ডাইঃপুরাতন বোতল দিয়ে ফুলদানি তৈরি।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,আশাকরি সবাই ভালো আছেন।সবাই ভালো থাকুন এই প্রত্যাশা করি সবসময়। আমিও ভালো আছি ।আজ ২১ শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,৪ঠা জুন ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ। বন্ধুরা, আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি একটি ডাই পোস্ট।
বন্ধুরা আমার বাংলা ব্লগের এসো নিজে করি সপ্তাহের চতুথ দিনে আমি হাজির হয়েছি আর একটি ডাই পোস্ট নিয়ে। আর তা হচ্ছে পুরাতন বোতল দিয়ে ফুলদানি তৈরির ডাই ।পুরাতন জিনিসকে নতুন করে সাজাতে কার না ভালো লাগে। তেমনই আমিও পছন্দ করি পুরাতন কিছুকে নতুন করে সাজিয়ে ব্যবহার উপযোগি করে তৈরি করতে । এ ধরনের কাজ করতে বেশ সময় লাগে। আমারও বেশ সময় লেগেছে এই কাজটি করতে। এক বসায় এ ধরণের কাজ করা যায় না, ধাপে ধাপে করতে হয়েছে। টিসু শুজিয়ে গেলে রং করতে হয়েছে রং শুকানোর পর ফুলের কাজ করতে হয়েছে। তাই সময় কিছুটা বেশি লেগেছে। সময় বেশি লাগলেও ,যখন পছন্দ মতো বানাতে পেরেছি তখন বেশ ভালো লেগেছে। ঘর সাজাতে আমরা এ ধরণের ফুলদানি বানিয়ে ব্যবহার করতে পারি। এই ফুলদানি তৈরিতে প্রধান উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করেছি পুরাতন বোতল, পোস্টার রং সহ আরও কিছু উপকরণ। যা সবিস্তারে নিম্নে বর্ণনা করা হয়েছে। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক, কিভাবে তৈরি করলাম আজকের পুরাতন বোতল দিয়ে তৈরি ফুলদানিটি। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের।
উপকরণ
১।বোতল
২।টিসু
৩।চিমটা
৪।বিভিন্ন রং এর পোস্টার রং
৫।তুলি
৬।গ্লু
৭।পাটের সুতা
৮।পেন্সিল
***তৈরির ধাপ সমূহ****
ধাপ-১
প্রথমে একটি বোতল ভালোভাবে ধুয়ে শুকিয়ে নিয়েছি। আমি এখানে সয়া সস এর বোতল নিয়েছি। এরপর সম্পূর্ণ বোতলটিতে টিসু গাম দিয়ে লাগিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-২
বোতলে লাগানো টিসু শুকিয়ে গেলে তাতে আকাশী রং এর পোস্টার রং করে নিয়েছি। বোতলের নিচের কিছু অংশ বাদ দিয়ে। এরপর পেন্সিল দিয়ে বোতলে ফুল এঁকে নিয়েছি।
ধাপ-৩
কিছু টিসু ছোট ছোট টুকরো করে নিয়েছি।একতি বাটিতে পানি নিয়্যে সেই টুকরোগুলো পানির মধ্যে ভিজিয়ে রেখেছি কিছুক্ষন।
ধাপ-৪
টিসুগুলো পানি থেকে চিপে তুলে নিয়েছি,যাতে কোন পানি না থাকে। সেই টিসু থেকে কিছুটা টিসু অন্য পাত্রে নিয়ে তাতে গ্লু ও সবুজ রং মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৫
এরপর সবুজ রং করা টিসু চিমটা দিয়ে বোতলের নিচে লাগিয়ে দিয়েছি। ঘাস বোঝানোর জন্য। সেই সাথে আঁকা পাতাতেও লাগিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৬
একইভাবে আরও কিছু টিসুতে কমলা রং করে নিয়েছি গ্লু ও কমলা রং দিয়ে।
ধাপ-৭
সেই কমলা রং করা টিসু একইভাবে আঁকা ফুলের পাপড়ির উপর বাসিয়ে দিয়ে ফুল বানিয়ে নিয়েছি। এবং ফুলের মাঝখানে সাদা টিসু লাগিয়ে নিয়েছি। কিছু পাপড়ি সবুজ ঘাসের উপরও লাগিয়ে নিয়েছি। ঝরা পাপড়ি বোঝানোর জন্য।
ধাপ-৮
একইভাবে কিছু টিসু হলুদ রং করে নিয়েছি। রং করা হলুদ টিসু আঁকা ফুলের পাপড়ির উপর লাগিয়ে নিয়েছি। এবং ফুলের মাঝখানে কমলা টিসু লাগিয়ে নিয়েছি। এবং সাদা রং দিয়ে ফুলের ডাল ও পাতার ডাল এঁকে নিয়েছি।
ধাপ-৯
বোতলটিকে আরও সুন্দর করার জন্য বোতলের মুখে পাটের সুতা প্যাচিয়ে গাম দিয়ে লাগিয়ে নিয়েছি ১ ইঞ্চি মতো।আর এভাবেই বানিয়ে নিলাম পুরাতনবোতল দিয়ে একটি সুন্দর ফুলদানি।
উপস্থাপন
আশাকরি আজ আমার পুরাতন বোতলকে ফুলদানি বানানোর পদ্ধতিটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আমি সব সময় চেষ্টা করছি নিত্য নতুন ব্লগ আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে। সকলে সুস্থ্য থাকুন ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সুস্থ্য রাখুন। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমার আজকের ডাই ব্লগটি এখানেই শেষ করছি। সবাই ভালো থাকুন। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে নিয়ে।শুভ রাত্রি।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | ডাই |
---|---|
পোস্ট তৈরি | selina 75 |
ডিভাইস | Redmi Note A5 |
তারিখ | ৪ঠা জুন, ২০২৪ |
লোকেশন | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
অনেক সুন্দর ফুলদানি তৈরি করেছেন আপু। বেশ ভালো লাগলো বোতলের এত সুন্দর একটি ফুলদানি তৈরি করতে দেখতে। এক কথায় বলতে অসাধারণ আপনার আজকের এই ফুলদানি। আমি তো আর এই কাজ দেখে পুরা মুগ্ধ হয়েছি।
আমার বানানো বোতলের ফুলদানি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
https://x.com/selina_akh/status/1798030864317808919
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক সুন্দর হয়েছে আপু আপনার বোতলের এই ফুলদানি তৈরি করা। ফুলটা বেশ চমৎকার হয়েছে। আমার খুব ভালো লাগে এমন নতুন নতুন জিনিস গুলো শিখতে পেরে। নিজে করতে না পারলেও যেন একটা আইডিয়া তো পেয়ে যায়। হয়তো একদিন চেষ্টা করা যাবে।
অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আসলে আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে একটা সৃজনশীল ধরনের পোস্ট নিয়ে এসেছেন। আসলে এই পুরাতন বোতল দিয়ে ফুলদানি তৈরির প্রক্রিয়াটি দেখতে সহজ হলেও আমার কাছে কিন্তু অতটা সহজ মনে হচ্ছে না। আসলে আপনি অনেকক্ষণ ধরে এই ধরনের ফুলদানি তৈরি করেছেন। এছাড়াও এই ফুলদানি তৈরীর প্রতিটা ধাপ আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর একটা সৃজনশীল ফুলদানির পোষ্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বোতলের ফুলদানি বানাতে বেশ কস্ট হয়েছে। সেই সাথে সময়ও লেগেছে অনেক।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
পুরাতন বোতল দিয়ে তৈরী ফুলদানীটি অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। আপনি বেশ চমৎকারভাবে কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে ফুলদানীটি তৈরী করেছেন ও আমাদের মাঝে শেয়াদ করেছেন। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাহ্, নতুন কিছু শিখলাম। খুবই সুন্দর ভাবে পুরাতন একটি বোতল দিয়ে ফুলদানি তৈরি করলেন আপু। ফুল দানিতে যে সুন্দর ডিসাইন গুলো করেছেন সেগুলোর জন্য ফুল দানিটি সত্যিই আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আমার বানানো ফুলদানি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপু আপনি খুব ইউনিক ইউনিক পোস্ট তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেন। আমরা প্রতিনিয়ত অনেক অনেক জিনিস ফেলে দিই। আর সেই সমস্ত জিনিস দিয়ে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ঘরে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জিনিস তৈরি করে ফেলেন। আজকে পুরনো বোতল দিয়ে অনেক সুন্দর একটি ফুলদানি তৈরি করেছেন। এর মধ্যে কিছু ফুল রেখে দিলে চমৎকার লাগবে দেখতে। ধন্যবাদ আপু।
জি আপু ফেলে দেয়া জিনিস দিয়ে আমরা নতুন করে অনেক কিছুই বানাতে পারি। আর আমার বানানো ফুলদানি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
পুরাতন বোতল দিয়ে খুবই সুন্দর একটি ফুলদানি বানিয়েছেন। দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে এটা আমার কাছে খুবই চমৎকার লাগছে।প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি চেস্টা করেছি সহজ করে উপস্থাপনের জন্য । যাতে যে কেউ চেস্টা করলে বানাতে পারে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
পুরাতন বোতল দিয়ে খুব সুন্দর একটি ফুলদানি তৈরি করেছেন আপনি। এরকম অবহেলিত জিনিসগুলো দিয়ে আমরা চাইলে অসংখ্য জিনিস তৈরি করতে পারি। আমরা আমাদের ক্রিয়েটিভিটির মধ্য দিয়ে এই কাজগুলো করতে পারি। ধন্যবাদ আপনি আপনার ক্রিয়েটিভিটি প্রকাশ করার জন্য।
জি ভাইয়া ফেলে দেয়া জিনিস দিয়ে আমরা অনেক কিছু বানাতে পারি। তবে আমার বানানো বোতলের ফুলদানি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।