পাথরে প্রজাপতি পেইন্টিং।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন? সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন,আশাকরি। সকলে ভালো থাকেন এই প্রত্যাশা করি। আমিও ভাল আছি। আজ ২৬ শে মাঘ, শীতকাল,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ০৯ ফেব্রুয়ারি,২০২৪ খ্রীস্টাব্দ।।
বেশ কয়েক বছর আগে পঞ্চগর ঘুরতে গিয়ে কিছু পাথর নিয়ে এসেছিলাম স্মৃতি হিসাবে। আজ এভাবে কাজে লেগে যাবে বুঝতেও পারিনি । আসলে কোন জিনিসই অব্যবহৃত থাকে না কোনো না কোনো কাজে লেগেই যায়। যেমন আমার কয়েক বছর আগে আনা পাথটিও কাজে লেগে গেল। আজ সেই পাথরের উপর করা প্রজাপতির পেইন্টিং আমি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।নতুন কোন কিছু করতে আমার বেশ ভালো লাগে ।তাই চেস্টা করলাম পাথরের উপর পেইন্টিং করতে। যদিও পাথরটি ছোট হওয়াতে পেইন্টিং করতে বেশ সময় লেগেছে। কিন্তু আঁকার পর আমার বেশ ভালো,লেগেছে প্রজাপতিটি । আপনাদের কেমন লেগেছে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানালে খুশি হবো। এই পেইন্টিংটি করতে উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করেছি পাথর ও পোস্টার রং সহ আরও কিছু উপকরণ। তাহলে চলুন, দেখে নেয়া যাক আঁকার বিভিন্ন ধাপ সমূহ।
তৈরির উপকরণ সমূহ
১।বিভিন্ন রং এর পোস্টার রং
২।বিভিন্ন সাইজ এর তুলি
৩। পাথর
৪।পেন্সিল
আঁকার পদ্ধতি
ধাপ-১
প্রথমে পাথরটিকে ধুয়ে পরিস্কার করে নিয়েছি। এবং কাপড় দিয়ে মুছে শুকনো করে নিয়েছি।
ধাপ-২
পাথরে একটি প্রজাপতি এঁকে নিয়েছি পেন্সিল দিয়ে।
ধাপ-৩
এরপর কালো রং এর পোস্টার রং দিয়ে প্রজাপতির শরীর রং করে নিয়েছি,
ধাপ-৪
এরপর প্রজাপতির পাখার কিছু অংশে লাল রং করে নিয়েছি।
ধাপ-৫
এরপর প্রজাপতির পাখার বাকী অংশে হলুদ, কমলা ও সবুজ রং করে নিয়েছি।
ধাপ-৬
এরপর কালো রং দিয়ে পাখার রেখাগুলো এঁকে নিয়েছি। যাতে দেখতে সুন্দর লাগে। এবং শেষে আশেপাশে সাদা রং করে নিয়েছি। যাতে প্রজাপতিটি প্রমিনেন্ট হয়ে উঠে।
উপস্থাপন
আশাকরি আজকে পাথরে আঁকা প্রজাপতিটি আপনাদের ভাল লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার আর্ট ব্লগ এখানেই শেষ করছি। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | আর্ট |
---|---|
ক্যামেরা | Redmi Note 5A |
পোস্ট তৈরি | @selina75 |
তারিখ | ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
ওয়াও আপু পাথরের উপর প্রজাপতির ডিজাইনটি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। কয়েক বছর আগে পঞ্চগড়ে ঘুরতে গিয়ে পাথর নিয়ে এসেছিলেন এবং এখন সেটা উপর আর্ট করেছেন দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। আজকে আপনার ক্রিয়েটিভিটি দেখে সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেলাম আপু। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু এভাবেই সামনের দিকে এগিয়ে চলুন।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/selina_akh/status/1755999135076073570
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ বিষয়টা তো চমৎকার, আমার কাছেও এরকম সাদা পাথর রয়েছে। যদিও বাকি সরঞ্জাম নেই, তবে আপনার পোস্ট দেখে আমারও এরকম কিছু তৈরি করতে ইচ্ছে করছে।
বাকী সরঞ্জাম যোগার করে শুরু করে দিন ইচ্ছে যখন হয়েছে। আপনারটা আরও সুন্দর হবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
পাথরের উপরে খুবই দক্ষতার সাথে পেইন্টিং করেছেন। আসলে পাথরের উপরে এই পেইন্টিংটি দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে আপনি কয়েক বছর আগে পঞ্চগড় ভ্রমণ করতে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে স্মৃতি হিসেবে কিছু পাথর নিয়ে এসেছিলেন। আজকে এই পাথরগুলো আপনার কাজে লাগছে। তাই পাথরের উপরে এই পেইন্টিংটি ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন।
জি ভাইয়া কখন যে কোন জিনিস কাজে লেগে যায় বলা মুশকিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
কখন কোন জিনিস কাজে লেগে যায় বলা মুশকিল। আপনার পঞ্চগর থেকে আনা পাথর দিয়ে চমৎকার একটি প্রজাপতি 🦋 পেইন্টিং করে দেখালেন। এটা নিঃসন্দেহে অসাধারণ একটি কাজ ছিল। আর পেন্টিং শেষ করার দারুন দেখাচ্ছে। ধন্যবাদ আপু চমৎকার কাজটি উপহার দেয়ার জন্য।
ঠিক তাই কখন যে কি কাজে লাগে বলা মুশকিল। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
প্রজাপতির পেইন্টিং এমনিতেই ভালো লাগে আর এই পেইন্টিং আপনি করেছেন একটি পাথরের উপর যা আসলে অতুলনীয় সুন্দর লাগছে। এত সুন্দর একটি পেইন্টিং আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ঠিকই বলেছেন আপু কখন যে কোন জিনিসটা কাজে লেগে যায় তার কোন ঠিক নেই । আপনি পঞ্চগড় থেকে কবে সেই পাথরটি নিয়েছিলেন তখন কি আর ভেবেছিলেন যে এই ধরনের কোন কাজে লাগবে, ঠিকই কাজে লেগে গেল । পাথরটি ছোট হলে কি হবে প্রজাপতিটি কিন্তু দেখতে খুবই ভালো লাগছে । আপনি খুব সুন্দর করে এঁকেছেন প্রজাপতিটি ।
ঠিক তাই কখন যে কি কাজে লেগে যায় বলা কঠিন। এক সময় না এক সময় তা কাজে লেগে যাবেই। ধন্যবাদ আপু।