপর একটি প্লেটে চপগুলো সাজিয়ে পরিবেশন করেছি। সাথে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি।
উপস্থাপন
আশাকরি আজকের চিজ পটেটো চপ এর রেসিপি্টি আপনাদের ভালো লেগেছে। আমি চেষ্টা করি নতুন নতুন রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমার রেসিপি ব্লগ এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। পরিবারের সকলের যত্ন নিন।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | রেসিপি পোস্ট |
---|---|
পোস্ট তৈরি | selina 75 |
ডিভাইস | Redmi Note A5 |
তারিখ | ১২ই আগস্ট,২০২ |
লোকেশন | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
``
দারুন একটা রেসিপি আপনি আজকে শেয়ার করেছেন । রেসিপি তৈরি করার প্রতিটা ধাপ আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এই চিজ রেসিপি টা আমি এর আগে কখনো খাইনি। দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে ধন্যবাদ এমন মজার একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু খেতে বেশ মজার ছিল।একদিন বানিয়ে খাবেন আশাকরি।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঠিক বলেছেন আপু তেলে ভাজা বেশি খাওয়া ঠিক নয় তবে এরকম চপ মাঝে মাঝে খাওয়া যায় এবং মুখরোচক খাবার খাওয়াতে সকলেই অনেক মজা করে এসব খাবার খায়। আমিও মাঝে মাঝে বিকেল বেলা বাসায় এ ধরনের চপ বানিয়ে থাকি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আমিও তেলে ভাজা খাবার কম খাওয়ার চেস্টা করি। তবে মাঝে মাঝে খেতে ভালই লাগে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন চিজ পটেটো চপ রেসিপি তৈরি করে। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে একদম ইউনিক একটি রেসিপি। আসলে এর আগে কখনো এমন ভাবে রেসিপি তৈরি করে খাওয়া হয়নি। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একদিন তৈরি করে খাবেন ভাইয়া। আশাকরি ভালো লাগবে। মতামতের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
https://x.com/selina_akh/status/1823056183512703234
আজকে আপনি আমাদের মাঝে লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। চিজ পটেটো চপ আমি আগে কখনো খাইনি। তবে আপনার তৈরির প্রতিটি ধাপ দেখে খুবই ভালো লেগেছে। আমি নিজেও শিখে নিলাম। আশাকরি খেতে অনেক মজা হয়েছিল। আপনি আলু দিয়ে ইউনিক ও লোভনীয় রেসিপি তৈরি করেছেন, সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া খেতে বেশ মজা হয়েছিলো। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
প্রতিযোগিতার জন্য রেসিপিটা তৈরি করে আর শেয়ার করতে পারলেন না। তবে এখন আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। এ ধরনের চপ আমি বেশ পছন্দ করি। চিজ দিয়ে তৈরি করেছেন খেতে নিশ্চয়ই সুস্বাদু হবে। বেশ ভালো লাগলে আপনার রেসিপিটা দেখে। ধন্যবাদ এত সুস্বাদু এবং মজার একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
আমারো বেশ পছন্দ চিজ দিয়ে তৈরি করা যে কোন খাবার। মতামতের জন্য ধন্যবাদ আপু।
আমার ও একই অবস্থা হয়েছিল আপু। প্রতিযোগিতার জন্য রেসিপি তৈরি করেছিলাম, তবে শেয়ার করার আগেই রেস্ট্রিকশন চলে আসায় আর শেয়ার করার সুযোগ হয় নাই। আর দারুণ চপ বানিয়েছেন আপনি। ভেতরে - বাহিরে চিজ এ ভরপুর! গরম গরম খেতে যে ভীষণ মজা হয়েছে সেটা বোঝাই যাচ্ছে!
শেয়ার করা হয়নি বলে আজ শেয়ার করলাম। আর এটা ঠিক গরম গরম খেতে বেশ মজা লাগে এই চপ।মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার রেসিপি দেখে এখনই মুখের মধ্যে পানি চলে আসলো৷ যেভাবে আপনি এই রেসিপি তৈরি করেছেন তা খুবই সুস্বাদু হয়েছে বলে মনে হয়৷ একই সাথে এই রেসিপি তৈরি করতে অনেক সময় দিয়েছেন এবং অনেক কষ্ট করেছেন যা দেখেই বুঝা যাচ্ছে৷ ধন্যবাদ এরকম সুস্বাদু একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷
এ ধরনের রেসিপি তৈরি করতে সময় কিছুটা বেশি লাগে। সময় বানালেও খেতে কিন্তু বেশ মজা।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
হুম। একেবারে ঠিক বলেছেন