রেসিপিঃ দো-মাছা।

in আমার বাংলা ব্লগ7 months ago

সবাইকে শুভেচ্ছা।

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,সবাই কেমন আছেন? বরাবরের মতো সবাই ভালো আছেন আশাকরি।সবাই ভালো থাকুন এই প্রত্যাশা করি, সবসময়। আমি আছি মোটামোটি। আজ ১৩ই পৌষ, শীতকাল,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ২৮ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রীস্টাব্দ।

rr-15.jpg

আর মাত্র ৩দিন পর নতুন বছরের আগমন। দেখতে দেখতে শেষ হয়ে যাচ্ছে ২০২৩। ফিরে তাকালে মনে হয় এইতো সেদিন শুরু হলো। আসলে সময় কাহারো জন্য অপেক্ষা করেনা। আপন গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। কত সময় আমরা নষ্ট করছি, অবহেলায়,অনাদারে, কাজে লাগাতে পারিনি। এবার চেষ্টা থাকবে কাজে লাগানোর। প্রিয় বন্ধুরা,আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিং এ হাজির হয়েছি একটি রেসিপি ব্লগ নিয়ে। আর তা হচ্ছে লইট্টা মাছের শুটকি ও চিংড়ি মাছের "দো-মাছা"। দো-মাছা একটি মজাদার রেসিপি।মুলত চট্রগ্রাম অঞ্চলে রেসিপিটি বেশ জনপ্রিয়। এই রেসিপিটি আমারও খুব প্রিয়। তাই আজ আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলাম। আশাকরি, আজকের উপস্থাপিত রেসিপিটি আপনাদের ভাল লাগবে। অনেক কথা হলো, আর কথা নয় , চলুন দেখে নেয়া যাক, কিভাবে তৈরি হলো আমার আজকের লইট্টা শুটকি ও চিংড়ি মাছের মজাদার "দো-মাছা"রেসিপি তা ধাপে ধাপে দেখে নেই।

রান্নার উপকরণ

rr-16.jpg

rr-17.jpg

উপকরণ সমূহ

১.লইট্টা শুটকি-২০০গ্রাম
২.চিংড়ি মাছ-১৫০গ্রাম
৩.পিয়াজ-৫টি
৪.রসুন-২টি
৫.কাঁচা মরিচ-৪টি
৬.ধনেপাতা-পরিমাণ মতো
৭.হলুদ-১চা:চামচ
৮.ধনে গুড়া-১চা:চামচ
৯.মরিচ-১চা:চামচ
১০.জিরা গুড়া-১/২ চা:চামচ
১১.লবন:পরিমাণ মতো
১২.তেল-পরিমাণ মতো

ধাপ-১

প্রথমে কাঁচা মরিচ,রসুন ও পিঁয়াজ বেটে নিয়েছি।

rr-1.jpg

rr-2.jpg

ধাপ-২

লইট্টা শুটকি ও চিংড়ী মাছ কেটে ধুয়ে নিয়েছি।

rr-3.jpg

ধাপ-৩

পিয়াজ,কাঁচা মরিচ ও রসুন কেটে নিয়েছি।

rr-4.jpg

ধাপ-৪

চুলায় একটি হাড়ি বসিয়ে দিয়েছি।হাড়ি গরম হয়ে এলে তাতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিয়েছি।

rr-5.jpg

ধাপ-৫

তেল গরম হয়ে এলে রসুন কুচি ও পিয়াজ কুচি দিয়ে দিয়েছি।

rr-6.jpg

rr-7.jpg

ধাপ-৬

রসুন ও পিয়াজ ভাজা ভাজা হয়ে এলে বেটে নেয়া কাচামরিচ,পেয়াজ দিয়ে দিয়েছি।

rr-8.jpg

ধাপ-৭

পিয়াজ ভাজা ভাজা হয়ে এলে একে একে সকল মশলা দিয়ে দিয়েছি। মশলা যাতে পুড়ে না যায় সেজন্য সামান্য পানি দিয়ে দিয়েছি।এবং মশলা ভালোভাবে কষিয়ে নিয়েছি।

m-1.jpg

m-2.jpg

m-3.jpg

ধাপ-৮

মশলা ভালোভাবে কষিয়ে নিয়ে ধুয়ে নেয়া লইট্টা শুটকি দিয়ে দিয়েছি।এবং মশলার সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।

rr-9.jpg

ধাপ-৯

এরপর ধুয়ে রাখা চিংড়ি মাছ দিয়ে দিয়েছি।এবং শুটকির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।ভালোভাবে কষিয়ে নিয়ে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিয়েছি।

rr-10.jpg

ধাপ-১০

শুটকি ও মাছ সিদ্ধ হয়ে এলে এবং পানি কিছুটা কমে মাখা মাখা হয়ে এলে ধনে পাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিয়েছি।

rr-11.jpg

rr-12.jpg

উপস্থাপন

রান্না শেষে একটি বাটিতে তুলে নিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করেছি।

rr-13.jpg

rr-14.jpg

আশাকরি আজকের লইট্টা শুটকি ও চিংড়ি মাছের "দো-মাছা"মজাদার রেসিপি আপনাদের ভাল লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার রেসিপি ব্লগ এখানেই শেষ করছি । আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।

পোস্ট বিবরণ

পোস্টঃ রেসিপি
পোস্ট তৈরিঃ selina 75
ডিভাইসঃ Redmi Note 5A
তারিখঃ ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ইং

আমার পরিচয়

আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সাথে থাকার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Sort:  
 6 months ago 

দো-মাছা রেসিপিটা আমাদের এলাকায় পরিচিত না তবে আপনার পোস্ট পড়ে যতটুকু বুঝতে পারলাম চট্টগ্রাম অঞ্চলে অনেক পরিচিত। মূলত চিংড়ি মাছ আর শুটকি মাছের সমন্বয়ে রেসিপি তৈরি করেছেন বলে দো-মাছা নাম হয়েছে। যাই হোক টেস্ট করার একটা আগ্রহ থেকেই গেল কেননা ভিন্ন ধরনের রেসিপি।

Posted using SteemPro Mobile

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 7 months ago 

আপু আপনার রেসিপির টাইটেল দেখে কিছুটা অবাক হয়েই রেসিপিটি দেখতে এলাম।সত্যি কথা বলতে নামটি শুনে নতুন কিছু ফিল হলো।পোস্টের মধ্যে এসে নতুন কিছুই আসলে দেখলাম।শুঁটকি আর মাছ একসাথে কখনও খাওয়া হয়নি। আর কেমন লাগবে জানা ও নেই।আপনি রেসিপির ধাপগুলো চমৎকার ভাবে তুলে ধরলেন। রেসিপিটি যদিও লোভনীয় লাগছে। খেতে কেমন হবে তাই ভাবছি।নতুন রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 months ago 

এ রেসিপিটি চট্টগ্রামের বেশ জনপ্রিয় খাবার।বেশ মজাদার একটি রেসিপি।ধন্যবাদ আপু।

 6 months ago 

ঠিক বলেছেন আপু এই তো সেদিন বছর শুরু হলো দেখতে দেখতেই শেষ। নতুন বছর চলেই এসেছে।লইট্টা শুটকিও চিংড়ি দিয়ে চমৎকার স্বাদের একটি রেসিপি করেছেন আপু আপনি।দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুব মুখরোচক হয়েছে খেতে রেসিপিটি।প্রতি টি ধাপ খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে।সম মিলিয়ে অসাধারণ সুন্দর রেসিপি।

 6 months ago 

জি আপু খেতে বেশ মজা এই রেসিপিটি।ধন্যবাদ আপু।

 6 months ago 

দো-মাছা রেসিপি সম্পর্কে আমি আগে কখনো শুনিনি৷ আপনার কাছ থেকে এই প্রথম এরকম একটি রেসিপি সম্পর্কে জানতে পারলাম৷ আপনি যেভাবে এই এই রেসিপি তৈরি করেছেন তা আমাদের এখানে কখনো তৈরি করা হয়নি৷ আপনার কাছ থেকে এরকম ইউনিক একটি রেসিপি দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো৷ এটি যেভাবে আপনি ডেকোরেশন করেছেন এটি অনেকটাই সুস্বাদু হয়েছে বলে মনে হয়৷

 6 months ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 6 months ago 

একদম ঠিক বলেছেন আপু সময় যে কোথা দিয়ে চলে যায় টেরই পাওয়া যায় না। আমার আপনার মত অবস্থা। সেদিন বছর শুরু হলো মনে হচ্ছে না এখনই শেষ হয়ে যাচ্ছে। যাইহোক আপনার আজকের রেসিপিটি কিন্তু একেবারে ইউনিক লেগেছে আমার কাছে। চিংড়ি মাছ এবং শুটকিতো আলাদাভাবে খাওয়া হয়েছে এভাবে একসঙ্গে কখনো রান্না করা হয়নি। রেসিপির নামটাও বেশ সুন্দর। খেতেও নিশ্চয়ই সুস্বাদু হয়েছিল। দেখেই লোভ লেগে যাচ্ছে।

 6 months ago 

আপনার তৈরি করা লোভনীয় এবং সুস্বাদু এই রেসিপি দেখে আমার খুবই লোভ লেগে গিয়েছে। বিভিন্ন রকমের মজার মজার রেসিপি খাওয়ার মজাটাই আলাদা বিশেষ করে শীতের সময়। আপনি আজকে দও- মাচা রেসিপি তৈরি করে সবার মাঝে শেয়ার করেছেন। যে রেসিপিটা আমার কাছে অনেক বেশি ইউনিক লেগেছে। রেসিপিটার পরিবেশন যেভাবে করেছেন, দেখেই তো ইচ্ছে করছে তুলে নিয়ে খেয়ে ফেলি। ধন্যবাদ রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি ভাগ করে নেওয়ার জন্য।

 6 months ago 

আসলেই অনেকেই অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে ২০২৩ সালটা আমরা শেষ করেছি। সময় নিজের গতির সাথে চলে গিয়েছে। আজকে আপনি আমাদের মাঝে ইউনিক একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। এই রেসিপিটা আমার কখনোই খাওয়া হয়নি। আর এই রেসিপিটার নামও কখনো আমি শুনিনি, তাই এটা অনেক ইউনিক লেগেছে। এটা চট্টগ্রাম অঞ্চলে বেশি জনপ্রিয় এটা কখনো শুনিনি। লইট্টা শুটকি ও চিংড়ি মাছের হওয়ার কারণে বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 57849.42
ETH 3122.29
USDT 1.00
SBD 2.43