আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা-৪৬ঃআমড়া দিয়ে টেংরা মাছের মজাদার টক-ঝাল চচ্চড়ি।

আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন? আশাকরি ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি। আজ ২ রা কার্তিক হেমন্তকাল,,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ১৮ অক্টোবর,২০২৩ খ্রীস্টাব্দ।আমার বাংলা ব্লগে নিয়মিত ব্লগিং এ আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি রেসিপি নিয়ে। আজকের রেসিপিটি আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত আয়োজন,প্রতিযোগিতা -৪৬ এর জন্য। এবারের প্রতিযোগিতার বিষয় ছোট মাছের ঝাল রেসিপি। ছোট মাছ শরীরের জন্য বেশ উপকারী।আজ আমি এই প্রতিযোগীতার জন্য তৈরি করবো আমড়া দিয়ে টেংরা মাছের মজাদার টক-ঝাল চচ্চড়ি। টেংরা মাছ দিয়ে আমি এই রেসিপিটি তৈরি করবো।টেংরা খাল ,বিল ,নদী জলাশয়ের মাছ। নদী,,নালা,খাল বিল শুকিয়ে যাওয়ায় বাজারে ছোট মাছ মোটামুটি পাওয়া যাচ্ছে । তবে দাম বেশ চড়া। টেংরা মাছে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন যা আমাদের শরিরের জন্য প্রয়োজনীয়। যা মস্তিষ্ক গঠনে বেশ কার্যকর । টেংরা মাছ শরীরের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে বেশ কার্যকর। রেসিপিটি তৈরিতে আমি উপকরণ হিসেবে টেংরা মাছ ও আমড়া ব্যবহার করেছি। আর অন্যান্য উপকরণতো আছেই। এই রেসিপিটি খেতে কিছুটা টক-ঝাল যা বেশ মজা লাগে গরম গরম ভাতের সাথে।তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক,প্রতিযোগিতা -৪৬ এর জন্য কিভাবে তৈরি হলো আমার উপস্থাপিত আজকের রেসিপিটি। আশাকরি ভাল লাগবে আপনাদের।

এবার সেই মেখে নেয়া মশলায় টেংরা মাছ ও আমড়ার টুকরো দিয়ে আলতো হাতে মেখে নিয়েছি। এবং পরিমান মত পানি দিয়ে দিয়েছি।

এবার কড়াইটি ঢাকনা দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিয়েছি।প্রায় ২০ মিঃ পর সব কিছু ঠিক আছে কিনা চেখে নিয়েছি। লবন কম হওয়ায় সামান্য লবন দিয়ে আর ১০ মিঃ জ্বাল দিয়েছি। যখন পানি শুকিয়া মাখা মখা হয়ে আসবে তখন চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি। ব্যস তৈরি হয়ে গেলো আমড়া দিয়ে টেংরা মাছের মজাদার টক-ঝাল চচ্চরি।

আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।